রোযার বিধান(ছন্দে ছন্দে আল কুরআন)

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ১৪ জুন, ২০১৫, ০৬:৫৭:১৩ সন্ধ্যা

ঈমানদারগণ! ফরয হয়েছে তোমাদের ওপর রোযা,

যেমন হয়েছিলো পূর্ববর্তীদের ওপর (এটা নয় কোন বোঝা)।

আশা করা যায় তাকওয়ার গুণ সৃষ্টি হবে তোমাদের,

এই রোযা কতিপয় নির্দিষ্ট দিনের।

.

যদি কেউ অসুস্থ থাকে কিংবা সফরে রয়,

অন্য সময়ে পূর্ণ করবে এই রোযা নিশ্চয়।

রমযানের এ মাসেই কুরআন হয়েছে নাযিল,

মানবজাতির হিদায়াত এটা ( ভুল নয় এক তিল )।

.

দ্ব্যর্থ হীন শিক্ষা কুরআন; সঠিক পথ দেখায়,

হক ও বাতিলের মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য শেখায়।

যে ব্যক্তি এ মাসের সাক্ষাত পাবে,

অপরিহার্য ভাবে পুরো মাস সে রোযা রাখবে।

.

কেউ যদি রোগে পড়ে কিংবা থাকে সফরে,

সে যেন অন্য সময়ে রোযার সংখ্যা পূর্ণ করে।

নরম নীতি নিয়েছেন আল্লাহ তোমাদের প্রতি,

দিতে চান না তিনি কখনই কঠোর নীতি।

.

এই নিয়ম তোমাদের জানিয়ে দিলাম তাই,

রোযার সংখ্যা সঠিকভাবে পূর্ণ করা চাই।

হিদায়াত দান করেছেন আল্লাহ্‌ তোমাদের প্রতি,

তাই শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করো দিতে তার স্বীকৃতি।

.

তাঁর প্রতি প্রকাশ করো অশেষ কৃতজ্ঞতা,

( তবেই তিনি খুশি হবেন, মেনে নাও তাঁর কথা )।

রোযার সময় স্ত্রীর কাছে যাবে রাতের বেলা,

( এটাই রবের সঠিক নিয়ম এতে নয় কোন হেলা )।

.

জেনে রাখো, তারা পোশাক স্বরূপ তোমাদের,

তোমরাও একই রূপ পোশাক তাদের।

চুপি চুপি তোমরা করেছ যে পাপ ক্ষমা করে দিয়েছি,

তাদের কাছে রাতে যাওয়া বৈধ করেছি।

.

পানাহার করতে থাকো ততক্ষণ,

রাত্রির কালো রেখা চিরে প্রভাত না হয় যতক্ষণ।

ভোর হয়ে গেলে এসব কাজ ত্যাগ করো,

রাত পর্যন্ত নিজের রোযা পূর্ণ করো।

.

মসজিদে যখন ই’তিকাফে বসো স্ত্রীর কাছে যেওনা,

এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা; সীমা লঙ্ঘন করোনা।

এভাবেই আল্লাহ্‌ তাঁর বিধান করেছেন বর্ণনা,

আশা করা যায় ভুল নীতি কেউ গ্রহণ করবেনা।

.

আয়াতগুলোর অর্থঃ

- হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী নবীদের অনুসারীদের ওপর ফরয করা হয়েছিল। এ থেকে আশা করা যায়, তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণাবলী সৃষ্টি হয়ে যাবে।

- এ কতিপয় নির্দিষ্ট দিনের রোযা। যদি তোমাদের কেউ হয়ে থাকে রোগগ্রস্ত অথবা মুসাফির তাহলে সে যেন অন্য দিনগুলোয় এই সংখ্যা পূর্ণ করে।............

-রমযানের মাস, এ মাসেই কুরআন নাযিল করা হয়েছে, যা মানবজাতির জন্য পুরোপুরি হিদায়াত এবং এমন দ্ব্যর্থহীন শিক্ষা সম্বলিত, যা সত্য-সঠিক পথ দেখায় এবং হক ও বাতিলের পার্থক্য সুস্পষ্ট করে দেয়। কাজেই এখন থেকে যে ব্যক্তি এ মাসের সাক্ষাত পাবে তার জন্য এই সম্পূর্ণ মাসটিতে রোযা রাখা অপরিহার্য এবং যে ব্যক্তি রোগগ্রস্ত হয় বা সফরে থাকে, সে যেন অন্য দিনগুলোয় রোযার সংখ্যা পূর্ণ করে। আল্লাহ তোমাদের সাথে নরম নীতি অবলম্বন করতে চান, কঠোর নীতি অবলম্বন করতে চান না। তাই তোমাদেরকে এই পদ্ধতি জানানো হচ্ছে, যাতে তোমরা রোযার সংখ্যা পূর্ণ করতে পারো এবং আল্লাহ‌ তোমাদের যে হিদায়াত দান করেছেন সেজন্য যেন তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করতে ও তার স্বীকৃতি দিতে এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো

- রোযার সময় রাতের বেলা স্ত্রীদের কাছে যাওয়া তোমাদের জন্য হালাল করে দেয়া হয়েছে। তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক। আল্লাহ জানতে পেরেছেন, তোমরা চুপি চুপি নিজেরাই নিজেদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছিলে। কিন্তু তিনি তোমাদের অপরাধ মাফ করে দিয়েছেন এবং তোমাদের ক্ষমা করেছেন। এখন তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে রাত্রিবাস করো এবং যে স্বাদ আল্লাহ‌ তোমাদের জন্য বৈধ করে দিয়েছেন তা গ্রহণ করো। আর পানাহার করতে থাকো। যতক্ষণ না রাত্রির কালো রেখার বুক চিরে প্রভাতের সাদা রেখা সুস্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয়। তখন এসব কাজ ত্যাগ করে রাত পর্যন্ত নিজের রোযা পূর্ণ করো। আর যখন তোমরা মসজিদে ই’তিকাফে বসো তখন স্ত্রীদের সাথে সহবাস করো না। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা, এর ধারে কাছেও যেয়ো না। এভাবে আল্লাহ‌ তাঁর বিধান লোকদের জন্য সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, আশা করা যায় এর ফলে তারা ভুল কর্মনীতি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে।



[ আল বাকারাহ; ১৮৩, ১৮৪(আংশিক), ১৮৫ ও ১৮৭ ]

বিষয়: বিবিধ

২১৫৯ বার পঠিত, ৫৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

325801
১৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৪
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম আপুনি!

আমিও ভাবছি রমাদান নিয়ে লিখবো কিন্তু সময় করতে পারছি না! রমাদান তো এলো বলে! আজকে আমাদের হালাকা আছে , সেখানেও আলোচনা হবে ইনশা আল্লাহ!

বাচ্চাদের তিনমাস স্কুল বন্ধ, আপু দোআ করবেন! আল্লাহ আমাদের রমাদানে সিয়াম ও কিয়ামকে , সমস্ত ইবাদাহ কে সহজ ও কবুল করে নিন! আমিন!

চমৎকার পোস্টটির জন্য শুকরিয়া! জাযাকিল্লাহু খাইর!




Angel Praying Love Struck Good Luck Rose
১৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
268008
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম। এটা আগের লেখা। আমি নতুন কিছু লিখিনি। কত কিছু যে লিখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু....Broken Heart

এত্ত বড় ছুটিতে দেশে আসবে না?
১৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
268009
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ঈমানের সাথে ও সাওয়াবের আশায় রমযানে কিয়াম করে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম)
১৬ জুন ২০১৫ বিকাল ০৫:৩০
268458
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপু দেশে যাওয়ার ইচ্ছা তো আছেই ! সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না!Crying
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০১:৫৮
268598
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : স্কুল তিন মাস বন্ধ!! ঈদের আগেই তো পোলাপান ঈদের মজা লুটতেছে...! স্কুল কর্তৃপক্ষকে হাতুড়ি... Time Out Time Out Time Out
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০২:২৫
268603
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : প্রবাসের বাচ্চাদের কাছে ঈদের আনন্দটা অনেকটাই অস্পষ্ট! তবে এই তিন মাস তাদের খুবি পছন্দের সময়! ইচ্ছামতোন খাওয়া, ঘুম আর আনন্দঘন সময়!Happy আমরা চেস্টা করি কিছু রুটিন দিয়ে সময়টাকে ভালো ব্যবহার করতে!
২২ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:২১
269294
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : সিদ্ধান্ত নিয়ে নাও এবং চলে আসHappy
৩০ জুন ২০১৫ রাত ১০:৩১
270374
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ফি আমানিল্লাহ আপুনি Love Struck
325804
১৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৯
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম আপু। দারুণ হয়েছে লেখাটা।
দোয়া রাখবেন।
১৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
268010
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম।
ধন্যবাদ।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমীন।
১৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৬
268011
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ রমযানে কিয়াম করার (তারাহীহ পড়ার) ব্যাপারে কেবল উৎসাহিত করতেন, কিন্তু এ ব্যাপারে তাগিদ সহকারে নির্দেশ দিতেন না (যাতে এটা ফরয না হয়ে যায়)। তাই তিনি বলতেনঃ যে কেউ ঈমান সহকারে ও সাওয়াব হাসিলের আশায় রমযানে কিয়াম করে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (মুসলিম)
325808
১৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, এক কথায় এক্সিলেন্ট। দারুন হয়েছে। প্রায় সবকটি রমজানের বিধান ছন্দে ছন্দে বর্ণনার করার জন্য জাযাকিল্লাহ খাইর
১৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৬
268012
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম।
ধন্যবাদ।
১৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
268013
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,' মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেছেন, বনী আদমের প্রত্যেকটি আমল তার নিজের জন্য, রোযা ব্যতীত। কারণ তা আমার জন্য এবং আমিই তার প্রতিদান। আর রোযা হচ্ছে (গুনাহ থেকে) ঢাল স্বরূপ। অতএব তোমাদের কেউ যখন রোযা রাখে সে যেন বাজে কথা না বলে, চেঁচামেচি না করে, যদি কেউ তাকে গালি দেয় বা তার সাথে ঝগড়া করে তাহলে তার বলা উচিত, আমি রোযাদার। যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ তাঁর কসম, রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশক অপেক্ষাও অধিক সুগন্ধ। রোযাদারের দু’টি খুশি যা সে লাভ করবে। একটি হচ্ছে, সে ইফতারের সময় খুশি হয়। আর দ্বিতীয় আনন্দটি সে লাভ করবে যখন সে তাঁর রবের সাথে সাক্ষাত করবে, তখন সে তার রোযার কারণে আনন্দিত হবে।' (বুখারী ও মুসলিম)
১৪ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৫১
268024
আবু জান্নাত লিখেছেন : জাযাকিল্লাহ খাইর
325810
১৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩১
শেখের পোলা লিখেছেন : ছন্দে ছন্দে সুন্দর হয়েছে৷ জাজাকাল্লাহু খাইরান৷
১৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
268014
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
268015
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,' যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একটি জোড়া (কোন বস্তু) দান করবে তাকে জান্নাতের দরজা থেকে এই বলে ডাকা হবেঃ হে আল্লাহর বান্দা! এই যে এই দরজাটি তোমার জন্য ভালো! কাজেই নামাযীদেরকে নামাযের দরজা থেকে ডাকা হবে। মুজাহিদদেরকে ডাকা হবে জিহাদের দরজা থেকে। রোযাদারদেরকে ডাকা হবে ‘রাইয়ান’ দরজা থেকে। সাদকা দাতাদেরকে সাদাকার দরজা থেকে। (রাসূলুল্লাহ ﷺএর মুবারক মুখ একথা শুনে) হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার বাপ-মা আপনার ওপর কুরবান হোক, কোন ব্যক্তি কে সবগুলো দরজা থেকে ডাকার যদিও কোন প্রয়োজন নেই তবুও কাউকে কি ঐ সবগুলো দরজা থেকে ডাকার হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আর আমি আশা করি তুমি তাদের মধ্যে একজন হবে। (বুখারী ও মুসলিম
325834
১৪ জুন ২০১৫ রাত ০৯:১৩
ক্ষনিকের যাত্রী লিখেছেন : মাশাআল্লাহ! MOney Eyes আপুমনি এত্তো সুন্দর লিখেছেন। Happy পড়ে মনটা ভরে গেল। Angel আল্লাহ আপনাকে জাযায়ে খাইর দান করুক। আমীন। Praying Praying
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
268394
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদ যাত্রী আপুHappy
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬
268396
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত সাহল ইবনে সা’দ রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেনঃ জান্নাতের একটি দরজা আছে। তাকে বলা হয় ‘রাইয়ান’। কিয়ামতের দিন এই দরজা দিয়ে একমাত্র রোযাদাররা প্রবেশ করবেন। তাঁরা ব্যতীত আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। যখন তারা সবাই ভিতরে প্রবেশ করবেন তখন এ দরজাটি বন্ধ করে দেয়া হবে। তারপর এই দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারী ও মুসলিম)
325839
১৪ জুন ২০১৫ রাত ০৯:২৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬
268397
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬
268398
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত আব সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একটি রোযা রাখবে, তার এই একটি দিনের বদৌলতে আল্লাহ তার চেহারাকে (জাহান্নামের) আগুন থেকে সত্তর বছরের দূরত্বে সরিয়ে রাখবেন। (বুখারী ও মুসলিম)
325864
১৪ জুন ২০১৫ রাত ১০:৫৫
ধ্রুব নীল লিখেছেন : "দ্ব্যর্থ হীন শিক্ষা কুরআন; সঠিক পথ দেখায়,
হক ও বাতিলের মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য করে দেয়।"
কলি দুটো এরকম হলে কেমন হত,

"দ্ব্যর্থ হীন শিক্ষা কুরআন; সঠিক পথ দেখায়,
হক ও বাতিলের মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য করতে শেখায়।"

কিংবা

"দ্ব্যর্থ হীন শিক্ষা কুরআন; সঠিক পথ দেখায়,
হক ও বাতিলের মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য শেখায়।"

আমারো একটা লেখার কথা ছিল। এবার লিখব নাকি? Bee
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮
268399
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : দ্বিতীয়টি গ্রহণ করলাম। ধন্যবাদ নীল। Happy
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
268400
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এডিট করে দিলাম। তুমিতো আজ তিনবছর ধরে বলেই যাচ্ছ!!!! তাড়াতাড়ি লিখে ফেলHappy
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
268401
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী করীম ﷺথেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাস সহকারে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমযানের রোযা রাখে তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম)
325906
১৫ জুন ২০১৫ সকাল ০৯:৫৫
ছালসাবিল লিখেছেন : Bee Day Dreaming Applause Applause =D
দারররুন ওয়াও Day Dreaming Bee
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
268402
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : Praying Praying Praying
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
268403
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যখন রমযান মাস আসে, তখন জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানের আবদ্ধ করে দেয়া হয়। (বুখারী ও মুসলিম)
325915
১৫ জুন ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনি একটা জিনিয়াস জিনিস। পুরো কুরআন নিয়েই তো দেখী কবিতা আকারে তরজমা করে ফেলছেন। সত্যিই আপনি দারুন। এক বাটি বুটের ডাল আর ৩ টা পরোটা,সাথে গরুর মাংস দিয়ে আপনাকে আপ্যায়ন করতে ইচ্ছা হচ্ছে।...আল্লাহ যেন জান্নাতু ফিরদাউসে আপনাকে বিশেষ মাছের কলিজা খাওয়ায়,এরপর কাওসার পান করায় !!
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
268404
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ৩টা পরোটা?!!!Crying
আমার একটা বাকী দুইটা আপনারSmug

খাদ্যময় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
268405
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসরাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহﷺ ছিলেন লোকদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অধিক দানশীল। আর বিশেষ করে রমযান মাসে তাঁর দানশীলতা আরো বেশি বেড়ে যেতো যখন হযরত জিবরাঈল (আ) তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন। হযরত জিবরাঈল (আ) তাঁর সাথে রমযানের প্রতি রাতে সাক্ষাৎ করতেন এবং তাঁকে কুরআন শেখাতেন। তবে জিবরাঈল (আ) যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সাথে সাক্ষাৎ করতেন তখন তাঁর দানশীলতা বৃষ্টি বর্ষণকারী বাতাস অপেক্ষা অধিক কল্যাণকামী হয়ে যেতো। (বুখারী ও মুসলিম)
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ০১:৪৪
268413
দ্য স্লেভ লিখেছেন : দিলাম মোটে ৩টা পরোটা তার মধ্যে আমাকে ভাগ দিচ্ছেন, আপনার এই উদারতায় আম ছালা দুটোই যাবে। আমি খেলে কিছু থাকবে আর ???Smug Smug Smug Smug Smug
২২ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
269302
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমিতো একটা পরোটা খেয়ে তারপরে আপনাকে দুইটা দেয়ার কথা বলেছি। অতএব এক বাটি বুটের ডাল আর ১ টা পরোটা,সাথে গরুর মাংস সব কিছু আমার। আপনার জন্য শুধুই দুইটা পরোটাTongue Smug
২২ জুন ২০১৫ রাত ১১:৩৬
269391
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আহা উদারতায় আমি ধন্য....দুটো পরোটা,সাথে এক গ্লাস পানি....আপনি যখন আপনার পরোটা গোস্তের ঝোলে ডুবাবেন,আমি তখন তা ডবাবো পানিতে....এর চাইতে বরং রুটি নিয়ে নদীতে ঝাপিয়ে পড়াই উত্তম...পানি দিয়েই যখন ভেজাতে হবে ,তা নদীর তলেই হোক...Worried Worried Worried
২৫ জুন ২০১৫ সকাল ১১:১৯
269634
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : অতএব দুই হাতে দুইটা পরোটা নিয়ে কপোতাক্ষে ঝাঁপ দেনTongue
২৫ জুন ২০১৫ রাত ১০:৪২
269772
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হেহেহেহে কপোতাক্ষের কথা আপনার মনে আছে দেখছি। আপনি কুষ্টিয়া না কোন এলাকার যেন...ভুলে গেছি...
২৮ জুন ২০১৫ সকাল ০৯:৫১
270031
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনার কিছুই মনে থাকেনাFrustrated
আমি কুষ্টিয়ার লোক না!Worried
আপনার সেই সন্ত্রাসী গ্রাম যেই উপজেলায় সেই একই উপজেলায় আমার শ্বশুরবাড়ি। কপোতাক্ষের এই পাশে। আপনাকে আগেও বলেছিলাম!Smug
নতুন হাটের আশেপাশে কোন এক গ্রামে আমার শ্বশুরবাড়িHappy
১০
325942
১৫ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:০৪
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অনন্য, অসাধারণ, অনবদ্য-সবই আপনার ঝাঁপিতে জমা করলাম..ধন্যবাদ,,
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
268406
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনার ঝাঁপিতে আরও বেশি কিছু জমা পড়ুকPraying Praying Praying
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
268407
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রমযানের শেষ দশ দিনের আগমনে রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজে (সারা) রাত জাগতেন, নিজের পরিবারের লোকদেরকেও জাগাতেন এবং আল্লাহর ইবাদতে খুব বেশি নিমগ্ন হয়ে যেতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০২:৪১
268606
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : হে আল্লাহ মাহে রমাদানকে যথাযথভাবে পালন এবং হক আদায় করার তৌফিক দিন। আমিন।
আর ব্লগার এই বোনকে তাঁর নামের বরকতে ঐসকল নারীদের কাতারে পৌঁছে দিন। আমিন..
২২ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
269303
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
১১
325995
১৫ জুন ২০১৫ রাত ০৯:২০
আফরা লিখেছেন : জাজাকিল্লাহ খাইরান । অনেক সুন্দর হয়েছে গুরুজী ।
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
268408
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদ জুনিয়রHappy
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫
268409
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ঈমানের সাথে ও সাওয়াবের আশায় রমযানে কিয়াম করে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম)
১২
326292
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০২:০৬
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : ভয়ঙ্কর ব্‌যাপার! আমি তো আজীবনই মুসাফীর, তাইলে আমার কি হবে?!
১৮ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৭
268961
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : যেই মুসাফির অবাক হয়েই থাকে তার জন্য কোন নিয়ম নেইHappy
১৮ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৯
268962
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যখন রমযান মাস আসে, তখন জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানের আবদ্ধ করে দেয়া হয়। (বুখারী ও মুসলিম)
১৩
326347
১৭ জুন ২০১৫ সকাল ০৮:৪৯
১৮ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০০
268963
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
১৮ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০০
268964
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসরাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহﷺ ছিলেন লোকদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অধিক দানশীল। আর বিশেষ করে রমযান মাসে তাঁর দানশীলতা আরো বেশি বেড়ে যেতো যখন হযরত জিবরাঈল (আ) তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন। হযরত জিবরাঈল (আ) তাঁর সাথে রমযানের প্রতি রাতে সাক্ষাৎ করতেন এবং তাঁকে কুরআন শেখাতেন। তবে জিবরাঈল (আ) যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সাথে সাক্ষাৎ করতেন তখন তাঁর দানশীলতা বৃষ্টি বর্ষণকারী বাতাস অপেক্ষা অধিক কল্যাণকামী হয়ে যেতো। (বুখারী ও মুসলিম)

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File