বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হল। অনেক বিজ্ঞজন ও মুক্তিযুদ্ধাদের অভীমত ভিন্ন।

লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ১০ জানুয়ারি, ২০১৩, ০২:৩৪:৪৫ দুপুর

আমার কথা নয়, অনেকের কাছে যাহা জেনেছি তাহাই তোলে ধরিলাম।

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদশের প্রতিষ্টার জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে চিন ও রাশিয়া পন্থী দলগুলি একত্রিত হয়েছিল, যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন দলমত নির্বিশেষে ছিনিয়ে এনেছিলেন স্বাধীনতা। দলের নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক আন্দোলন হচ্ছে একটি ধারাবহিক বিষয়, শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবও রাতরাতি নেতা তথা শীর্ষ নেতা হন নাই বরং তিনিও ধারাবাহিক ভাবে নেতা, শীর্ষ নেতা হয়েছেন। দল হচ্ছে বহু মাথা, মতের মিলন এবং স্বাভাবীক ভাবে বহু জনের মধ্যে একজনকে শীর্ষ করা হয়। মূলত শীর্ষ ব্যক্তি হচ্ছে একজন ঘোষনাকারী অর্থাত দলের বহু মাথা, মতামতকারী সিদ্দান্ত গ্রহন করেন এবং শীর্ষ ব্যক্তি তাহা (দলের সিদ্দান্ত) জনসম্মুখে ঘোষান করেন, দলের পক্ষে থেকে কথা বলেন, আলোচনা করেন। ঐ সময় যদি শেখ মুজিবুর রহমান না থাকিতেন তখন দল ম্লান হয়ে যেতনা বরং অন্য কেউ শীর্ষ নেতা হইতেন। সেইদিক থেকে বিশ্লেষণ করিলে স্পষ্ট হয় যে ৬৯/৭০ এর তিব্র রাজনৈতিক আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বহু দলের সমন্নয় ছিল বহু দলের নেতৃত্ব দানকারী দল ছিল আওয়ামী লীগ আর সেই সময় শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব ছিলেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, তখন তিনি না থাকিলে অন্য কেউ কোনো শীর্ষ নেতা থকিতেন, নেতৃত্বও দিতেন। যেহেতু ৬৯/৭০ এর গন অভ্যেত্থানে সকল দলের সমন্নিত সিদ্দান্ত ছিল এবং যেহেতু সমম্মিলত দলের শীর্ষ ব্যক্তি শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সেহেতু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতীর শীর্ষ নেতা বলতে আপত্তি থাকার কথা নয়, যারা সত্য ও বাস্তবতাকে অস্বীকার করেন তারা ভূল করতেছেন।

১৯৭১ সালের ২৫/২৬ মার্চের এর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত আলোচনা ভুন্ডল করে রাতের অন্ধকারে হানাদারেরা যখন নিরহ বাঙ্গালীর উপর ইতিহাসের বর্বরতম হত্যকান্ড চালাইল তখন শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবও হানাদরের হাতে আটক হয়েছিলেন, নির্বাচিত হয়েও ক্ষমতা গ্রহন করতে না পারা, হানাদরের সাথে গ্রহনযোগ্য কোনো সমাধানে পৌঁছতে না পারাটা শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক ব্যর্থতা বা দূর্বলতা কিনা তাহা ভিন্ন বিষয়।

২৫/২৬ এ মার্চ হানাদারেরা বর্বর হত্যকান্ড চালিয়েছে এবং সেই থেকে শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব সম্মিলত দলের নেতা ছিলেন বটে কিন্তু হানাদারের বিরোদ্ধে কোনো নেতৃত্ব ছিলনা, তিনি বন্ধি ছিলেন ফলে নেতৃত্ব দেয়ার কোনো সুযোগও ছিলনা অথচ বাঙ্গালী জাতী হানাদারের বিরোদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেছে যুদ্ধ করে মাত্র ৯ মাসে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন। সূতরাং এই ৯ মাসের মধ্যে যারা রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিয়ে গোটা জাতীকে সংগঠিত করেছিলেন, বহিঃবিশ্বের সাহার্য্য সযোগীতা, সমর্থন আদায় করেছিলেন, যাদের ডাকে সারা দিয়ে জাতী যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন উনাদের কোনো খবর নাই।

---------------

বর্তমান সরকার প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধে সঠিক ইতিহাস তোলে ধরার কথা বলছেন অথচ ৯ মাসের যুদ্ধে কার বা কাদের নেতৃত্ব ছিল তাহা বলেন না। ১৯৭২ এ শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হল, আলোচিত হল জাতীর এই নেতার নেতৃত্বের নানা দিক অথচ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন, লন্ডন থেকে দিল্লি, দিল্লি থেকে ঢাকায় কেন আসতে হল এবং কোথায় কি কি আলোচনা হয়েছে তাহা গোপন করা হল। হানাদার যুদ্ধাপরাধীরা কেন কার প্রভাবে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আসল তাহা জাতী জানেনা। তাহলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস কোথায়? ? ?

বিষয়: বিবিধ

৯৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File