নাস্তিকতা বাদীদের জয় জয়কার
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:৫২:৩৪ বিকাল
দেশের সূচিন্তিত মানুষ গুলি বলেন যেখানে বিভিন্ন সেক্টর থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে সরকার ও সরকারী দল সেখানে উক্ত টাকা থেকে শতকোটি টাকায় ভাড়াটিয়া জোগার করা কষ্টসাধ্য নয়। কথায় আছে ভাত ছিঁটাইলে কাকের অভাব থাকেনা ঠিক টাকা ছিঁটাইলেও একই অবস্থা হয়, টাকার সামনে দুনিয়া লোভীরা নিজের বিবেক হারিয়ে ফেলে।
স্কুল কলেজ বন্ধ নয়, ছেলেমেয়েরা নিয়মিত স্কুলে যায় আর স্কুল কতৃপক্ষ স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের নির্দেশে ছাত্রছাত্রীকে শাহবাগে যাইতে বাধ্য করে। শাহবাগ চত্বরের মাধ্যমে মিডিয়ার আশানুরূপ ধাঁন্দা হয়েছে, প্রতিটি মিডিয়া যদি ১ কোটি টাকা করে নগদ পেয়ে থাকে তাহলে তারা দিবারাত্রি শাহবাগ চত্বরের গুনগান নিয়ে ব্যস্ত থাকবেনা কেন? লুটে যাওয়া টাকা তো হাজার কোটি ওখান থেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য মিডিয়াকে একাংশ দিতে আপত্তি কোথায়?
-------------------
রাজিবের জানাজা ও মুসলমানের কবরস্থানে দাফন ব্যবস্থা মুসলমানের ঈমান আকিদা পরিপন্থী। মুসলমানের ঘরে জন্ম নিলেই কেউ মুসলমান হয়ে যায়না। মুসলমানিয়ত হচ্ছে দ্বীলের বিশ্বাসের বিষয় আর এটি দৃশ্যমান হয় দ্বীলের বিশ্বাস অনুসারে আদেশ নিষেধ পালন করা এবং দৈনন্দিন, পেশাগত কর্মকান্ডের সাথে সাথে কথা ও বাক্য বচনের মাধ্যমে।
রাজিব কথিত মুসলমানের ঘরে জন্ম নিলেও তার লেখা, কথা এবং কর্মকান্ডে মুসলমানিয়ত দৃশ্যমান হয় নাই বরং অমুসলমানিয়তকেই ফুটিয়ে তোলেছে সূতরাং তাকে মুসমান বলা যাবে কিনা বিজ্ঞ আলেম ওলামাদের কাছ থেকেই জেনে নেয়া দরকার। যদি সে মুসলাম না থাকে তাহলে তার জানাজা পড়া ও মুসলমানের কবরস্থানে দাফন করে মুসলমানের কবরস্থনকে অপবিত্র করার কোনো কারণ নাই। এই ব্যপারে দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল মুসলমানকে সজাগ থাকতে হবে।
------------------
প্রিয় ভাই বোন এবং শাহবাগের বন্ধুরা,
আওয়ামী লীগ সেক্যুলারিজমে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল, তাদের সাথে রয়েছে শাহরীয়ার কবিরদের মত স্বঘোষিত নাস্তিকেরা এবং একই দোসর বামপন্থীরা। নাস্তিকদের আতঙ্ক হচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসলমান, তারা মুসলমানের সন্তানকে নিজেদের দলে ভিড়িয়ে দল ভারী করার চেষ্টা করে অপর দিকে শান্তির ধর্ম ইসলামের বিরোদ্ধে নানা অপপ্রচার চালায়, কঠোক্তি করে অথচ নিজেকে মুসলমানের সান্তান, মুসলমান দাবী করে, কুকুরের মত মরলেও মুসলমানের কবরস্থানে ঠিকানা করার আশা করে। সূতরাং সজাগ হতে হবে যে, ঐসব নাস্তিককে নিজেদের পবিত্র কবরস্থানে স্থান দিবেন কিনা।
------------------
শাহবাগ চত্বরকে মিডিয়া সহ সরকার সমর্থীতরো প্রজন্ম চত্বর নাম দিয়েছে। সারাদেশে হাজারও সমস্যা সমাধানের জন্য প্রজন্মকে অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে, সজাগ হতে হবে, যেই কোনো কূকর্মকে প্রতিরোধ করার জন্য দায়ীত্ববান হতে হবে। শাহবাগের প্রজন্ম বন্ধুদেরকে স্বাগত জানাচ্ছি তবে প্রজন্ম বলতে কাকে বুঝায়? নিশ্চ্যই দলমত ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সারাদেশের তরুন তরুনী সমাজকেই বুঝায়। আজকের শাহবাগে সারাদেশের দলমত, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল তরুন তরুনীর সমাবেশ হয়েছে কি? এটি যদি সত্যিকার অর্থে তারুণ্যের সমাবেষ হয় তাহলে দলমত নির্বিশেষে সকল তরুন তরুনীর সমাবেশ হইলনা কেন? তাহাছাড়া এটি শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবীতেই সমাবেশ হইল কেন? দেশে তো হাজারও সমষ্যা রয়েছে, সেই সমস্যাদী সমাধানের দাবী নাই কেন? যুদ্ধাপরাধের বিচার, এই দাবী তো একটি দলের এবং তাদের জোটের এজেন্ডা। সূতরাং এটিকে তারুণ্যের সমাবেশ না বলে নাস্তিক ও তাদের দোসরের পরিকল্পিত সমাবেষ বলা যায় কিনা ভেবে দেখা দরকার।
------------
সেক্যুলারিজমে বিশ্বাসীরা কি চায় আজকের তরুনেরা জানা ও বুঝার দরকার আছে। মুসলমান হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান সমন্নয়ে রাজীবের জানাজা পড়া যদি সেক্যুলরিজন তত্ব হয় তাহলে একজন মুসলমানের সন্তান হিসাবে আপনি তাহা সমর্থন করেন কি? মুসলমান হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ধর্ম বিশ্বস, সমাজ ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে কোনো প্রকার আইন বিধান বিহীন বিবাহ বন্ধন ও সংসার রচনা করে আমাদের সকল ধর্মের ধর্মীয় বিশ্বাস ভিত্তিতে গড়ে সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করাটা যদি সেক্যুলারিজম তত্ব হয় তাহলে আপনি একজন ধর্মীয় পরিচয় দানকারী, ধর্ম বিশ্বাসী হিসাবে সেই সেক্যুলারিজমকে সমর্থন করেন কি? বর্তমান সরকার এই ব্যবস্থাকে উদার করে দিয়ে নাস্তিকদের দুয়ার খোলে দিয়ে আমাদের প্রজন্মকে ধ্বংস করতেছে তাহা সমর্থন করেন কি?
বিষয়: বিবিধ
১১৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন