স্বপ্নের সেই বিপ্লব কি আসন্ন? অপবিপ্লব প্রতিরোধ করার নামও বিপ্লব
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ১০ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:৪২:৩১ দুপুর
সজাগ স্বচেতন ও সর্বদা প্রস্তুত থাকার সময় এসেছে। যারা ৭১ দেখে নাই বা বুঝে নাই, যারা ৭৫ দেখে নাই বা বুঝে নাই তারাই আজ নতুন প্রজন্ম। এই প্রজন্মের বয়স এখন ১৮ থেকে ৫০/৫৫ বছর বয়সী। শেখ মুজিবের প্রধান প্রতিপক্ষ (শত্রু) ছিল আজকের বামপন্থীরা। বামপন্থী নিধন করে ১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্টের জন্ম দিয়ে ছিলেন শেখ মুজিব। ৭৫ এর আগে মতিয়ারাই শেখ মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাঁজানোর ঘোষনা দিয়েছিল তবে ভগ্যের নির্মম পরিহাস মতিয়ারাই দলে দলে মরেছিল, শেষ রক্ষা হয় নাই শেখ মুজিবেরও। মতিয়ারা থেমে থাকে নাই, তারা দলে দলে যোগদান করেছে আওয়ামী লীগে শেখ মুজিবের চামড়া না পাইলেও শেখ হাঁসিনার চামড়ার আশা ছড়ে নাই। তাই আওয়ামী লীগের ঘাঁড়ে বসে দখল করেছে প্রশাসনযন্ত্র, দখল করেছে শিক্ষাঙ্গন, সাংস্কৃতিক অঙ্গন, বিশেষ করে গনমাধ্যম প্রায় ৩৮ বছরে দখল করেছে খোদ আওয়ামী লীগকেও।
বামপন্থী নাস্তিকেরা বিশ্বাস করে নির্বাচনের মাধ্যমে কখনও রাষ্ট্র ক্ষমতা পাবেনা তাই তারা একটি বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে এর জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষমতাধর প্রশাসনিক প্রতিষ্টান, শিক্ষাঙ্গন, বিচারালয়, মিডিয়া অঙ্গন এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গন দখলে রাখা। আওয়ামী লীগের ক্ষমাতায়নের মাধ্যমে তারা স্বীয় স্বপ্নে শতভাগ সফল হয়েছে এখন সময় এসেছে সেই স্বপ্নের বিপ্লব ঘটিয়ে দেয়ার। তারা বিরোধী শক্তিকে আওয়ামী লীগের মাধ্যম কারারুদ্ধ করেছে অত্যান্ত পরিকল্পিত ভাবে যাতে বিপ্লবের সময় আওয়ামী লীগ শক্তিতে কেউ যেন সহয়তা করতে না পারে।
এখন শেখ হাঁসিনার চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাঁজানোর সময় উপস্থিত হয়েছে হইতে পারে আগামী ডিসম্বরের আগে আগেই একটি নিরব বিপ্লব ঘটে যাবে, শেখ হাঁসিনা নিঃছিন্ন হয়ে যাবে (তিনি নিজেও এটি জানেন, তাইতো স্বীয় পরিবারের কাউকে রাজনীতিতে আনেন নাই) তার আশে পাশেরা বিপ্লবে যোগ দেবে যেমনটি খোন্দকার মোস্তাকের সময়ে করেছিল। ---- বামপন্থীদের ভয় আঁতঙ্কও কম নয়, সারাদেশের গ্রাম মহল্লা পর্যায় থেকে মাত্র তিন মাসেই গড়ে উঠেছে অরাজনৈতিক সংগঠন "হেফাজতে ইসলাম" যাহা এই বামপন্থীরা সারা জীবন রাজনীতি করে গড়ে তোলতে পারে নাই এখন হেফাজতে ইসলামই তাদের একমাত্র আঁতঙ্ক।
রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা যায় কিন্তু ধরে রাখার ইতিহাস বাংলাদেশে নাই। বামপন্থীরা যেইসব অঙ্গন গুলি ইতিমধ্যে দখলে নিয়েছে ৬ই এপ্রিলের সমাবেশের পর অবস্থা বুঝে ঐ অঙ্গন গুলি এখন কোমর বেঁধে মাঠে নেছে, আওয়ামী লীগের ভেতর বাম ভাবাপন্ন যারা আছেন তারও এখন সচ্চার। বুলবুল, শ্যামল, চোবাহানেরা ইতিমধ্যে প্রচারনা শুরু করে দিয়েছে, নারী সংগঠন গুলিকে জগিয়ে তোলছে। আওয়ামী নেতাদের অনেকে হেফাজতে ইসলামকে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে এখন টাকার খেলার কল্প কাহিনী বাজারে এনেছে। হেফাজতের জনসমুদ্র দেখে তাদের চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে, কোনো প্রকারে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করলেও ধরে রাখার জন্য জন সমর্থন দরকার অন্যতায় ৪২ বছরের ইতিহাস তো সামনে আছে, জন সমর্থনের ক্ষেত্রে হেফজতে ইসলাম বিরাট এক বাঁধা কারণ এই সংগঠনটি অরাজনৈতিক এবং দলমত নির্বিশেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা এখনে যোগ দিয়েছে, এখানে যারা এসেছেন ব্যক্তিগত ভাবে প্রত্যেকেই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত অথচ হেফজতে ইসলামের ডাকে সারা দিতে তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে নাই, ব্যবহার করার সুযোগও নাই। প্রত্যেকের একটি মাত্র পরিচয় আমরা মুসলমান, আমরা নবী (সঃ) প্রেমী আমাদের দ্বীলে ইসলামে দ্বীনকে হেফাজত করতে হবে, যারা পবিত্র ইসলামকে কটাক্ষ করবে, প্রিয়নবী (সঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করবে তাদের ক্ষমা নাই, প্রতিরোধ করতে হবে, এরা নাস্তিক, এরাই ইসলামের দোষমন, মানবতার দোষমন, আল্লাহদ্রোহী। বাংলার মানুষের দ্বীলে ভাষা অনুমান করে বিপ্লবের স্বপ্ন সর্গে যারা আছেন তারা আঁতঙ্কিত তাই মাঠে নামিয়েছে দখলে থাকা অঙ্গন গুলিকে।
স্বধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় পতাকাকে উচিয়ে রেখে শান্তির একটি পতকার ছায়া তলে এগিয়ে আসতে হবে যাতে পশ্চিম বঙ্গে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া নাস্তিকেরা যেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে স্থান না পায়। আমরা কেউ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি নয়। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরীক, আমরা মুসলমান। আমাদের রবের বিরোদ্ধাচরন, আমদের প্রিয়নবীর নামে অপপ্রচার চালাবে, কটুক্তি করবে তাহা কোনো ঈমানদার সহ্য করতে পারেনা সূতরাং আমাদেরকে ঈমানের পতাকা তলে দাঁড়াতে হবে। নাস্তিকদের দালালেরা যতই অপপ্রচার চালাক না কেন আমরা সেই অপপ্রচারকে ঘৃনার সাথে থু থু মেরে প্রত্যাখ্যান করব, নাস্তিকেরা আমাদেরকে বিভ্রান্ত করতে পারবেনা ইনশাআল্লহ।
বিষয়: বিবিধ
১২২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন