ইসরায়েলি কায়দায় ব্রাশ-ফায়ার: সেলুকাস!!
লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০১:৫৭:০০ রাত
কক্স-বাজারে ইসরায়েলি কায়দায় আওয়ামী লীগের ব্রাশ-ফায়ার মুসল্লিদের উপর।
পুলিশের নৃশংস হামলা নারীসহ ৬ জন নিহত!
হাশেমিয়া আলিয়া মাদরাসা জামে মসজিদের জুমার নামায শেষ হতে না হতেই মোনাজাতরত অবস্থায় মুসল্লিদের ওপর পুলিশ বৃষ্টিরমতো এলোপাতাড়ি গুলীবর্ষণ করে। গুলীবিদ্ধ হয়েছে বহু নেতাকর্মী, আহত হয়েছে আল্লামা সাঈদী মুক্তি পরিষদের নেতাকর্মী, পথচারী, নারী ও শিশুসহ ২ শতাধিক লোকজন। পুলিশের উপর্যুপরি গুলীবর্ষণের কারণে অনেক সংবাদকর্মী ঘটনাস্থলে যেতে পারেন নি।জারি করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ধারা।
পুলিশের নির্বিচারে বৃষ্টিরমতো গুলীবর্ষনে বিক্ষুব্ধ জনতা ও পুলিশের মাঝে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় পুলিশের গুলীতে নিহত হয় ৬ জন। নিহতদের মধ্যে নারী, মাদরাসা ছাত্র ও সাঈদী মুক্তি পরিষদের কর্মী রয়েছে বলে জানা গেছে। এরা হলেন- কক্সবাজার শহরের গোদারপাড়া এলাকার কলিম উল্লাহর ছেলে তোফায়েল আহমদ (২৫), সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার মোকতার আহমদের ছেলে আবদুল্লাহ (২২) ও একটি আবাসিক মাদরাসার শিক্ষক নুরুল আলম (৪০), মোঃ ফারুক (২০), নুরুল আলম (২৩), আহমেদ সালেহ (২৮), আহমদুল হক, নুরুল হক (৩২)। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাকীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। চোখে গুলীবিদ্ধ হয়ে চোখ উপড়ে গেছে ১০ জনের ও রক্তাক্ত গুলীবিদ্ধ অবস্থায় ২৫ জনকে হাসপাতালের দিকে যেতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় ২ শতাধিক নেতাকর্মী আহত ও গুলীবিদ্ধ হয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে। এদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে গতকাল সকাল থেকেই জামায়াত শিবির সন্দেহে প্রায় ২শ' সাধারণ মানুষ আটক করেছে বলে জানা যায়। গাড়ি থামিয়ে, হেঁটে যাওয়া দাড়ি টুপিওয়ালা লোক বা যুবক বয়সের কাউকে দেখলেই সাথে সাথে কোন কথা ছাড়াই গ্রেফতার করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিতে দেখা যায়। এর আগে পুলিশ ১১৭ জন জামায়াত ও ছাত্রশিবির নেতাকর্মীকে আটক করেছে।সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে কৃষক লীগ এর আতিক ও যুবলীগের বাচ্চুর নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন সশস্ত্র যুবক ঘুরা ফেরা করতে দেখা যায়।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন