"হেফাজতকে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি বিপাকে পড়েছে"
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ০৬ মে, ২০১৪, ০২:৪০:৪৫ দুপুর
হেফাজতকে নিয়ে চলমান রাজনৈতিক দলগুলি চিন্তিত। ব্যর্থ হয়েছে ধুলা নিতে একই সাথে ব্যর্থ হয়েছে অপপ্রচার চালিয়ে হেফাজতকে বিতর্কীত করতেও। কখনও গোপন আঁতাত কখনও টাকার খেলায় মত্ত আবার কখনও অভ্যান্তরীন বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি ইত্যাদি রসিক রসিক খবর বিশেষ কিছু পত্রিকায় ছাপিয়ে হেফাজতকে বিতর্কীত করার চেষ্টা কম হয় নাই। হেফাজতের নেতারা এই সবের কিছুই কানে তোলে নাই কারণ চেতিয়া যাওয়া মানেই যেইসব অপপ্রচার হচ্ছে তাকে মূল্যায়ন করা।
আওয়ামী লীগ ও জামায়াত যেইভাবে হেফাজতের পেছনে লেগেছে সেই তুলনায় বিএনপি অনেক কম এগিয়েছে। আওয়ামী লীগ তো কদম মুচির পাশাপাশি ক্ষমতা বলে লাঠির ভয়ও দেখায় অপর দিকে জামায়াত নিজে নিজে ঘোষনা করে হেফাজত তাদের সাথে আছে কিংবা তারা হেফাজতের সাথেই আছে, জামায়াতের এই দোলাচল খেলার ফায়দা লুটে আওয়ামী লীগ অর্থাৎ আওয়ামীরা বলে হেফাজতের নামে জামায়াতীরা সারাদেশে ধ্বংসার্থক মর্ককান্ড করছে। অপর দিকে যাহা দেখছি হেফাজতীরা বাজারের এইসব কথা আলোচনাকে পেশাব তুল্যও মনে করেনা, আসলে বিষয় কি কেন এই খেলা কেউ জানেনা।
হেফাজতকে নিয়ে সংবাদের শিরোনাম (উপস্থাপনা) এমন ভাবে হয় যে তাহা পড়ে মনে হবে, এই অনলাইন পত্রিকাগুলি এবং সংবাদ কর্মীরা হেফাজতকে বিতর্কীত করার জন্য বিশেষ বাহীনি হিসাবে মাঠে নেমেছে। যেমন বাংলামেইলডটকম অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছে "আল্লামা সফি পরিচালিত হাটহাজারী মাদ্রাসার এক ছাত্র তিন নারী সহ ফটিকছড়িতে গ্রেপ্তার" মজার বিষয় হইল ঘটনা যদি সত্য হয়েই থাকে তাহলে এটি জগন্যতম অপরাধ, মোদ্দা কথায় উত্তম/মাধ্যম দিয়ে আইনের হাতে তোলে দাও। এখানে শিরোনামের মধ্যে অপরাধীকে জড়িয়ে আল্লামা সফি এবং হাটহাজারী মাদ্রাসার নাম আসল কেন? পুরা সংবাদটি পড়ে দেখলাম ওখানে ঐ ছাত্রের বিস্তারিত কোনো পরিচয় নাই তাহা ছাড়া জামা এবং মাথার টুপি দেখে মনে হয়েছে এটি হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র নয়। এর বাহিরে যাহা দেখা গেল যেই তিনজন নারীর ছবি দেয়া হয়েছে ঐ তিন নারীর বয়স এই ছাত্রের মা কিংবা ছোট দাদী সমতূল্য হবে। একই সাথে দেখা গেল নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক ব্যক্তির সূত্র দিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে। আরে গর্ধবের বাচ্ছা গর্ধব, যেই লোক ভয়ে নিজের পরিচয়টাও দিতে রাজী নয় সেই লোকের দেয়া তথ্যের গুরুত্ব/গ্রহন যোগ্যতা কি??? পাঠক বন্ধুরা হেফাজতে ইসলাম হচ্ছে দল বল নির্বিশেষে একটি অরাজনৈতিক শুধুমাত্র মুসলমানের সংগঠন তাদের ডাকে জনগনের সারা-জনসমর্থন দেখে ভোটের আশায় রাজনৈতিক দলগুলি হেফাজতকে কাছে টানার চেষ্টা করেছে মাত্র। এটিতো খুবই স্বাভাবীক, যারা ভোটের রাজনীতি করেন তারা এই রকম সংগঠনকে কাছে পাওয়ার চেষ্টা করবেই। হেফাজত বলছে আমরা রাজনীতি করিনা আর রাজনীতিকেরা বলছে আমরা হেফাজতের সাথে আছি বা হেফাজত আমাদের সাথে আছে। এই বাকযুদ্ধে যারা একটু পিছিয়ে রয়েছে তারা বলছে হেফাজত অমুক দল থেকে কোটি টাকা নিয়ে চুপ হয়ে গছে, এর পেছনে যুক্তি হইল শাপলা চত্তরে হাজার মানুষ গনহত্যার শিকার হইল অথচ হেফাজত কোনো কঠোর কর্মসূঁচির দিকে যায় নাই, যাচ্ছেনা। এই লোকগুলি আসলে কি করতে চায় কি বলতে চায় জানেন? এরা হেফাজতকে মাঠে নামিয়ে রাজনৈতিক মাঠ গরম করে সরকারের বিরোদ্ধে আন্দোলনের সূচনা করতে চায় অর্থাৎ হেফাজতকে আন্দোলনের হাতিয়ার বানাতে চায়। --- প্রশ্ন হইল হেফাজত কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হবে কেন???
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গতকাল আল্লামা শফী সাহেবের বক্তব্য সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী হতে পারে।
জামায়াত নিয়ে আপনার মন্তব্য আবার একটু আপনি পড়ুন। দেখবেন সংশোধন হয়তো করা লাগতে পারে। পরিস্কার হয়নি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
যার গতকালের চেয়ে আজকের দিনটি উত্তম নয়"
মন্তব্য করতে লগইন করুন