"এক চুলও নড়তে পারছিনা" - "আমও যাবে ছালাও যাবে" - "চুলই থাকবেনা" এই বাক্যের মর্মার্থ কি??????
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৪:৩৮:৫৩ বিকাল
রানাপ্লাজা যখন ভেঁঙ্গে পড়েছিল তখন স্থানীয়রা এগিয়ে এসেছিল উদ্ধার কাজে, প্রাণে বেঁচে ছিলেন হাজারও শ্রমীক। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী সহ অন্যন্যরা এসে উদ্ধার কাজে যোগ দিলেও জীবীত উদ্ধার হয়েছেন খুবই কম।
যারা উদ্ধার কাজে যোগ দেন তাদের প্রধান লক্ষ্য হয় যেভাবেই হউক জীবীত উদ্ধার করা, পরবর্তী প্রধান্যতা পায় ক্ষতবিক্ষত হলেও যাতে পঁচেগলে যাওয়ার আগে যেন উদ্ধার করা যায় তারপর আসে ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে হতভাগা আদম সন্তান গুলিকে উদ্ধার করে স্থান পরিচ্ছন্ন করার কাজ।
মোদ্দা কথা হইল "উদ্ধার" করা। উদ্ধার তাকেই করতে হয় যিনি বা যারা আটকা পড়েন কিন্তু নিজের ক্ষমতা শক্তি দিয়ে বাহির হয়ে আসতে পারছেন না আর উদ্ধারকারীর মূল দায়ীত্ব হইল যিনি বা যারা আটকা পড়েছেন তিনি বা তাদেরকে উদ্ধার করা।
এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, যারা উদ্ধার কাজে যোগ দেন তারা আটকা পড়াদের মধ্যে যদি কেউ চরম শত্রুও থাকেন তাকে ফেলে আসেন না বা তাকে উদ্ধারের ক্ষেত্রে অবহেলা করেন না। উদ্ধারকারী তার উদ্ধার কাজকেই প্রধান্য দিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন, প্রাণপন চেষ্টা করেন যতক্ষন তার শক্তি সামর্থে দিয়ে সম্ভব।
মাননীয় সাংসদ মেনন সাহেব বলেছেন "আমও যাবে ছালাও যাবে" মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি "এক চুলও নড়বেন না" মাননীয় প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী বলেছেন "চুলই থাকবেনা"। দেখাযাক, এই তিন বাক্যের কি মর্মার্থ রয়েছে।
"এক চুলও নড়বনা" মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বাক্যকে যদি রানাপ্লেজার সাথে মিলাইয়া দেখি তাতে দেখা যায়, তিনি এমন ভাবে আটকা পড়েছেন যেখানে এক চুলও নড়াচড়া করা সম্ভব নয়, নড়াচড়া করতে চাইলে ধ্বংসস্তুপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপর চেপে বসবে তাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কারণ ধ্বংসস্তুপ চিতকার করে ঘোষনা দিয়েছে নড়চড়া করবেন না যদি করেন "আমও যাবে ছালও যাবে" অর্থাত ধ্বংসস্তুপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বরন করিয়ে দিয়েছেন ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নড়াচড়া করতে গিয়ে "আম এবং ছালা" উভয়টি হারিয়ে ছিলেন। ঐ সময় বিএনপির জন্ম হয় নাই এবং জামায়াতেরও অস্থিত্ব ছিলনা। তাহলে সেই সময়ের ধ্বংসস্তুপের নাম কি?
মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী বলছেন, "চুলই থাকবেনা" অর্থাত আপনি যেই ধ্বংসস্তুপে আটকা পড়েছেন সেখান থেকে আপনাকে শুধু উদ্ধারই করা হবে তাহা নয় বরং সেই ধ্বংসস্তুপও সরিয়ে পরিচ্ছন্ন করা হবে। যেমন রানাপ্লাজা এখন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। উদ্ধারকারীরা তো আটকা পড়ে নাই তারা মুক্ত, এই মুক্ত উদ্ধার কারীর প্রধান দায়ীত্ব হবে রানাপ্লাজায় আদম সন্তানগুলিকে যেই ভাবে ধাপে ধাপে উদ্ধার করে প্লাজাস্থলকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করেছেন সেইভাবে দায়ীত্ব নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা।
আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল, স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের নেতৃত্ব ছিল। স্বাধীনতার পর অসতর্কতার কারণে ধ্বংসস্তুপের কবলে পড়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট "আম এবং ছালা" উভয়টি হারিয়েছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঐ ধ্বংসস্তুপ থেকে রক্ষা পাওয়া এবং ক্ষতবিক্ষত যারা ছিলেন তাদেরকে দিয়ে প্রায় মৃত সেই আওয়ামী লীগে প্রাণের সঞ্চার করেছিলেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ আবারও ঐ ধ্বংসস্তুপের কবলে পড়েছে আটকা পড়েছেন বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাঁসিনা এবং চিতকার করে বলছেন "আমি এক চুলও নড়তে পারছিনা"। এখানে উদ্ধার কাজে বেগম জিয়ার অনেক বড় দায়ীত্ব রয়েছে। আসুন সবাই সম্মিলিত ভাবে "আম ও ছালা" হনন কারী ধ্বংসস্তুপ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধার করি।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন