মানব অধীকার কর্মী সোলতানা কামালের আত্নোসন্তোষ্টি। কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৩০ হাজার কারাবন্ধী আছেন ৭২ হাজার।

লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ১৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:৩৪:২২ বিকাল



--------------------------------------------------------------

নাস্তিকেরা তো আছেই মূলত বাম নাস্তিকদের মস্তিস্ক সোলতানা কামাল, কবির চৌধুরী (মৃত) খুশি কবির, শারিয়ার কবির, মুনতাসির মামুনেরাই দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী ।

৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়ে তেমন গুরুত্ব দেয় নাই, ২০০৭ সালের মাঝামাঝি থেকে ফখরুদ্দিন মইনউদ্দিনের ঘাঁড়ে বসে "ঘাদনী" (আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন) সচ্চার হয় রাষ্ট্রীয় ভাবে উইনাটেড ন্যাশনে অভীযোগ করায় এবং আওয়ামী লীগকে প্রভাবিত করে নির্বাচনী অঙ্গিকারে যুদ্ধাপরাধ বিচারকে সংযুক্ত করে। তখন আওয়ামী লীগ এক ঢিলে হাজার পাখি শিকারের স্বপ্ন দেখে, ফখরুদ্দিন মইউনউদ্দিকে দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করা, জোট থেকে জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করা এবং বামপন্থীদের সমন্নয়ে পরিকল্পিত নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করা। প্রতিশোধ মুলক হউক বা নিয়মতান্ত্রিক হউক বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্য সম্পন্ন করা ইত্যাদি ইত্যাদি।

আওয়ামী লীগ ও সরকার জাতীয় পর্টির সাথে অনেক বিষয়ে ওয়াদা ভঁঙ্গ করলেও বামদের সাথে বেইমানী করে নাই। নির্বচানের আগেই ২৭০/৮০ টি আসন আওয়ামী লীগের জন্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল (জনাব জমির সাহেব সাংবাদিকের কাছে নির্বাচন শুরু হাওয়ার প্রায় ১০০ ঘন্টা আগে আনুষ্টানিক ভাবে নিশ্চ্যিত করেছিলেন)। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে স্বীয় পরিকল্পনায় সফল হলেও চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছে চার দলীয় বিএনপি জোট ভাঁঙ্গনের ক্ষেত্রে। যুদ্ধাপরাধের বিচার বিষয়ে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে তাহা আওয়ামী লীগ ভাল ভাবেই জানে কিন্তু আওয়ামী লীগের ভেতর ও বাহিরে বামদের ধাপটে আওয়ামী লীগ নিজেরই অস্থিত্ব হারিয়ে ফেলেছে (দলের দেশপ্রেমী বর্ষীয়ান নেতাদেরকে দায়ীত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়াই জ্বলন্ত প্রমান)। দলের ভেতর নতুনদের আগমন (প্রায় বাম ঘরনার) ও ধাপট আওয়ামী লীগকে আরও অস্তীত্বহীন করে গড়ে তোলে ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাঁসিনা একক ক্ষমতাবান হলেও বামদের ধাপটে মূলত সিদ্দান্তহীনতার অন্ধকারে নিমজ্জিত।

ক্ষমতায় এসে বিএনপিকে ধ্বংস করা, জামায়াত নিঃছ্ছিন্ন করা, সংবিধান সংশোধন করা, বিতর্কিত নারীনিতি, শিক্ষানিতি প্রনয়ন, ভারত তোষন এবং আজকের শাহবাগ প্রজন্ম চত্তর, ধর্মপ্রান মুসলমানের উপর নানা নির্যাতন ও পবিত্র ধর্ম ইসলামের উপর চরম আঘাত, হিন্দু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর (বাবার ভয়ে খৃষ্টানদের দিকে চোখ তোলেনি) ছাত্রলীগ যুবলীগ দিয়ে সম্প্রদায়ীক সম্পৃতি ধ্বংস করার চক্রান্ত ইত্যাদি ইত্যাদি কিছুই আওয়ামী লীগের নয় এগুলি বরং সরকার ও দলের ভেতরে বাম নাস্তিকতা বাদীদের ধাপটের ফসল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাঁসিনা এমন এক জাগায় এসে দাঁড়িয়েছেন জলে নামিলে কুমির আর স্থলে বাঘের মোকাবিলা করতে হচ্ছে অথচ পাশে কেই নেই। আজ সোলতানা কামালেরা মানব অধীকারের মন্ত্র শুনাইয়া মানবপ্রেমী হাওয়ার যেই চেহেরা প্রদর্শন করতেছে এটি তাদের আসল চেহেরা নয়। গত সারে চার বছরে সরকার ও আওয়ামী লীগ গোটা জাতীর উপর যেইসব অমানবীক কর্মকান্ড করেছে তাহা সরকার বা আওয়ামী লীগ করেছে বলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। আজ গোটা জাতী আওয়ামী সরকারকে জালেম সরকার বলছে। আওয়ামী লীগ ও সরকার জালেম হইল কেন? কারা এই জালেমী চরিত্রের রূপকার? এবং কেনই বা তারা আওয়ামী লীগকে জালেমী রূপে রূপায়ন করিল তাহা আজ প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থকেই ভাবতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, অনেকের শাস্তি হয়েছে তবে তখন বঙ্গবন্ধুর প্রতিপক্ষ কারা ছিল? কেন হত্যা করা হয়েছিল? বঙ্গবন্ধুর এমন কি দোষ ছিল যার কারণে তাকে জীবন দিতে হল? আজকের প্রজন্ম তাহা জানতে চায়। এই পরিকল্পনাকারী যদি বিদ্ধমান থাকে তাহলে জাতীর ভবীষ্যত অন্ধকার।

বিষয়: বিবিধ

১৭১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File