দুনিয়ার মোহ(ছন্দে ছন্দে আল কুরআন)
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ২৯ মে, ২০১৫, ০৬:৪২:৪৫ সন্ধ্যা
এটি মূলতঃ একটি রিপিট পোস্ট। আমি যখন 'সোনার বাংলাদেশ ব্লগ' এ ব্লগিং করা শুরু করি তখন কয়েকটি পোস্ট দেয়ার পরও প্রথম পাতার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। মন বেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। আমি ৬/৭টা পোস্ট দিয়েছিলাম। ঐ পোস্টগুলো ছিল হাদিসের, সুরা আল মাউনের দারস এবং আরও ২/১টি পোস্ট।
ফিডব্যাক এ যোগাযোগ করার পর আমাকে জানানো হল সৃজনশীল লেখা দিতে হবে। আমি তৎক্ষণাৎ সুরা আত তাকাসুর এর ভাবানুবাদ অবলম্বনে একটি কবিতা লিখে ফেলি। এবং তারপর আরেকটি লিখা(ছোটগল্প উপলব্ধি) দেয়ার পর প্রথম পাতার সুবিধা পাই।
সুরা আত তাকাসুর এর ভাবানুবাদটি এখানে দিলাম।
দুনিয়ার মোহ
*************
চাই চাই আরো চাই সব কিছু বেশি বেশি,
গাড়ি বাড়ি সোনা দানা চাও বুঝি রাশি রাশি!
নাম, যশ ও অর্থের প্রতিযোগী হয়ে,
রয়ে গেছ উদাসীন নীতি গেছে ক্ষয়ে ।
.
পড়ে আছো তুমি আজ দুনিয়ার মোহে
কাল রবে এই দেহ কবরের গৃহে ,
যদি তুমি জানতে. 'কি হবে সেদিন ?'
তবে তুমি করতেনা আমল বিলীন ।
.
লেলিহান আগুনের শিখা চোখে দেখে
সব পাপ পড়বে মনে একে একে ,
নিয়ামত দিয়েছিলেন যিনি তোমায়
করনিতো তুমি তাঁর শোকর আদায় ।
.
আলো, বায়ু, পানি আর সুস্বাদু খাবার,
ধন জন শত শত করূনা অপার ।
চলো আজ সবে মিলে ঠিক পথে চলি
ভালো ভালো কাজ করি ভেদাভেদ ভুলি।
তখন আমি অনুবাদের ক্ষেত্রে আল কুরআন থেকে সরাসরি আয়াতভিত্তিক অর্থ গ্রহণ করিনি। আমার সেই পোস্ট যখন টুডে ব্লগ দিলাম তখন দুইজন ভাই আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে অর্থের দিকে যেন খেয়াল রাখি। (সেই দুই ভাইয়ের একজন আওন রাহবার আর একজনের নাম এখন কিছুতেই মনে করতে পারছিনা। কারণ আগের দুইটি পোস্টের একটিতেও এখন আর পুরনো কমেন্টগুলো নেই।) আমি পরে আবারও নতুন করে চেষ্টা করেছি অর্থভিত্তিক অনুবাদ করতে। অর্থভিত্তিক অনুবাদটি এখানে দিলাম।
দুনিয়ার মোহ
*************
.
দুনিয়ার স্বার্থ বেশি বেশি লাভ করার মোহ,
প্রতিযোগিতায় তোমাদের রেখেছে আচ্ছন্ন (আছে কি কোন সন্দেহ?)
.
গাফেল করেছে তোমাদেরকে বেশি পাওয়ার লোভ,
এ অবস্থায়ই কবরে পৌঁছে যাও (হও না নির্লোভ)।
.
কখনোইনা! শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে,
আবার শোন! কখনোইনা!! সেই কথা তোমরা জানবে।
.
কখনোইনা!!! তোমরা যদি নিশ্চিত জ্ঞানে জানতে,
এ হেন আচরণের কি পরিণাম! তবে প্রভুর কথা মানতে!!
.
জাহান্নামের আগুন তোমরা অবশ্যই চোখে দেখবে।
আবার শোন! তোমরা তা দেখবেই নিশ্চিতভাবে!!
.
প্রভুর দেয়া নিয়ামতরাজি যা ভোগ করেছ ভবে,
তার সম্পর্কে তোমাদের সেদিন অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সূরা আত তাকাসুরের অর্থঃ
১.) বেশী বেশী এবং একে অপরের থেকে বেশী দুনিয়ার স্বার্থ লাভ করার মোহ তোমাদের গাফলতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
২.) এমনকি (এই চিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে) তোমরা কবর পর্যন্ত পৌঁছে যাও।
৩.) কখ্খনো না, শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে।
৪.) আবার (শুনে নাও) কখ্খনো না শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে।
৫.) কখ্খনো না, যদি তোমরা নিশ্চিত জ্ঞানের ভিত্তিতে (এই আচরণের পরিণাম) জানতে (তাহলে তোমরা এ ধরনের কাজ করতে না)।
৬.) তোমরা জাহান্নাম দেখবেই।
৭.) আবার (শুনে নাও) তোমরা একেবারে স্থির নিশ্চিতভাবে তা দেখবেই।
৮.) তারপর অবশ্যই সেদিন তোমাদের এই নিয়ামতগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
[আত তাকাসুর]
বিষয়: বিবিধ
১৬৬৫ বার পঠিত, ৬০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
'অন্যদিকে মুত্তাকীরা থাকবে বাগানে ও নির্ঝরিণীসমূহে
এবং তাদেরকে বলা হবে, তোমরা এগুলোতে প্রবেশ করো শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে।
তাদের মনে যে সামান্য কিছু মনোমালিন্য থাকবে তা আমি বের করে দেবো, তারা পরস্পর ভাই ভাইয়ে পরিণত হয়ে মুখোমুখি আসনে বসবে।
সেখানে তাদের না কোন পরিশ্রম করতে হবে আর না তারা সেখান থেকে বহিষ্কৃত হবে।'
(সূরা আল হিজর;আয়াত নং ৪৫-৪৮)
'যখন সে দিনটি আসবে তখন মুত্তাকীরা ছাড়া অবশিষ্ট সব বন্ধুই একে অপরের দুশমন হয়ে যাবে।
যারা আমার আয়াতসমূহের ওপর ঈমান এনেছিলো এবং আমার আদেশের অনুগত হয়েছিল
সেই দিন তাদের বলা হবে, “হে আমার বান্দারা, আজ তোমাদের কোন ভয় নেই এবং কোন দুঃখও আজ তোমাদের স্পর্শ করবে না।
তোমরা এবং তোমাদের স্ত্রীরা জান্নাতে প্রবেশ করো। তোমাদের খুশী করা হবে।"
তাদের সামনে স্বর্ণের প্লেট ও পেয়ালাসমূহ আনা নেয়া করানো হবে এবং মনের মত ও দৃষ্টি পরিতৃপ্তকারী প্রতিটি জিনিস সেখানে থাকবে। তাদের বলা হবে, “এখন তোমরা এখানে চিরদিন থাকবে। পৃথিবীতে তোমরা যেসব কাজ করেছো
তার বিনিময়ে এ জান্নাতের উত্তরাধিকারী হয়েছো।
তোমাদের জন্য এখানে প্রচুর ফল মজুদ আছে যা তোমরা খাবে।”
(সূরা আয্ যুখরুফ;আয়াত নং ৬৭-৭৩)
'আল্লাহভীরু লোকেরা শান্তি ও নিরাপত্তার জায়গায় থাকবে বাগান ও ঝর্ণা ঘেরা জায়গায়।
তারা রেশম ও মখমলের পোশাক পরে সামনাসামনি বসবে।
এটা হবে তাদের অবস্থা। আমি সুন্দরী হরিণ নয়না নারীদের সাথে তাদের বিয়ে দেবো।
সেখানে তারা নিশ্চিন্তে মনের সুখে সবরকম সুস্বাদু জিনিস চেয়ে চেয়ে নেবে।
সেখানে তারা কখনো মৃত্যুর স্বাদ চাখবে না।
তবে দুনিয়াতে যে মৃত্যু এসেছিলো তা তো এসেই গেছে। আর আল্লাহ তাঁর করুণায় তাদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন। এটাই বড় সফলতা।'
( সূরা আদ দুখান;আয়াত নং ৫১-৫৭ )
শুরু করি লয়ে শুভ নাম আল্লার
নাহি আদি অন্ত যাঁর করুণার।
অধিক লোভের বাসনা রেখেছে তোমাদেরে মোহ-ঘোরে,
যাবৎ না দেখ তোমরা গোরস্থানের আঁধার গোরে।
না, না, না, তোমরা শীঘ্র জানিবে, পুনরায় কহি ত্বরা
জ্ঞাত হবে; না, না, হতে যদি জ্ঞানী ধ্রুব সে জ্ঞানেতে ভরা।
দোজখ-অগ্নি করিবে তোমরা নিশ্চয় দর্শন
দেখিবে তাহারে তারপর লয়ে বিশ্ববাসীর নয়ন।
-নিশ্চয় তার পরে
হইবে জিজ্ঞাসিত আল্লার চিরসম্পদ তরে।
কাব্য আমপারা
কাজী নজরুল ইসলাম...
'নিঃসন্দেহে নেক লোকেরা থাকবে বড়ই আনন্দে।
উঁচু আসনে বসে দেখতে থাকবে।
তাদের চেহারায় তোমরা সচ্ছলতার দীপ্তি অনুভব করবে।
তাদেরকে মোহর করা বিশুদ্ধতম শরাব পান করানো হবে।
তার ওপর মিশক-এর মোহর থাকবে। যারা অন্যদের ওপর প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে চায় তারা যেন এই জিনিসটি হাসিল করার জন্য প্রতিযোগিতায় জয়ী হবার চেষ্টা করে।
সে শরাবে তাসনীমের মিশ্রণ থাকবে।
এটি একটি ঝরণা, নৈকট্য লাভকারীরা এর পানির সাথে শরাব পান করবে।'
(সূরা আল মুতাফফিফীনঃ ২২-২৮)
'আর হে নবী, যারা এ কিতাবের ওপর ঈমান আনবে এবং (এর বিধান অনুযায়ী) নিজেদের কার্যধারা সংশোধন করে নেবে তাদেরকে এ মর্মে সুখবর দাও যে, তাদের জন্য এমন সব বাগান আছে যার নিম্নদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে ঝর্ণাধারা। সেই বাগানের ফল দেখতে দুনিয়ার ফলের মতই হবে। যখন কোন ফল তাদের দেয়া হবে খাবার জন্য, তারা বলে উঠবেঃ এ ধরনের ফলই ইতিপূর্বে দুনিয়ায় আমাদের দেয়া হতো। তাদের জন্য সেখানে থাকবে পাক-পবিত্র সাথীগণ এবং তারা সেখানে থাকবে চিরকাল।'
[আল বাকারাহ; আয়াত নং -২৫ ]
'আর যারা আমার আয়াতগুলো মেনে নিয়েছে এবং সৎকাজ করেছে তাদেরকে এমন সব বাগীচার মধ্যে প্রবেশ করাবো যার নিম্নদেশে ঝরণাধারা প্রবাহিত হবে। সেখানে তারা থাকবে, চিরস্থায়ীভাবে, তারা সেখানে পবিত্র স্ত্রীদেরকে লাভ করবে এবং তাদেরকে আমি আশ্রয় দেবো ঘন স্নিগ্ধ ছায়াতলে।'
[ আন্ নিসা; আয়াত নং -৫৭]
ধন্যবাদ মিয়াজী ভাই
'অন্যদিকে যারা আমার আয়াত মেনে নিয়েছে এবং সৎকাজ করেছে- আর এ পর্যায়ে আমি কাউকে তার সামর্থের অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পণ করি না- তারা হচ্ছে জান্নাতবাসী। সেখানে তারা থাকবে চিরকাল।'
'তাদের মনে পরস্পরের বিরুদ্ধে যা কিছু গ্লানি থাকবে তা আমি বের করে দেবো। তাদের নিম্নদেশে ঝরণাধারা প্রবাহিত হবে এবং তারা বলবেঃ “প্রশংসা সব আল্লাহরই জন্য, যিনি আমাদের এ পথ দেখিয়েছেন। আমরা নিজেরা পথের সন্ধান পেতাম না যদি না আল্লাহ আমাদের পথ দেখাতেন। আমাদের রবের পাঠানো রসূলগণ যথার্থ সত্য নিয়েই এসেছিলেন।” সে সময় আওয়াজ ধ্বনিত হবেঃ “তোমাদেরকে এই যে জান্নাতের উত্তরাধিকারী বানানো হয়েছে, এটি তোমরা লাভ করেছো সেই সমস্ত কাজের প্রতিদানে যেগুলো তোমরা অব্যাহতভাবে করতে।”
[আল আরাফ; আয়াত নং - ৪২ ও ৪৩ ]
'এ মুমিন পুরুষ ও নারীকে আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাদেরকে তিনি এমন বাগান দান করবেন যার নিম্নদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহমান হবে এবং তারা তার মধ্যে চিরকাল বাস করবে। এসব চির সবুজ বাগানে তাদের জন্য থাকবে বাসগৃহ এবং সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে। এটিই সবচেয়ে বড় সাফল্য।'
[আত তওবা ; আয়াত নং - ৭২]
'অন্যদিকে রসূল ও তার ঈমানদার সাথীরা নিজেদের জান-মাল দিয়ে জিহাদ করেছে। সমস্ত কল্যাণ এখন তাদের জন্য এবং তারাই সফলকাম হবে।'
'আল্লাহ তাদের জন্য এমন বাগান তৈরী করে রেখেছেন। যার নিম্নদেশে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হচ্ছে। তার মধ্যে তারা থাকবে চিরকাল। এটাই মহা সাফল্য।'
[আত তওবা ; আয়াত নং - ৮৮ ও ৮৯]
ভাবার্থ ও প্রায় শাব্দিক কাব্যানুবাদ অনেক ভাল লাগল!
সাথে সাথে পবিত্র সুরার তেলাওয়াতও হয়ে গেল এই উসিলায়!
জাযাকিল্লাহু খাইরাল জাযা-ই!
‘তাদের অবস্থা হয় এই যে, নিজেদের রবের সন্তুষ্টির জন্য তারা সবর করে, নামায কায়েম করে, আমার দেয়া রিযিক থেকে প্রকাশ্যে ও গোপনে খরচ করে এবং ভালো দিয়ে মন্দ দূরীভূত করে। আখেরাতের গৃহ হচ্ছে তাদের জন্যই। অর্থাৎ এমন সব বাগান যা হবে তাদের চিরস্থায়ী আবাস।
তারা নিজেরা তার মধ্যে প্রবেশ করবে এবং তাদের বাপ-দাদারা ও স্ত্রী-সন্তানদের মধ্য থেকে যারা সৎকর্মশীল হবে তারাও তাদের সাথে সেখানে যাবে। ফেরেশতারা সব দিক থেকে তাদেরকে অভ্যর্থনা জানাবার জন্য আসবে
এবং তাদেরকে বলবেঃ “তোমাদের প্রতি শান্তি।তোমরা দুনিয়ায় যেভাবে সবর করে এসেছো তার বিনিময়ে আজ তোমরা এর অধিকারী হয়েছো।”- কাজেই কতই চমৎকার এ আখেরাতের গৃহ!”
[সূরাআর্ রাদ; আয়াত নং -২২, ২৩ ও ২৪]
মামুন ভাইয়ের মোবাইল নাম্বার আছে আমার কাছে! প্রয়োজন হলে ফেবুতে ইনবক্স করতে পারি!
আমার একটি অনুরোধ, যদি সূরা আত-তাকভীরের ভাবানুবাদ করতেন । এই সূরাটি আমার কাছে, গবেষণার বস্তু বলে মনেহয়।
অনুবাদের ভাষার ব্যপারে আমার কোন মতামত নেই, আমার ভাষা জ্ঞান অনেক পুওর । আমি এটাই বুঝি মূল বক্তব্য ঠিক রেখে , যদি সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন করা যায় তবে মন্দ কি ? ধন্যবাদ জাযাকাল্লাহু খাইর।
“ যারা আল্লাহকে ভয় করে তাদের জন্য যে জান্নাতের ওয়াদা করা হয়েছে তার অবস্থা হচ্ছে এই যে, তার পাদদেশে নদী প্রবাহিত হচ্ছে, তার ফলসমূহ চিরস্থায়ী এবং তার ছায়ার বিনাশ নেই। এ হচ্ছে মুত্তাকীদের পরিণাম।“
[সূরা আর্ রাদ; আয়াত নং -৩৫]
https://alokerjhornadhara.wordpress.com/category/ছন্দে-ছন্দে-আল-কুরআন/
'অন্যদিকে মুত্তাকীরা থাকবে বাগানে ও নির্ঝরিণীসমূহে
এবং তাদেরকে বলা হবে, তোমরা এগুলোতে প্রবেশ করো শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে।
তাদের মনে যে সামান্য কিছু মনোমালিন্য থাকবে তা আমি বের করে দেবো, তারা পরস্পর ভাই ভাইয়ে পরিণত হয়ে মুখোমুখি আসনে বসবে।
সেখানে তাদের না কোন পরিশ্রম করতে হবে আর না তারা সেখান থেকে বহিষ্কৃত হবে।'
(সূরা আল হিজর;আয়াত নং ৪৫-৪৮)
'যখন সে দিনটি আসবে তখন মুত্তাকীরা ছাড়া অবশিষ্ট সব বন্ধুই একে অপরের দুশমন হয়ে যাবে।
যারা আমার আয়াতসমূহের ওপর ঈমান এনেছিলো এবং আমার আদেশের অনুগত হয়েছিল
সেই দিন তাদের বলা হবে, “হে আমার বান্দারা, আজ তোমাদের কোন ভয় নেই এবং কোন দুঃখও আজ তোমাদের স্পর্শ করবে না।
তোমরা এবং তোমাদের স্ত্রীরা জান্নাতে প্রবেশ করো। তোমাদের খুশী করা হবে।"
তাদের সামনে স্বর্ণের প্লেট ও পেয়ালাসমূহ আনা নেয়া করানো হবে এবং মনের মত ও দৃষ্টি পরিতৃপ্তকারী প্রতিটি জিনিস সেখানে থাকবে। তাদের বলা হবে, “এখন তোমরা এখানে চিরদিন থাকবে। পৃথিবীতে তোমরা যেসব কাজ করেছো
তার বিনিময়ে এ জান্নাতের উত্তরাধিকারী হয়েছো।
তোমাদের জন্য এখানে প্রচুর ফল মজুদ আছে যা তোমরা খাবে।”
(সূরা আয্ যুখরুফ;আয়াত নং ৬৭-৭৩)
'আল্লাহভীরু লোকেরা শান্তি ও নিরাপত্তার জায়গায় থাকবে বাগান ও ঝর্ণা ঘেরা জায়গায়।
তারা রেশম ও মখমলের পোশাক পরে সামনাসামনি বসবে।
এটা হবে তাদের অবস্থা। আমি সুন্দরী হরিণ নয়না নারীদের সাথে তাদের বিয়ে দেবো।
সেখানে তারা নিশ্চিন্তে মনের সুখে সবরকম সুস্বাদু জিনিস চেয়ে চেয়ে নেবে।
সেখানে তারা কখনো মৃত্যুর স্বাদ চাখবে না।
তবে দুনিয়াতে যে মৃত্যু এসেছিলো তা তো এসেই গেছে। আর আল্লাহ তাঁর করুণায় তাদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন। এটাই বড় সফলতা।'
( সূরা আদ দুখান;আয়াত নং ৫১-৫৭ )
'নিঃসন্দেহে নেক লোকেরা থাকবে বড়ই আনন্দে।
উঁচু আসনে বসে দেখতে থাকবে।
তাদের চেহারায় তোমরা সচ্ছলতার দীপ্তি অনুভব করবে।
তাদেরকে মোহর করা বিশুদ্ধতম শরাব পান করানো হবে।
তার ওপর মিশক-এর মোহর থাকবে। যারা অন্যদের ওপর প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে চায় তারা যেন এই জিনিসটি হাসিল করার জন্য প্রতিযোগিতায় জয়ী হবার চেষ্টা করে।
সে শরাবে তাসনীমের মিশ্রণ থাকবে।
এটি একটি ঝরণা, নৈকট্য লাভকারীরা এর পানির সাথে শরাব পান করবে।'
(সূরা আল মুতাফফিফীনঃ ২২-২৮)
আল্লাহ আপনাকে আরো যোগ্যতা বাড়িয়ে দিন! সবাই গল্প দিয়ে বই বের করছে আপনি এই সিরিজটা একসাথে করে বই বের করতে পারেন!
জাযাকিল্লাহ!
আমি ঐ পথে যেতে চাই না।
'আর হে নবী, যারা এ কিতাবের ওপর ঈমান আনবে এবং (এর বিধান অনুযায়ী) নিজেদের কার্যধারা সংশোধন করে নেবে তাদেরকে এ মর্মে সুখবর দাও যে, তাদের জন্য এমন সব বাগান আছে যার নিম্নদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে ঝর্ণাধারা। সেই বাগানের ফল দেখতে দুনিয়ার ফলের মতই হবে। যখন কোন ফল তাদের দেয়া হবে খাবার জন্য, তারা বলে উঠবেঃ এ ধরনের ফলই ইতিপূর্বে দুনিয়ায় আমাদের দেয়া হতো। তাদের জন্য সেখানে থাকবে পাক-পবিত্র সাথীগণ এবং তারা সেখানে থাকবে চিরকাল।'
[আল বাকারাহ; আয়াত নং -২৫ ]
'আর যারা আমার আয়াতগুলো মেনে নিয়েছে এবং সৎকাজ করেছে তাদেরকে এমন সব বাগীচার মধ্যে প্রবেশ করাবো যার নিম্নদেশে ঝরণাধারা প্রবাহিত হবে। সেখানে তারা থাকবে, চিরস্থায়ীভাবে, তারা সেখানে পবিত্র স্ত্রীদেরকে লাভ করবে এবং তাদেরকে আমি আশ্রয় দেবো ঘন স্নিগ্ধ ছায়াতলে।'
[ আন্ নিসা; আয়াত নং -৫৭]
মন্তব্য করতে লগইন করুন