মধুকূঞ্জে ভার যৌবন জিন্দাবাদ।
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ০২ জুলাই, ২০১৩, ০৭:২৭:০১ সন্ধ্যা
ছবি দেয়ার কারণে আমাকে ভূল বুঝবেন না, ছবিদ্বয় একেবারে অশালীন নয় তবে ইন্টারনেটে উনাদের যেইসব ছবি দেখায় যায় তাহা আসলে পোষ্টের দেয়ার মত ছবি নয়। আজকের মানবজমিনে বাহলুলের দুই রক্ষিতার ছবি দেয়া তো দূরের কথা নামটাও প্রকাশ করে নাই, সংকেতিক নাম "র" এবং "ল" দিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করেছেন। ধরে নিলাম ওদের ভবীষ্যত চিন্তা করে পরিচয় গোপন করা হয়েছে। এরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে সেটি প্রতারনা হবে কিনা এবং সেই সংসার আদৌ সূখের হবে কিনা এখানেই প্রশ্ন।
বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন, আমৃত্যু সূখের স্বপ্ন নিয়েই মানবকূল এই বন্ধনে আবদ্ধ হয়। যারা অন্যের রক্ষিতা হয়ে দেহমন নিলাম করেছে, দেহ ভোগ বিশলাশীতে বিশ্বাসী তাদেরকে দিয়ে সূখের সংসার হয় কি? সত্যকে গোপন করে বিবাহে আবদ্ধ হাওয়া প্রতারনা নয় কি? তারপর ---------? আমাদের পরিচত নায়ীকাদের বিবাহ বছরে কয়েকবার হচ্ছে, সব সময় নতুন চাই অস্বীকার করবেন?
ইনি ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, সূন্দরী বিধায় উনার হাজারও রং। এভাবে উপস্থিত না হলে ধনবান যুবক শিকার করবে কিরে?
----------
তিশার পরিচয় দিতে হবেনা তবে অশালীন ব্লগপোষ্টে নানা ভাবে উপস্থাপিত (ভিডিও সহ) তিশা অন্যন্যদের তুলনায় কম সমালোচিত নয়। চৈতি, তিন্নি, মোনালিশা, বিন্দু, প্রভা, মীম সহ আরও অনেকের কথা বদাই দিলাম। উনারা নাটকে অভীনয় করে আমাদেরকে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা দিয়ে থাকেন, তরুন তরুনীকে নানা ভাবে উতসাহিত করে থাকেন, উনাদেরকে আমরা এই জগতের তারকা হিসাবেই জানি। তবে এইসব তারকাদের নিজস্ব জীবন আচারটি কি রকম? এর জন্য দায়ী কে? সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়, শিক্ষা ব্যবস্থা, নাট্যকার, পরিচালাক, নারী ভোগী বিত্তবানেরা, অভিনেতা অভীনেত্রী? আসলে কারা!! মিতু গলায় দড়ি দিয়ে মরল কেন? মডেল ও নায়ীকাদের আনাগোনা কোথায়? ঢাকা মধুকূঞ্জের সংখ্যা কত? মানবজমিন বলেছে ১৫ শত।
--------------------------------------
চলুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে আসি। আজকের মানবজমিন রিপোর্ট।
[img] মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান। ডাক নাম বাহলুল। সোঁজা কথা নয় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মানুষ গড়া তার কাজ। সারাদেশে প্রতিদিন শত মানুষ নানা ভাবে মরছেন সেই খবর কে রাখে তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রের গয়ে তুলা পড়লেও তুলকাম সৃষ্টি হয়ে যায় কারণ সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, সে শুধু দেশ নয় বরং দুনিয়ার ভবীষ্যত। আর যারা এইসব মানুষ গড়ে তোলেন তাদের মর্যাদাস্থান কোথায়? হয়ত বলা হবে মহা আকাশে। সূতরাং এই মহা আকাশের রত্নদের মধ্যে বাহলুল সাহেবও একজন।
তিনি অবিবাহিত তবে এক নয় দুই রক্ষিতার অধিকারী অর্থাত দেহক্ষূধা (জৈবিক) নিবারনের জন্য দুই দুইজন রক্ষিতা রেখেছেন তারাও আবার একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বলুন তো! দুনিয়ার ভবীষ্যত আর মানুষ গড়ার কারিগর যদি এমন হয় তাহলে দুনিয়ার অবস্থা কেমন হবে?
