নব্যমধ্যযুগ থেকে নারী সমাজকে উদ্ধার করতে হবে।
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ০৪ মে, ২০১৩, ০৫:২৩:১৭ বিকাল
যেই কোনো দাবী যেই কোনো পক্ষ থেকে আসতে পারে, দাবী করাটা অপরাধ নয়। যারা দাবী করেন শাসক শ্রেনী ঐ দাবী গুলি নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করতে পারেন দাবী গুলির যৌক্তিকতা কি, মানলে কেন মানা হবে আর না মানলে কেন মানা হবেনা তাহা যৌক্তিক আলোচনার মধ্যেই সমাধান করা সম্ভব।
প্রথম থেকেই আমরা সরকারের পক্ষ থেকে নিরবতা দেখেছি মনে হয়েছে হেফাজত ইসলাম পাত্তা পাওয়ার মত কোনো সংগঠন নয় মনে করেছে সরকার। ৬ই এপ্রিল হেফাজতের সমাবেশ দেখার পর সরকারের মধ্যে একটি আঁতঙ্ক বিরাজ করতেছে লক্ষ্য করেছি, সরকারের পতন হবে কিংবা আইন শৃঙ্খলার অবনতি হবে সেই আঁতঙ্ক নয়, উনারা সরকারের পতন ঘটাতে আসেন নাই আবার চ্যালেঞ্জ করার মত বিষয় হইল উনারা এতই সূশৃঙ্খল ভাবে সমাবেশ করেছেন যাহা যুগ যুগ ধরে যারা রাজনৈতিক সমাবেশ করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছেন তারা কখনও এত সূশৃঙ্খল ও শন্তিপূর্ণ সমাবেশে এতো লোকের জমায়েত করতে পারেন নাই। টিভি টক'শোতে নেতারা শাপলা চত্তরে কত লোকের জমায়েত হয়েছিল এবং যারা আসতে পারেন নাই তারাও কত হবেন তাহা বলতে বিব্রতবোধ করেছেন।
উনারা যেহেতু জাতীর বিশাল একটি অংশ প্রমান হয়েছে সেহেতু সরকার শান্তিময় আলোচনার জন্য সূচিন্তিত সিদ্দান্ত নিতে পারিতেন প্রয়োজনে বিরোধী দলীয় শীর্ষ নেতাদের নিয়ে একটি সম্মিলিত কমিটির মাধ্যমে উনাদের সাথে আলোচনায় বসিতে পারিতন। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, আমরা দেখেছি সরকারের নেতা মন্ত্রীরা উনাদেরকে রাজনৈতিক দলের সাথে গুলি ফেলার চেষ্টা করেছেন, নানা অভীযোগ এনে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছেন, অনেক নেতামন্ত্রী আছেন প্রকাশ্যে কথাবার্তা বক্তৃতা বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ সফি সাহেবের সাথে চরম বেয়াদপী করেছেন।
সমালোচনা কারীরা একবারও চিন্তা করেন নাই যে, মাত্র তিন বছর আগে জন্ম নেয়া অরাজনৈতিক এই সংগঠনটি যদি এক ডাকে ১৫/২০ লক্ষ মানুষের জমায়েত ঘটাতে পারে তাহলে নিজেরা যুগ যুগ ধরে রাজীনিতি করে সমাবেশে ১০ হাজার মানুষের সমাবেশ ঘটাতে পারেন না কেন।
৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর সমাবেশে সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে ১০ লক্ষ মানুষের সমাবেশ হয়েছিল দাবী করা হয়। তখন একটি প্রেক্ষাপট ছিল উর্ধু ভাষীর বিরোদ্ধে বাংলাভাষীর সমাবেশ, শোষণ জুলমের বিরোদ্ধে সমাবেশ, অধীকার আদায়ের সমাবেশ, নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্থান্তরের সমাবেশ, তখন ঝাপিয়ে পড়েছিল বাংলাভাষীরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে। এখন ১৫/১৬ কোটি মানুষ তার মধ্যে ৯০ ভাগ মুসলমান, ৯৩ বছর বয়স্ক আল্লামা শাহ আহমদ সফির এক ডাকে যদি ১৫/২০ লক্ষ মানুষের জমায়েত হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে ৭ই মার্চের সামাবেশের তুলনায় এই সমাবেশ কোনো ভাবেই গুরুত্বহীন নয় এবং অতুলনীয় নয়।
কেন এই সমাবেশের ডাক দিতে হল তাহা শাসক শ্রেনীকে বুঝতে হবে, বঙ্গবন্ধু কখনও আলোচনার পথ বন্ধ করেন নাই তিনি শেষ মূহূর্ত পর্যন্ত আলোচনা করেছেন, বর্বর হানাদারেরা নিরহ নিরস্র মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়ার পর যুদ্ধ শুরু হয়, ঘোষিত হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ।
বিষয়: বিবিধ
১৫৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন