বাংলার মসনদ: ইংরেজ -মীরজাফর, ভারত-হাসিনা, ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ (যুদ্ধ-কৌশল টিপস)

লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ০৭ মে, ২০১৩, ১২:২৩:২৫ দুপুর

১: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি

মীর মুহাম্মদ জাফর আলী খান বাহাদুর বাংলা বিহার উরিষ্যার মসনদ আয়ত্ব করার জন্য ব্রিটিশ বেনিয়াদের সাথে এক গোপন আঁতাত করে! তার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে নবাব

সিরাযুদ্দৌলাকে দুর্বল করতে করতে শেষ পর্যন্ত সম্মুখ সমরে নিস্ক্রিয় থেকে আমাদের পরাজয় নিশ্চিত করে। স্বাধিনতার সূর্য ডুবে যায় ২০০ বছরের জন্য! অত্যাচারের বিশাল ইতিহাস রচিত হয় -- মুসলমানদের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়!

মীর জাফর কি পেয়েছিল? সামান্য সুখও কি পেয়েছিল এ ক্ষনিকের জীবনে? বর্জ দ্রব্যের মত বেনিয়ারা তাকে ছুড়ে ফেলেছিল ইতিহাসের আস্তাকুড়ে। কে তাকে পছন্দ করে? তাবেদারদের কেউ পছন্দ করে না! পর-জীবনে স্রষ্টার কাছে সে কি নিয়ে দাড়াবে? ২০০ বছরের অগণিত অত্যাচারের স্মারক হয়ে - তাই নয় কি?

শেখ হাসিনা ওয়াজেদের গল্প ভিন্ন রকমের! সে ইতিমধ্যে নরপতি! কিন্তু ক্ষমতা চিরস্তায়ী করার জন্য ভারত বেনিয়াদের সাহায্যের বিকল্প নেই তার! বন্য-কুকুর সম কিছু লোকের ভোট ছাড়া তার কপালে আর কিছু নেই! শাহজালালের পুন্যভূমিতে বন্যকুকুর বেশি নেই! মানুষের হুশ ফিরে এসেছে - আরেক আশু-৭৫ এর জন্য তাহাজ্জুদের নামাজে মানুষ আজ ক্রন্দনরত! তাই বোকার মত ভুল মানুষ করবে না! এ অবস্থায় ভারতের সাহায্য ভিন্ন লোভী অত্যাচারী বন্য কুকুরদের আর কোন বিকল্প নেই! তাই এরা ইলেকশন ভুলেও করবে না! ইতিমধ্যে চারটি গণহত্যার ইতিহাস গড়ে তারা গর্বিত! মনের চোখে দেখতে পারছি আশু ৭৫-সম প্রতিরোধ-জগ্গে শুধু নরপতির বংশ ই নয় --আর ও অনেক চিহ্নিত বন্য কুকুরদের স্ববংশে নিহত হয়েছে। নিশ্চিত করতে হবে আর যেন নতুন বিষ-বৃক্খ না হতে পারে।

অবশেষে হাসিনা ভারতের থেকে কি পাবে? মীরজাফর যেমন বানিয়াদের পরিতেক্ত বর্জে পরিনত হয়েছিল - হাসিনাও ভারতের বর্জে পরিনত হবেই - এটাই ইতিহাসের শিক্ষা! হাসিনার কবরও মানুষের শৌচাগারে পরিনত হবে যেমনটি মীরজাফরের ক্ষেত্রে হয়েছে!

২: ভারতের সাহায্য কোথায়?

হেফাজতে ইসলামের বিবৃতি:

"দিনব্যাপী কর্মসূচি শেষে তৌহিদী জনতা ও আলেম- উলামাগণ উন্মুক্ত আকাশের নিচে যখন গভীর নিদ্রায় নিমগ্ন তখন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার ঘুমন্ত জনতার ওপর পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে নির্বিচারে গুলি, বোমা, গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করতে শুরু করে। রাতের অন্ধকারে এমন বর্বরোচিত ও কাপুরুরোষিত হামলায় তৌহিদী জনতা খালি হাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় ও অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রের আঘাতে একের পর এক তারা শাহাদাতবরণ করতে শুরু করেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রায় তিন হাজার শহীদ এবং ১০ হাজারেরও বেশি আহত হন।”

কিন্তু হেফাজত চত্বরে গণহত্যায় অংশ নেয়া এক র‌্যাব সদস্যের কথা:

মোবাইলের সিম পাল্টে অন্য একটি সিম থেকে ফোন দিয়ে বললেন, ‘দোস্ত খুবই গোপনে কথা বলছি। ভাবছি চাকরি ছেড়ে দেবো!’ একথা বলেই তিনি কেঁদে দিলেন। কিছুক্ষন পর নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, দেশ এখন আওয়ামী লীগ চালাচ্ছে না দেশ চালাচ্ছে ইন্ডিয়ার “র”।

গতকাল তোর ফোন ধরতে পারিনি কারণ আমাদের জরুরি মিটিং ছিলো, আর রাতে ছিলাম “র”র নির্দেশিত মতিঝিলের অপারেশনে। আল্লাহ ক্ষমা করুন। আমাদের বিবেক মরে যায়নি। শুধু চাকরি ও জীবনের খাতিরে আমিসহ হাজারও পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যকে গুলি চালাতে হয়েছে নিরিহ মাদরাসার ছাত্র ও আলেম ওলামাদের ওপর। মুহুর্মূহ গুলি, টিয়ারশেল আর জল কামান প্রয়োগের সময় হুজুরদের গগণ বিদারি আর্তনাদ এখনো আমার কানে বাজছে। এ করুণ দৃশ্য আমি ভুলতে পারব না।

আমার হিসেবে নিহতের সংখ্যা হাজারের কম হবে না। লাশ সবগুলোই গুম করা হয়েছে। অভিযানের সময় বিজিবি‘র অনেকগুলো পিকাপ এসেছিলো। আনা হয়েছিলো ওয়াসা থেকে পর্যাপ্ত পরিমান পানির গাড়িও। নিহতদের লাশ তোলা হয়েছে পিকাপ গাড়িতে। পেছন থেকে রক্তের দাগ মুছতে মারা হয়েছে পানি। আর সঙ্গে ব্যাবহার করা হয়েছে এমন এক মেডিসিন যা রক্তের মতো লাল জিনিসকেও পানির রঙে পরিণত করে।

এ পর্যন্ত কথা হলে অপর প্রন্তে একটি আওয়াজ হলে ফোনটি কেটে যায়।"

৩: হে বিবেকবান সংগ্রামী! রক্তের মূল্য কি?

যুদ্ধে ছাড়া?

যুদ্ধ কি?

কৌশল ছাড়া?

আপনারা কি করবেন?

১) চেইন অব কমান্ড মেনে চলুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হল নেতার আদেশ শোনা এবং ধৈর্যের সাথে আদেশ অনুযায়ী কাজ করা

২) যে যেই কাজে দক্ষ তাকে সেই কাজ দিন - যে পেট্রল বোমা বানাতে আর ছুড়তে পারবে তাকে সেই কাজ দিন -- যে ত্বরিত কম্পুটারে ছবি আপলোড এ দক্ষ তাকে সেই কাজ দিন - অন্য ঝামেলা থেকে দুরে রাখুন। সবাই একই কাজ করবেন না

৩) চালাকির সাথে পেট্রল কিনে জমিয়ে রাখুন - সেই সাথে অনেক ভাল মানের সলতে আর উন্নত ভাল সাইজের বোতল ও লাইটার -- উপাদান ভাল হলে বোমা ও ভাল ও নিরাপদ হবে তৈরির সময়!

৪) মাস্ক পড়ুন। অতর্কিত গুন্ডা-পুলিশ ১/২ টা পুলিশ আহত/ মেরে ফেলুন।

৫) ঢাকার বাইরে আক্রমনে মনোযোগ দিন। ১/২ তা শয়তান মন্ত্রী/এমপি সাইজ করুন। প্রয়োজনে বাসায় হামলা বা কমপক্ষে 'ইট পাটকেল' ছুড়ে ভয় দেখান

৬) শিবির আর ছাত্রদলের সাহায্য নিন -- আপনারাও হেফাজতের ভাইদের সাহায্য করুন। একসাথে পুলিশ মোকাবেলা করুন।

৭) উত্তেজিত হবেন না --- পুলিশ অনেক আসলে আসতে করে সরে যান - উত্তেজিত হয়ে বোকার মত আগাবেন না -- সুবিধাজনক সময়ে আক্রমন করুন!

ভিডিও-টিউটোরিয়াল:

যেভাবে প্রতিরোধ করবেন আওয়ামী পুলিশ।

এই ভিডিওটি মিশর ও তিউনেশিয়া বিপ্লব থেকে নেয়া,শিখে নিন কিভাবে আওয়ামী পুলিশদের মোকাবিলা করবেন।

Click this link

বিষয়: বিবিধ

১৪০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File