দুই রক্ষিতা বাহলুলকে বিবাহ করার স্বপ্নে তাদের দেহমন আগে থেকেই নিলাম করে দিয়েছে বাহলুলের দরবারে। সমস্যা দেখা দিয়েছে বাহলুল যখন রক্ষিতাকে রক্ষিতার জাগায় রেখে তৃতীয় একজনকে নিয়ে সংসারের স্বপ্ন দেখছেন ঠিক তখনই রক্ষিতারা তেলেবেগুনে হয়ে গেছে। মজার বিষয় হইল রক্ষিতারা তৃতীয়কে মেনে নিতে পারছেনা অথচ তারা নিজেরাই দুইজন। তাহলে কি বাহলুল একই আসরে বসে দুইজনকেই বিয়ে করবে?
প্রশ্ন আসে, বাহলুল রক্ষিতাকে রক্ষিতার জাগায় রেখে তৃতীয়কে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন কেন? তিনি হয়ত বুঝতে পেরেছেন, রক্ষিতারা হল ভোগ বিলাশের উপকরণ আর সংসারের জন্য দরকার ঘরনী তথা স্ত্রী। রক্ষিতা দিয়ে সংসার হয়না কারণ এরা যদি তার (বাহলুল) রক্ষিতা হতে পারে তাহলে এরা একই সাথে অন্য কারও রক্ষিতাও হবেনা বা হয় নই সেই গ্যরান্টি কি?
যেই মেয়ে বন্ধন বিহীন নিজেকে অন্যের কাছে সোপার্দ করতে পারে সেই মেয়ে নিজেকে আরও অনেকের কাছে সোপার্দ করে নাই বা করবেনা সেই নিশ্চয়তা আছে কি? যদি নিশ্চ্যয়তা না থাকে তাহলে সেই মেয়েকে দিয়ে সংসার হবে কি? আমার বুঝে আসেনা মানবজমিন মেয়েদ্বয়ের পরিচয় গোপন করে "র" ও "ল" বুঝানোর চেষ্টা করেছে কেন।
পরিচয় পাওয়া না গেলে তাদের দ্ধারা বাহলুলের মত কার্তিক মাসের কুকুর প্রতারিত হইলে আপত্তি নাই, কিন্তু সমাজের ভাল মানুষও তো প্রতারিত হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সমাজের ভাল মানুষ গুলিকে বাঁচানোর জন্য তাদের পরিচয় প্রকাশ করা জরুরী নয় কি?
আমাদের উচ্চতর শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী লিভটুগেদার করা আধুনিক উন্নত সাংস্কৃতি হয়ে গেছে। ছাত্রীরা সর্বউচ্চ নম্বর পাওয়ার জন্য আগে থেকেই শাড়ী উল্টিয়ে রাখে, মাত্র ৫ বছর আগের কথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জৈনিকা প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হাওয়ার জন্য একাদিক শিক্ষকের ভোগ্য উপকরণ হয়েছে (সংবাদপত্রের রিপোর্ট) শেষ পর্যন্ত সে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয়েছিল কিনা জানা যায় নাই।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন এক পর্যায়ে এসেছে প্রেম ভালবাসা এবং লিভটুগেদার করার শিক্ষাই বেশী প্রধান্য পাচ্ছে এটি না হলে আধুনিক হাওয়া যায়না, তাই তো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈনিক শিক্ষক শালীন পোষাকী ছাত্রীকে ক্লাসে ঢুকত না দেয়ার ঘোষনা দিয়েছিলেন। আধুনিকা বাঁধনের খবর তো কারও অজানা নয় তবে আরও কত বাঁধন আড়ালে রয়ে গেছে সেই খবর কে রাখে?
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ৃয়া "ফারজানা" যৌতুকের অজুহাত তোলে বিবাহ আসরেই স্বামীকে "তালাক" দিয়ে আরেক মহীয়শী নারী ভুমিকায় অবতীর্ন হয়েছিল পরবর্তীতে জানা যায় নাই আসলে ঘটনা কি। বর্বর স্বামী জুঁইয়ের হাত কেটে দিয়েছিল, হাত কেটে দেয়াটা অবশ্যই বর্বরতা তবে এই বর্বরতার পেছেনের রহস্য কি কেউ জানেনা।
আজকের লিভটুগেদার এবং কার্তিক মাসের কুকুর বাহলুলের দুই রক্ষিতর ঘটনা দিয়ে বিচার করলে ফারজানা এবং জুঁইকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হয়। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা, শিক্ষক ছাত্রী, ছাত্র ছাত্রীর লিভটুগেদার সংখ্যা কত? জানা দরকার যে, প্রেম ভালবাসার নামে জৈবিক ক্ষূধা নিবারনীর সংখ্যা কত। এক সংবাদকে কেন্দ্র করে বহুদিন আগে সোনার বাংলা ব্লগে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অবিবাহিত ছাত্র ছাত্রীর বিবাহ বন্ধনের আগে প্রত্যেককে মেডিক্যাল টেষ্ট করা দরকার সেই সময় "বাঁচতে হলে জানতে হবে" ব্যস প্রচারিত হচ্ছিল। যারা এই বিজ্ঞাপনে অভীনয় করেছে আজকে তাদের পরিচয় ব্যস আলোচিত।
হেফাজতীদের ১৩ দফার মধ্যে একটি দফা আছে শিক্ষাঙ্গন থেকে ক্রমান্নয়ে সহশিক্ষা পরিহার করতে হবে, যতদিন না সহশিক্ষা পরিহার করা সম্ভব না হয় অন্তত ততদিন পর্যন্ত প্রত্যেককে শালীন পোষাকী হতে হবে। প্রজন্মকে আদব, আদর্শীক, সামাজিক, মানুষত্বের চরিত্রে গড়ে তোলার জন্য এটি খুবই জরুরী। আমাদের কথাকথিত সাংস্কৃতিক গুরু এবং লিভটুগেদার বাহিনীর কাছে হেফাজতীদের এই দাবী তথা প্রস্তাব পছন্দ হয় নাই। পছন্দ হয় নাই আমাদের নারী জগতের মহা নেত্রীদের কাছেও।
পছন্দ হবেও বা কেন? এমনটি হলে তো ভরা যৌবনের মজা নেয়া যায়না। এমনটি হলে মানুষ থেকে বাহলুলের মত কুকুর হাওয়া যায়না। এমনটি হলে আধুনিক ডিজিটাল হাওয়া যায়না। এমনটি হলে লিভটুগেদারের সাংস্কৃতিতে ভাটা পড়ে। এমনটি হলে টিভিতে কিশোরী তরুনী, যুবতী প্রদর্শন করে ধাঁন্দা করা যাবেনা। এমনটি হলে ঘাঁটে ঘাঁটে দেহ নিলাম করে মিস আমিরিকা, মিস ওয়ালর্ড হাওয়া যাবেনা। এমনটি হলে ঢাকার ১৫ শত মধুকূঞ্জ বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটি হলে স্কুল কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী উপহার দিয়ে সরকারের টেন্ডার পাওয়া যাবেনা। এমনটি হলে নারী নেত্রীদের ধাঁন্দাবাজী বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটি হলে প্রভা, পরশী, বিন্দু, তিন্নি, মীম, মনোলিশা, চৈতিদের জগতে আগমন বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটি হলে নায়ীকা গায়ীকা জগতে ছাড়িয়া ধর, ছাড়িয়া ধর এই নতুনত্ব পাওয়ার স্বপ্ন ধ্বংস হয়ে যাবে। এমনটি হলে দেশে পুরুষ নামী কুকুরের অভাব দেখা দিবে। এমনটি হলে কিছু গনমাধ্যমের ধাঁন্দা বন্ধ হয়ে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
৫০৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন