আল্লাহুম্মা বাল্লিগনা রামাদান

লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ১৩ জুন, ২০১৩, ০৪:৩৩:৫০ বিকাল

ভাই ও বোনেরা, শাবান মাস শুরু হয়েছে আসছে পবিত্র সিয়ামের মাস রামাদান। এই মাসেই রয়েছে হাজার মাসের চাইতেও উত্তম "লাইলাতুল ক্বদর" পবিত্র রমাজন মাসে একটি ফরজ আদায় করিলে ৭০ ফরজের হাঁসানা পাওয়া যায়, একটি সুন্নতের বিপরীতে একটি ফরজের এবং একটি নফলের বিপরীতে একটি সুন্নতের হাঁসানা পাওয়া যায়। এটি এমনটি মাস যেই মাসের এবাদতের পুরস্কার আল্লাহ ছোবাহানু তায়ালা নিজের হাতে বাঁন্দাকে দিবেন বলেছেন।

দ্বীনের ৫টি উসুল: ১. ঈমান। ২. নামাজ। ৩. রোজা। ৪. হজ্ব। এবং ৫. যাকাত। আল্লাহ, রাসুলগন, আসমানী কিতাব সমুহ, ফেরেস্তাকুল, কেয়ামতদিবস, তকদীর সহ ইত্যাদির উপর পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস রাখার নামই "ঈমান" যারা পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস রাখেনা তারা মোশরেক। মুসলমান এবং মোশরেকের মধ্যে দৃশ্যমান পার্থক্য হইল "নামাজ" যারা ঈমানদার তারা সর্বউত্তম এবাদত নামাজ পড়েন আর যারা মোশরেক তারা নামাজ পড়েনা।

আল্লাহ প্রদত্ব কেলেন্ডার আরবী সনের একটি মাসের নাম "রামাদান" এটি আরবী সনের নবম মাস। এই মাসেই আল্লাহ ছোবাহানাহু তায়ালা বাঁন্দর গুনাহ সমুহ মাপ করে জান্নাতের পথ সুগম করেন, সেই বাঁন্দাই ভাগ্যবান যার হায়াতের মধ্যে রমজান মাস উপস্থিত হয়ে এবং স্বীয় গুনাহ সমুহ মাপ করাইতে পেরেছেন। হতভাগা সেই বাঁন্দাই যে হায়াতে রমজান মাস পেয়েছে অথচ গুনাহ সমুহ মাপ করাইতে পারে নাই বা রমাজন মাসকে গুরুত্ব দেয় নাই।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজর হাতে রমজান মাসের রোজার হাঁসানা বাঁন্দাকে পুরস্কৃত করবেন। ব্যাখ্যাকারী গন বলেন, চেহেরীর পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ক্ষুধার্থ বাঁন্দা ইচ্ছা করিলে ডুব দিয়ে পানি পান করতে পারত, ঘর বন্ধ করে পেট ভরে খাবার খাইতে পারত, পাহাড়ে জঙ্গলে গিয়ে কেউ না দেখেমত কোনো না কোনো কিছু খেয়ে ক্ষূধা নিবারন করতে পারত কিন্ত সে করেনা আল্লাহর ভয়ে, দুঁনিয়ার কেউ দেখুক বা না দেখুন আল্লহ তো দেখছেন সূতরাং ফাঁকি দেয়া যাবেনা। এই যে আল্লাহ দেখছেন "ঈমান" আল্লহর ভয়। সেই ভয়, ঈমানের, তাকওয়ার পুরস্কার আল্লাহ নিজ হাতে দিবেন।

ভাই ও বোনেরা,

রমজান মাস হচ্ছে রহমতের মাস, বরকতের মাস, মগফেরাতের মাস, দোয়া কবুলের মাস, আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাস, গুনাহের পথ থেকে দ্বীনের পথে ফিরে আসার মাস, প্রতিশ্রুতি দেয়া এবং প্রতিশ্রুতি নেয়ার মাস, কম সময়ে অধীক হাঁসানা লাভের মাস ইত্যাদি ইত্যাদি। ঐ ভাই বোনের কোনো এবাদতই কবুল হবেনা রমজান মাসেও, যারা স্বীয় বাবা মাকে তুচ্ছ করে, কষ্ট দেয় অবাধ্য হয়, অপদস্ত করে, অসম্মানিত করে, প্রয়োজনীয় খবরা খবর রাখেনা ইত্যাদি ইত্যাদি। বাবা মায়ের কদমের নিচেই সন্তান সন্ততীর জান্নাত। অর্থাত যেই বাবা মা সন্তান সন্ততীর দ্ধারা কষ্ট পেয়েছেন আর বাবা মা ক্ষমা করেন নাই সেই সন্তান সন্ততীর জন্য (যতই আবেদ হউক না কেন) জান্নাত হারাম, জাহান্নাম তার ঠিকানা।

কারণ যেই সন্তান সন্ততী বাবা মাকে কষ্ট দেয় তার কোনো এবাদতই আল্লাহ কবুল করেন না। আর যার এবাদতই কবুল হয়না সে কিভাবে জান্নাত আশা করে? তাই আসুন, আমরা জীবিত বাবা মায়ের কাছে গিয়ে স্বীয় দোষের জন্য ক্ষমা প্রার্থী হই, এই দোষ আর হবেনা ওয়াদা করি এবং তখন থেকে বাবা মায়ের জন্য অর্পিত দায়ীত্ব পালন করে বাবা মাকে সন্তুষ্ট রাখি, তাদের কাছে নিজের কল্যাণের দোয়া চাই, আল্লাহর দরবারে বাবা মায়ের দোয়া সর্বগ্রে কবুল হয়।

যাদের বাবা মা সন্তান সন্ততীকে ক্ষমা না করে ইহকাল ত্যাগ করেছেন সেই সব সন্তান সন্ততীও নিরাশ হাওয়ার কোনো কারণ নাই, বিশ্লেষক গন বলেন বাবা মায়ের জীবদ্বশায় দোষ কররেও মৃত বাবা মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জান্নাত নছীবের জন্য নিয়মিত দোয়া কর, আল্লাহর কাছে তাদের মগফেরাত চাও, আল্লাহ রহমানুর রহিম, আল্লাহ ক্ষমা প্রার্থীকে ভালবাসেন, ক্ষমা করেন, পরামর্শ দেয়া হয়েছে খালেছ নিয়তে বাবা মা যাদের (বন্ধু, স্বজন) সাথে যোগাযোগ রাখতেন তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা কর, তাদের সেবা শুশ্রুবা কর, আল্লাহ পরম করুনাময়। আমীন, ছুম্মা আমীন।

বিষয়: বিবিধ

১৮০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File