"লা'ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" দ্বীলে বিশ্বাস করে মূখে পড়েছেন তো? তাহলে আসুন! জাহান্নামের পথ ছাড়ি জান্নাতের সন্ধানে ঝাপিয়ে পড়ি।
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ২৫ আগস্ট, ২০১৩, ০৪:২৮:৩৯ বিকাল
হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনৈতিক দল নয় সূতরাং তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূঁচিও থাকার কথা নয়। সূতরাং "দিশাহীন হেফাজত" শিরোনামটি যথার্থ নয় বরং বলা যাইতে পারে হেফাজতের ভয়ে নাস্তিক শাহবাগীরা কিছু পালিয়েছে, কিছু বোবা হয়ে গেছে এবং কিছু সূর পাল্টিয়েছে। আল্লাহর জমিনে আহলে হকের আলেম ওলামাগন কেয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর করুনায়ই কায়েম থাকবে যখনই দ্বীনের উপর আঘাত আসবে তখনই গর্জে উঠবে।
বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলি যেইসব কর্মসূঁচি দিচ্ছেন বা দিবেন তাহা হাচ্ছে দুনিয়াবী বিষয় আর হেফাজত কখনও দুনিয়াবী বিষয় নিয়ে আন্দোলন করেন নাই এবং করছেন না। তবে হেঁ, দুনিয়াবী ফায়দা লুটনে ওয়ালা রাজনৈতিক দল গুলি হেফাজতের দুয়ারে ধরণা দিয়েছেন ভোটের বক্স ভারী করার জন্য। সরকার ও সরকারী দল হাজারও চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে বিধায় এখন হেফাজতকে বিতর্কীত করে তোলার জন্য নানা কৌশল নিয়েছে। কখনও রাজনীতির সাথে জড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে কখনও জঙ্গী বানানোর চেষ্টা হচ্ছে, কখনও মৌলবাদী ধর্মান্ধ বানানোর চেষ্টা হচ্ছে আবার কখনও অপপ্রচার চালিয়ে নারী বিরোধী বানানোর চেষ্টা হচ্ছে।
হেফাজতকে নিয়ে এতো আলোচনা সমালোচনা কেন? মজার বিষয় হইল, বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র হেফাজতে ইসলামই হচ্ছে ইতিহাসের সর্ব বৃহত্তম অরাজনৈতিক সংগঠন। সারাদেশে যদি (ধারণা) ১০ লক্ষ হেফাজত নেতাকর্মী, সমর্থক শুভানুদ্ধায়ী থাকেন তাহলে তাদের পেচনে রয়েছে ১০ লক্ষ পরিবারের নারী এবং উপযুক্ত ছেলেমেয়ে।
১৯৯১ সালের পর থেকে যারা নির্বাচনী কার্যক্রম মনিটর করেছেন, বিচার বিশ্লেষণ করেছেন তাদের কাছে গিয়ে ২/৪টি প্রশ্ন করুন যে, জাতীয় নির্বাচনে এযাবত গড়ে কত পার্সেন্ট ভোট কাষ্ট হয়েছে আর কত পার্সেন্ট ভোট কাষ্ট হয় নাই, যারা ভোট দিতে আসেন নাই তারা কারা, ভিডিও ফুটেজ দেখলে বুঝা যাবে যারা ভোট দিতে আসেন নাই বা ভোট দেন নাই তাদের বিশাল একাংশ রয়েছে, এই বিশালাংশ কারা?
উল্লেখ্য যে, যারা হেফাজতের মূলে রয়েছেন্ তাদের দৃশ্যমান পরিচয় হচ্ছে মাথায় টুপি থাকবে, গয়ে ছুন্নতী জামা থাকবে এবং যেই কোনো প্রকার ঝামেলা ঝক্কর থেকে দূরে থাকবে। এখন অতীতের নির্বাচন গুলির ভিডিও ফুটেজ দেখুন ভোট কেঁন্দ্রে উল্লেখিত পোষাকী ভোটার লাইনের মধ্যে কতজন আছেন বা আদৌ আছেন কিনা। এটিতো শুধু কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক আলেম ওলামাদের কথা বলা হইল এর বাহিরে এইসব আলেম ওলামাদের অনুসারী, ভক্ত ও সমর্থক শুভানুদ্ধায়ীও রয়েছেন। যারা নিজেরাই ভোট কেন্দ্রে যায়না সেখানে তাদের পরিবারের মহিলারা ভোট দিতে যায় বা যাবে এমনটি ভাবার কোনো অর্থ হয়না।
এবার কিন্তু ভিন্নচিত্র। বর্তমান সরকারের ছত্র ছায়ায় নাস্তিকদের উত্তান দেখে আহলে হকের আলেম ওলামারা গর্জে উঠেছেন। রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে সরকার নানা ভাবে ধর্মীয় বিধি বিধানের উপর চরম আঘাত করে গোটা জাতীর উপর চাপিয়ে দিয়ে মূলত ধর্মপ্রাণ মুসলমান প্রজন্মকে জাহান্নামের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে এবং একই সাথে ধর্মদ্রোহীরা (নাস্তিক) পবিত্র ধর্ম ইসলামার বিরোদ্ধে অবস্থান নিয়ে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুল (সঃ) এর নামে নানা কটুক্তি করে প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে তখন ধর্মপ্রাণ মুসলমান নিরব থাকতে পারে না।
হেফাজতে ইসলামের একটিমাত্র আওয়াজ (ডাক) হচ্ছে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারাই থাক না কেন, ধর্মীয় বিধি বিধানের উপর হাত দেয়া যাবেনা, প্রজন্মকে বিভ্রান্ত থেকে রক্ষা করতে হবে এবং যারা বিভ্রান্ত করছে সেইসব নাস্তিক, ধর্মদ্রোহীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের ৯০% মুসলমানের প্রাণের দাবী বাস্তবায়নের (কিভাবে সম্ভব) জন্য হেফাজতে ইসলাম ১৩টি প্রস্তাব/পরামর্শ তথা দাবী পেশ করেছেন। এর লক্ষ হচ্ছে একটি, রাষ্ট্র পরিচালনা সহ দুনিয়াবী যতকিছুই করনা কেন জাহান্নম থেকে নিজেকে, প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে এবং দুনিয়াবী ফায়দাও অটুট থাকতে হবে। দুনিয়াবী ফায়দা লুটার জন্য জাহান্নামের দিকে ধাবীত হাওয়া যাবেনা আবার জান্নাত পাওয়ার জন্য দুনিয়াকে বর্জন করতে হয়না বা হবেনা কারণ জান্নাত ও জাহান্নামের ঠিকানা দুনিয়ার হায়াতেই অর্জিত হয়।
বর্তমান সরকার নাস্তিক মুরতাদকে সন্তোষ্ট করতে গিয়ে পবিত্র ধর্ম ইসলামের বিধি বিধানকে পরিবর্তনোর চেষ্টা করেছে, অত্যান্ত সূকৌশলে প্রজন্মের "মগজ" ধোলাই (পাঠ্য পুস্তকে দ্বীন বিরোধী শিক্ষা) করার চেষ্টা হয়েছে এবং সরাসরি ধর্মপ্রান মুসলমানের বিরোদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সূতরাং যারা অতীতে কোনোদিন ভোট দিতে যায় নাই তারা এবার ভোট দেবেন এবং এমন দলকে সমর্থন করবেন যারা পবিত্র ধর্ম ইসলামের উপর আঘাত করবেনা না।
তাহলে ভোটের পাল্লা কোন্ দিকে ভারী হয়? বিষয়টি বর্তমান সরকারের ও নাস্তিক পন্থী দলের বুঝে এসেছে তাই হেফাজতে ইসলামকে বিতর্কিত করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে, কড়া নজরদারীতে রেখে ভয় ভীতি দেখিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। নির্বাচন না করে হলেও ক্ষমতা থাকার চেষ্টা হচ্ছে কিংবা নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা হচ্ছে। অনেকে বলেন, নির্বাচন না করে সারাদেশে একটি অসাস্থিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নিজেদের পরিকল্পিত কোনো তৃতীয় শক্তির হাতে ক্ষমতা দিয়ে নিজেদেরই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা হচ্ছে।
বিশেষ নিবেদন হচ্ছে, আপনি যদি "লা'ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" দ্বীলে বিশ্বাস করে মূখে পড়ে থাকেন তাহালে আপনাকে অবশ্যই ঐ সত্যের উপর দাঁড়িয়ে জাহান্মামের পথ পরিহার করে জান্নাতের পথ সন্ধানে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। এটিই হচ্ছে পথভ্রষ্টতাকে ত্যাগ করে দ্বীলের মধ্যে দ্বীনের হেফাজত করা, যারা দুঁনিয়ার লোভে পথভ্রষ্ট হচ্ছেন তাদেরকে সতর্ক করা সত্যে পথে, আলোর পথে নিয়ে আসা তথা হেফাজতে ইসলাম।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন