৬ই এপ্রিল ২০১৩, ঢাকার পথে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের লংমার্চ, সেখানে জামায়াতে ইসলামী নেই কেন?????

লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ৩০ মার্চ, ২০১৩, ০৭:৩৩:৪৬ সন্ধ্যা

বন্ধু "মুক্তপতা" এর পোষ্টের আলোকে আমার পোষ্ট।

আপনার সাথে একমত হতে পারি নাই বলে দুখিঃত।

একমত না হাওয়ার কারণ গুলি হচ্ছে:-

১. হেফাজতে ইসলামের ডাক হচ্ছে ব্লগার নাস্তিক মুরাতাদের পরিচয় নিশ্চ্যিত করে তাদেরকে আইনের আওয়তায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে, এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় নাই।

২. ঢাকার পথে লংমার্চ ঘোষনা করার আগে চরমোনাইর পীর সাহেব সহ সারাদেশের বিজ্ঞ আলেম ওলামাদের নিয়ে দক্ষীনপূর্ব এশিয়ার দ্বীতিয় বৃহত্তম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্টান দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটহাজারীতে আলোচনা সভা হয়েছিল এবং সেখান থেকেই সকলেই একমত হয়ে লংমার্চ ঘোষনা করেছেন।

৩. চরমোনাইর পীর সাহেবের আলিদা একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দল আছে, গতকাল তিনি সমাবেশ করে দলের পক্ষ থেকে লংমার্চে সমর্থন দিয়েছেন, এটি ঐ আলোচনারই প্রতিফলন।

৪. হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন দলমত নির্বিশেষে ঈমান আকিদা রক্ষায় ধর্মপ্রাণ সকল মুসলমানকে আহ্বান জানানো হয়েছে এখানে কে কোন দলের সেটি বিবেচ্য নয়।

৫. সরকার এখানে রাজনৈতিক রং লেপনের চেষ্টা চালাচ্ছে, হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে এক বাক্যে জবাব দেয় হয়েছে এটি অরাজনৈতিক সংগঠন নাস্তিক মুরতাদের বিরোদ্ধে, সরকার নাস্তিক মুরতাদকে নিরাপত্তা দিলেও আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা ধর্মপ্রাণ মুসলমান আছেন তাদেরকও এই লংমার্চে যোগ দেয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। সত্য বলতে কি এই আহ্বানে সরকারের পেটের ভাত চাউল হয়ে গেছে কারণ আওয়ামী লীগের মধ্যেও ধর্মপ্রাণ মুসলমান আছেন যারা নাস্তিক মুরতাদের ধ্বংস কামনা করেন।

৫. জামায়াতে ইসলাম একটি রাজনৈতিক দল, দেশে ছোট বড় ১২টি সমমানা ইসলামীক রাজনৈতিক দল রয়েছে, কোনো দলই তাদের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে হেফাজতে ইসলামের ডাকে সারা দেয় নাই বরং প্রত্যেকেই ঈমানী দায়ীত্ব থেকে সারা দিয়েছেন এমন কি চরমোনাইর পীর সাহেবও সমাবেশ করে তাহা স্বীয় নেতা কর্মীকে জানিয়ে দিয়েছেন। এখানে জামায়াত ইসলাম কেন পালকিতে চড়ে হেফাজতে ইসলামের ডাকে সারা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে বুঝা যাচ্ছেনা। তারা যদি মুসলামনের ঈমান আকিদ রক্ষায় হেফাজতে ইসলামের ডাক সঠিক এবং সময় উপযোগী মনে করেন তাহলে তো নিজেরাই দৌঁড়ে আসবেন। এখান থেকে প্রতিয়মান হবে জামায়াতে ইসলাম আদৌ ইসলামী দল কিনা।

৬. সরকার হেফাজতে ইসলামকে বদ করার জন্য নানা কৌশলে জামায়াতে ইসলামরে সাথে জড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে, গতকাল সিলেটে অর্থমন্ত্রী সতর্কতার সাথে প্রকাশও করেছে। জামায়াতে ইসলাম আজ পর্যন্ত টু-শব্দ করে নাই তাতে মনে হচ্ছে সরকার হেফাজতে ইসলামকে বিতর্কিত করার জন্য যেই কৌশল নিয়েছে তাতে জামায়াতের ফায়দা রয়েছে।

৭. জামায়াত নিজেদেরকে ইসলামী দল দাবী করে, অথচ তারা বুক ফুলিয়ে ঘোষনা দিতে পারিত যে, রাজনৈতিক দল হিসাবে নয় তবে মুসলমান হিসাবে নাস্তিক মুরতাদের শাস্তির দাবীতে অরাজনৈতি সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ডাকে সারা দিচ্ছি এটি ঈমানী দায়ীত্ব। বন্ধু, জামায়াতে ইসলাম তো সেটি করল না।

আশাকরি আপনার সাথে কেন একমত হতে পারলাম না তাহা বুঝাতে পেরেছি।

বিষয়: বিবিধ

১৭৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File