প্রতিরোধ কমিটিতে কে থাকবে? কে কাকে প্রতিরোধ করবে?

লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ০৭ মার্চ, ২০১৩, ০১:৪৩:৫৭ দুপুর



ছাত্রলীগ যুবলীগ দিয়ে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করলে তো গৃহযুদ্ধের যেই আশঙ্কা করা হয়েছিল তাহা বাস্তবায়ন করা। যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে গিয়ে এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে পারে তাহা সারকার এবং এখন যারা বুদ্ধি বানিজ্য শুরু করেছেন তারা জানতেন কিনা বা বুঝতেন কিনা। সরকার যখন থেকে একগুয়েমী ভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে রাজনীতি ও রাজনীতিক দমনের চেষ্টা করতেছে তখন এইসব বুদ্ধিজীবীরা কোথায় ছিলেন? নিশ্চ্যিত ধরে নিলাম জামায়াত শিবির যাহা করতেছে তাহা জগন্যতম অপরাধ কিন্তু গুলি চালাচ্ছে পুলিশ মানুষ মরছে পুলিশের গুলিতে, বুদ্ধিজীবীরা এই ব্যপারে কিছুই বলছেন না কেন? মূখে কূলুপ দিয়েছেন কেন? সরকার আজ জমায়াত নামের রাজনৈতিক দলটিকে অপরাধের পথে ঠেলে দিয়ে অপরাধ করাচ্ছে, জনজীবনকে অতিষ্ট করে তোলেছে তাহা বুদ্ধিজীবীদের চোখে পড়ছেনা কেন? রাজনীতিকে রাজনীতির জাগায় আর অপরাধীকে অপরাধের জাগায় রেখে সর্বদলীয় সিদ্দান্ত নিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার না করে আওয়ামী সরকার ঘৃণ্য রানৈতিক ফায়দা লুটার জন্য একক ভাবে সারাদেশে এই অরাজগতার সৃষ্টি করল কেন? বুদ্ধিজীবীদের জ্ঞান লোপ পেয়েছে নাকি?

পবিত্র ধর্ম ইসলামের বিরোদ্ধে যারা কুতসা রটায়, রাসুল (সঃ) কে কটাক্ক করে যারা নানা ধরণের কূতসা রটায় এবং এইসব কূতসাকে যারা সমর্থন করে তারা নাস্তিক নয় কি? এই কূতসা রটানোটা অস্বীকার করা যাবে কি? সরকার কূতসা রটনা কারীর বিরোদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি? আপনারা যারা এই কূসাকে সমর্থন করছেন তাদের পরিচয় কি? আপনারাও কি এই নাস্তিক দলভূক্ত? --

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলেম ওলামাদের নিয়ে, মসজিদের ইমামদের নিয়ে প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার ঘোষনা দিয়েছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে এবং তার দল ও জোটের নেতারা দিনরাত এইসব আলেম ওলামাকে মৌলবাদী ধর্মান্ধ জাতীর দোষমন, প্রগতির দোষমন, জঙ্গীর জনক, জঙ্গী ইত্যাদি নামে অবহিত করে থাকেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তার দল ও জোট দেশের এই সহজ সরল মানুষগুলিকে মানুষই মনে করেন না অথচ আজ তাদেরকে নিয়ে প্রতিরোধ কমিটি করার কথা বলছেন। এখন যদি জিজ্ঞসা করি যাদের বিরোদ্ধে আপনারা এতো অভীযোগ আনেন আজ তাদের "মূত্রকে" মধু ভাবছেন কেন? তাদের "মুত্র" যদি "মধু" হয় তাহলে আগে সেই "মধুকে" মূল্যায়ন করেন নাই কেন?

----------------

চট্টগ্রাম পদুয়ার জঙ্গলে জন্ম নেয়া আমাদের জঙ্গলমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেছেন "শয়তান বিশ্রাম নিচ্ছে তাই মূফতি আমেনী শয়তানের প্রতিনিধিদ্ব করছেন" পত্রিকার মাধ্যমে জানলাম আলেম ওলামাদের সাথে বসে তাদেরকে নিবৃত্ত করার জন্য এই জঙ্গলমন্ত্রীকেই দায়ীত্ব দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী হয়ত জানেন না কওমী আলম ওলামাদের সংগঠন ইসলামী ঐক্যজোট আর ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যন তথা মূখপাত্র ছিলেন মরহুম ফুফতি আমেনী (রা.)। কওমী আলেমেরা জঙ্গলমন্ত্রী হাসান মাহমুদ কে পাইলে কি করিবেন? তারা দ্বীনের শিক্ষা দেন, আদবের শিক্ষা দেন, আদর্শ চরিত্রের শিক্ষা দেন, নম্র ভদ্রতার শিক্ষা দেন তাই আমার বিশ্বাস তারা তাদের শিক্ষার পরিপন্থী কিছুই করবেন না, জঙ্গলমর্ত্রীর উপর যেই ঘৃণা আছে তাহা দ্ভেলে থাকবে প্রতিফলন ঘটবেনা কারণ তাদের মধ্যে "ছবরের" শিক্ষা/জ্ঞান আছে। তবে সারাদেশে ১৭ হাজার কওমী মাদ্রাসার পৃষ্টপোষক যারা আছেন তারা এই জঙ্গলমন্ত্রীকে পাইলে কিমা বানাইয়া ফেলিবেন তাতে কোনো সন্দেহ নাই।

বিষয়: বিবিধ

১২৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File