গাজীপুর নির্বাচনে পরাজিত আজমত সাহেবকে ধন্যবাদ।
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ০৮ জুলাই, ২০১৩, ০৬:০৪:২০ সন্ধ্যা
উনারাও মুসলমান তবে উনাদের জীবনে মুসলমানিয়ত কোথায়?
নির্বাচনে পরাজিত হয়ে পরাজয়কে বরন করার যেই মানষীকতা জনাব আজমতউল্লাহ সাহেব দেখিয়েছেন তাহা সত্যিকার অর্থে একজন বিজ্ঞ এবং সূষ্ট ধরার রাজনীতিকের আসল পরিচয়, আমি তার মনোভাব এবং রাজনৈতিক বিজ্ঞতাকে সম্মান জানাচ্ছি। তবে তার বক্তব্যে দুইটি বিষয়ে দ্বিমত আছে, এখানে শেষেরটা আগে বলছি।
তিনি বলেন:- "বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশে যে কোন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব।"। জনাব, এটি সম্ভব নয়, কারণ দেশের মানুষ জানেন এবং মনেপ্রানে বিশ্বাস করেন যে, সরকার বিশেষ একটি শ্রোগান তৈরীর জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে নাই আর সেই শ্লোগান হচ্ছে "বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশে যে কোন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব"। আজমত সাহেরবের এই মন্তব্যের সাথে একমত পেষণ করছি কারণ তিনি দল করেন তাই স্বাভাবীক ভাবে তিনি দলের কথাটিই বলবেন।
তিনি ধর্মের ব্যবহার নিয়ে বলেন:- "বিশেষ করে ধর্ম নিয়ে, হেফাজতে ইসলাম নিয়ে, ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ সরল বিশ্বাসে তা গ্রহণ করেছেন"।
গত সাড়ে চার বছরের হাজারও জ্বলন্ত ঘটনার মধ্যে শাপলা চত্তরের গনহত্য হচ্ছে ইতিহাসের বর্বরমত ঘটনা যাহা আওয়ামী লীগ করেছে। দেশের ৯০% মানুষ মুসলমান, সত্যিকার মুসলমান কখনও তার ধর্মীয় অনুভুতির উপর আঘাত সহ্য করেন না, কখনও করবেই না। জনাব আজমত সাহেব হয়ত জেনেও না জানার ভান করছেন অথবা তার বুঝে আসছেনা যে, নামাজ পড়া , রোজা রাখা, হারাম বর্জন করা, হারাম প্রতিরোধ করা, জুলম অন্যায় না করা, জুলম অন্যায় প্রতিরোধ করা ইত্যাদি ইত্যাদি যেমন আল্লাহর এবাদত তথা ধর্ম চর্চা ঠিক নাস্তিক মুরতাদ না হাওয়া, প্রজন্মকে নাস্তিকতা থেকে হেফাজত তথা রক্ষা করা এবং নাস্তিকতা ও মুরতাদীকে প্রতিরোধ করাও আল্লাহর এবাদত তথা ধর্ম চর্চা। এটি ঈমানী দায়ীত্ব।
এখন গাজীপুর বাসীরা যদি শাপলা চত্তরের বর্বরতম গনহত্যাকে মাথা রেখে গাজীপুর নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করে থাকেন তাহলে তারা নাস্তিক মুরতাদকে আশ্রয় পশ্রয় দাতা, নিরাপত্তা দাতা, সাহার্য্য সহযোগীতা করা এবং মুসলমানের উপর গনহত্যা কারীকে বর্জন করে জীবনের চাইতেও প্রিয় ধর্মের চর্চা তথা আল্লাহর এবাদতই করেছেন।
মুসলমানের প্রতিটি কর্ম, প্রতিটি নিঃশ্বাসই ধর্ম চর্চা তথা আল্লাহর এবাদত যদি তাহা আল্লাহর শোকরীয়া আদায় করে আল্লাহর সন্তোষ্টি অর্জনের জন্য হয় বা করে থাকেন। জনাব আজমত সাহেবের ধারণা মতে গাজীপুরে যদি তাহাই হয়ে থাকে তাহলে তাহা ধর্মের চর্চা তথা আল্লাহর এবাদত হয়েছে/করেছেন, এটি কখনও ধর্মের ব্যবহার হতে পারেনা। ধর্ম চর্চা জনাব আজমত সাহেব এবং তার দল সহ প্রত্যেক ঈমানদার তথা মুসলমানের উপর "ফরজ"।
বিষয়: বিবিধ
১৬২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন