কেন এতো লজ্জাকর ভরাডুবি?
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ১৬ জুন, ২০১৩, ০৪:২৭:০৬ বিকাল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের সাথে একমত নই। তিনি সম্পূর্ণ ভাবে একটি রাজনৈতিক মন্তব্য করেছেন মাত্র। গুলশানের সর্বাধুনিক ঘরে ঘুমানোর ব্যবস্থা আছে কিন্তু পাক ঘরে চুলা জ্বলেনা পকেটে টাকাও নেই অর্থাত ক্ষুধা নিবারনের সামর্থ তথা ব্যবস্থা নেই এই ক্ষেত্রে ঐ সর্বাধুনিক ঘরের বাসিন্দাকে কোন্ দৃষ্টিতে দেখব? ধানীক শ্রেনী? নাকি ব্যর্থতা।
৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার জনগনের দৈনন্দিন চাহিদা পুরনে শতভাগ সমর্থ না হলেও মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য নিয়ে সন্তোষ্ট ছিল, জনগন সামর্থহীন গরীব ছিলনা তবে দেশ ছিল গরীব অর্থাত দেশের রিজার্ভ ফান্ড ছিল প্রায় শুন্যের কোটায়, পত্রিকায় পড়েছি আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়ার সময় দেশের রিজার্ভ ফান্ড ছিল সারে তিন হাজার কোটি ডলার।
জনগন দেশের রিজার্ভ ফান্ড কত আছে সেটি দেখেনা খবর রাখেনা বুঝেনা, সে বুঝে এক বেলা খেয়েছে আরেক বেলার খাবার আছে কিনা, যদি থাকে তখন সে সন্তোষ্ট। সেইবার আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছিল তাদের চিরচরিত চরিত্র গুন্ডামী ছান্ডামী সন্ত্রাসী দখলবাজী জোড় জুলম নির্যাতনের কারণে। অর্থাত কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় নেতা কর্মীদের লাগাম ছেড়ে দিয়েছিল, তারা যার যেমন ইচ্ছা করেছে। বেগম জিয়ার ক্লিনহার্ট অপারেশন ছিল জালেমীর বিরোদ্ধে।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে জনগনের দৈনন্দিন চাহিদা পুরনে আওয়ামী লীগের তুলনায় ব্যর্থ হয়েছিল অর্থাত জনগনের ক্রয় ক্ষমতা বুদ্ধি না করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ছিল তবে রিজার্ভ ফান্ড উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিল অর্থাত জনগন কিছুটা দারিদ্রতার দিকে আসলেও দেশ ধনীত্ব লাভ করছিল। তবে নিশ্চেত ভাবে বলা যায় দেশ এবং জনগন একটি সমান্তারল অবস্থানে ছিল।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিএনপির রেথে যাওয়ার সেই সমান্তাল অবস্থার ধারা বাহিকতা রক্ষা করে নাই। ৯৬ সালে বিএনপির অভীযোগ ছিল সরকার দেশের রিজার্ভ ফান্ড খেয়ে ফেলেছে। সম্ভবত আওয়ামী লীগ বিএনপির সেই অভীযোগটি আমলে নিয়েছে এবার, তবে সরকার চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছে সমান্তরাল অবস্থানের ধারা বাহিকতা রক্ষায়।
সরকারের যুক্তি ব্যাখ্যায় জনগনের পেট ভরেনা, উধাহরণ দিয়ে বলা যায় প্রতি ইউনিট ১.৭৫ টাকার বিদ্যুত এখন ৯ টাকায় নিতে হয়, লোডশেডিংও আছে, তারপরেও ধরে নিলাম ঘরে বিদ্যুত জ্বলছে খুশি হলাম কিন্তু বিদ্যুতের আলোতে বসে খাওয়ার জন্য খাবার নাই চুলা জ্বলেনা, ৪০/৪৫ টাকায় কাঁচা তরকারী, ৩২ টাকায় ডিমের হলি, ২০০/২৫০ টাকায় মাছের কেজি ৩৫০ টাকায় মাংস, অন্তত পান্থাভাত হলেও খাওয়ার জন্য ১৬/১৮ টাকার লবনের টাকা পকেটে নাই। যার দুই ছেলেমেয়ে আছে স্কুলে যায় তাদের পেছনে প্রতি মাসে (গ্রামের গরীব শ্রেনী) কমপক্ষে তিন থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ আছে অন্যতায় বাবা মায়ের স্বপ্ন পুরন হয়না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় দৈনিক মোবাইল বিল ব্যয় আছে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই শত টাকা অথচ উপর্জনের কোনো ক্ষেত্র নাই কিন্তু আমাদের রিজার্ভ ফান্ড সন্তোস জনক আমরা দেশ হিসাবে ধানীত্বের দিকে।
একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায় ভারতে ৬৮% মানুষ দারিদ্র সীমানার নিচে বসবাস করে আর ভারত দেশ হিসাবে বিশাল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দেশ। মনেহয় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের সেই ফরমুলা অবলম্বন করেছে। জনগন বর্তমান আওয়ামী লীগ থেকে মূখ ফিরিয়ে নেয়া আর হাজারও কারণ রয়েছে, তারমধ্যে উল্লেখযোগ হল, সরকার মানুষের ধর্ম বিশ্বাসের উপর চরম আঘাত করেছে, সরকার বুঝার চেষ্টা করে নাই যে, দেশের মানুষ জীবন দিতে প্রস্তুত কিন্ত কখনও তার পবিত্র ধর্মের উপর আঘাত সহ্য করেনা। সেক্যুলারিজম কোনো ধর্ম বিশ্বাসীদের ধর্ম দর্শন নয়। এই দর্শন আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে যেমন দুই ধর্মাবলম্বীর মধ্যে বিবাহ বন্ধন আমাদের সামাজিক ভাবে এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে বৈধ নয় অথচ এখানে শাসনতান্ত্রিক ভাবে কোনো বিধি নিষেধ নেই বরং সেক্যুলারিজন দর্শনে (আসলে কোনো দর্শনই নয়) ব্যক্তি স্বাধীনতার আলোকে রাষ্ট্র এই বন্ধনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে তাহলে এই বন্ধনের পরবর্তী প্রজন্মের পরিচয় কি? কাউকে আহত করা আমার উদ্দিশ্য নয়, শ্রেফ বুজার জন্য বলছি, আমাদের রাজেন্দ্র মজুমদারের সন্তান সন্ততীর ধর্মীয় পরিচয় কি আমরা কেউ জানিনা। মৃত্যু অবধারীত, তাদের জীবনাবশানের পর স্বশ্নানে নেব? নাকি কবরস্থানে, প্রত্যেক ধর্ম বিশ্বাসীরা তদের সমাধীস্থলের পবিত্রতা রক্ষায় অনড়। বর্তমান সরকার এই দর্শন দেশের ১৬ কোটি মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। প্রতিবাদীকে নির্বিচারে রাতের অন্ধকারে হত্য করেছে। বিরোধী রাজনীতিকে দমন করা এহেন কোন কৌশল নাই যাহা এই সরকার করে নাই। আর লুটপাট, দখলবাজী দলীয় করণ ইত্যাদি তো দৃশ্যমান।
বিষয়: বিবিধ
১৬৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন