ছোট ভূলের শেষ পরিনতিও ভয়াবহ। শাসকের ভূল দোষের কারণেও জাতী জাহান্নামের দিকে ধাবিত হয়।

লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ০৭ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৫:১১:৪৬ বিকাল



ভূল মানুষেরই হয় আবার ভূলকে মানুষেরাই সংশোধন করেন। ভূলকে যদি অস্বীকার, গোপন করা হয় কিংবা ভূলকে সঠিক হিসাবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয় তখন ছোটখাট হলেও ভূলটি দোষে পরিনত হয় এবং দোষের দায়ভার কাঁদে নিতে হয়। যেমন ধরুন: ইমাম সাহেব নামাজে সূরার মধ্যে ভূল করলেন এবং মোক্তাদী লোকমা দিলেন এইক্ষেত্রে ইমাম সাহেব যদি লোকমা গ্রহন না করে নামাজ শেষ করেন তাহলে নামাজই হলনা কারণ নামাজে ছহীহ শুদ্ধভাবে কেরাত পড়া ফরজ (ভূলক্রুটি হইলে শুদ্ধ করার ব্যবস্থাও আছে)। নামাজে ফরজ আদায় না হইলে নামাজ হয়না। জমায়াতী নামাজে ইমাম সাহেবের নামাজ না হইলে পেছনের সারিতে মোক্তাদীরদের নামাজও হবেনা যেহেতু ইমামের পেছনে নামাজের এখতেদা করেছেন। ইমাম সাহেব লোকমা না গ্রহন না করা, অপ্রয়োজনীয় মনে করা, যাহা পড়েছেন তাহাই শুদ্ধ মনে করা, ছোটখাট ভূল হইলে কিছুই যায় আসেনা মনেকরা হচ্ছে ইমাম সাহেবের একগুঁয়েমী, অবহেলা, বা অজ্ঞতা আর এর কারণেই ইমাম সাহেব সহ জমায়াতের কারও নামাজ হইল না। ভূলটি দোষে পরিনত হইল এবং আল্লাহর দরবারে নামাজ না পড়ার দায়ে জবাবদিহী করতে হবে, ক্ষমা না করিলে শাস্তি পেতে হবে।

ওযু ভঙ্গ হয়ে যাওয়া ব্যতিত মোক্তাদীরাও অনেক রকম ভূলক্রটি করেন তারপরেও ইমাম সাহেবের পেছনে এখতেদা করেছেন বিধায় ইমাম সাহেবের নামাজ ছহীহ শুদ্ধ হইলে মোক্তাদীর নামাজও ছহীহ হয়ে যায়। তবে ওযু ভঙ্গ হইলে জামায়াত ত্যাগ করিতে হইবে। ওযু ছাড়া নামাজ পড়িলে ফাসেক হয়ে যায়।

তাহলে ফলাফল দি দাঁড়াইল? জমায়াতে নামাজের নেতা হচ্ছেন ইমাম

সাহেব, ইমাম সাহেবের ভূল করিলে তাহা যদি শুদ্ধ না করে নামাজ আদায় করেন তাহলে নামাজই হয় নাই আর এর মাসুল ইমাম সাহেব সহ সবাইকেই দিতে হবে যদি তারা একই নামাজ পুনরায় আদায় না করেন। ঠিক একই ভাবে সমাজের নেতা, মাতব্বর সাহেব যদি ভুল করেন তার ভূলের মাসুল সমাজের সবাইকে দিতে হয়। নেতা সাহেব তার ভূলকে সংশোধন না করে একগুঁয়েমী, অবহেলা, স্বজনপ্রীতি, উদ্দিশ্য মুলক, বলয় বিস্তার ইত্যাদি ইত্যাদির মাধ্যমে ভূলকে দোষে পরিনত কারে যদি সমাজের উপর তারই সিদ্দান্ত চাপিয়ে দেন। ঠিক একই ভাবে সরকার প্রধান রাষ্ট্র প্রধান যদি কোনো ভূলক্রুটি করে থাকেন এবং তাহা সংশোধন না করে উল্লেখিত ভাবে গোটা জাতীর উপর আইন বিধান করে চাপিয়ে দেন তখন সেই ভূলের মাসুল গোটা জাতীকেই বহন করতে হয়। ইমাম সাহেব লোকমা গ্রহন না করে তার খেয়ালী মনোভাব মোক্তদীর উপর চাপিয়ে দিলেও স্বচেতন মোক্তাদীরা আল্লাহর ভয়ে পুনরায় নামাজ আদায় করেন। আর অচেতন বা ইমামের অন্ধ ভক্তরা ভূলকে দোষ বানিয়ে তার মধ্যেই হাবুডুবু খাচ্ছেন। তাই সরকার প্রধান যদি ইমাম হয় আর গোটা জনগোষ্টি যদি মোক্তাদী হয় তাহলে এই ইমামের ভূলক্রুটিকে বর্জন করে মোক্তাদীরাই করনীয় কি সিদ্দান্ত নিতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১১৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File