যুক্তিতর্ক শেষ তবে রায় হবে কি?

লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ১৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:১৭:৪০ বিকাল



যুক্তিতর্ক শেষ হলেও ট্রাইব্যুনালের চুড়ান্ত রায় ঘোষনা না দেয়ার সম্ভাবনা বেশী। সরকার ইতিমধ্যে রায় ঘোষনার অভীজ্ঞতা অর্জন করেছে আর সামনে যেই ভাবেই হউক নির্বাচন করতেই হবে। সরকারের মন্ত্রীদের উচ্চবাক্য ছিল এই সরকারের আমলেই গ্রেপ্তাকৃতদের বিচারকার্য শেষ করবে এবং রায় কার্যকর করবে, এখন সরকার নিজের সমর্থকগোষ্টি ও শাহবাগীদেরকে কি জবাব দিবে জানিনা তবে জাবাব যাহাই দেয়া হউক না কেন সেই জবাব বাজারজাত হবে কিনা সন্দেহ আছে কারণ ট্রাইব্যুনাল তো বটেই ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরাও বিতর্কিত হয়েছেন, একই সাথে সরকারের রাজনৈতিক কৌশলের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাইদী সাহেবের রায়ের পর সরকারের যেই অভীজ্ঞতা হয়েছে সেই অভীজ্ঞতার আলোকে আগামী রায়গুলি সরকার কিভাবে হেন্ডেল করবে তাহা দেখার বিষয় কারণ শুধু নিন্ম আদালতের রায় ঘোষনায় (উচ্চতর আদালত রয়ে গেছে) যদি পরিস্থিতি এমন হয় উচ্চতর আদালতের চুড়ান্ত রায় ও রায় কর্যকরের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কেমন হতে পারে এবং দেশের শাসন তান্ত্রিক ব্যবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকিবে তাহা রাজনীতিকেরা নিশ্চ্যই মাথায় রেখে সিদ্দান্ত গ্রহন করেন। তার একটি প্রমান ইতিমধ্যে জনসম্মুখে এসেছে, তাহা হইল জামায়াতকে নিষিদ্ধ করনের দাবী।

শাহবাগীরা প্রকাশ্যে দাবী করতেছে আর বামপন্থীরা দোদূল্যমান হয়ে ফুঁ দিচ্ছেন অপর দিকে সরকার কোনো সিদ্দান্ত নিতে পারছে না, প্রধানমন্ত্রী বলছেন উচ্চতর আদালতে রীট হয়েছে এটি বিচারাধীন বিষয় সূতরাং নির্বাহী আদেশে সম্ভব নয় সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য জনাব নসিম সাহেব বলছেন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করণ বা না করণ বিষয়টি তাহা জনমতের উপর নির্ভর করতেছে। তার মানে জনমত যাচাইয়ের জন্য গনভোটের আয়োজন করতে হবে কারণ টিভির পর্দায় বকাবকি করে তো জনমত নির্ধারণ করা যায়না, জনগনকে বোকা বানানোর চেষ্টা হয় মাত্র সূতরাং এক কথায় বলা যায় সরকার সিদ্দান্তহীনতায় ভোগছে।

মূলত বর্তমান সরকার তিন দিক থেকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিল করতেছে। ১. তত্ত্বাবদায়ক সরকার পুঃনপ্রতিষ্টা করন এটি রাজনৈতিক ও সর্বস্তরের গনমানুষের দাবী। ২. বিতর্কিত যুদ্ধাপরাধ বিচারের রায় ও রায় কার্যকর করণ। এটি আইন শৃঙ্খলা তো বটেই একই সাথে দেশে গৃহযুদ্ধ বা যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করার মত বিষয়। ৩. গত চার বছর ধরে নাস্তিক মুরতাদেরা সরকারের ছত্র ছায়ায় তলে তলে শক্তি অর্জন করে মূলত আওয়ামী লীগকে বিপাকে ফেলেছে, আওয়ামী লীগ এখন বুঝতে পারছে যে বামপন্থীরা তাদের জন্য জামায়াতের চাইতেও হাজারগুন বেশী ভয়ানক পক্ষ। এরা মূল দলে ঠাইঁ করেছে এখন শাহবাগী দিয়ে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন গুলিও দখলে নিয়েছে। এই নাস্তিকেরা আওয়ামী লীগের ঘাঁড়ে বসে শাহবাগীর মাধ্যমে নিজেরা যেই নাস্তিকতা দর্শন ললন করে তাহা উম্মক্ত করেছে ফলে ধর্মপ্রাণ আলেম ওলামার সাথে ধর্মপ্রাণ মুসলমান তো বটেই অন্যন্য ধর্মাবলম্বীরাও ফেটে পড়েছেন কারণ প্রত্যেকেই স্ব্ স্ব ধর্মে বিশ্বাসী কেউ ধর্মহীনতায় নয়। হেফাজতে ইসলামের এই বজ্রকন্ঠ বাংলাদেশের আকাশ বাতালও উত্তাল করে দিয়েছে, হেফাজতে ইসলামের এই সুনামীর আঘাতে আওয়ামী লীগের ভোটের ব্যঙ্ক চুড়মার হয়ে গেছে। এখন জানিনা বর্তমান আওয়ামী তথা শেখ হাঁসিনার সরকার এই চ্যালেঞ্জকে কিভাবে মোকাবিলা করে ঘুড়ে দাঁড়াবে। তবে ইতিমেধ্য প্রধানমন্ত্রী নতুন বাণী শুনাচ্ছেন যে "মদিনার সনদ" অনুসারে দেশ চলবে আবর বর্ষার ব্যঁঙ বলছেন ইসলামের সূন্দর নিতি ধারণ করে সূন্দর দেশ গড়বে। জনগন যদি জিজ্ঞাসা করে গত সাড়ে চার বছর কি করেছিলেন? নির্বাচনের আগে আগে হঠাত এই নতুন দর্শন কেন? দলের নাস্তিকদের ঠিকানা কোথায় হবে? তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বর্ষার ব্যঁঙ জনসম্মুখে কি জবাব দিবেন জানতে ইচ্ছে হয়।

বিষয়: বিবিধ

১৮৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File