আরশের আশ্রয়(ছন্দে ছন্দে আল হাদিস)
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ০২ জুলাই, ২০১৫, ১১:২৪:১৭ সকাল
নবী করীম ﷺ এর একটি হাদিস শোন,
আবু হুরাইরাহ (রা.) বর্ণনা করেছেন সত্যি এটা জেনো।
.
সাত প্রকার ব্যক্তি পাবে আরশের ছায়ায় আশ্রয়,
সেইদিন আল্লাহ্র ছায়া ছাড়া অন্য কোন ছায়া নয়।
.
১) ন্যায়পরায়ণ শাসক সেদিন থাকবে আরশের তলে,
প্রজাগণে যে রেখেছিলো সদা স্নেহ-শাসনের জালে।
.
২) আরও শোন সেই যুবক সেথা থাকবে,
আল্লাহ্র ইবাদাতে যে জীবন পার করবে।
.
৩) মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলেও যে ব্যক্তির অন্তর,
সর্বদা পড়ে থাকে মসজিদেরই ভিতর।
.
৪) এমন দুজন লোক যারা ভালবাসে একে অন্যকে,
আল্লাহ্র জন্যই বিচ্ছিন্ন হয় এবং সম্পৃক্ত থাকে।
.
৫) সেই যুবক যাকে ধনীর দুলালী মেয়ে,
আহ্বান করে, 'এসো মোর কাছে, দ্যাখ আমায় চেয়ে।'
.
'ভয় করি আমি আল্লাহ্কে' বলে করে প্রত্যাখান,
রূপসী নারীর এই মোহনীয় আহ্বান।
.
৬) যে ব্যক্তি করে গোপনে দান তা কেউ দেখেনা,
ডানহাত দিলো কি জিনিস বামহাতও তা জানেনা।
.
৭) নিরজনে বসে আল্লাহ্কে যে করে স্মরণ,
আল্লাহ্র ভয়ে ক্রন্দন করে সিক্ত দুই নয়ন।
.
এই সাত প্রকার লোক রবে সেদিন নির্ভয়,
আল্লাহ্র আরশের ছায়াতলে পাবে আশ্রয়।
.
বুখারী ও মুসলিম যৌথভাবে করেছেন সংগ্রহ,
এই হাদিসকে অস্বীকার করতে কি পারে কেহ?
.
মূল হাদিসঃ
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী করীমﷺবলেছেন, সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ (কিয়ামত দিবসে) তার (আরশের) ছায়াতলে আশ্রয় দিবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া অন্য কোন ছায়া থাকবে না।
(১) ন্যায় পরায়ন শাসক,
(২) ঐ যুবক যে আল্লাহর ইবাদতের মধ্যে বড় হয়েছে,
(৩) ঐ ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদের সাথে লেগে আছে (জামায়াতের প্রতি যে উম্মুখ থাকে),
(৪) ঐ দু’ ব্যক্তি যারা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একে অন্যকে ভালবেসেছে এবং তাতে অবিচল রয়েছে, কিংবা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ( তাও আল্লাহর উদ্দেশ্যে),
(৫) ঐ ব্যক্তি যাকে কোন অভিজাত শ্রেনীর সুন্দরী মহিলা (ব্যাভিচারের দিকে) আহবান করে আর (তদুত্তরে) সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি,
(৬) ঐ ব্যক্তি যে কিছু দান করল এবং তা এতটা গোপনভাবে করল যে, তার বাম হাত জানতে পারল না তার ডান হাত কি দান করেছে,
(৭) ঐ ব্যক্তি যে একাকী বসে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার চোখ দু’টো (আল্লাহর ভয়ে) অশ্রুপাত করে।
[বুখারী ও মুসলিম ]
বিষয়: বিবিধ
২০৫৯ বার পঠিত, ৬১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দাররররুন ছন্দ হয়েছে আপপপপি
আপনার কাছে কয়েকদিন ক্লাস করতে হবে ছন্দ মেলানোর জন্য
ফ্রিসময় কখন আছে
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- যখন তারকারা চারদিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে।
- যখন পাহাড়গুলোকে চলমান করা হবে।
-যখন দশ মাসের গর্ভবতী উটনীগুলোকে তাদের অবস্থার ওপর ছেড়ে দেয়া হবে।
- যখন বন্য পশুদের চারদিক থেকে এনে একত্র করা হবে।
- যখন সমুদ্রগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে।
- যখন প্রাণসমূহকে (দেহের সাথে) জুড়ে দেয়া হবে।
- যখন জীবিত পুঁতে ফেলা মেয়েকে জিজ্ঞেস করা হবে,
- কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে?
[সূরা আত্ তাকভীর; আয়াত নং ১-৯]
শিঙ মাছের ঝোলটা আপনার আর বাকী সবকিছু আমার
ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণীত, তিনি বলেন ,রাসূলে করীম ﷺ বলেছেন , "যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে যে সে যেন দিব্য চোখে ক্বিয়ামাত অবলোকন করবে, তবে সে পাঠ করুক সূরা আত তাকভীর, সূরা আল ইনফিতার ও সূরা আল ইনশিক্বাক।"
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
-যখন আকাশের পরদা সরিয়ে ফেলা হবে।
- যখন জাহান্নামের আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হবে
- এবং জান্নাতকে নিকটে আনা হবে।
-সে সময় প্রত্যেক ব্যক্তি জানতে পারবে সে কি নিয়ে এসেছে।
-কাজেই, না,আমি কসম খাচ্ছি
-পেছনে ফিরে আসা ও অদৃশ্য হয়ে যাওয়া তারকারাজির এবং রাত্রির,
- যখন তা বিদায় নিয়েছে
-এবং প্রভাতের, যখন তা শ্বাস ফেলেছে।
[সূরা আত্ তাকভীর; আয়াত নং ১০-১৮]
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
-এটি প্রকৃতপক্ষে একজন সম্মানিত বাণীবাহকের(আনিত) বাণী,
- যিনি বড়ই শক্তিধর, আরশের মালিকের কাছে উন্নত মর্যাদার অধিকারী,
- সেখানে তার হুকুম মেনে চলা হয়, তিনি আস্থাভাজন।
- আর (হে মক্কাবাসীরা!) তোমাদের সাথী পাগল নয়।
- সেই বাণীবাহককে দেখেছে উজ্জ্বল দিগন্তে।
- আর সে গায়েবের (এই জ্ঞান লোকদের কাছে পৌঁছানেরা) ব্যাপারে কৃপণ নয়।
-এটা কোন অভিশপ্ত শয়তানের বাক্য নয়।
-কাজেই তোমরা কোথায় চলে যাচ্ছো?
- এটা তো সারা জাহানের অধিবাসীদের জন্য একটা উপদেশ।
- তোমাদের মধ্য থেকে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, যে সত্য সরল পথে চলতে চায়।
-আর তোমাদের চাইলেই কিছু হয় না, যতক্ষণ না আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তা চান।
[সূরা আত্ তাকভীর; আয়াত নং ১৯-২৯]
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- যখন তারকারা চারদিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে,
- যখন সমুদ্র ফাটিয়ে ফেলা হবে
- এবং যখন কবরগুলো খুলে ফেলা হবে,
- তখন প্রত্যেক ব্যক্তি তার সামনের ও পেছনের সবকিছু জেনে যাবে।
- হে মানুষ! কোন জিনিষ তোমাকে তোমার মহান রবের ব্যাপারে ধোঁকায় ফেলে রেখেছে,
- যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তোমাকে সুঠাম ও সুসামঞ্জস্য করে গড়েছেন
- এবং যে আকৃতিতে চেয়েছেন তোমাকে গঠন করেছেন।
- কখ্খনো না,বরং (আসল কথা হচ্ছে এই যে), তোমরা শাস্তি ও পুরস্কারকে মিথ্যা মনে করছো।
- অথচ তোমাদের ওপর পরিদর্শক নিযুক্ত রয়েছে,
- এমন সম্মানিত লেখকবৃন্দ,
- যারা তোমাদের প্রত্যেকটি কাজ জানে।
[সূরা আল ইনফিতার আয়াত নং ১-১২]
ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণীত, তিনি বলেন ,রাসূলে করীম ﷺ বলেছেন , "যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে যে সে যেন দিব্য চোখে ক্বিয়ামাত অবলোকন করবে, তবে সে পাঠ করুক সূরা আত তাকভীর, সূরা আল ইনফিতার ও সূরা আল ইনশিক্বাক।"
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- আর পাপীরা অবশ্যি যাবে জাহান্নামে।
- কর্মফলের দিন তারা তার মধ্যে প্রবেশ করবে
- এবং সেখান থেকে কোনক্রমেই সরে পড়তে পারবে না।
- আর তোমরা কি জানো, ঐ কর্মফল দিনটি কি?
- হ্যাঁ, তোমরা কি জানো, ঐ কর্মফল দিনটি কি?
- এটি সেই দিন যখন কারোর জন্য কোন কিছু করার সাধ্য কারোর থাকবে না। ফায়সালা সেদিন একমাত্র আল্লাহর ইখতিয়ারে থাকবে।
[সূরা আল ইনফিতার আয়াত নং ১৩-১৯]
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- এবং নিজের রবের হুকুম পালন করবে। আর (নিজের রবের হুকুম মেনে চলা), এটিই তার জন্য সত্য।
- আর পৃথিবীকে যখন ছড়িয়ে দেয়া হবে।
-যা কিছু তার মধ্যে আছে তা বাইরে নিক্ষেপ করে সে খালি হয়ে যাবে
- এবং নিজের রবের হুকুম পালন করবে। আর (নিজের রবের হুকুম মেনে চলা), এটিই তার জন্য সত্য।
- হে মানুষ! তুমি কঠোর পরিশ্রম করতে করতে তোমার রবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছো, পরে তাঁর সাথে সাক্ষাত করবে।
- তারপর যার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হয়েছে,
- তার কাছ থেকে হালকা হিসেব নেয়া হবে
- এবং সে হাসিমুখে নিজের লোকজনের কাছে ফিরে যাবে।
[সূরা আল ইনশিক্বাক আয়াত নং ১-৯]
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- সে মৃত্যুকে ডাকবে
- এবং জ্বলন্ত আগুনে গিয়ে পড়বে।
- সে নিজের পরিবারের লোকদের মধ্যে ডুবে ছিল।
- সে মনে করেছিল, তাকে কখনো ফিরতে হবে না।
-না ফিরে সে পারতো কেমন করে? তার রব তার কার্যকলাপ দেখছিলেন।
- কাজেই না আমি কসম খাচ্ছি,
- আকাশের লাল আভার ও রাতের
- এবং তাতে যা কিছুর সমাবেশ ঘটে তার, আর চাঁদের, যখন তা পূর্ণরূপ লাভ করে।
- তোমাদের অবশ্যি স্তরে স্তরে এক অবস্থা থেকে আর এক অবস্থার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
- তাহলে এদের কি হয়েছে, এরা ঈমান আনে না
- এবং এদের সামনে কুরআন পড়া হলে এরা সিজদা করে না?
- বরং এ অস্বীকারকারীরা উল্টো মিথ্যা আরোপ করে।
-অথচ এরা নিজেদের আমলনামায় যা কিছু জমা করছে আল্লাহ তা খুব ভালো করেই জানেন।
- কাজেই এদের যন্ত্রণাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও।
- তবে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার।
[সূরা আল ইনশিক্বাক আয়াত নং ১১-২৫]
আল্লাহু আকবার! জাজাকিল্লাহ বোন।
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- যখন তারকারা চারদিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে।
- যখন পাহাড়গুলোকে চলমান করা হবে।
-যখন দশ মাসের গর্ভবতী উটনীগুলোকে তাদের অবস্থার ওপর ছেড়ে দেয়া হবে।
- যখন বন্য পশুদের চারদিক থেকে এনে একত্র করা হবে।
- যখন সমুদ্রগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে।
- যখন প্রাণসমূহকে (দেহের সাথে) জুড়ে দেয়া হবে।
- যখন জীবিত পুঁতে ফেলা মেয়েকে জিজ্ঞেস করা হবে,
- কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে?
[সূরা আত্ তাকভীর; আয়াত নং ১-৯]
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
যখন আমলনামাসমূহ খুলে ধরা হবে।
-যখন আকাশের পরদা সরিয়ে ফেলা হবে।
- যখন জাহান্নামের আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হবে
- এবং জান্নাতকে নিকটে আনা হবে।
-সে সময় প্রত্যেক ব্যক্তি জানতে পারবে সে কি নিয়ে এসেছে।
-কাজেই, না,আমি কসম খাচ্ছি
-পেছনে ফিরে আসা ও অদৃশ্য হয়ে যাওয়া তারকারাজির এবং রাত্রির,
- যখন তা বিদায় নিয়েছে
-এবং প্রভাতের, যখন তা শ্বাস ফেলেছে।
[সূরা আত্ তাকভীর; আয়াত নং ১০-১৮]
আল্লাহ আরো তৌফিক দান করুক।
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- যিনি বড়ই শক্তিধর, আরশের মালিকের কাছে উন্নত মর্যাদার অধিকারী,
- সেখানে তার হুকুম মেনে চলা হয়, তিনি আস্থাভাজন।
- আর (হে মক্কাবাসীরা!) তোমাদের সাথী পাগল নয়।
- সেই বাণীবাহককে দেখেছে উজ্জ্বল দিগন্তে।
- আর সে গায়েবের (এই জ্ঞান লোকদের কাছে পৌঁছানেরা) ব্যাপারে কৃপণ নয়।
-এটা কোন অভিশপ্ত শয়তানের বাক্য নয়।
-কাজেই তোমরা কোথায় চলে যাচ্ছো?
- এটা তো সারা জাহানের অধিবাসীদের জন্য একটা উপদেশ।
- তোমাদের মধ্য থেকে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, যে সত্য সরল পথে চলতে চায়।
-আর তোমাদের চাইলেই কিছু হয় না, যতক্ষণ না আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তা চান।
[সূরা আত্ তাকভীর; আয়াত নং ১৯-২৯]
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- যখন তারকারা চারদিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে,
- যখন সমুদ্র ফাটিয়ে ফেলা হবে
- এবং যখন কবরগুলো খুলে ফেলা হবে,
- তখন প্রত্যেক ব্যক্তি তার সামনের ও পেছনের সবকিছু জেনে যাবে।
- হে মানুষ! কোন জিনিষ তোমাকে তোমার মহান রবের ব্যাপারে ধোঁকায় ফেলে রেখেছে,
- যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তোমাকে সুঠাম ও সুসামঞ্জস্য করে গড়েছেন
- এবং যে আকৃতিতে চেয়েছেন তোমাকে গঠন করেছেন।
- কখ্খনো না,বরং (আসল কথা হচ্ছে এই যে), তোমরা শাস্তি ও পুরস্কারকে মিথ্যা মনে করছো।
- অথচ তোমাদের ওপর পরিদর্শক নিযুক্ত রয়েছে,
- এমন সম্মানিত লেখকবৃন্দ,
- যারা তোমাদের প্রত্যেকটি কাজ জানে।
[সূরা আল ইনফিতার আয়াত নং ১-১২]
মন্তব্য করতে লগইন করুন