সত্য ঘটনা অবলম্বনে (৬): কেন এই লড়াই?

লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ২৬ অক্টোবর, ২০১৩, ০২:৫৮:৩৯ রাত

স্বাধীন বাংলাদেশের পরাধীন আমি!

পরাধীন গ্রামবাসী।

পরাধীন প্রতিবাদী!

রক্ত-চোষা 'সরকার' নামক দৈত্যের সাথে যুদ্ধ চলছে।

হাতে গুলিবিদ্ধ আমি …

...... এক গাছের নিচে বসি।

বিশ্রাম নিতে হবে কিছুক্ষণ।

অনেক শক্তি সঞ্চয় প্রয়োজন।

এরপর পুর্নোদ্দমে হায়নার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত যে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

শিবিরের একজন দায়িত্বশীল হিসেবে আমার অবস্থান বড়ই অদ্ভুত। বাবা অন্ধ আওয়ামী লিগার। তাই আমি বাড়ি-পরিত্জ্জ্। প্রতিদিন গভীর রাতে মা-কে দেখতে বাড়ি যাই। দুইজনই দুইজনকে জড়িয়ে কাদি। যাওয়ার আগে ঘুমানো বাবা কে ও দেখি। কখন ও কাছ থেকে তার ঘ্রাণ শুকি। মনের অগোচরে দোয়া চলে আসে।

ছোট দুই ভাই আর বোন কে আদর দিয়ে আসি।

হলে থাকতে পারি না।

পুলিশ নিয়মিত আমার খোজে আসে।

এমন কোন লীগের নেতা বা সমর্থক নাই আমি যাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না।

সবার সাথে সুসম্পর্ক আলহামদুলিল্লাহ।

আমার নামটা পুলিশ পেয়েছে শফিকের মোবাইল থেকে।

যখন মেস থেকে শফিককে গ্রেফতার করেছিল।

আধমরা করে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ছেলেটাকে জামিন দেয়।

কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই।

যাতে পুলিশ নামক আওয়ামী অঙ্গ সংগঠন না বিপদে পরে পাছে।

সেই শফিক আর নেই।

ইনশাল্লাহ জান্নাতে পাখি হয়ে ঘুরছে।

কেদেই চলেছি।

হাতে রবার বুলেট লেগেছে।

থেতলে ঢুকে আছে এখন ও।

কোথায় যাব?

মন্টুর বাসায় যাওয়া যাবে। বাসা কাছেই। যদি ও আওয়ামী মনা। কিন্তু আমার সাথে দারুন সম্পর্ক। জেলে দুইবার খাবার ওই ই এনেছিল।

আত্ম সমালোচনা শুরু করলাম।

কিছু মৌলিক পদ্ধতিগত চিন্তা।

আমরা কি ভুল করছি?

নিউট্রালি ও ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে?

হাসি পেল। একদিকে রীতিমত যুদ্ধ চলছে। অন্যদিকে চরম তাত্বিক চিন্তা মাথায় চলে এল।

পশুদের সাথে করনীয় কি?

ধৈর্য ধরা? কোন স্তর পর্যন্ত?

কিছু শক্তি-সামর্থ থাকার পর ও?

যখন ধরে ধরে মেরে ফেলছে তখন ও ?

যখন থানায় নিয়ে শিবিরের নেতাদের চোখ তুলে নেয়

পঙ্গু করে দেয় অমানবিক ভাবে।

সহজেই গুলি করে হত্যা করে ফেলে স্কুল বা কলেজ লেভেলের ছাত্রকে।

শিবির দেখলেই গুলি করে।

হায়নার উত্তেজক-বড়ি তুল্য সুশীল বুদ্ধিজীবী আর মিডিয়া শাসকের সকল অনাচারের কারন হিসেবে ইসলাম পন্থীদের তথা জামায়াত শিবিরের যোগসুত্র খুঁজে বেড়ায়।

তখন একজন শিবির-কর্মীর কি দায়িত্ব থাকা উচিত?

আর নিরাপদ-জোনে থাকা একজন ইসলামি দলের সাপোর্টারের কি দায়িত্ব থাকা উচিত?

ভাবনাকে মানুষ যতই কঠিনভাবে বিশ্লেষন করুক না কেন বা যতই প্রজ্ঞার আবহ তৈরী করুক না কেন তাদের কর্মপন্থার মাঝে --

আমার ভাইয়ের যখন চোখ তুলে নেয়া হয় --

বোনদের যখন অপমান করা হয় --

আমাদের নেতাদের যখন তামাশার মাধ্যমে ফাসির হুকুম দেয়া হয় --

তখন আমাদের করনীয় সম্পর্কে সকল পেচানো মতামতের উর্ধে থেকে সিরাত পর্যবেক্ষণ করাই যৌক্তিক।

তাই নয় কি?

ভাবনা আসে - অন্যায় অত্যাচারের প্রাথমিক যুগেই যখন মাত্র চল্লিশের মত ইসলামের সমর্থক - তখন ই সাহাবারা ৩০০ এর সম-সংখ্যক হলেই সমরে দেখে নেয়ার হুঙ্কার ছুড়ে দেন।

ভাবি - রোমান সৈন্যরা এক মুসলিম মহিলাকে গ্রেফতারের পর পর ই সেই ঘটনায় খলিফাতুল মুসলিমিন সৈন্য প্রেরণ করেন।

আরও ভাবি - নবী ইয়াহইয়া (আ) কে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হলে আর ইসা (আ) কে ও একই সময়ে হত্যা করা হলে ( যদি ও আল্লাহ তায়ালা তাকে তুলে নেন এবং পরিবর্তে আরেকজনকে ক্রস- করা হয়) তখন সারা দেশের অর্বাচীন লোকেরা কোন প্রতিবাদ করল না।

আল্লাহ অপ্রতিবাদী লোকজন সহ পুরো জাতিকে কিভাবে শাস্তি দিলেন?

তাদের কি ধ্বংসকারী ঝড় পাঠালেন?

তাদের কি পানিতে ডুবিয়ে দিলেন? বা জমিনের অতলে ধসিয়ে দিলেন?

না! বরং

তাদের কে ভয়ঙ্কর পরাশক্তি দিয়ে তছ নছ করলেন।

সুরা বনি-ইসরাইলের প্রথম কয়েক আয়াতের তাফসির সেই ইতিহাসের ই স্মারক।

"...... তখন আমি অন্য শত্রুদেরকে তোমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছি, যাতে তারা তোমাদের চেহারা বিকৃত করে দেয় এবং (বায়তুল মাকদিসের) মসজিদে এমনভাবে ঢুকে পড়ে যেমন প্রথমবার শত্রুরা ঢুকে পড়েছিল আর যে জিনিসের ওপরই তাদের হাত পড়ে তাকে ধ্বংস করে রেখে দেয়৷" (আয়াত ৭)

আমি ভাবলাম এত অন্যায়, এত জুলুম, এত অত্যাচার, আলেম রা জেলে। অন্যদিকে চোর বাটপারেরা শাসকের গদিতে - এরা কিভাবে নির্ভয় হল যে আল্লাহ চাইলে এদের অন্যভাবে ধ্বংস করতে পারবেন না? অন্য কোন জাতি দিয়ে ভুলুন্ঠিত করতে অপারগ?

কিংবা দুর্যোগ দিয়ে নাস্তানুবাদের সম্ভাবনা থেকে এই কুলাঙ্গার স্বার্থপর মানুষেরা নিরাপদ?

তাই করনীয় কি?

অবশ্যই জালেম শাসকের প্রতিবাদ করা।

প্রতিশোধ নেয়া:

"যারা জুলুম হওয়ার পরে প্রতিশোধ গ্রহণ করে তাদের তিরস্কার করা যায় না। তিরস্কারের উপযুক্ত তো তারা যারা অন্যদের ওপর জুলুম করে এবং পৃথিবীতে অন্যায় বাড়াবাড়ি করে। এসব লোকের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি।" (সুরা আস-শূরা : আয়াত ৪১,৪২)

গুলির মাত্রা আরও বেড়ে চলেছে। মনে হয় আর ও ফোর্স এসেছে। রীতিমত গণহত্যা চলছে। লাশ গুম চলছে।

দৈত্যরা সব শেষ করে ছাড়বে।

রক্ত চোষা শেষ হয়না এদের ।

আর কত রক্ত চায় এরা?

আমি ঘুমিয়ে পড়ি। পরিশ্রান্ত।

দেখি এক অচেনা জায়গা।

মরুভূমি।

জায়গা চিনছি না।

কিন্তু আমি আমার পরিকল্পনা মনে হয় জানি।

কে যেন আমাকে পরিকল্পনা জানিয়েছে আগেই।

'আসসালাম হে মুহাম্মদ বিন মাশ্লামাহ! আপনি কোথায় যাচ্ছেন? '

আমি কি মাস্লামাহ?

এটা কি আমার কোন আইডেন্টিটি ?

আমি কি যাচ্ছি কাব বিন আশরাফের মত ইসলাম-দ্রোহী কবিকে হত্যা করতে?

রাসুলুল্লাহ (দ) এর নামে কত বাজে ভাবে অপপ্রচার ই না ছড়িয়েছে!

হটাত মনে হল আমি ইতিমধ্যে কাব কে হত্যা করেছি।

আমি কি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ও ঘটনায় অবস্থান করছি মুহুর্তেই?

আমার মাঝে এরকম হেলুসিনেশন তৈরী হচ্ছে কেন?

মাল্টিপল পার্সোনালিটি তৈরী হচ্ছে কেন?

আমার হাতে একটি কাঠি দেখলাম।

এটিকি মহানবী (স) দিয়েছেন আমার হাতে?

খুশি হয়ে?

বলেছেন - এটি সর্বদা সাথে রাখতে!

হাশরের ময়দানে যেন এই কাঠি দেখে তিনি আমার ব্যপারে স্বাক্ষী দিতে পারেন?

.. আমি কি কেদে দিয়েছি মহানবী (স) এর এমন সুসংবাদে?

আমি কি মৃত্যু সজ্জায়?

আমি কি পরিবারকে আদেশ দিচ্ছে আমার কাফনের সাথে ওই কাঠিটি দিয়ে দিতে?

..............

আমার সম্বিত ফিরে এল গভীর রাতে।

পরে আছি গাছের নিচে।

যুদ্ধের শেষের অবস্থা যেন।

চারিদিকে হাহাকার।

কান্না।

পরিজনের হাহাকার।

আওয়ামী দৈত্য মুহুর্তে সরলমতি মানুষদের 'সুখ' নামক অধিকারটি কেড়ে নিয়ে গেল।

প্রতিশোধের স্পৃহা এখন মজলুমদের চোখে।

এর কোন ব্যতয় নেই।

.........................

আবার মনে হল সব ঘোলা হয়ে আসছে। আমি কি আবারো কোন অচেনা জায়গায়? কাবুল অনতিদূর এক গ্রাম খেয়াল হল। এক তীব্র বিস্ফোরণে কাছেই আলোর ঝলকানি দেখলাম। আকাশ থেকে কোন উল্কাপিন্ড কি পড়ল কাছেই?

কেপে উঠলাম জমিন সহ। সব জ্বলে যাচ্ছে।

গ্রাম পুড়ছে।

হটাত মনে পড়ল আমি এই গ্রামের ই । আমি তো সব ই জানি। আমার বাড়ি কাছেই। ওই ত বাড়ি দেখা যাচ্ছে।

কিন্তু পুরো গ্রাম ই আগুনে জ্বলছে কি?

আমার প্রিয়তমা স্ত্রী, পুত্র কন্যা -- সবাই কি মারা গিয়েছে?

আমি কিভাবে যেন জানলাম একটি ড্রন আক্রমন নিরপরাধ সহস্র মানুষের জীবন কেড়ে নিল মুহুর্তে।

মনুষ্যবিহীন বিমানের ছোড়া উল্কাপিন্ড -- আহারে সেই মুহূর্ত টায় আমার ছোট কন্যা মায়ের সাথে খেলছিল এক গভীর নির্ভরতায়। তার মা একজনের কথা ভাবছিল। দিব্যদৃষ্টিতে দেখলাম সে ভাবছে সবুজ উপত্যকায় আমার সাথে বসে দুরে তাকিয়ে রয়েছে। তার হাত আমার হাতে। আমি যেন তাকাতে লজ্জা পাচ্ছি। তাকে যেন কখন ও আগে দেখিনি। কিন্তু কত যুগের পরিচিত। কত আপন। কত বেদনার সঙ্গী। মনে হল সংসারের কত অনটনের যুদ্ধে জাহাজের হাল ধরা পাঞ্জেরী এই রমনী।

আর পরাশক্তির বিরুদ্ধে আর তাদের অন্যায় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ায় তথা যৌক্তিক মুক্তিযুদ্ধে অবতরনের ভূমিকায় থাকায় সারা বিশ্ব আমায় 'সন্ত্রাসীর' একজন হিসেবেই জানে।

আমি কি সন্ত্রাসী?

সারা বিশ্ব ভাবে আমার কোন বিবেক নেই!

সারা বিশ্ব ভাবে আমি ধর্মান্ধ!

সারা বিশ্ব ভাবে আমি মানবতার শত্রু।

সারা বিশ্বের চোখে আমার কোন মূল্য নেই।

হটাত দেখি শ্বেতাংগি এক মহিলা দৌড়ে যাচ্ছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে খবর জানালো হল এক বিজয়ের সংবাদ হিসেবেই। সন্ত্রাসীরা মারা গেছে - হুরররে! চিয়ার্স! মদ পানের আনন্দ জেগে উঠবে! মিডিয়ায় দাবালনের মত ছড়িয়ে পরছে -- সন্ত্রাসীর গ্রাম ধংস। সন্ত্রাসবাদের যুদ্ধে আমরা এক ধাপ এগিয়ে গেলাম!

বিশ্ব বিবেকের জয়।

মানবতার জয়।

আমার হাতের পুরোনো রাইফেলটা মুছে নিলাম।

আমার করনীয় কি?

বিবেকের দায়িত্ব কি?

আমি কি দাবার গুটি?

আমি কি আরেকজনের ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ির প্রতি পদক্ষেপ ?

আমার সন্ত্রাসী-ইমেজ কি সারা বিশ্বের দুর্বৃত্ত মুনাফিকদের ক্ষমতায় উঠার অবলম্বন?

আমার 'সন্ত্রাসী' লেবেলের পিছনের রক্ত মাংসের মানুষটি র প্রতি মুহূর্ত কিভাবে কাটবে কেউ কি কস্মিক কালেও ভেবে দেখেছে?

পরাধীনতার অভিশাপের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা মানুষটি 'তালেবান' টাগের মাধ্যমে কিভাবে সবচেয়ে ঘৃণ্য কীটপতঙ্গের মত ই বিশ্বের কাছে পরিচিত!

আমি কি এমন ই ঘৃণ্য ?

আমি কি আদৌ এসবের পরোয়া করি?

আমি কি আদৌ এসবের পরোয়া করি?

-----------

আমি কি ঘুরে বেড়াই প্রতি অবহেলিত জনপদে?

চেচনিয়ার দু:খি জনপদে? বরফাচ্ছাদিত জনপদে একদল মুক্তিকামী মানুষদের সাথে?

ভু-স্বর্গ কাশ্মীরের অবহেলিত অস্ত্রধারীদের সাথে?

বাস্তুহারা প্যলেস্টিনিয় স্বাধীনতাকামীদের সাথে পরিকল্পনা নেই? প্রতিবাদের উপায় খুঁজে ফিরি?

ফ্রি-সিরিয়ান আর্মি বাহিনীর সাথে কি প্ল্যন করি? এগিয়ে যাই?

আমি কি আসলেই অংশগ্রহণ করি? সব জায়গায়?

মাইলের পর মাইল ভ্রমন করে কি তাদের সাথে মিলিত হই?

ট্রেনিং নেই?

আমার মন কি পরে থাকে এদের জন্য? সবার জন্য? সর্বক্ষণ?

'সন্ত্রাসী', 'টেররিস্ট', 'তালেবান' টেগ কি আমায় বিচলিত করে?

আমি কি একথাটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি?

"হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি দীন থেকে ফিরে যায়, (তাহলে ফিরে যাক ), আল্লাহ এমনিতর আরো বহু লোক সৃষ্টি করে দেবেন, যাদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন এবং তারা আল্লাহকে ভালবাসবে, যারা মুমিনদের ব্যাপারে কোমল ও কাফেরদের ব্যাপারে কঠোর হবে, যারা আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনা করে যাবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবেনা ৷ এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে চান তাকে দান করেন৷ আল্লাহ ব্যাপক উপায় উপকরণের অধিকারী এবং তিনি সবকিছু জানেন৷" (মায়েদাহ: ৫৪)

************

মনমহুরিতে যখন পুলিশ - বিজিবি দৈত্যের তান্ডব চলছে তখন ই আরেকটি ঘটনা ঘটল।

রংপুরের বুড়িচং থেকে অনতিদূরেই একদল কৃষক ফসল কাটছিল । দুপুরের সুন্দর হওয়া। হেমন্তের ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। পাখির কলতান। রঙিন প্রকৃতি নতুন সাজে সেজেছে যেন। প্রতি পাটি কর্তিত ফসল দিয়ে তারা যেন আগামী জীবনের স্বপ্ন-বুননে যেন বিভোর।

এমন অসম্ভব সুন্দর সময়ে একদল ইন্ডিয়ান সৈন্য ঢুকে পড়ে।

ক্রমাগত গুলির শব্দ শোনা যায়।

কৃষকদের ঘেড়াও করে ফেলে।

তাদের নেশা পেয়ে যায়।

না বুঝে উঠার আগেই একজন কৃষককে হত্যা করে।

এরপর রশি দিয়ে রক্তাত্ত মৃত মানুষটিকে গাছে বেধে রাখে।

রশি দিয়ে রক্তাত্ত বাংলাদেশকে যেন বেধে রাখে!

গ্রামে ঢুকে আরও তান্ডব চালায়। কিন্তু দ্রুত।

কয়েক জন তরুণ-তরুনীকে ধরে নিয়ে যায়।

নির্দেশনা দেয়া যেরকম - সেরকম ই দ্রুততায় সম্রাজ্যবাদী রা একটি ছোট রুটিন অনুশীলন করে নিল মাত্র।

বিষয়: বিবিধ

১৪১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File