নারী তেঁতুলের মত। যদি তাহা না হইত নারী পুরুষের সংসারই হইত না।

লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ১৬ জুলাই, ২০১৩, ০৮:৩১:০৯ রাত

আল্লামা শাহ আহমদ সফি নিজে ইসলাম নয়, তিনি অনুসরনীয়, তিনি নিজে যাহা অনুসরন করেন এবং যাহা অন্যকে অনুসরন করতে বলেন তাহাই হচ্ছে ইসলাম। কথাট এজন্যই বলিলাম যারা করব, মাজার পুঁজারী, ভান্ডারীরা অনুসরনীয়কে পুঁজনীয় বানিয়ে ধাঁন্দার জন্য ইসলাম হিসাবে প্রচার করে।

সিলেটী ভাষায় বলতে হয় সারকারের মাথায় দোষ ধরেছে। অর্থাত প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারের ও দলের নেতাকর্মীরা সিটি নির্বাচনের ফলাফল দেখে মানষীক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তবে আশা করতেছে যে, আগামী ৩/৪ মাসের মধ্যেই তারা যেইসব ভূল করেছে তাহা সংশোধন করে নিয়ে আবার জনগনের প্রিয়পাত্র হতে পারবেন। গতকালের তৃতীয় মাত্রায় এমপি ইসরাফীলও একই কথা বলেছে।

বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ তো বটেই বিশ্ববাসীও জানে যে, হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয় তারা কোনো দলের পক্ষে বিপক্ষে নয় তবে তাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল আগামী হাজার বছরেও তৈরী করতে পারবেনা, চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি।

অত্যান্ত নিরহ, নিরস্ত্র, ধর্মপ্রাণ ঘুমন্ত মুসল্লীর উপর যেইভাবে হানাদার বাহিনীর চাইতেও ভয়াবহ বর্বরমত গনহত্যা খে হাঁসিনা চালিয়েছে তাহা দুঁনিয়ার মানবকূল তো বটেই খোদ বিতারিত ইবলিশও হয়ত আফসোস করেছিল। কিন্তু দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী সহ দলের নেতাকর্মীরা নাস্তিকদের সাথে তাল মিলিয়ে হেফাজতে ইসলামের নামে নানা ভাবে অভীযোগ এনে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে যাহা এখন অব্যহত আছে।

সিটি নির্বাচনে ভরাডুবি হাওয়ার পর শেখ হাঁসিনা নিশ্চ্যিত হয়েছেন জাতীয় নির্বাচনে হেফাজতে ইসলাম মহাপ্রলয় ঘটাবে সূতরাং হাতে ৩/৪ মাস সময় আছে এর মধ্যেই হেফাজতে ইসলামকে বিতর্কিত করে দিতে হবে। সরকারের উদ্দিশ্য সাধনের জন্য ২/৪টি টিভি চ্যানেল বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।

আল্লামা শাহ আহমদ সফি সাহেব হাটহাজারীতে ওয়াজ করেছিলেন প্রায় ৩/৪ মাস আগে। গত ৩/৪ মাসের মধ্যে ওয়াজের বাক্যটি নিয়ে কোনো কথাবার্তা হয় নাই। জীবনের শিক্ষার জন্য শুনতে খারাপ লাগে কিন্তু বলা নিষেধ নয় বরং বলতেই হয়। আল্লামা সফি সাহেব নারীকে তেঁতুলের উপমা দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন, এই বাক্যটির আগে এবং পরে আরও ওয়াজ রয়েছে টিভি চ্যানেলটি (দেশ টিভি) এই উপমার সাথে সম্পৃক্ত পুরা ওয়াজটি কেন প্রচার করিলনা?

পরের দিন প্রধানমন্ত্রীও নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে আল্লামা শাহ আহমদ সফির মা, বোন, স্ত্রীর প্রসঙ্গ এনছেন, এবং উনাকে লালায়ীত বলার চেষ্টা করেছেন। আমি ওয়াজটি শুনেছি তাই আল্লামা সফির বিরোদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছেন তাদেরকে উদ্দিশ্যকরেই বলছি। নারী পুরুষ একে অন্যের প্রতি লালায়ীত না হলে নারী পুরুষ সমন্নয়ে সংসার হতনা, দুঁনিয়া আবাদ হতনা, পুরুষের কাছে নারীর বা নারীর কাছে পুরুষের কোনো মূল্য হত না, প্রধানমন্ত্রী সংসার হত না, জয় পুতুলের জন্ম হতনা। লালায়ীত বা আকৃষ্ট হাওয়াটা খোদায়ী অর্থাত আল্লাহ প্রদত্ব।

এই লালায়ীত তথা আকৃষ্টতার মধ্যে রয়েছে বিধি নিষেধ ও সীমাবদ্ধতা। যেমন মা, বোন, ফুফু খালা দেখে লালয়ীত হইও না হারাম হারাম হারাম। বৈধ বন্ধনীর আগে লালায়ীততা তথা আকৃষ্টতার বাস্তবরূপ দিও না (জেনা) হারাম হারাম হারাম। নারী পুরুষ একে অপরের প্রতি কিভাবে আকৃষ্ট হয়? সেটি তিঁতুলের মত যেমন কেউ পাশে বসে তেঁতুল খাইলে অন্যের মূখে লালা আসে অর্থাত তেঁতুল আকৃষ্ট করে সূতরাং রানী তেঁতুলে মত। তার মধ্যে আল্লাহপাক যেই অভয়ব দান করেছেন তার মাধ্যমেই পুরুষ আকৃষ্ট হয়। এই আকৃষ্টতা হারাম এবং হালাল দুইভাবে বিভক্ত হারাম থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখ এবং যে হালাল তাকে হালাল পন্থায় এই আকৃষ্টতাকে মূল্যায়ন, বাস্তবায়ন কর।

আল্লামা সফি সহেবেবের কথা শুনে যারা লজ্জিত হচ্ছেন ক্রদ্ধ হচ্ছেন তাদের তারানা হালিম, চুমকী সহ অন্যন্যর কাছে জিজ্ঞাসা, আপনারা যখন টিভির পর্দায় এসে আপনাদের লোভনীয় অঁঙ্গ প্রদর্শন করে আমাদের মত পুরুষকে নিজের প্রতি আহ্ববান করেন তখর লজ্জাবোধ করেন না? ইন্টারনেটে যখন আপনাদের (প্রভা, মিলা, খেয়া, তিন্নি, পরশী, চৈতী, মীম, বিন্দু, সাউক ইত্যাদির যৌন চিত্তবিনোদনের ভিডিও গুলি দুনিয়া বাসীর সামনে প্রদর্শীত হয় তখন লজ্জাবোধ করেন না? একই প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী কাছেও। যখন আপনাদের মত মেয়েরা ঝাকে ঝাকে আবশীক হোটেল ধরা পরে তখন লজ্জাবোধ করেন না?

বিষয়: বিবিধ

১৬৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File