মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালা : এক অভিশপ্ত দলের নেতারা

লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ২১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৬:৪২:৫২ সন্ধ্যা



১) যুদ্ধ-পরবর্তী একজন মহান মুক্তিযোদ্ধার অভিব্যক্তি: মুক্তিযুদ্ধের একক কৃতিত্বের দাবীদার আওয়ামীলীগের নেতাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন অবস্থা বর্ণনা করেছেন ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল:

"আমার জানতে ইচ্ছে করে কোলকতার পার্ক স্ট্রীটের অভিজাত নাইট ক্লাবগুলোতে ‘বীয়ার’ হুইসকি পানরত আওয়ামী লীড় নেতৃত্বের মনোমুকুরে একবারও ভেসে উঠেছে কিনা সেই গুলিবিদ্ধ কিশোর কাজলের কথা যে মৃত্যুর পূর্বক্ষণ পর্যন্ত চীৎকার করে ঘোষণা করেছে ‘জয় বাংলা’।"

"ভারত অবস্থানকালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের অনেক কিছুই জানতে চেয়েছিলেন স্বনামধন্য সাহিত্যিক এবং চিত্র নির্মাতা কাজী জহির রায়হান। তিনি জেনেছিলেন অনেক কিছু, চিত্রায়িতও করেছিলেন অনেক দুর্লভ দৃশ্যের। কিন্তু অতসব জানতে বুঝতে গিয়ে তিনি বেজায় অপরাধ করে ফেলেছিলেন। স্বাধীনতার ঊষালগ্নেই তাকে সেই অনেক কিছু জানার অপরাধেই প্রাণ দিতে হয়েছে বলে সকলের ধারনা। ভারতের মাটিতে অবস্থান কালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের চুরি, দুর্নীতি, অবৈধ, ব্যবসা, যৌন কেলেংকারী,

বিভিন্ন রূপ ভোগ-বিলাস সহ তাদের বিভিন্নমূখী অপকর্মের প্রমাণ্য দলীল ছিল-ছিল সিচিত্র দৃশ্য। আওয়ামী লীগের অতি সাধের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কাজী জহির রায়হানের এতবড় অপরাধকে স্বার্থান্বেষী মহল কোন যুক্তিতে ক্ষমা করতে পারে? তাই বেঁচে থেকে স্বাধীনতার পরবর্তী রূপ দেখে যাওয়ার সুযোগ আর হয়নি জহির রায়হানের।"

২) এই প্রজন্মের একজন তরুনের কথা: কসম খোদার, আমি দুই বছর আগেও শিবিরকে মনে-প্রাণে ঘৃনা করতাম, মনে করতাম শিবির মানে জঙ্গি । কিন্তু তাদের সততা, ভালবাসা, ব্যবহার সবকিছুই আমাকে তাদের প্রতি আকৃষ্ট করেছে । আমার সাথে কোন শিবির কর্মির পরিচয় নেই, তারপরও আমি শিবির পছন্দ করি । আমার জন্ম ১৯৮৪ সালে, আমার ১৯৯৬ সাল থেকে আমি দেখেছি বাংলাদেশের দুই প্রভাবশালী ছাত্র-সংগঠন ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল কিভাবে দেশটাকে লুটে-পুটে খেয়েছে । আমি এখন গর্ব করে বলতে পারি, আমি যেই ছাত্র-সংগঠনটি পছন্দ করি, তারা কোন আর যাই করুক না কেন , ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল থেকে অনেক বেশি ভাল। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা, এবং সে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন কট্টর পন্থি সমর্থক, এখন ভারতীয় দালালরা কি বলতে পারবে আমাকে রাজাকারের বাচ্চা ??

৩) আমার কথা:

মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালা 'আওয়ামী লিগ' যারা দেশের মানুশের রক্ত চুষছে নিরত - বিরোধী দলকে রিমান্ডে নিয়ে ভারতীয় কায়দায় (যেভাবে তারা কাশ্মিরি মুসলমান ভাইদের অত্যাচার করে) ইলেকট্রিক শক দেয়া, দুই হাত বেধে বা পা বেধে উপরে ঝুলিয়ে রাখা, কাপড় ছাড়া সারা রাত ঠান্ডায় বাথরুম বদ্ধ রাখা, হাত-পা হাতুড়ি দিয়ে থেতলে দেয়া - যাবতীয় অপকর্ম করেই যাচ্ছে!

সমাজের সবচেয়ে ঘৃণ্য, মিথাবাদী, জালিম, হারামখোর, ইসলাম-বিদ্বেষী, লোগ-লালসা, কামনা বাসনায় আকন্ঠ নিমজ্জিত স্বাক্ষাত শয়তানের চেলাগুলো রাষ্ট্রের এক একটা পদ দখল করে আছে!

নাস্তিকদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে ইসলামপন্থী সাধারণ লোকদের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলছে! অত্যাচারের স্টিম রোলার চালাচ্ছে আদালতের কুকুর-সদৃশ জিহ্বা ঝুলানো চাটাইয়ের বিচারক, হায়্নারুপি পুলিশ প্রশাসন, আর দানব-সদৃশ রক্তপিপাসু হাসিনের মহান-মন্ত্রী-চামচিকা পরিষদ!

ভারতের 'র' এর নিষ্টুর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দেশের বুকে থুথু ফেলে এই বিশ্বাস ঘাতকের দল ভারত বিরোধী প্রত্যেক প্রতিবাদী কণ্ঠকে হয় গুম না হয় জেলে পুরে এই পৃথিবীতে এক সুখী জীবনের স্বপ্নে বিভোর রয়েছে! কিন্তু এরা ইতিহাসের শিক্ষা নেয় নাই যে - নরখাদক সরকার আর বিশ্বাস-ঘাতক রাজাধিরাজ চিরকাল ইতিহাসের আস্তাকুরেই নিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে! এদের ললাটেও একই তকদির অপেক্ষমান!

বিষয়: বিবিধ

১৩৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File