ভারতের সাধারণ জনগন ও সরকারের চিন্তা ভাবনার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নাই। "বন্দরের কাজ শুরু করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি ভারতের তাগিদ"।
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ০৮ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৩:৩১:২৯ দুপুর
হাঁসাহাঁসি করার কথা, আমার সাথে এক ভারতীয় দির্ঘ্য ১৮ বছর যাবত কাজ করছেন। আমাদের অফিস টাইম হচ্ছে সকাল ৮-৩০ থেকে বিকাল ৫-০০টা। আমরা এশিয়ান যারা আছি প্রায় সকলেই দুপুরের লান্স নিয়ে আসি যোহরের নামাজের পর এক সাখে লান্স করি। কোম্পানীর শাখা প্রশাখা সহ ৩৫০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে আমি একমাত্র বাংলাদেশী আইটি বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছি। দির্ঘ্য ১৮ বছরের মধ্যে ভারতীয় এই সহকর্মী দুপুরের লান্সে রুটির সাথে মাত্র ২ বার ডাল মাংশের তৈরী কাবাব এনেছেন এর বাহিরে প্রতিদিন যাহা আনেন তাহা হচ্ছে মুখডালের সাতে ৩টি আটার রুটি। আমি ঠাট্টা করে প্রায় সময় তাদেরকে বলি ডাল-রুটি শিল্পাসেঠী অর্থাত লন্ডনে অভীনেত্রী শিল্পাসেঠিকে ডাল-রুটির কথা বলে অপমান করেছিল।
বৃহস্প্রতিবার বিকাল ২টা পর্যন্ত অফিস তাই লান্স আনতে হয়না এদিন আরব্য সহকর্মীরা নিজেদের টাকায় সকালের নাস্তা নিয়ে আসে এবং নাস্তার জন্য সবাইকে ডাকে। আমরা সাধারনতঃ বাসা থেকে নাস্তা করেই অফিসে আসি বৃহস্প্রতিবার যেহেতু নাস্তা অফিসেই হয় তাই সকলেই (ভারতীয়রা সহ) বাসায় নাস্তা না করেই চলে আসি। আমি নিশ্চ্যিত ভাবে জানিতাম যে আরব্য সহকর্মীরা নিজের পকেটের টাকায় নাস্তা করায় তাই আমিও খরচের শেয়ার করি। একদিন দুপুরের লান্সের পর সাধারন আলাপ চারিতায় ভারতীয় বন্ধুকে বলিলাম বৃহস্প্রতিবার তো সকলেই একসাথে নাস্তা করি আর এর খরচ একেক বার ২/৩ জন মিলে দিয়ে থাকে যেহেতু আমরাও তাদের সাথে নাস্তা করি সেহেতু আমরাও শেয়ার করা উচিত। উত্তরে ভারতীয় সহকর্মী জানাল, সে বাসায় নাস্তা করেই আসে প্রতিদিন বৃহস্প্রতিবার ওদের সাথে না বসলে খারাপ মনে করবে তাই বসে অন্যতায় ওদের সাথে নাস্তা না করলেও তার কিছু যায় আসেনা শুধুমাত্র ওদের খুশির জন্য বৃহস্প্রতিবার একসাথে নাস্তা করতে বসে সূতরাং নাস্তার খরচ দিতে হবেনা আর না চাইলে বৃহস্প্রতিবার নাস্তায় বসবেও না। উল্লেখ্য যে, ভারতীয়রা কেউ নাস্তার খরচে শেয়ার করেনা। আমি হাঁসিলাম, এই হল ভারতীয়দের মানষীকতা। উল্লেখ্য যে ২/৩ জন মিলে সকালের অরব্য নাস্তা আনতে জনপ্রতি ৫/৬ রেয়ালের বেশী দিতে হয়না তাহাও প্রতি বৃহস্প্রতিবার নয়। আমার অভীজ্ঞতা যে, খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে এশিয়ানের মধ্যে ১ নং হচ্ছে পাকিস্তানী, ২. নং বাংলাদেশী, ৩. পিলিপিনু, ৪. নং আরব্যরা ভারতীয়কে নং দিতে লজ্জা হচ্ছে তাই দিলাম না। তবে পাকিস্তানী-ভারতীয় হচ্ছে ১:৫, পাকিস্তানী-বাংলাদেশী হচ্ছে ১:৩ আর বাংলাদেশী-ভারতী হচ্ছে ১:৩।
বিষয়: বিবিধ
১২৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন