মুত্তাকী ও মুমিনদের গুণাবলী

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:৩৫:৫৭ দুপুর

মুত্তাকীদের গুণাবলী:

.................................


১) আলিফ লাম মীম।

২) এটি আল্লাহর কিতাব, এর মধ্যে কোন সন্দেহ নেই। এটি হিদায়াত সেই ‘মুত্তাকী’দের জন্য

৩) যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, নামায কায়েম করে এবং যে রিজিক আমি তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে খরচ করে।

৪) আর যে কিতাব তোমাদের ওপর নাযিল করা হয়েছে (অর্থাৎ কুরআন) এবং তোমার আগে যেসব কিতাব নাযিল করা হয়েছিল সে সবগুলোর ওপর ঈমান আনে আর আখিরাতের ওপর একীন রাখে।

৫) এ ধরনের লোকেরা তাদের রবের পক্ষ থেকে সরল সত্য পথের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং তারা কল্যাণ লাভের অধিকারী।
[সূরা আল বাকারাহ,আয়াত ১-৫]

সূরা আল বাকারার প্রথম পাঁচ আয়াতের ভিত্তিতে মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

১) মুত্তাকীগণ অদৃশ্যে বিশ্বাস করে,

২) তারা নামাজ কায়েম করে,

৩) আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছেন তা থেকে(আল্লাহর পথে) ব্যয় করে,

৪) তারা কুরআনসহ সকল আসমানি কিতাবের প্রতি অবিচল বিশ্বাস পোষণ করে এবং

৫) তারা পরকালের ওপর দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রাখে।

মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি -আমরা যেন প্রকৃত মুত্তাকীদের কাতারে আসতে পারি,মহান রবের পক্ষ থেকে সরল সত্য পথের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারি এবং দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করতে পারি। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সেই তাওফিক দান করুন। আমীন।



মুমিনদের গুণাবলী:

..........................




১) নিশ্চিতভাবে সফলকাম হয়েছে মু’মিনরা

২) যারা নিজেদের নামাযে বিনয়াবনত হয়,

৩) বাজে কাজ থেকে দূরে থাকে,

৪) যাকাতের পথে সক্রিয় থাকে,

৫) নিজেদের লজ্জা-স্থানের হেফাজত করে,

৬) নিজেদের স্ত্রীদের ও অধিকারভুক্ত বাঁদিদের ছাড়া, এদের কাছে (হেফাজত না করলে) তারা তিরস্কৃত হবে না,

৭) তবে যারা এর বাইরে আরও কিছু চাইবে তারাই হবে সীমালংঘনকারী,

৮) নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে

৯) এবং নিজেদের নামায গুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে,

১০) তারাই এমন ধরনের উত্তরাধিকারী যারা নিজেদের উত্তরাধিকার হিসেবে ফিরদাউস, লাভ করবে

১১) এবং সেখানে তারা থাকবে চিরকাল।
[আল মুমিনূন আয়াত নং; ১-১১]

সূরা আল মুমীনুনের ১-১১ আয়াতের ভিত্তিতে মুমিনদের গুণাবলী হল-

১) মুমিনরা নামাযে বিনয়াবনত হবে,

২) তারা বাজে কাজ বা কথা থেকে দূরে থাকবে,

৩) তারা যাকাত বা পরিশুদ্ধির ব্যাপারে সক্রিয় থাকে,

৪) তারা নিজেদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করে,

৫) তারা নিজেদের আমানত রক্ষা করে,

৬) নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে এবং

৭) তারা তাদের নামায সমূহকে যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে।

এইসব গুণাবলীর অধিকারী যারা হবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদেরকে জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এবং তারা এই স্থানের চিরস্থায়ী বাসিন্দা হবে।

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই গুণগুলি অর্জন করার এবং প্রকৃত মুমিন হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।

বিষয়: বিবিধ

৩২১৮ বার পঠিত, ৫৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

339915
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
এ,এস,ওসমান লিখেছেন :
৬) নিজেদের স্ত্রীদের ও অধিকারভুক্ত বাঁদিদের ছাড়া, এদের কাছে (হেফাজত না করলে) তারা তিরস্কৃত হবে না,


আপু এখানে অধিকারভুক্ত বাঁদি বলতে কি বোঝাছে?
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
281276
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : সূরা আল মুমিনুনের ৭ নং ব্যাখ্যা দেখে নিন...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
281277
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : http://banglatafheem.com/index.php?option=com_quran&id=23&view=quran&Itemid=56
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৫৫
281575
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : অধিকারভূক্ত দাসী বলাটা কিছুটা ভাল বাঁদি বলাটা সঠিক না।ইতিহাসে দেখা যায়, প্রাচীন সেমিটিক, গ্রীক, রোমানরা যৌনদাসীর মত জঘন্য কালচার শুরু করেছিল। সাধারণত যখন তারা কোন দূর্বল জাতিগোষ্ঠীর উপর আক্রমণ করত তখন সম্পদ লুন্ঠন, বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ, গণহত্যা পরিচালনা, শিশুহত্যা, যুবকদের দাস হিসেবে বন্দী এবং সাধারণত যুবতী নারীদের বন্দি করে নিয়ে যেত। এসব বন্দী নারীরা হাজার হাজার সৈনিকের দ্বারা ধর্ষিত হত, এবং যৌনদাসী হিসেবে তাদেরকে বিক্রি করা হত। পতিতালয় বানিয়ে তাদেরকে জোড় করে সৈনিকদের লালসার শিকার বানানো হত এবং অনেককে যৌন নির্যাতনের দ্বারাই হত্যা করা হত। দাস বা দাসী হত্যা রোমানদের জন্য আনন্দদায়ক খেলা ছিল। আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্হেও উল্লেখ করা হয়েছে যখন তাতারী মঙ্গোল হালাকু খান ইরাক, সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য আক্রমণে লন্ডভন্ড করে, তখন হাজার হাজার মুসলিম তরুণীকে ধর্ষণ করা হয় এবং তাদের যৌনদাসী বানানো হয়।, পতিতালয় বানিয়ে দীর্ঘদিন তাদের উপরে যৌন নির্যাতন চালানো হয়, অনেককে হত্যা করা হয়। আর আধুনিক কালের কথা বাদ দিলাম।
ইসলামের আগমণের সময় তিনভাবে কৃতদাস বা দাসী সংগৃহীত হত।
১. যুদ্ধবন্দী
২. অপহরণ
৩. ঋণগ্রস্হ মানুষ যখন ঋণ পরিশোধ করতে পারতোনা তখন মহাজনরা তাদের দাস/দাসী বানিয়ে নিজেরা রাখত বা অন্যের নিকট বিক্রি করে দিত। অনেক দাসীর মালিক অর্থ উপার্জনের উপায় হিসেবে দাসীদের দিয়ে জোড়বশত পতিতাবৃত্তি করাত।

ইসলাম যুদ্ধবন্দী ছাড়া দাস/দাসী সংগ্রহের সকল পথ নিষিদ্ধ করে দেয়। যেহেতু আপনার টপিক দাসী বা অধিকারভূক্ত দাসী তাই সেটি নিয়েই বলছি। ইসলাম যুদ্ধ করে ২টি বিষয়কে সামনে রেখে_
১. আগ্রাসন প্রতিহত করা।
২. নির্যাতিত মানুষকে রক্ষা করা।
এসব যুদ্ধে মুসলিমরা যাদের বন্দি করত তারা মূলত আগ্রাসী বা হামলাকারী কাজেই এদের বন্দী করার যৌক্তিক কারণ আছে। আর এই বন্দীত্বও আবার চীরস্হায়ী না বরং সাময়িক। এসব ক্ষেত্রে তাদের বন্দী করা হতো কিছু বিষয়কে সামনে রেখে যেমন: মুসলিম বন্দীর সাথে বিনিময়, অর্থমূল্যে মুক্তি, মুসলিম সমাজের উন্নয়নে তাদের মেধা ও শ্রম খাটাবার বিনিময়ে মুক্তি, নিঃশর্ত মুক্তি ও ক্ষমা প্রদান। তাছাড়া তখন কোন জেলখানাও ছিলনা যেখানে বন্দীদের রাখা যায়, ফলে যুদ্ধবন্দীদেরকে যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী কোন মুসলিমের জিম্মায় বা নিরাপত্তায় ছেড়ে দেয়া ছাড়া কোন উপায় ছিলনা। এটাকেই ইসলাম বলছে অধিকারভুক্তি। যারা তাদের জিম্মায় বা নিরাপত্তায় থাকছে তাদেরকে বলা হচ্ছে অধিকারভুক্ত দাস/দাসী। এক্ষেত্রে একজন যুদ্ধবন্দী নারী শুধুমাত্র যুদ্ধে অংশ নেয়া একজন মুসলিম পুরুষের জিম্মায় থাকছেন তিনি শত শত পুরুষ দ্বারা ধর্ষিত হচ্ছেননা, কারো দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেননা।
একজন দাসী যার অধিকারভুক্ত হয়েছে বা যার জিম্মায় আছে তার সাথে অর্থের বিনিময়ে মুক্তির (মুকাতাবা) চুক্তি করতে পারে। এক্ষেত্রে মুসলিম পুরুষ তার অর্থচুক্তি প্রস্তাব ফীরিয়ে দিতে পারবেননা, এমন প্রস্তাব পেলে তিনি বাধ্য সেই চুক্তিতে সম্মত হতে। আবার এই যুদ্ধবন্দীনী তার মুক্তির অর্থ মুসলিমদের কাছ থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন।উম্মুল মুমেনীন জুওয়ায়রিয়া, রায়হানা ও সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহারা কিন্তু প্রথমে যুদ্ধবন্দী নারী হিসাবেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসেছিলেন। পরবর্তীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেন। তাই আজকে আমরা হযরত জুহায়রিয়া, হযরত রায়হানা ও হযরত সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহাকে উম্মুল মুমিনীন বলি। যেমন: বনু মুস্তালিক যুদ্ধে জুওয়ায়রিয়া বিনতে হারিস (রাঃ) যখন বন্দী হন এবং সাবিত ইবনে কায়েস আনসারী (রাঃ) এর অধিকারে পরেন তখন তিনি সাবিত (রাঃ) এর সাথে অর্থের বিনিময়ে মুক্তির চুক্তি করেন এবং সেই অর্থ সংগ্রহ করার জন্য স্বয়ং রাসূল (সাঃ) এর নিকট গিয়েই অর্থসাহায্য কামনা করেন, তিনি ছিলেন বিধবা এবং রাসূল (সাঃ) তাকে প্রস্তাব দেন, এটা কি ভাল হয়না যে, আমি সাবিত (রাঃ) কে আপনার মুক্তির অর্থ পরিশোধ করে দেই এবং সে অর্থকেই মোহরাণা হিসেবে ধার্য করে আপনাকে বিবাহ করি?
প্রস্তাবে জুওয়ায়রিয়া (রাঃ) রাজি হন এবং যখন রাসূল (সাঃ) তাকে বিয়ে করেন তখন মুসলিমগণ বনু মুস্তালিকের বন্দী ১০০ জন নারী-পুরুষকে বিনা শর্তে মুক্তি দিয়ে দেন। তাদের কাছে কোন অর্থ চাওয়া হয়নি কোন শর্তও চাপানো হয়নি। জুওয়ায়রিয়া (রাঃ) এর সন্মানে এমনটি করা হয়। এবং যখন বনু মুস্তালিকের ১০০ জন নারী-পুরুষ আপন গোত্রে ফীরে যায় এমন জুওয়ায়রিয়া (রাঃ) এর সাথে রাসূল (সঃ) এর বিয়ের খবর ও তাদের মুক্তির খবর শুনে তখন গোটা গোত্রটিই ইসলাম কবুল করে মুসলিম হয়ে যায়।
মহিলা যুদ্ধবন্দি যদি কোন অর্থের বিনিময়ে মুক্তি (মুকাতাবা) চুক্তির আবেদন না করে, এক্ষেত্রে সে তার অধিকারকারী পুরুষের অধিকারভুক্ত দাসীর (স্ত্রীর) মর্যাদা পায়। এই অধিকারভুক্ত দাসীদের সাথে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌনকাজও ইসলামে মানা। সূরা নিসার ২৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে ইবনে কাসিরে বলা হয়েছে যে, কারো যদি যুদ্ধবন্দী কোন নারী বা ক্রীতদাসীর প্রতি আকর্ষন বোধ হয় তাইলে সে তাকে বিয়ে করে তারপর তার সাথ মিলিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বুখারী শরীফের ১০ খন্ড পৃষ্ঠা ৩০৬ তে ২৯১২ অনুচ্ছেদে সূরা নূরের ৩৩ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে হযরত ওমরের খিলাফত কালে সরকারী মালিকানাধীন এক গোলাম গনীমতের পঞ্চমাংশে প্রাপ্ত একটি দাসীর সাথে জোর জবরদস্তিমূলকভাবে যিনা করে। হযরত উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু উক্ত গোলামকে কশাঘাত করলেন ও নির্বাসন দিলেন। অর্থাৎ কেউ যুদ্ধবন্দী নারী বা তার অধিনস্থ দাসীর সাথে ইচ্ছার বাইরে যৌনকাজ করলে তার উপর হুদুদ প্রয়োগ হবে। কাজেই এখানে শর্ত বিয়ে। সে বন্দি হিসেবে থাকবেনা বরং সব ধরণের চলাফেরার স্বাধীনতা ভোগ করে। এবং তার ভরণপোষণের যাবতীয় দায়িত্ব বর্তায় তার অধিকারকারী পুরুষের উপর। তার সন্তান হলে সেই সন্তান অধিকারকারী পুরুষের বৈধ সন্তান, দাস না এবং সন্তান হিসেবে সে পিতার সম্পত্তির অধিকার লাভ করে। একজন স্বাধীন নারীর বিয়ের সাথে তার পার্থক্য হল, সে কোন মোহরাণা পাবেনা যেহেতু সে স্বাধীন নয়, বরং অধিকারভূক্ত। কিন্তু সে একজন স্ত্রীর যাবতীয় অধিকার ভোগ করছে। যেই আল্লাহ কোটি কোটি কাফিরদের উপর দয়া করছেন, যেই নবী মক্কা বিজয়ের পর হাজার হাজার অপরাধীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তারা যুদ্ধবন্দীনীকে ধষর্ণের হুকুম দিবেন এটা হাস্যকর ও নাস্তিক্য যুক্তি যা স্পষ্টত মিথ্যাচার। কাজেই আশা করব আপনার কাছে ব্যাপারটি পরিষ্কার হবে আমার জ্ঞান যতটুকু ততটুকু দিয়ে বলার চেষ্টা করেছি। আল্লাহ আমদের সঠিক বুঝ দিন আমীন।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১২:১১
281585
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : বুঝতে সময় লাগলেও বুঝেছি।
আলহামদুল্লিলাহ।আল্লাহ আপনাকে উত্তর প্রতিদান দিন @ঘুম ভাঙাতে চাই
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১২:৪২
281592
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : চমৎকার উত্তরের জন্য শুকরিয়া। জাজাকাল্লাহু খাইর ।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১১
281693
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ঘুম ভাঙাতে চাইকে বিশেষ ধন্যবাদ। কিন্তু তুমিতো নোটিফিকেশন পাবে নাWorried
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১৫
281695
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : 'তোমাদের মুখ পূর্ব দিকে বা পশ্চিম দিকে ফিরাবার মধ্যে কোন পুণ্য নেই। বরং সৎকাজ হচ্ছে এই যে, মানুষ আল্লাহ, কিয়ামতের দিন, ফেরেশতা আল্লাহর অবতীর্ণ কিতাব ও নবীদেরকে মনে প্রাণে মেনে নেবে এবং আল্লাহর প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের প্রাণপ্রিয় ধন-সম্পদ, আত্মীয়-স্বজন, এতীম, মিসকীন, মুসাফির, সাহায্য প্রার্থী ও ক্রীতদাসদের মুক্ত করার জন্য ব্যয় করবে। আর নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দান করবে। যারা অঙ্গীকার করে তা পূর্ণ করবে এবং বিপদে-অনটনে ও হক–বাতিলের সংগ্রামে সবর করবে তারাই সৎ ও সত্যাশ্রয়ী এবং তারাই মুত্তাকী।' আল বাকারাহ,আয়াত নং-১৭৭
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১৬
281696
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : মনমরা হয়ো না, দুঃখ করো না, তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো।' আলে ইমরান; আয়াত নং- ১৩৯
339923
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৩৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১২
281694
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১৭
281697
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : 'আচ্ছা, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না কেন? যে ব্যক্তিই তার অঙ্গীকার পূর্ণ করবে এবং অসৎকাজ থেকে দূরে থাকবে, সে আল্লাহর প্রিয়ভাজন হবে। কারণ আল্লাহ মুত্তাকীদের ভালোবাসেন।' আলে ইমরান; আয়াত নং- ৭৬

০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১৮
281698
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :
আল্লাহ যদি তোমাদের সাহায্য করেন তাহলে কোন শক্তি তোমাদের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারবে না। আর যদি তিনি তোমাদের পরিত্যাগ করেন, তাহলে এরপর কে আছে তোমাদের সাহায্য করার মতো? কাজেই সাচ্চা মুমিনদের আল্লাহর ওপরই ভরসা করা উচিত।আলে ইমরান; আয়াত নং-১৬০

339933
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:১৫
আফরা লিখেছেন : জাজাকিল্লাহ খাইরান গুরুজী ।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১৯
281699
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদ জুনিয়রHappy
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১৯
281700
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আর যে ব্যক্তি কোন সৎকাজ করবে, সে পুরুষ বা নারী যেই হোক না কেন, তবে যদি সে মুমিন হয়, তাহলে এই ধরনের লোকেরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের এক অণু পরিমাণ অধিকারও হরণ করা হবে না।আন্ নিসা; আয়াত নং-১২৪
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২০
281701
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এরা যে সৎকাজই করবে তার অমর্যাদা করা হবে না। আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে খুব ভালোভাবেই জানেন।আলে ইমরান; আয়াত নং-১১৫
339954
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৪২
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ জাযাকিল্লাহ খাইরান আপুমনি।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২০
281702
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২২
281703
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হে মুহাম্মাদ! এসব গায়েবের খবর, যা আমি তোমাকে অহীর মাধ্যমে জানাচ্ছি। এর আগে তুমি এসব জানতে না এবং তোমার কওমও জানতো না। কাজেই সবর করো। মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে শুভ পরিণাম।হুদ; আয়াত নং- ৪৯
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২২
281704
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি দ্বীন থেকে ফিরে যায়, (তাহলে ফিরে যাক) , আল্লাহ‌ এমনিতর আরো বহু লোক সৃষ্টি করে দেবেন, যাদেরকে আল্লাহ‌ ভালবাসেন এবং তারা আল্লাহকে ভালবাসবে, যারা মুমিনদের ব্যাপারে কোমল ও কাফেরদের ব্যাপারে কঠোর হবে,যারা আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনা করে যাবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে চান তাকে দান করেন। আল্লাহ‌ ব্যাপক উপায় উপকরণের অধিকারী এবং তিনি সবকিছু জানেন।আল মায়েদাহ; আয়াত নং-৫৪
339973
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫২
শেখের পোলা লিখেছেন : মহান আল্লাহ আমাদের প্রকৃত মুমিন হওয়ার তৌফিক দিক৷ ধন্যবাদ আপনাকে৷
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২৩
281705
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২৩
281706
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে, তাঁর রসূলকে ও মুমিনদেরকে নিজের বন্ধু রূপে গ্রহণ করে তার জেনে রাখা দরকার, আল্লাহর দলই বিজয়ী হবে।আল মায়েদাহ; আয়াত নং-৫৬
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২৪
281707
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : যারা আল্লাহকে ভয় করে তাদের জন্য যে জান্নাতের ওয়াদা করা হয়েছে তার অবস্থা হচ্ছে এই যে, তার পাদদেশে নদী প্রবাহিত হচ্ছে, তার ফলসমূহ চিরস্থায়ী এবং তার ছায়ার বিনাশ নেই। এ হচ্ছে মুত্তাকীদের পরিণাম। অন্যদিকে সত্য অমান্যকারীদের পরিণাম হচ্ছে জাহান্নামের আগুন।. আর্ রাদ; আয়াত নং-৩৫
339974
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৯
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

"যারা নামায আদায় কারী,
যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে
এবং যাদের ধন-সম্পদে নির্ধারিত হক আছে যাঞ্ছাকারী ও বঞ্চিতের
এবং যারা প্রতিফল দিবসকে সত্য বলে বিশ্বাস করে
এবং যারা তাদের পালনকর্তার শাস্তির সম্পর্কে ভীত-কম্পিত, নিশ্চয় তাদের পালনকর্তার শাস্তি থেকে নিঃশঙ্ক থাকা যায় না,
এবং যারা তাদের যৌন-অঙ্গকে সংযত রাখে কিন্তু তাদের স্ত্রী অথবা মালিকানাভূক্ত দাসীদের বেলায় তিরস্কৃত হবে না, অতএব, যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে, তারাই সীমালংঘনকারী,
এবং যারা তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে
এবং যারা তাদের সাক্ষ্যদানে সরল-নিষ্ঠাবান
এবং যারা তাদের নামাযে যত্নবান,
তারাই জান্নাতে সম্মানিত হবে।
আল-মাআরিজ - ২২-৩৫


যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে,
যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে
আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে,
বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন।
তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে
আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন?
তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না
এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না।
আলে ইমরান - আয়াত ১৩৪-১৩৫

যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে
এবং তাদের সাথে যখন মুর্খরা কথা বলতে থাকে, তখন তারা বলে, সালাম।
এবং যারা রাত্রি যাপন করে পালনকর্তার উদ্দেশ্যে সেজদাবনত হয়ে ও দন্ডায়মান হয়ে
এবং যারা বলে, হে আমার পালনকর্তা, আমাদের কাছথেকে জাহান্নামের শাস্তি হটিয়ে দাও। নিশ্চয় এর শাস্তি নিশ্চিত বিনাশ;
বসবাস ও অবস্থানস্থল হিসেবে তা কত নিকৃষ্ট জায়গা।
এবং তারা যখন ব্যয় করে, তখন অযথা ব্যয় করে না কৃপণতাও করে না এবং তাদের পন্থা হয় এতদুভয়ের মধ্যবর্তী।
এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না,
আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না
এবং ব্যভিচার করে না।
এবং যারা মিথ্যা কাজে যোগদান করে না
এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়
এবং যাদেরকে তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ বোঝানো হলে তাতে অন্ধ ও বধির সদৃশ আচরণ করে না।
এবং যারা বলে,
হে আমাদের পালনকর্তা,
আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং
আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে
আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর
এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।
আল-ফোরকান - আয়াত ৬৩-৭৪


আরো কিছু বৈশিষ্ট্য ও গুণের কথা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন আয়াতে ছড়িয়ে আছে!

আমরা যেন ঐসব অর্জন করতে পারি এবং আল্লাহর সন্তোষ নি্য়ে দুনিয়া ছাড়তে পারি..


জাযাকিল্লাহ...
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২৭
281708
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : জ্বি ভাই, আপনি ঠিকই বলেছেন আরও অনেক আয়াত রয়েছে। কিন্তু আমি শুধু এখানে সুরা আল বাকারার প্রথম পাঁচ আয়াত আর সূরা আল মুমিনুনের প্রথম ১১ আয়াতের ভিত্তিতেই এই বৈশিষ্ট্য গুলি লিখেছি।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২৮
281710
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : -অন্যদিকে যখন মুত্তাকীদেরকে জিজ্ঞেস করা হয়, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে কী নাযিল হয়েছে, তারা জবাব দেয়, “সর্বোত্তম জিনিস নাযিল হয়েছে।” এ ধরনের সৎকর্মশীলদের জন্য এ দুনিয়াতেও মঙ্গল রয়েছে এবং আখেরাতের আবাস তো তাদের জন্য অবশ্যি উত্তম। বড়ই ভালো আবাস মুত্তাকীদের,

-চিরন্তন অবস্থানের জান্নাত, যার মধ্যে তারা প্রবেশ করবে, পাদদেশে প্রবাহিত হতে থাকবে নদী এবং সবকিছুই সেখানে তাদের কামনা অনুযায়ী থাকবে। এ পুরস্কার দেন আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে।

- এমন মুত্তাকীদেরকে, যাদের পবিত্র থাকা অবস্থায় ফেরেশতারা যখন মৃত্যু ঘটায় তখন বলে, “তোমাদের প্রতি শান্তি, যাও নিজেদের কর্মকাণ্ডের বদৌলতে জান্নাতে প্রবেশ করো।” আন্ নাহল; আয়াত নং- ৩০ -৩২
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২৯
281711
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : (এ কাফেরদের বলে দাও) যদি তোমরা ফায়সালা চেয়ে থাকো, তাহলে এই নাও ফায়সালা তোমাদের সামনে এসে গেছে। এখন যদি ক্ষান্ত হও, তাহলে তো তোমাদের জন্যই ভাল হবে। নয়তো যদি ফিরে আবার সেই বোকামির পুনরাবৃত্তি করো, তাহলে আমিও সেই শাস্তির পুনরাবৃত্তি করবো এবং তোমাদের দলবল যত বেশীই হোক না কেন, তা তোমাদের কোন কাজে আসবে না। আল্লাহ‌ অবশ্যি মুমিনদের সাথে রয়েছেন। আল আনফাল; আয়াত নং-১৯
339992
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:০২
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : কাব্যিক তরজমা চাই মুহতারামা।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৩
281744
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : অনেক আগেই মুত্তাকীদের গুণাবলী লিখেছিলাম।


মু্ত্তাকীদের গুণাবলী
>>>>>>>>>>>>>>>



আলিফ লাম মীম ( এর অর্থ জানা নাই,

না জানলেও কুরআন মানতে কোন দ্বিধা নেই ভাই)।

কুরআন হল আল্লাহ্‌র কিতাব সন্দেহ নেই কোন,

হিদায়াত এটা মুত্তাকীদের সেই কথাটি মেনো।



মুত্তাকী হল গায়িবের প্রতি বিশ্বাস রাখে যারা,

সালাত কায়েম করে প্রভুর আনুগত্য করে তারা।

যা কিছু রিজিক দিয়েছেন রব ভোগ করেনা একা কভু,

অকাতরে ধন বিলিয়ে দিয়ে অনুগত রয় তবু।


কুরআনসহ সকল কিতাবে বিশ্বাস অবিচল,

শেষ দিবসের প্রতি আস্থা আছে অনড়, অটল।

এইসব গুন আছে যাদের কল্যাণ তাদের তরে,

রবের পক্ষ থেকে আছে তারা সঠিক পথের ওপরে।

[ সূরা আল বাকারাহ ; আয়াত নং- ১-৫ ]
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৪
281745
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আর যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে তাদেরকে আমি কি সমান করে দেবো? মুত্তাকীদেরকে কি আমি দুষ্কৃতকারীদের মতো করে দেবো? সা-দ; আয়াত নং- ২৮
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৫
281748
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহর পথে বাড়ি-ঘর ত্যাগ করেছে এবং জিহাদ করেছে আর যারা আশ্রয় দিয়েছে এবং সাহায্য-সহায়তা করেছে তারাই সাচ্চা মুমিন। তাদের জন্য রয়েছে ভুলের ক্ষমা ও সর্বোত্তম রিযিক।আল আনফাল; আয়াত নং-৭৪
340042
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০২:৪১
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, আপু আপনার লিখাটা ভাল লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৫
281750
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম... আপনাকে ধন্যবাদ ভাইHappy
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৮
281751
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : তোমরা কি একথা মনে করে রেখেছো যে, তোমাদের এমনিই ছেড়ে দেয়া হবে? অথচ আল্লাহ‌ এখনো দেখেননি তোমাদের মধ্য থেকে কারা (তাঁর পথে) সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালালো এবং আল্লাহ, রসূল ও মুমিনদের ছাড়া কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধু রূপে গ্রহণ করলো না? তোমরা যা কিছু করো, আল্লাহ‌ তা জানেন।আত তওবা; আয়াত নং- ১৬
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:২০
281753
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : মুত্তাকীদের জন্য যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তার অবস্থা এই যে, তার মধ্যে স্বচ্ছ ও নির্মল পানির নহর বইতে থাকবে। এমন সব দুধের নহর বইতে থাকবে যার স্বাদে সামান্য কোন পরিবর্তন বা বিকৃতিও আসবে না, শরাবের এমন নহর বইতে থাকবে পানকারীদের জন্য যা হবে অতীব সুস্বাদু এবং বইতে থাকবে স্বচ্ছ মধুর নহর। এছাড়াও তাদের জন্য সেখানে থাকবে সব রকমের ফল এবং তাদের রবের পক্ষ থেকে থাকবে ক্ষমা। (যে ব্যক্তি এ জান্নাত লাভ করবে সেকি) ঐ ব্যক্তির মত হতে পারে যে চিরদিন জাহান্নামে থাকবে, যাদের এমন গরম পানি পান করানো হবে যা তাদের নাড়িভূঁড়ি ছিন্ন ভিন্ন করে দেবে?মুহাম্মদ; আয়াত নং- ১৫
340122
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:০৬
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : জাজাকিল্লাহী খায়র। অনেক সুন্দর গোছালো হয়েছে। মাশাআল্লাহ, আল্লাহ আপনার হাতে বরকত দিন।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:২৪
281756
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : মহান আল্লাহ আপনার দুয়া কবুল করে নিন। আমীন।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:২৭
281758
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : 'তোমাদের মুখ পূর্ব দিকে বা পশ্চিম দিকে ফিরাবার মধ্যে কোন পুণ্য নেই। বরং সৎকাজ হচ্ছে এই যে, মানুষ আল্লাহ, কিয়ামতের দিন, ফেরেশতা আল্লাহর অবতীর্ণ কিতাব ও নবীদেরকে মনে প্রাণে মেনে নেবে এবং আল্লাহর প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের প্রাণপ্রিয় ধন-সম্পদ, আত্মীয়-স্বজন, এতীম, মিসকীন, মুসাফির, সাহায্য প্রার্থী ও ক্রীতদাসদের মুক্ত করার জন্য ব্যয় করবে। আর নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দান করবে। যারা অঙ্গীকার করে তা পূর্ণ করবে এবং বিপদে-অনটনে ও হক–বাতিলের সংগ্রামে সবর করবে তারাই সৎ ও সত্যাশ্রয়ী এবং তারাই মুত্তাকী।' আল বাকারাহ,আয়াত নং-১৭৭
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:২৭
281759
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : মনমরা হয়ো না, দুঃখ করো না, তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো।' আলে ইমরান; আয়াত নং- ১৩৯
১০
340229
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১২:৪১
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই গুণগুলি অর্জন করার এবং প্রকৃত মুমিন হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:২৮
281760
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:২৮
281761
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : 'আচ্ছা, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না কেন? যে ব্যক্তিই তার অঙ্গীকার পূর্ণ করবে এবং অসৎকাজ থেকে দূরে থাকবে, সে আল্লাহর প্রিয়ভাজন হবে। কারণ আল্লাহ মুত্তাকীদের ভালোবাসেন।' আলে ইমরান; আয়াত নং- ৭৬
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩০
281763
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আল্লাহ যদি তোমাদের সাহায্য করেন তাহলে কোন শক্তি তোমাদের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারবে না। আর যদি তিনি তোমাদের পরিত্যাগ করেন, তাহলে এরপর কে আছে তোমাদের সাহায্য করার মতো? কাজেই সাচ্চা মুমিনদের আল্লাহর ওপরই ভরসা করা উচিত।আলে ইমরান; আয়াত নং-১৬০
১১
340241
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০২:০৯
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই গুণগুলি অর্জন করার এবং প্রকৃত মুমিন হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।

জাযাকিল্লাহু খাইর!
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩০
281764
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীন।Praying
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩০
281765
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আর যে ব্যক্তি কোন সৎকাজ করবে, সে পুরুষ বা নারী যেই হোক না কেন, তবে যদি সে মুমিন হয়, তাহলে এই ধরনের লোকেরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের এক অণু পরিমাণ অধিকারও হরণ করা হবে না।আন্ নিসা; আয়াত নং-১২৪
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩২
281766
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এরা যে সৎকাজই করবে তার অমর্যাদা করা হবে না। আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে খুব ভালোভাবেই জানেন।আলে ইমরান; আয়াত নং-১১৫
১২
348931
০৮ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৫৪
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : মাশাল্লাহ! ভাল লাগল..আল্লাহ আমাদের মু'মিন মুসলমান হিসেবে গড়ে উঠার তৌফিক দিন..আমিন।
১৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৫৯
290180
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
১৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০০
290181
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :
হে মুহাম্মাদ! এসব গায়েবের খবর, যা আমি তোমাকে অহীর মাধ্যমে জানাচ্ছি। এর আগে তুমি এসব জানতে না এবং তোমার কওমও জানতো না। কাজেই সবর করো। মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে শুভ পরিণাম।হুদ; আয়াত নং- ৪৯
১৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০০
290182
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি দ্বীন থেকে ফিরে যায়, (তাহলে ফিরে যাক) , আল্লাহ‌ এমনিতর আরো বহু লোক সৃষ্টি করে দেবেন, যাদেরকে আল্লাহ‌ ভালবাসেন এবং তারা আল্লাহকে ভালবাসবে, যারা মুমিনদের ব্যাপারে কোমল ও কাফেরদের ব্যাপারে কঠোর হবে,যারা আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনা করে যাবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে চান তাকে দান করেন। আল্লাহ‌ ব্যাপক উপায় উপকরণের অধিকারী এবং তিনি সবকিছু জানেন।আল মায়েদাহ; আয়াত নং-৫৪

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File