লাশ নিয়ে রাজনীতির খেলা
লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ২৯ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:০২:৩৯ সকাল
[এক]
বাংলাদেশ সরকার ইউ,কে এবং অন্যান্য দেশের সাহায্যকারী দলের সাহায্য-অফার বাতিল করেছে। ডেইলি টেলিগ্রাফ তা প্রকাশ করেছে। সাভার রানা প্লাজা ধ্বসের পর জাতিসংঘ ও যুক্তরাজ্য সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
আটকে পড়া মানুষদের খুব দ্রুত বের করার জন্য তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্ধারকর্মী ও ব্যয়বুহুল যন্ত্রপাতি দিতে চেয়েছিল! কিন্তু সরকার তা মুহুর্তে ফিরিয়ে দিয়েছে! আটকে পড়া হাজারো অসহায় মানুষেরা আর্তচিত্কার আর কল্পনাতীত বেদনায় মৃত্যুকুপেই রইল পড়ে! হায়!!
কি ভয়ঙ্কর দানব বাংলাদেশী সরকার হতে পারে! পাছে না হত্তাজগ্গের প্রকৃত সংখ্যা আর চিত্র প্রকাশিত হয়ে পড়ে!
লিঙ্কটি দেখুন:
http://www.telegraph.co.uk/news/worldnews/asia/bangladesh/10024004/Bangladesh-UK-rescue-aid-rejected-after-Dhaka-factory-collapse.html
[দুই]
শ খানেক লাশ গুম করা হয়েছে এনাম মেডিকেল থেকে সরকারী গোয়েন্দা বাহিনীর জোর-জবরদস্তির মাধ্যমে -- প্রত্যক্ষ দর্শীর বর্ণনায়! নাম জেনে গেলে সে ও তো গুম হয়ে যাবে এই গুমরাজ্যে !
[তিন]
আর্মির ভারী সরঞ্জাম নিয়ে অভিযান প্রায় ৯০০ নিখোজ লোককে পিষিয়ে দেয়ার অভিপ্রায় ছাড়া কিছু না!
(১) এত দেরির অভিযান
(২) কৃত্তিম ভাবে অক্সিজেনের অপ্রতুলতা, সরঞ্জামের অপ্রতুলতা তৈরী করণ
(৩) অথচ হাজার কোটি টাকার নির্ধারিত বাজেট (যদি না চেটেপুটে চাটাইয়ের দল ইতিমধ্যে শেষ করে ফেলে!) আর বাইরের উন্নত বিশ্বের সাহায্য উপেক্ষা করাকে কি বলা যায়?
সরকারের লাশ নিয়ে রাজনীতি ছাড়া ?
[চার]
বিশ্বের একমাত্র দেশ যাদের 'মুখ রক্ষা'র মূল্য হাজার মানুষের 'জীবন রক্ষার' চেয়েও বেশি!
ঠিক একারণেই মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালারা একদিকে জাতিসংঘ আর যুক্তরাজ্যের চৌকস ত্রান-দলকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আর অন্যদিকে সর্ব শক্তি দিয়ে দেশবাসীর সেবাদাস-কথিত সরকারের সব বিভাগ, প্রশাসন, সবাই নিরব বনে গিয়েছে!
সাধারন মানুষ যার যা আছে -- দা, হাতুড়ি, কাস্তে, অক্সিজেন, ইত্যাদি নিয়ে - মৃত্যুকূপে ঝাপিয়ে পরেছে মানুষদের বাচানোর জন্য! কিন্তু এ অদক্ষরা সরঞ্জাম বিহীন কি বা করতে পারে?
আর তাই মৃত্যুকূপে অঙ্গচ্ছেদের তীব্র বেদনা নিয়ে শত শত মা, বোন্, ভাইয়েরা ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন ধুকে ধুকে না ফেরার দেশে চলে গেল - দিয়ে গেল 'মুখ-রক্ষার ' দানবদের অভিশাপ!
কিন্তু 'মুখ রক্ষা'র এ যুক্তি যে প্রচন্ড স্ববিরোধী তা তাদের অজস্র কার্যকলাপ দিয়েই প্রমাণ করা যায়! বর্তমান সময়ের পদ্মা সেতুর জন্য দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করা, আর অতীতে মুজিবের ভিক্ষাবৃত্তির (যা তার উক্তিতেই প্রমাণিত -- "আমি ভিক্ষা কইরা টাকা নিয়া আসি আর চাটাইয়ের দল সব চাইটা খায়া শেষ কইরা ফালায় - গরিবের কিছুই পায় না ") সময় 'মুখ রক্ষা' কই থাকে?
৪২ বছরের সরকারেরা যাহাদের প্রথম কাজ ই হইল 'ভিক্ষাবৃত্তি' আর দ্বিতীয় কাজ হইল 'উহার চৌর্যবৃত্তি' - তাহাদের কিভাবে 'মান-সন্মান' গজাইল তাহা আমার বুঝে আসে না!
বিষয়: বিবিধ
১৫০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন