মন্ত্রী মহোদয়ের পরিবারের কেউ হয়ত এই পতিতাপল্লি চালাই। তাই গায়ে লেগেছে।
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ২২ জুলাই, ২০১৪, ০৮:১৬:৪৬ রাত
পতিতা পল্লী উচ্ছেদকারীদের শিরচ্ছেদ করা উচিত’
মায়া সাহেবের জামাইয়েরা কোটি কোটি টাকা নিয়ে একে একে খুন করে যাবে আর ভুক্ত ভোগীরা হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে এমনটির নাম যদি উন্নত গনতান্ত্রিক দেশ শাসন হয় তাহলে তো বলার কিছুই নাই।
মন্ত্রীর কাছে অষ্ট্রেলিয়া থেকে ফোন এসেছে তার কাছে এর কোনো জবাব নাই তাহলে ঐ পতিতাপল্লীতে অষ্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ ছিল কি? নাকি মন্ত্রী পরিবারের কেউ পতিতা পল্লীটি চালাইতেন।
মন্ত্রী মহোদয়ের মত পতিতা প্রিয়দেরেক নির্মূল করার জন্য আজকের বাংলাদেশে শরীয়া আইন খুবই প্রয়োজন। সরকারকে নয়, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সমাজপ্রেমী, মূলবোধে বিশ্বাসী এবং সমাজের সর্বস্তরেরর ভাল মানুষ গুলিকে বলব আসুন আমরা একিত্রত হই যাদেরেক আজ পতিতা বলা হচ্ছে তাদেরেক পুর্নবাসন করি, মর্যাদার স্থানে নিয়ে আসি এবং একই সাথে তাদেরক যারা পতিতা বানিয়েছ. যাদের উতসাহ উদ্দিপনায় আমাদের মেয়েরা ভোগ্যপণ্য পতিতা হচ্ছে বিভিন্ন সেক্টরে - অঙ্গনে মূখোশ পড়া মনবতার মহা শত্রুকে চিরতরে নির্মূল করার কাজে এগিয়ে আসি।
বেশী নয় ২/৪ জনকে হাতেনাতে ধরে প্রকাশ্য ঝুলিয়ে দিলেই সারাদেশ এই পাপাচার থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। হত্যকারীকে ধরে নিয়ে হত্যা করা বিধি বিধান পরিপন্থী তাতে কোনো সন্দেহ নাই তবে নিশ্চ্যিত হয়ে যেই কোনো হত্যাকারীকে হত্যা করা অপরাধ কিনা জানতে ইচ্ছা হয়।
মানুষ কখন আইন বিধানকে উপেক্ষা করে আইনকে নিজের হাতে তোলে নেয়? এমনকি আইন বিধান শতভাগ কার্যকর থাকলেও চোর চুরি করলে ১০ বছর তার শাস্তি হবে তাই আমি আপনি ঘরের দুয়ার খোলা রেখে ঘুমাব কি?
জসীমের ভাই করিমকে সন্ত্রসীরা ধরে নিয়ে খুন করেছে। করিম আর কখনও ফেরে আসবেন। সন্ত্রসীরা নেতামন্ত্রীর ছাতার তলে বসবাস করে তাই থানা পুলিশও এইক্ষেত্রে বিকল, অনেক সময় সন্ত্রাসীদের সহযোগী। জসীম অপেক্ষয় আছে যে, সরকার পরিবর্তন হবে তার ভাইয়ের খুনিদের বিচার হয়ে। এটি জসীমের আশা বটে কিন্তু আদৌ আসামীর ধরার পড়বে কিনা তাদের বিচার হবে কিনা জসীম জনেনা। আর বিচার হলেও তো করিম ফিরে আসবেনা এবং সারাদেশের খুনিরাও যে এই শাস্তি দেখে শিক্ষিত হয়ে যাবে তেমনটি নয়। অনেক খুনির শাস্তি হয়েছে কিন্তু খুনিরা শিক্ষিত হয় নাই, শিক্ষিত হইলে প্রতিদিন খুনের সংখ্যা বড়ছে কেন?
দেশের আইন বিধান যখন বিকল হয়ে যায়, শাসকেরাই যখন খুনা হয়ে যায় ভুক্ত ভোগীরা নিজেরাই থানা পুলিশ, আইন বিধান, বিচারিক আদালত বিচারক এবং প্রধান বিচাপতি হয়ে যায়।
বিষয়: বিবিধ
১৮৯০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর সবচাইতে মূল্যবান কথা হচ্ছে এভাবে এগুলো বন্ধ করা সম্ভব নয়। আমাদের সমাজব্যবস্থা যেভাবে গড়ে উঠেছে তাতে করে এর প্রতিকারের কোন উপায় আপাতদৃষ্টে নাই! বরঞ্চ বলতে হবে এভাবে এগুলো একটা নির্দিষ্ট স্থান থেকে উঠিয়ে দিয়ে এটা সমাজের সব এলাকায় ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে। এক জায়গায় এগুলো থাকলে অনেকে লোক-লজ্জার ভয় করে সেদিকে যায় না বা যাবে না আর এগুলোকে ভাসমান করে দিয়ে যারা যায় না, তাদেরকেও এতে নিয়ে আসা হবে।
তবে সত্যিই যদি এটা উঠিয়ে দিতে পারে, তবে আমিও খুশী হবো অনেকের মতোই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন