আসমানী আদালতকে জমিনি আদালত দিয়ে বৈধতা দেয়ার কোনো কারণ নেই।
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ০৭ জুলাই, ২০১৪, ০৬:২৭:৩৫ সন্ধ্যা
পবিত্র কোরান সুন্নাহের বিধান মেনে চলা দুনিয়ার সকল মুসলমানের জন্য বাধ্যতা মুলক। যিনি কোরান সুন্নাহের বিধানের উপর পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস রাখেন কিন্তু তাহা তার ব্যক্তি জীবনে প্রতিষ্টিত রাখেন নাই, অনৃসরনে অলসতা, অবহেলা করেন এই ক্ষেত্রে তিনি ধর্মীয় বিধান মতে অবশ্যই "গুনাহ" করে যাচ্ছেন, তিনি গুনাহগার। আল্লাহ রহমানুর রহিম, ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তার বাঁন্দাকে ক্ষমাও করতে পারেন।
যদি এই ব্যক্তি পবিত্র কোরানের বিধি বিধানকে অস্বীকার করেন, মেনে চলা বধ্যতা মুলক নয় মনে করেন কিংবা অন্য কোনো ভাবে ব্যঁঙ্গ করেন তখন তিনি আর মুসলমানই থাকেন না। সূতরাং এক কথায় বলা যায় দুনিয়ার কোনো আদালত শরীয়া আদালতের বধৈতা অবধৈতার ব্যপারে নাক গলানোর অধীকারই রাখে না। অর্থাত জমিনের আদালত দিয়ে আসমানী আদালতের বৈধতা যাচাই করার কোনো কারণ নাই। একই ভাবে বলতে হয়, ভারতের আদালতে শরীয়া আদালতকে বৈধ ঘোষনা করেছে তাই খুশিতে আত্নহারা হাওয়ার কিছুই নাই কেননা ভারতীয় আদালত শরীয়া আদালতকে অবৈধ ঘোষনা করলেও দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানের জন্য শরীয়া আদালত কেয়ামত পর্যন্ত বৈধ থাকিবে।
এক ঈমাদার ভাই আরেক ঈমাদার ভাইকে "নামাজ" পড়ার জন্য ডাকুন, তিনি কোনো কারণে যদি নামাজ পড়ার জন্য আসতে না'ও পারেন তখনও উনাকে নামাজের প্রতি ডাকার হাসানাটি আপনি পেয়ে যাবেন। তবে সাবধান, খুবই সাবধান! নামাজের জন্য ডাকার ক্ষেত্রে কোনো মুসলমান ভাইকে "নামাজ" পড়বে কিনা জিজ্ঞাসা করবেন না কারণ উনি যদি নিজের অজান্তে অথবা বিরক্তবোধ করে "নামাজ" পড়বেন না কিংবা "নামাজ" পড়া লাগবেনা এই ধরনের মন্তব্য তথা জবাব দিয়ে থাকেন তখন তাহা "নামাজকে" অস্বীকার করার পর্যায়ে চলে যায়। আর যেইকোনো মানষীক অবস্থায় (পাগল ব্যতিত) হউক না কেন "নামাজকে" অস্বীকার করলে তার ঈমান থাকেনা। এই ক্ষেত্রে যিনি "নামাজকে" অস্বীকার করলেন একক ভাবে তিনিই দায়ী নয় বরং যিনি প্রশ্ন করেছিলেন (নামাজ পড়বে কিনা) তিনিও সমান্তারল ভাবে দায়ী কেননা নামাজের জন্য আহ্বান কারীর আহ্ববান পদ্ধতি ভূল ছিল যার ফলে যাকে নামাজের জন্য ডাকা হচ্ছে তার কাছ থেকে জবাবটি এইভাবে এসেছে। এটিই শরীয়তের বিধান, এখানে দুনিয়ার সর্বউচ্চ আদালত কি বলিল না বলিল তাতে কিছুই যায় আসেনা।
বিষয়: বিবিধ
১৩২৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন