মানবজমিন রিপোর্ট: কক্সবাজারে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে প্রতিশোধের হুমকি!
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ২৮ মার্চ, ২০১৩, ০৫:২৭:২৩ বিকাল
দেশে সকলেই শান্তি চায়, সকলেই শান্তির বাণী শুনায় অথচ দেশ অশান্ত। ছোটকালের একটি কথা বলছি। প্রতিবেশীর সাথে ঝগড়া করায় "মা" আমাকে হালকা পিটুনী দিচ্ছিলেন চিকুন একটি বেত দিয়ে, হালকা হলেও আমি ব্যথা পাচ্ছিলাম। দুষ্টামী আর ঝগড়া করা ছিল আমার নিত্যসঙ্গী। যেদিন কারও সাথে ঝগড়া করি নাই সেদিন মনেহত আমার অনেক জরুরী কাজ করা হয় নাই তাই মায়ের পিটুনীটাও ছিল নিত্য দিনের।
মায়ের পিটুনী খেয়ে দাদীর কাছে অভীযোগ করলাম যে "মা" আমাকে মেরেছে তুমি মাকে বকা দাও। দাদী বললেন, আজ নয় তবে কাল পিটুনী দেয়ার আগেই আমার কাছে এসো আমি বুদ্ধি দেব, পরের দিন আমি ঠিক তাহাই করেছি। দাদী বললেন, "মা" যখন বেত নিয়ে তোমাকে পিটুনী দেবে তখন তুমি পালিও না বরং জোড়ে মাকে জড়িয়ে ধরবে এবং বলবে এখন পিটুনী দাও দেখি! "মা" তো মা'ই। যখন জড়িয়ে ধরে বল্লাম এখন পিটুনী দাও দেখি তখন "মা" পিটুনী তো দূরের কথা ৮/৯ মাসের শিশুর মত বুকের ধন ৮/৯ বছরের এই ছেলেকে কোলে নিয়ে "মা" নিজেই কেঁদে ফেলেছেন। "মা" জানতে চাইলেন তোমাকে এই বুদ্ধি কে দিয়েছে? বল্লাম দাদী, "মা" হাঁসলেন।
জীবনের সত্য ঘটনাটি এজন্যই বলছি, অন্যকে আঘাত করার জন্য একটু দূরত্ব বজায় রাখতে হয়, দূরত্ব পরিহার করে যদি একত্রিত হাওয়া যায় তখন আঘাত করার সুযোগ থাকেনা। আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে দূরত্ব তৈরী হয়েছে, সেই দূরত্ব গ্রামগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে ফলে একে অপরকে আঘাত করার সূযোগ তৈরী হয়েছে। বুঝতে হবে যারা আমাদের মধ্যে নানা কৌশলে, নানা উতসাহ উস্কানী দিয়ে দূরত্ব সৃষ্টি করায় তারা আসলে আমাদের বন্ধু নয়, আমাদের মাধ্যমেই তারা নিজেদের ফায়দা লুটে।
কক্সবাজারে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হুমকী দেয়ার যেই সংবাদটি এসেছে এটি গুরুত্ব পূর্ণ একটি খবর বটে তবে এই খবরটিই আসত না যদি দুই পক্ষের মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি না হত। খবরের মধ্যে যদি এই হুমকীর কারণ/উতসটি খুঁজে বাহির করা হত এবং জনগনকে বলা হত এমনটি কেন হয় তাহলে খবরটি শুধু খবরই নয় বরং জনকল্যাণ মুলক একটি কাজও হইত। ধন্যবাদ
বিষয়: বিবিধ
৯৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন