একটি ভয় একটি আতঙ্ক "শাহবাগ"
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৩:৫৯:০০ দুপুর
শাহবাগ স্কয়ারের আয়োজন দুই সপ্তাহ অতিক্রম করেছে, এই আয়োজনে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন গুলির সাথে আওয়ামী ঘরনার যত "লীগ" আছে সবাই যোগদান করেছে। মিডিয়াতে শতস্পূর্ত ভাবে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা অংশগ্রহন করেছে দাবী করলেও তাহা সত্য নয় কারণ স্কুল কলেজ বন্ধ নয় আর ছেলেমেয়েরা স্কুলে গেলে তাদেরকে কানে ধরে শাহবাগে পঠানো হয় সরকারী নেতাদের নির্দেশে। তারাও কাদের মোল্লার ফাঁসি চায়, কাদের মোল্লা কে? এবং কেন ফাঁসি চাই? সেটি তারা জানেনা বুঝেও না কারণ তাদের জন্ম ১২ থেকে ২০/২২ বছর আগে, স্কুল থেকে আসার সময় যাহা শিখিয়ে দেয়া হয়েছে শাহবাগে এসে তাহাই বলছে।
--------------
১০০% জমায়াত/শিবির পরিপন্থী এই আয়োজন, জমায়াত/শিবির সারাদেশে বেশ কয়েকটি কর্মসূঁচি দিয়েছে কিন্তু শাহবাগে "টুকাও" দেয় নাই। যদি বলা হয় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে "শাহবাগ" তাই জামায়াত/শিবির এখানে শুবিধা করতে পারছে না। এর উত্তরে বলা যায়, এই ধরণের কথা গর্তের ভিতরে থেকে বাহাদুরীর চিৎকারের মত। মূলত জমায়াত/শিবির এখানে আঘাত করে নিজেদেরকে জঙ্গী হিসাবে প্রতিষ্টিত করবেনা যার সরকার এবং সরকারের সহযোগীরা চায়। জমায়াত/শিবিরকে জঙ্গী হিসাবে প্রতিষ্টিত করতে পারলে তাদেরকে নিষিদ্ধ করার জন্য বড় ধরণের কোনো আইনী প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হবেনা, দেশের মানুষ ফাঁসির দাবী পরিহার করে নিষিদ্ধের দাবী নিয়ে মাঠে নামবে। সূতরাং বলা যায় রাজনৈতিক কৌশলে জমায়াত/শিবির সরকারের সহযোগীদের তুলনায় অনেক উচ্চস্তরে রয়েছে।
-----------------
রাজীব হত্যায় সরকারের সহযোগীরা বিপাকে পড়েছে কারণ তারা বলতে পাছেনা যে এই হত্যাকান্ড জমায়াত/শিবির করেছে, যদি তাহা বলে তখন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সরকারের ব্যর্থতা এবং শাহবাগ চত্বরকে টিকিয়ে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে, শাহবাগে কেউ মরতে আসবেনা। আবার যদি বলা হয় শাহবাগীদেরকে চাঁঙ্গা রাখার জন্য সরকারই রাজীব হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তখনও শাহবাগীদের নজরে সরকারের আসল চেহেরা উম্মুক্ত হয়ে যাবে, এটি নিরপেক্ষ তরুন তরুনীর নয় বরং উদ্দিশ্য মুলক ভাবে সরকারী আয়োজন হিসাবে প্রতিষ্টিত হবে। এখন রাজীব হত্যাকান্ডের আসামী ধরতে গিয়ে সরকার সাগরের মাঝ খানে ডুব দিয়ে মইল্যামাছ ধারার নাটক করতেছে মাত্র।
-------------------
ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত এনে বহুদিন ধরে লেখা, প্রকাশ করা ব্লগ সম্পর্কে দেশের আলেম ওলামা সামাজ অবগত ছিলেন না, উনারা সাধারনত ব্লগ/ফেইসবুকে নজরও দেন না। পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ার পর উনারা সত্যতা যাচাই করে প্রেস কন্ফারেন্স করে প্রতিবদ করছেন, প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন। রহস্য জনক হইল, প্রেস কন্ফারেন্স করলেও উনাদের কথাগুলি ২/১টি ব্যতিত সারাদেশের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আসে নাই, আল্লাহর কূদরত অপরিসীম, আলেম ওলামাদের এই ডাক বাংলাদেশে তো বটেই সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে আমাদের শাহবাগী গনমাধ্যমের সহযোগীতা ছাড়াই।
--------------------
মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ইনু সাহেব বলছেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের সংবাদ "প্রকাশ" করা দন্ডনীয় অপরাধ। মাননীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যে হাঁসতেও ঘৃণা হয় করা, "প্রকাশ" করা যদি দন্ডনীয় অপরাধ হয় তাহলে যিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনেছেন তিনি কি ২১শে পুরস্কার পাবেন? নাকি ২৬শে মার্চ কিংবা ১৬ই ডিসম্বরের পুরস্কারের জন্য রেখে দিয়েছেন।
-------------------
সন্দেহ এবং ভয় এই কারণেই যে, জমায়াত/শিবির শহাবাগে আঘাত করে নাই এবং করার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছেনা, তাহাছাড়া কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে। শাহবাগে যারা আছে, যারা যাচ্ছে তারা সাধারণতঃ স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা, যেহেতু নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে সেহেতু কেউ কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে সময় কাটাতেও যাচ্ছেন (যাহা মিডিয়াতে দেখা গেল)। মহান আল্লাহর কাছে একমাত্র দোয় এই যে, সন্দেহ মিত্য হউক, অবস্তব হউক। কোনো লক্ষ্য উদ্দিশ্য হাঁসিলের জন্য জমায়াত/শিবির বা সরকার ও সরকারের সহযোগীরা কিংবা অন্য কোনো পক্ষ যদি রাজীব হত্যার চাইতেও বড় ধরনের কোনো প্রকার অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটাইয়া দেয় তাহলে তখন কি হবে? অহরহ ভাবে কারা প্রাণ হারাবে? এর দায়ভার কে নেবে? কোনো পক্ষ দায়ভার নিলেও যারা চলে যাবে তার আর ফিরবে কি? বিনিত অনুরোধ শাহবাগে যারা আছেন, যারা যাচ্ছেন তারা সতর্ক হউন। দুই পক্ষের মূখা মূখী অবস্থানে এই ধরণের মর্মান্তি ঘটনা অতীতে ঘটেছে, এবারও যে ঘটবেনা তার কোনো গ্যারান্টি নাই।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন