রোযার বিধান(ছন্দে ছন্দে আল কুরআন)
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ১৪ জুন, ২০১৫, ০৬:৫৭:১৩ সন্ধ্যা
ঈমানদারগণ! ফরয হয়েছে তোমাদের ওপর রোযা,
যেমন হয়েছিলো পূর্ববর্তীদের ওপর (এটা নয় কোন বোঝা)।
আশা করা যায় তাকওয়ার গুণ সৃষ্টি হবে তোমাদের,
এই রোযা কতিপয় নির্দিষ্ট দিনের।
.
যদি কেউ অসুস্থ থাকে কিংবা সফরে রয়,
অন্য সময়ে পূর্ণ করবে এই রোযা নিশ্চয়।
রমযানের এ মাসেই কুরআন হয়েছে নাযিল,
মানবজাতির হিদায়াত এটা ( ভুল নয় এক তিল )।
.
দ্ব্যর্থ হীন শিক্ষা কুরআন; সঠিক পথ দেখায়,
হক ও বাতিলের মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য শেখায়।
যে ব্যক্তি এ মাসের সাক্ষাত পাবে,
অপরিহার্য ভাবে পুরো মাস সে রোযা রাখবে।
.
কেউ যদি রোগে পড়ে কিংবা থাকে সফরে,
সে যেন অন্য সময়ে রোযার সংখ্যা পূর্ণ করে।
নরম নীতি নিয়েছেন আল্লাহ তোমাদের প্রতি,
দিতে চান না তিনি কখনই কঠোর নীতি।
.
এই নিয়ম তোমাদের জানিয়ে দিলাম তাই,
রোযার সংখ্যা সঠিকভাবে পূর্ণ করা চাই।
হিদায়াত দান করেছেন আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি,
তাই শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করো দিতে তার স্বীকৃতি।
.
তাঁর প্রতি প্রকাশ করো অশেষ কৃতজ্ঞতা,
( তবেই তিনি খুশি হবেন, মেনে নাও তাঁর কথা )।
রোযার সময় স্ত্রীর কাছে যাবে রাতের বেলা,
( এটাই রবের সঠিক নিয়ম এতে নয় কোন হেলা )।
.
জেনে রাখো, তারা পোশাক স্বরূপ তোমাদের,
তোমরাও একই রূপ পোশাক তাদের।
চুপি চুপি তোমরা করেছ যে পাপ ক্ষমা করে দিয়েছি,
তাদের কাছে রাতে যাওয়া বৈধ করেছি।
.
পানাহার করতে থাকো ততক্ষণ,
রাত্রির কালো রেখা চিরে প্রভাত না হয় যতক্ষণ।
ভোর হয়ে গেলে এসব কাজ ত্যাগ করো,
রাত পর্যন্ত নিজের রোযা পূর্ণ করো।
.
মসজিদে যখন ই’তিকাফে বসো স্ত্রীর কাছে যেওনা,
এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা; সীমা লঙ্ঘন করোনা।
এভাবেই আল্লাহ্ তাঁর বিধান করেছেন বর্ণনা,
আশা করা যায় ভুল নীতি কেউ গ্রহণ করবেনা।
.
আয়াতগুলোর অর্থঃ
- হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী নবীদের অনুসারীদের ওপর ফরয করা হয়েছিল। এ থেকে আশা করা যায়, তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণাবলী সৃষ্টি হয়ে যাবে।
- এ কতিপয় নির্দিষ্ট দিনের রোযা। যদি তোমাদের কেউ হয়ে থাকে রোগগ্রস্ত অথবা মুসাফির তাহলে সে যেন অন্য দিনগুলোয় এই সংখ্যা পূর্ণ করে।............
-রমযানের মাস, এ মাসেই কুরআন নাযিল করা হয়েছে, যা মানবজাতির জন্য পুরোপুরি হিদায়াত এবং এমন দ্ব্যর্থহীন শিক্ষা সম্বলিত, যা সত্য-সঠিক পথ দেখায় এবং হক ও বাতিলের পার্থক্য সুস্পষ্ট করে দেয়। কাজেই এখন থেকে যে ব্যক্তি এ মাসের সাক্ষাত পাবে তার জন্য এই সম্পূর্ণ মাসটিতে রোযা রাখা অপরিহার্য এবং যে ব্যক্তি রোগগ্রস্ত হয় বা সফরে থাকে, সে যেন অন্য দিনগুলোয় রোযার সংখ্যা পূর্ণ করে। আল্লাহ তোমাদের সাথে নরম নীতি অবলম্বন করতে চান, কঠোর নীতি অবলম্বন করতে চান না। তাই তোমাদেরকে এই পদ্ধতি জানানো হচ্ছে, যাতে তোমরা রোযার সংখ্যা পূর্ণ করতে পারো এবং আল্লাহ তোমাদের যে হিদায়াত দান করেছেন সেজন্য যেন তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করতে ও তার স্বীকৃতি দিতে এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো
- রোযার সময় রাতের বেলা স্ত্রীদের কাছে যাওয়া তোমাদের জন্য হালাল করে দেয়া হয়েছে। তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক। আল্লাহ জানতে পেরেছেন, তোমরা চুপি চুপি নিজেরাই নিজেদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছিলে। কিন্তু তিনি তোমাদের অপরাধ মাফ করে দিয়েছেন এবং তোমাদের ক্ষমা করেছেন। এখন তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে রাত্রিবাস করো এবং যে স্বাদ আল্লাহ তোমাদের জন্য বৈধ করে দিয়েছেন তা গ্রহণ করো। আর পানাহার করতে থাকো। যতক্ষণ না রাত্রির কালো রেখার বুক চিরে প্রভাতের সাদা রেখা সুস্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয়। তখন এসব কাজ ত্যাগ করে রাত পর্যন্ত নিজের রোযা পূর্ণ করো। আর যখন তোমরা মসজিদে ই’তিকাফে বসো তখন স্ত্রীদের সাথে সহবাস করো না। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা, এর ধারে কাছেও যেয়ো না। এভাবে আল্লাহ তাঁর বিধান লোকদের জন্য সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, আশা করা যায় এর ফলে তারা ভুল কর্মনীতি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে।
[ আল বাকারাহ; ১৮৩, ১৮৪(আংশিক), ১৮৫ ও ১৮৭ ]
বিষয়: বিবিধ
২১৮০ বার পঠিত, ৫৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমিও ভাবছি রমাদান নিয়ে লিখবো কিন্তু সময় করতে পারছি না! রমাদান তো এলো বলে! আজকে আমাদের হালাকা আছে , সেখানেও আলোচনা হবে ইনশা আল্লাহ!
বাচ্চাদের তিনমাস স্কুল বন্ধ, আপু দোআ করবেন! আল্লাহ আমাদের রমাদানে সিয়াম ও কিয়ামকে , সমস্ত ইবাদাহ কে সহজ ও কবুল করে নিন! আমিন!
চমৎকার পোস্টটির জন্য শুকরিয়া! জাযাকিল্লাহু খাইর!
এত্ত বড় ছুটিতে দেশে আসবে না?
দোয়া রাখবেন।
ধন্যবাদ।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমীন।
ধন্যবাদ।
হক ও বাতিলের মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য করে দেয়।"
কলি দুটো এরকম হলে কেমন হত,
"দ্ব্যর্থ হীন শিক্ষা কুরআন; সঠিক পথ দেখায়,
হক ও বাতিলের মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য করতে শেখায়।"
কিংবা
"দ্ব্যর্থ হীন শিক্ষা কুরআন; সঠিক পথ দেখায়,
হক ও বাতিলের মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য শেখায়।"
আমারো একটা লেখার কথা ছিল। এবার লিখব নাকি?
দারররুন ওয়াও
আমার একটা বাকী দুইটা আপনার
খাদ্যময় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমি কুষ্টিয়ার লোক না!
আপনার সেই সন্ত্রাসী গ্রাম যেই উপজেলায় সেই একই উপজেলায় আমার শ্বশুরবাড়ি। কপোতাক্ষের এই পাশে। আপনাকে আগেও বলেছিলাম!
নতুন হাটের আশেপাশে কোন এক গ্রামে আমার শ্বশুরবাড়ি
আর ব্লগার এই বোনকে তাঁর নামের বরকতে ঐসকল নারীদের কাতারে পৌঁছে দিন। আমিন..
মন্তব্য করতে লগইন করুন