ডাকাতের ধর্ষণ
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ২২ জুন, ২০১৪, ০৭:৩০:৩৬ সন্ধ্যা
ফেনীতে ডাকাতি করতে গিয়ে বউ-শাশুড়িকে ধর্ষণ
ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের এক গ্রামে ডাকাতদলের ধর্ষণের শিকার হয়েছে বউ-শাশুড়ি। শনিবার রাত ২টার দিকে ওই এক প্রবাসীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন সেটসহ প্রায় সাত লাখ টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থরা জানায়, রাত ২টার দিকে ১০/১২ জনের সশস্ত্র একদল ডাকাত তাদের বাড়ির ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। ডাকাতরা বাড়ির অন্য সদস্যদের হাত-পা বেঁধে একটি কক্ষে আটকে রেখে বউ-শাশুড়িকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তারা আলমিরা ভেঙে আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্র সহ সাত লাখ টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
-------------------------------------------------------------------------------------------
গনমাধ্যকে জাতীর চোখ বলা হয় আসলে কি তাই ????
পাঠক বন্ধুরা উপরের সংবাদটির দিকে লক্ষ্য করুন। বিস্তারিত ঠিকানার পরিচয় দিয়ে বলা হয়েছে ডাকাতেরা বউ/শাশুড়িকে পালাক্রমে ধ্বর্ষণ করেছে।
আধুনিকতার নামে প্রেম ভালবাসা, প্রেম ভালবাসার নামে অবাধ/অবধৈ যৌনাচার, হোটেলে/মোটেলে, খোলা আকাশের নিচে পার্কে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ নাম্বার/শিক্ষার প্রলোভনে নারী ভোগ ও লিভটুগেদারের যেই সাংস্কৃতি চালু হয়েছে এর মূল উতসাহ দাতা হচ্ছে ১. সাংস্কৃতি ও ২. তথ্যমন্ত্রনালয়। আমাদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক বন্ধন ঐক্যতা, আচার আচরণ, সাংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য এই দুইটি মন্ত্রনালয় অগ্রনী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। উল্লেখিত দুই মন্ত্রনালয়ে এমন কিছু লোক মন্ত্রীর দায়ীত্ব পালন করেন উনারা আসলে আমাদের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতি, কৃষ্টি সম্পর্কে বই পুস্তকেই পড়েছেন আর নিজেরা ভিন্ন দেশর সাংস্কৃতির আদলে বড় হয়েছেন ফলে উনারা স্বীয় সাংস্কৃতির কথা বলে মূখে ফেনা তুলিলেও ভিন্নদেশের সাংস্কুতিকেই অনুমোদন দিয়ে সারাদেশে ভিন্নদেশী কূসাংস্কৃতির বিস্তৃতি ঘটাচ্ছেন।
যেমন ধরুন প্রেম ভালবাসা (প্রেমীক প্রেমীকা), একে অপরকে পছন্দ করা, ভাল লাগা, একে অপরকে পাইতে চাওয়া দোষের কিছুই নয়। মানুষের মাঝে এই ধরণের অনুভূতি যখন আসে তখন বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে জানিয়া সামাজিক ভাবে সমাধানের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতি আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে আবহমান কাল থেকেই আছে। প্রেম ভালাবাসার অর্থ পার্কে গিয়ে চুমচুমি/টিপাটিপি করা নয়, প্রেম ভালবাসার অর্থ হোটেলে/মোটেলে গিয়ে রাত যাপন/যৌনাচার করা নয়, প্রেম ভালবাসার অর্থ নাইট ক্লাবে অর্ধনগ্ন হায়ে নিত্য করা নয়। প্রেম ভালবাসার অর্থ বাবা মায়ের অমতে পালিয়ে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হাওয়া নয়। (বাবা মায়ের অবর্তমানে কাজী অফিসে গিয়ে বিবাহ করার পদ্ধতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে, এই কারণে মেয়েরা প্রতারনার শিকার হচ্ছে, পতিতালয়ে বিক্রয় হচ্ছে, বিদেশে পাচার হচ্ছে, অসহায় মেয়েরা ঠিকানা বিহিনী ভাসমান হচ্ছে) আজকের কথাকথিত উন্নত শ্রেনী/সমাজে উল্লেখিত চরিত্র গুলি যদি আমাদের চারিত্রিক সাংস্কৃতি হয় তাহলে আমাদের ঐতিহ্যবাহী চারিত্রিক সাংস্কৃতি কাকে বলে???? উল্লেখিত চারিত্রিক সাংস্কৃতি যদি ভিন্নদেশী কূসাংস্কৃতি হয় তাহলে আমাদের কথাকথিত শিক্ষিত নেতা মন্ত্রী এমপি, শিক্ষক/শিক্ষিকিকা, ছাত্র/ছাত্রীরা, ব্যবসায়ী, গনমাধ্যম সহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা শুধু নিরবতাই পালন করেন না বরং উনারা নিজেরাই এই কূচরিত্র ধারণ করেন, লালন পালন করেন এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে বিস্তৃতি ঘটাচ্ছেন। ঢাবি/জাবিতে শিক্ষক/শিক্ষিকা এবং ছাত্র/ছাত্রী লিভটুগেদারের সংখ্যা কত কারও জানা আছে কি?? এখানে তথ্য প্রমান সহ গোপন একটি জরিপ আছে। এরা সূশিক্ষিত? নাকি কূশিক্ষায় শিক্ষিত।
এই সমস্ত কথাকথিত শিক্ষিত ম্যেনীর চাইতে আমাদের গ্রামের মূর্খরা হাজার গুনে ভাল, এদের কাছে অগাধ ধনসম্পদ না থাকিলেও মানুষের জীবনের সবচাইতে মহা সম্পদ সূচরিত্র গ্রামের এই মানুষ গুলির মধ্যে আছে।
লেখাটি শুরু করেছিলাম মানবজমিনের এক সংবাদের আলোকে। শেষ করতে চাই কথিত এই সংবাদিকের মূর্খতার পরিচয় দিয়ে। ঘরে ডাকাত ঢুকেছে আর বউ/শাশুড়ী পাশবিক নির্যাতনের শিকার, ডাকাতেরা পালাক্রমে ধ্বর্ষণ করেছে বউ/শাশুড়িকে। সাংবাদিকের আমার প্রশ্ন:- বউটি তার এবং শাশুড়ী যদি তার "মা" হইতেন তাহলে তিনি ১০/১২ ডাকাত দ্ধারা পালক্রমে ধর্ষণের ঘটনাটি সংবাদপত্রের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানাইতেন কিনা। ডাকাতেরা কখনও বলে বেড়াইত না যে অমুকের ঘর ডাকাতি করতে গিয়ে বউ/শাশুড়িকে ধ্বর্ষণ করেছে, ঠিক একই ভাবে (চিকিতসাকে কেন্দ্র করে ২/৪ জন ঘটনাটি কোনো ভাবে জানিলেও) বউ/শাশুড়িও নিজেদের সতীত্ব হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি কখনও অন্যের কাছে গিয়ে বলে বেড়াইত না। তাহলে বিজ্ঞ সম্পাদক, জনপ্রিয় উপস্থাপক এবং গনমাধ্যমে আলোচিত সূনামধন্য ব্যক্তিত্ব মতিউর রহমান চৌধূরীর "মানবজমিনে" এই মূর্খ সাংবাদিক কি প্রকাশ করিল???? তাহাছাড়া এটি মতি ভাইয়ের অজান্তে হয়েছে কি??? পোষ্টে একটি ছবি দিয়েছি, মেয়েটি একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, তিনি স্বেচ্ছায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র/শিক্ষকের গনবধু হয়েছেন, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টানের আমন্ত্রনে বিদেশীরা আসিলে তাদের মনোরঞ্জনের জন্য এই সূন্দরী ভাড়ায়ও খাটেন বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানায়া যায়।
সর্বশেষ কথা হইল যে যাহাই করুক না কেন, আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, আল্লাহকে ভয় করি, আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে পাপ করিলে জাহান্নামেই ঠিকানা হবে তাই আল্লাহর ভয়ে আমরা চরিত্রবান হব, অন্যকেও চরিত্রবান হাওয়ার শিক্ষা দেব। বিশেষ করে প্রত্যেকেই স্ব স্ব পরিবারের দিকে কড়া নজর রাখব।
মানবজমিন
বিষয়: বিবিধ
৩৫০২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যারা ইসলামের পতাকাবাহী তারা যদি ইসলাম কায়েমের জন্য আপসহীনভাবে কাজ করতো আর হালুয়া-রুটির জন্য ধান্ধা ছেড়ে সস্তা ফতোয়াবাজী না করতো, তবে সমাজে আল্লাহর দীন কায়েম হতো এবং এসব কিছুই থাকতোনা---
একে অপরকে দোষাদোষী বাদ দিতে হবে আগে--
কিন্তু, এর সাথে ডাকাত দলের কি সম্পর্ক - ডাকাতরা অসৎ চরিত্রেরই হয়, তাই তারা ধর্ষন করেছে, এটাই স্বাভাবিক নয় কি?
আর উপরের বেগানা নারীর বেপর্দা ছবির (নাউজুবিল্লাহ)কি মানে - এই ছবি দিয়ে আপনিইতো নিজেকে তাদের দলেই রাখলেন !!
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
সাংবাদিকের বিরু্দ্ধে তিনি যে অভিযোগ এনেছেন, সেটাও অতি যৌক্তিক বলেই মনে হচ্ছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন