হেফাজতের সংখ্যাতত্ব (ভার্সন ২)

লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ০৮ মে, ২০১৩, ০৪:২৪:৪৩ বিকাল

-৩-

MEDIA WATCH BANGLADESH থেকে সংকলিত যাকে কিনা হাসিনা সরকার গতকাল banned করেছে :-):

"একটা জিনিস খেয়াল করুন।

সাভার ট্র‍্যাজেডিতে ধসে পড়া রানা প্লাজায় আর কোন লাশ নেই বলে ধরে নিয়েছিল সেনাবাহিনী। তাদের বিশেষ প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড,সোনার স্ক্যানার দিয়েও লাশের সন্ধান মেলেনি। কিন্তু গণহত্যার পরের দিন থেকে রানাপ্লাজায় প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ টি করে লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে। ডিএনএ স্যাম্পলিং এর কথা বলে লাশ দেখানো ও হচ্ছেনা। অধরচন্দ্র স্কুলের মাঠে নেয়া লাশের সংখ্যা হাতেগোণা,বাকি লাশ কই? মিডিয়াতে ধসের ৭ম দিন থেকে বলা হচ্ছিল যে,রানা প্লাজায় লাশের বোটকা গন্ধ আগের মতো নেই। এই যে গত ৩ দিনে রানা প্লাজা থেকে যে পরিমাণ লাশ উদ্ধার হল,সেগুলো যদি আদৌ গার্মেন্টস শ্রমিকদের লাশ হয়,তাহলে উৎকট গন্ধে টেকা মুশকিল হতো। অন্তত সেনাবাহিনী ''আর কোন লাশ থাকার সম্ভাবনা কম'' এই কথা বলতোনা। ব্যাপার টা কি খুব বেশী কাকতালীয় হয়ে গেলনা?

আমার পয়েন্ট গুলো খেয়াল করুন-

* সেনাবাহিনী আর কোন লাশ নেই বলে ধরে নিয়েছিলো

* ডগ স্কোয়াড দিয়েও কয়েকদিন আগে লাশ পাওয়া যায়নি

* সাংবাদিকেরা বলছিল যে,লাশের তীব্র গন্ধ আর নেই…যদি গত ৩ দিনে উদ্ধার হউয়া লাশ ভবনের নিচে এতোদিন মজুদ থাকতো তাহলে এগার দিনের পচা সে লাশের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র হত…মানুষ এমনিতেই বুঝতো যে লাশ আরো আছে

* টিভিতে কাপড়ে ঢাকা উদ্ধার হউয়া লাশের আকৃতি দেখুন…১০ দিনের পচা লাশের আকৃতির সাথে বেমানান

* উদ্ধারকারী বাবুর রহস্যজনক মৃত্যু

* সবচেয়ে বড় কথা গণহত্যার পরের দিন থেকে রানা প্লাজা থেকে উদ্ধারকৃত লাশের সংখ্যা তর তর করে বাড়তে থাকে…

* হাইড্রোলিক হ্যামার,বুলডোজার এর মতো ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার ফলে ভবনের অবশিষ্ট্ংশ ধসে পড়ে। এতে যদি এগারো দিনের পচা লাশ থাকে তাহলে তা ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার কথা। কিন্তু টিভিতে যে কাফনে মোড় লাশ দেখানো হচ্ছে সেগুলো দেখে বোঝা যায় যে অক্ষত আছে

আমি যা বোঝাতে চাইছি,তা সন্দেহ…কিন্তু উড়িয়ে দেওয়ার মতো অমূলক নয়…ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার অনুরোধ রইলো "

-২-

আমি গণহত্যা পরবর্তী নিরব হাসিনা সহ সরব সরকারের সকল বন্যকুকুরদের অহংকার আর এদের উপর পরম শক্তিময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ধৈর্য দেখে আশ্চর্য হচ্ছি! বিস্ময়াভূত হচ্ছি!

একই সাথে সুন্নতি সুরতের মুসলমান দাবিদার কিছু মানুষের হেফাজতের সংখ্যাতত্বের ব্যপারে পুলকিত হয়ে নাস্তিক ব্লগারদের সম পর্যায়ের ডায়ালগে আমিও কৌতুকবোধ করছি! এরা হুদাই নামাজ পরে, দাড়ি রাখে! বেসিক ইমান যখন বাস্পীভূত বহুআগেই এদের - কারণ মুমিনদের এক দেহ স্বরূপ না মানা মহানবীর উম্মতের বহির্ভূত হওয়ারই নামান্তর!

মজার ব্যপার পর্যাপ্ত প্রমান ছাড়া তত্ব মেনে নিতে অপারগ এই প্রজাতি আবার জাতির বাপের ৩০ লক্ষ সংখ্যাতত্ব কে ওহী মানে! পরন্তু শোনা মাত্রই বিবেচনা ছাড়া ঈমানদার আলেমদের অতি সহজে কসাই আর ধর্ষক মানতে বিন্দুমাত্র দেরী করে না !

আমি বিস্ময়াভূত! কিন্তু স্রষ্টা পুরোপুরি যৌক্তিক আচরণের অধিকারী! এজন্যই .... আমি মনে করি এ জন্যই মুনাফিকরা জাহান্নামের তলদেশে সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকবে! যৌক্তিক কারণেই!

-১-

অনেকে হেফাজতের সংখ্যাতত্ব নিয়ে সিরিয়াস লাফালাফি করছে! তাদের মতে সামান্য কিছু মরছে - অথচ হেফাজত fictitious number বসাচ্ছে!

By the way,

(ক) সাভারের কথা হয়ত কার ও মনে নাই - সেনা-তথ্য অনুযায়ী ৭৫০ লাশ ক্রস করছে ..

(খ) compact সিস্টেম টা বড়ই জটিল - kind of প্যারালাল প্রসেসিং -- (১) কিলিং (২) vanning (লাশ ভ্যান এ তোলা) (৩) spraying (রক্তের রং মুছে ফেলা) এবং (৪) ব্রিকফিল্ড এ লাশ পুরানো ----- জানতাম ভারত করে থাকে কাজটা কাশ্মিরে ---however আওয়ামীলীগ দারুন নির্মম সিস্টেম টা apply করল --

এই সিস্টেম এর বড় সুবিধা হল "Number does not matter vanishing humen"

--------------------

সহজকরণ টিপস:

[১] একটি উক্তি ছিল size does not matter chopping wood

[২] আমাদের জাতির fictitious number এর জনক কে? জাতির বাপ ছাড়া? ৩০ লাখ দিয়েই তো fictitious number এর যাত্রা শুরু! আমরা হলাম তাহার যোগ্য উত্তরসুরি ও সৈনিক!

বিষয়: বিবিধ

২৬৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File