আওয়ামী লীগ থেকে রাজনীতি শিখতে হবে? যদি শিখে তাহলে ------!
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ১৫ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৩:০৯:২১ দুপুর
ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সূস্পষ্ট ভাবে বলেছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাল মিলিয়ে অন্যন্য নেতারও সভা সমাবেশে ও টকশোতে বসে দম্বের সাথে বলেছিলেন বিএপিকে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে রাজনীতি শিখতে হবে।
আওয়ামী লীগ হচ্ছে অনেক পুরানা ও অভীজ্ঞ রাজনীতিক দল, পাকিস্তানীদের জুলম শোষণ এর বিরোদ্ধে আওয়ামী লীগ ও চীনপন্থী, রাশিয়াপন্থী তথা বামপন্থী দলগুলি অভীন্ন কর্মসূঁচি পালন করে ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগোষ্টিকে ঐবদ্ধ করতে ১০০% সক্ষম হয়ে নির্বচনে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন।
১৯৭১ সালের আগের সময়কালটি ছিল একটি পেক্ষপট, সেটি ভাষা এবং ক্ষমতার আলোকেই আন্দোলন একই সাথে সামরীক জান্তা ও জুলম নির্যাতন ইত্যাদির বিরোর্ধে পূর্ব বাংলার জনগন তেলেবেগুনে হয়ে গিয়েছিলেন ফলে বিজয় ছিনেনিয়ে আনা এবং ঐক্যবদ্ধ হাওয়া সহজ হয়েছিল। আজকের প্রেক্ষপট হচ্ছে সম্পূর্ণ আলিদা, এখন স্বাধীন র্স্বভৌম বাংলাদেশ, বর্তমান রাজনীতির ধরণ ১৯৭১ সালের রাজনীতির ধরণ এক নয়। বর্তমান রাজনীতিতে ১৯৭১ সালের আগের রাজনীতির রেশ টানিয়া একই ধারার আন্দোলন একই মানষীকতার রাজনৈতিক কর্মসূঁচি যদি হাজির করা হয় তাহা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জনগনের কাছে কতটুকু গ্রহনযোগ্য হবে বা আদৌ গ্রহনযোগ্য কিনা বিবেচনার বিষয়।
আওয়ামী লীগ ১৯৭১ সালের আগের রাজনৈতিক মানষীকতা পরিবর্তন করেতে পারে নাই তাই তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সেই ১৯৭১ সালের আগের মন মানষীকতা প্রকাশ পায়। তাদের বিগত আমলে আপামর জনগনের উপর, বিরোধী দলের উপর দলীয় জুলম নির্যাতন বাংলাদেশে কূ ইতিহাস হয়ে থাকবে। তাদের সেই কূ রাজনীতি ফসল তারা পেয়েছিল পরবর্তী নির্বাচনে। ফখরুদ্দিন মইনউদ্দিনের বর্ধিত সরকার হিসাবে এবার ক্ষমতায় এসে তারা সেই ১৯৭১ সালের মানষীকতায় মত্ত হয়ে একই চেহেরা উপস্থাপন করেছে জাতীর সামনে।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি নয় এটি ততকালীন পূর্ব বাংলার আপমর জনগনের জীবন ও রক্তের ফসল। বর্তমান রাজনীতি হবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের চাওয়া পাওয়া ভিত্তিতে, ক্ষমতায় এসে দল ও দলের অঙ্গ সংগঠন দিয়ে সারাদেশে যাহা এখন করাচ্ছে একই কর্ম তারা ক্ষমতাহীন অবস্থায়ও করেছে, সারা বছর রাজনীতির নামে সারাদেশে এবং জেলা, বিভাগে এমনকি থানা পর্যায়ে প্রায় প্রতিদিনই হরতাল অবরোধ কর্মসূঁচি পালন করেছে, ক্ষমতা হারিয়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছিলেন যে, একদিনও স্বস্থিতে থাকতে দিবেনা, সারাদেশে তাদের ঐসব কর্মসূঁচি ছিল এই ঘোষনারই ফসল।
আদালতের বিরোদ্ধে লাঠি মিছিল এবং লগি বৈঠার বর্বব আওয়ামী তান্ডব আমরা দেখেছি। আওয়ামী লীগের এই রাজনীতি শিখিয়া বিএনপি যদি একই ধারার রাজনীতি করে তাহলে সারা বাংলাদেশ হবে একটি যুদ্ধক্ষেত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাঁসিনা হয়ত চাইতেছেন যে শেখ মুজিব বিহীন বাংলাদেশ একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিনত হউক, তাই তিনি/তারা বিএনপিকে আওয়ামী চরিত্র ধরণ করার জন্য উতসাহ যোগায়, আহ্বান করে, রাজনীতি শিখার পরামর্শ দেন। জাতী ভাগ্যবান যে, বিএনপি আজ পর্যন্ত আওয়ামী চরিত্র ধারণ করে নাই, জাতীর সামনে আওয়ামী চেহেরা হাজির করে নাই। আমরা আশা করছি ১৮ কোটি মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ তাদের চরিত্রের মধ্যে পরিবর্তন আনবেন এবং জাতীর স্বার্থে বিএনপি থেকে রাজনীতি শিখবেন। ধন্যবাদ
বিষয়: রাজনীতি
১১৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন