মুত্তাফাকুন আলাইহি -৩৪

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ২৮ মে, ২০১৫, ০৩:৫৯:১৪ দুপুর

দুর্বল ও গরীব মুসলমানদের ফযীলত

১১৬) হযরত হারিসা ইবনে ওয়াহাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি, 'কোন্ ধরনের লোক জান্নাতী হবে, আমি কি তা তোমাদের বলব না? যে দুর্বল ব্যক্তিকে লোকেরা শক্তিহীন ও তুচ্ছ জ্ঞান করে, সে যদি আল্লাহর ওপর শপথ করে ভরসা করে, তবে আল্লাহ তা পূরণ করার সুযোগ দেবেন। কোন্ ধরনের লোক জাহান্নামে যাবে আমি কি তা তোমাদের বলব না? (জেনে রাখো)! প্রতিটি নাদান-মূর্খ, অবাধ্য ও অহংকারী ব্যক্তিই জাহান্নামে যাবে।'

১১৭) হযরত সাহল ইবনে সা’দ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসূলে আকরাম ﷺ র পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তিনি তাঁর কাছে বসা লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন,' (চলে যাওয়া) লোকটি সম্পর্কে তোমার কি অভিমত?'

জবাবে সে বললঃ ‘তিনি তো শরীফ লোকদের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহর কসম! তিনি খুবই যোগ্য লোক। তিনি বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা কবুল করা হয় এবং তাঁর সুপারিশও গ্রহণ করা হয়।'

(কোন মন্তব্য না করে) রাসূলে আকরাম ﷺ নীরব রইলেন।

এরপর অন্য এক ব্যক্তি তাঁর সামনে দিয়ে অতিক্রান্ত হলো। রাসূলে আকরাম ﷺবসা লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন,' এ লোকটি সম্পর্কে তোমার কি ধারণা?'

সে জবাবে বলল,' হে আল্লাহর রাসূল! এ লোকটি তো গরীব মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত। তার অবস্থা এই যে, তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়, তার সুপারিশ কবুল করা হয় না এবং কোন কথা বললে তাকে কেউ গুরুত্ব দেয় না।'

রাসূলে আকরাম ﷺ বললেনঃ এই লোকটি নিঃস্ব মুসলমান হলেও দুনিয়ায় ঐসব (তথাকথিত শরীফ) লোকদের চেয়ে অনেক উত্তম।

১১৮) হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ 'কিয়ামতের দিন এক মোটা-তাজা ও দীর্ঘদেহী ব্যক্তিকে উপস্থাপন করা হবে। কিন্তু আল্লাহর কাছে লোকটির মূল্য ও মর্যাদা একটি মাছির ডানার সমতুল্যও হবে না।'

১১৯) হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, জনৈক কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা (অথবা বর্ণনাকারীর সন্দেহ, এক যুবক) মসজিদে নববীতে ঝাড়ু দেওয়ার কাজ করত। একদিন রাসূলে আকরাম ﷺ তাকে দেখতে না পেয়ে সাহাবীদের কাছে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তাঁরা বললেন, সেই লোকটি মারা গেছে।'

রাসূলে আকরাম ﷺ বললেনঃ 'তোমরা আমাকে এ খবর দাওনি কেন? (সম্ভবত তারা এটাকে মামুলী ব্যাপার মনে করেছিলেন।) রাসূলে আকরাম ﷺ বললেনঃ আমাকে তার কবর দেখিয়ে দাও। লোকেরা তাঁকে কবরের কাছে নিয়ে গেলেন। তিনি লোকটির জানাযা পড়লেন এবং বললেনঃ এই কবরবাসীদের কবরগুলো অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকতো। তাদের জন্য আমার নামায পড়ার কারণে আল্লাহ তায়ালা কবরগুলোকে আলোকিত করে দিয়েছেন।

১২০) হযরত উসামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ আমি মিরাজ-এর রাতে জান্নাত এর দরজায় দাঁড়ালাম। দেখলাম জান্নাতে প্রবেশকারী অধিকাংশ লোকই নিঃস্ব, দরিদ্র। বিত্তবান লোকদের জান্নাতে প্রবেশ করতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। দোযখীদের দোযখে নিয়ে যাওয়ার হুকুম আগেই দেওয়া হয়েছিল। আমি দোযখের দরজায় দাঁড়িয়ে দেখলাম, দোযখে প্রবেশকারীদের অধিতাংশই হচ্ছে মহিলা।

[বুখারী ও মুসলিম]

.

[রিয়াদুস সালেহীন থেকে সংগৃহিত। হাদিস নং যথাক্রমে-২৫২, ২৫৩, ২৫৫, ২৫৬ ও ২৫৮]



.

মুত্তাফাকুন আলাইহি -৩৩

বিষয়: বিবিধ

১৪৮৩ বার পঠিত, ৬৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

323068
২৮ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:২১
ছালসাবিল লিখেছেন : জাজাকিল্লা!! আপু আমিও গরিব Big Grin আলহামদুলিল্লাহ।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৪৫
264505
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনারে গরীব বলে গরীব সে নয়।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৪৭
264506
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেনঃ এমন অনেক লোক রয়েছে যাদের মাথার চুল উস্কো-খুস্কো এবং পা দু’টি ধূলি ধূসরিত; তাদেরকে মানুষের দরজা থেকে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়; কিন্তু তারা যদি আল্লাহর নামে শপথ করে তবে আল্লাহ তাদের সেই শপথ পূর্ণ করার তৌফিক দেন। (মুসলিম)
323074
২৮ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৩
আলোর কথা লিখেছেন : ভালো লাগলো ,গরিব হতে পেরে এই প্রথম আনন্দ পেলাম। আলহামদুলিল্লাহ।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৪৮
264507
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনারে গরীব বলে গরীব সে নয়।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৪৮
264508
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


হযরত আবু সাঈদ খুদরীরাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ বেহেশত এবং দোযখ এই দুইয়ের মধ্যে বিতর্ক হলো। দোযখ বলল, আমার ভেতর বড় বড় জালিম, দাম্ভিক ও অহংকারী লোকেরা রয়েছে।

বেহেশত্ বলল, আমার ভেতর রয়েছে গরীব, দুর্বল ও অসহায় লোকেরা।

মহান আল্লাহ উভয়ের মধ্যে ফায়সালা করে দিলেনঃ বেহেশত্ তুমি আমার রহমতের আধার। তোমার মাধ্যমে যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ প্রদর্শন করবো। আর দোযখ! তুমি আমার শাস্তির আধার। তোমার মাধ্যমে যাকে ইচ্ছা আমি শাস্তি দেব। তোমাদের উভয়কে পূর্ণতা দানই আমার কাজ। (মুসলিম)
323076
২৮ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ জাযাকাল্লাহ খাইর
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৪৯
264509
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম। বরাকাল্লাহু ফীক।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫০
264510
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে না তার সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করতে পারে, না তাকে মিথ্যা বলতে পারে আর না তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে। মূলত প্রত্যেক মুসলমানের মান-সভ্রম, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের ওপর হারাম। (তিনি আপন বক্ষস্থলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেনঃ) তাকওয়া এখানে থাকে। কোন ব্যক্তির নষ্ট হওয়ার জন্যে এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃনা করে, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সচেষ্ট থাকে।

(তিরমিযী)
323083
২৮ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১৫
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : আলহামদুল্লিলাহ।হাদিস গুলো পড়ে ভাল লাগলো।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫০
264511
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদ।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫০
264512
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ তোমরা পরস্পরের প্রতি হিংসা পোষণ করো না, নকল ক্রেতা সেজে আসল ক্রেতার সামনে পণ্যের দাম বাড়িও না, ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, একজনের ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর অন্যজন ক্রয়-বিক্রয় করো না। আল্লাহর বান্দাগণ! ‘তোমরা ভাই ভাই হয়ে থাকো। জেনে রাখো, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তাকে না জুলুম করতে পারে, না হীন জ্ঞান করতে পারে অথবা না পারে অপমান অপদস্ত করতে। তাকওয়া এখানেই থাকে। (এ কথাটা তিনি তিনবার বলেন এবং তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করেন) কোন ব্যক্তির খারাপ প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃণা করে কিংবা হীন জ্ঞান করে। বস্তুত প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত (জীবন), ধন-মাল এবং মান-ইজ্জত অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।

(মুসলিম)
323084
২৮ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১৭
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : Thank you very much. Jajakallahu khair
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫১
264513
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীক।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫১
264514
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেনঃ তোমার ভাইকে সাহায্য করো, চাই সে নিষ্ঠুর জালিম হোক অথবা মজলুম।

এক ব্যক্তি নিবেদন করলো, হে আল্লাহর রাসূল! লোকটা যদি মজলুম হয় আমি তাকে সাহায্য করবো এটা বুঝতে পারলাম; কিন্তু যদি সে জালিম হয় তাহলে আমি তাকে কিভাবে সাহায্য করবো?

তিনি বললেনঃ তাকে জুলুম করা থেকে বিরত রাখ, বাধা দাও। এটাই তাকে সাহায্য করার অর্থ।

(বুখারী)
২৯ মে ২০১৫ দুপুর ০২:২৩
264623
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : সুবাহান আল্লাহ। আল্লাহতালা আমাদের কে আমল করার তাওফিক দিন।আমীন।
৩০ মে ২০১৫ সকাল ০৭:৩২
264790
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
323088
২৮ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৬
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার সরব উপস্থিতিকে স্বাগত জানাই৷ জাজাকাল্লাহু খাইরান৷
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫১
264515
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদ।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫২
264516
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺবলেনঃ যে বান্দাই অন্য বান্দার দোষ-ত্রুটি এ দুনিয়ায় গোপন রাখবে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।

(মুসলিম)
323098
২৮ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৮
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : ব্লগে নিয়মিত হাদীস পোস্ট! এক্কেরে অসাধারন... জাঝাকাল্লহ খাইরান। একটা প্রশ্ন, নতুন জিনিস জানলাম ১১৯ নম্বর হাদীসটি থেকে, মুহাম্মাদ (সাঃ) কবর হয়ে যাওয়া মাইয়াতের জানাজা পড়েছেন... এটা কি এখনো বৈধ?
২৮ মে ২০১৫ রাত ১১:৪৯
264434
ফুটন্ত গোলাপ লিখেছেন : হ্যা পড়া যায়
২৯ মে ২০১৫ রাত ১২:০০
264438
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : ডাবল শুকরিয়া @ফুটন্ত গোলাপ
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫৫
264519
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ১১৯ নং হাদিসে এসেছে কবরস্থানে গিয়ে জানাজা পড়ার কথা। এখনও কি এই সিস্টেম চালু আছে? আপনি কি গায়েবানা জানাজার কথা মিন করছেন? একটু বুঝিয়ে বললে আমাদের জন্য ভালো হত। ভাই ফুটন্ত গোলাপ।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫৬
264521
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুবর্ণনা করেন, এক ব্যক্তিকে রাসূলে আকরাম ﷺএর কাছে ধরে নিয়ে আসা হলো। লোকটি মদ পান করেছিল। তিনি আদেশ দিলেনঃ তাকে প্রহার করো। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ তাকে হাত দিয়ে, কেউ জুতা দিয়ে এবং কেউবা কাপড় দিয়ে প্রহার করলো। যখন সে ফিরে যাচ্ছিল কতিপয় ব্যক্তি বলেন, আল্লাহ তোমায় অপদস্থ করেছেন। রাসূলে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এরূপ কথা বলোনা; শয়তানকে তার ওপর বিজয়ী করে দিওনা। (বুখারী)
২৯ মে ২০১৫ দুপুর ০২:৫৩
264629
ফুটন্ত গোলাপ লিখেছেন : ১১৯ নং হাদীসটি আমি আগেও পড়েছি । এটা গায়েবানা জানাজা নয় , শুধু জানাজা । কেউ যদি কারো জানাজা না পায় সেক্ষেত্রে কবরে জানাজা পড়তে পারে । কবরকে সামনে রেখে কেবলামুখী হয়ে এটা আদায় করতে হয় । রাসুল (সঃ) বাদশাহ নাজ্জাশীর মৃত্যুর পর শুধু গায়েবানা জানাজা পড়েছিলেন ।
২৯ মে ২০১৫ দুপুর ০২:৫৭
264631
ফুটন্ত গোলাপ লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ @অবাক মুসাফীর
৩০ মে ২০১৫ সকাল ০৭:৩৩
264791
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ফুটন্ত গোলাপHappy
323107
২৮ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৬
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : আন্তরিক ধন্যবাদ হাদিসহুলো পোষ্ট দেয়ার জন্য ফাতিমাপু... Happy অনেক ধন্যবাদ
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫৬
264522
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই মুন্সীভাই।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫৭
264524
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুএর বর্ণনা মতে রাসূলে আকরাম ﷺবলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের জাগতিক কষ্টগুলোর মধ্য কোন একটি কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার বড় একটি কষ্ট দূর করে দেবেন।

যে ব্যক্তি কোন অভাবীর অভাবজনিত কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার অভাবজনিত কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন।

বান্দাহ যখন তার কোন মুসলিম ভাইয়ের সাহায্য-সহায়তা করতে থাকে, আল্লাহ ও ততক্ষণ তার সাহায্য-সহায়তা করতে থাকেন।

যে ব্যক্তি জ্ঞান (ইলম) অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন পথ অবলম্বন করে আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে একটি পথ সহজ করে দেবেন।

যখন কোন জনগোষ্ঠী আল্লাহ তায়া’লার কোন ঘরে একত্র হয়ে তাঁর (আল্লাহর) কিতাব অধ্যয়ন করতে থাকে এবং পরস্পর এর আলোচনায় নিরত থাকে, তখন তাদের উপর শান্তি ও স্বস্তি বর্ষিত হতে থাকে।

আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ তাদেরকে ঘিরে নেয়, ফেরেশতারা তাদেরকে ঘেরাও করে নেন এবং আল্লাহ তার দরবারে উপস্থিতদের (ফেরেশতাদের) কাছে তাদের উল্লেখ করেন। বস্তুত যার কার্যকলাপ তাকে পিছিয়ে দেয়, তার বংশ মর্যাদা তাকে এগিয়ে দিতে পারে না।

(মুসলিম)
323131
২৮ মে ২০১৫ রাত ১০:১৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫৭
264525
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫৮
264526
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺবলেনঃ যে বান্দাই অন্য বান্দার দোষ-ত্রুটি এ দুনিয়ায় গোপন রাখবে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।

(মুসলিম)
১০
323148
২৮ মে ২০১৫ রাত ১১:৫১
ফুটন্ত গোলাপ লিখেছেন : অসাধারন, জাযাকাল্লাহ খাইর ।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫৫
264518
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ১১৯ নং হাদিসে এসেছে কবরস্থানে গিয়ে জানাজা পড়ার কথা। এখনও কি এই সিস্টেম চালু আছে? আপনি কি গায়েবানা জানাজার কথা মিন করছেন? একটু বুঝিয়ে বললে আমাদের জন্য ভালো হত।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৫৯
264527
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেনঃ এমন অনেক লোক রয়েছে যাদের মাথার চুল উস্কো-খুস্কো এবং পা দু’টি ধূলি ধূসরিত; তাদেরকে মানুষের দরজা থেকে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়; কিন্তু তারা যদি আল্লাহর নামে শপথ করে তবে আল্লাহ তাদের সেই শপথ পূর্ণ করার তৌফিক দেন। (মুসলিম)
৩০ মে ২০১৫ সকাল ০৭:৩৩
264792
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ফুটন্ত গোলাপHappy
১১
323157
২৯ মে ২০১৫ রাত ১২:১৮
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : প্রিয়তে নিলাম । শান্তনা যোগাবে ।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ১০:০০
264528
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদ।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ১০:০০
264529
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


হযরত আবু সাঈদ খুদরীরাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ বেহেশত এবং দোযখ এই দুইয়ের মধ্যে বিতর্ক হলো। দোযখ বলল, আমার ভেতর বড় বড় জালিম, দাম্ভিক ও অহংকারী লোকেরা রয়েছে।

বেহেশত্ বলল, আমার ভেতর রয়েছে গরীব, দুর্বল ও অসহায় লোকেরা।

মহান আল্লাহ উভয়ের মধ্যে ফায়সালা করে দিলেনঃ বেহেশত্ তুমি আমার রহমতের আধার। তোমার মাধ্যমে যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ প্রদর্শন করবো। আর দোযখ! তুমি আমার শাস্তির আধার। তোমার মাধ্যমে যাকে ইচ্ছা আমি শাস্তি দেব। তোমাদের উভয়কে পূর্ণতা দানই আমার কাজ। (মুসলিম)
১২
323189
২৯ মে ২০১৫ রাত ০৩:২০
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

চমৎকার হাদীসের সিরিজটি নিয়ে আবারো সরব হওয়ার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!

দরিদ্রদের কথা শুনলে সবাই এড়িয়ে চলে অথচ জান্নাতে দরিদ্রের সংখ্যা হবে বেশি!
আল্লাহ আমাদের দ্বীনদার, নেককার , হালাল দরিদ্রের জান্নাতী অধিবাসী হওয়ার সুযোগ দিন! আমিন! Good Luck
২৯ মে ২০১৫ সকাল ১০:০০
264530
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম।


আমীনPraying
২৯ মে ২০১৫ সকাল ১০:০১
264531
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে না তার সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করতে পারে, না তাকে মিথ্যা বলতে পারে আর না তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে। মূলত প্রত্যেক মুসলমানের মান-সভ্রম, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের ওপর হারাম। (তিনি আপন বক্ষস্থলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেনঃ) তাকওয়া এখানে থাকে। কোন ব্যক্তির নষ্ট হওয়ার জন্যে এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃনা করে, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সচেষ্ট থাকে।

(তিরমিযী)
১৩
323203
২৯ মে ২০১৫ রাত ০৩:৫৭
কাহাফ লিখেছেন :

ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম কর্তৃক স্বীয় হাদিস গ্রন্থে সংযোজিত হাদিস কে 'মুত্তাফাকুন আলাইহে' হাদিস বলা হয়!
কয়েকটা হাদিস শেয়ার করায় অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকিল্লাহু খাইরান!!
২৯ মে ২০১৫ সকাল ১০:০১
264532
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ১০:০২
264533
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ তোমরা পরস্পরের প্রতি হিংসা পোষণ করো না, নকল ক্রেতা সেজে আসল ক্রেতার সামনে পণ্যের দাম বাড়িও না, ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, একজনের ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর অন্যজন ক্রয়-বিক্রয় করো না। আল্লাহর বান্দাগণ! ‘তোমরা ভাই ভাই হয়ে থাকো। জেনে রাখো, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তাকে না জুলুম করতে পারে, না হীন জ্ঞান করতে পারে অথবা না পারে অপমান অপদস্ত করতে। তাকওয়া এখানেই থাকে। (এ কথাটা তিনি তিনবার বলেন এবং তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করেন) কোন ব্যক্তির খারাপ প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃণা করে কিংবা হীন জ্ঞান করে। বস্তুত প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত (জীবন), ধন-মাল এবং মান-ইজ্জত অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।

(মুসলিম)
১৪
323253
২৯ মে ২০১৫ দুপুর ১২:১১
আবু জান্নাত লিখেছেন : মা শা আল্লাহ আপি, আপনি দেখছি অনেক বড় হুজুরী, অনেক হাদীস জানেন, জাযাকিল্লাহ খাইর।
৩০ মে ২০১৫ সকাল ০৭:৩৫
264793
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদ।


(হুজুরী মানে কি? )
৩০ মে ২০১৫ সকাল ০৭:৩৫
264794
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেনঃ এমন অনেক লোক রয়েছে যাদের মাথার চুল উস্কো-খুস্কো এবং পা দু’টি ধূলি ধূসরিত; তাদেরকে মানুষের দরজা থেকে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়; কিন্তু তারা যদি আল্লাহর নামে শপথ করে তবে আল্লাহ তাদের সেই শপথ পূর্ণ করার তৌফিক দেন। (মুসলিম)
৩০ মে ২০১৫ দুপুর ০১:২২
264859
আবু জান্নাত লিখেছেন : মা শা আল্লাহ, আপনি মনে হচ্ছে তাদেরই একজন। আপনার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। জাযাকিল্লাহ খাইরান আপুমনি।
৩০ মে ২০১৫ দুপুর ০১:২৩
264860
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওহ! হুজুরী মানে হচ্ছে আলেমা, দ্বীনের জ্ঞানী মহিলা। Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck ফেসবুকে আপনার থেকে অনেক কিছু জানার আগ্রহ রইল।
১৫
323349
২৯ মে ২০১৫ রাত ১১:৩৮
৩০ মে ২০১৫ সকাল ০৭:৩৬
264795
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদHappy
৩০ মে ২০১৫ সকাল ০৭:৩৬
264796
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


হযরত আবু সাঈদ খুদরীরাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ বেহেশত এবং দোযখ এই দুইয়ের মধ্যে বিতর্ক হলো। দোযখ বলল, আমার ভেতর বড় বড় জালিম, দাম্ভিক ও অহংকারী লোকেরা রয়েছে।

বেহেশত্ বলল, আমার ভেতর রয়েছে গরীব, দুর্বল ও অসহায় লোকেরা।

মহান আল্লাহ উভয়ের মধ্যে ফায়সালা করে দিলেনঃ বেহেশত্ তুমি আমার রহমতের আধার। তোমার মাধ্যমে যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ প্রদর্শন করবো। আর দোযখ! তুমি আমার শাস্তির আধার। তোমার মাধ্যমে যাকে ইচ্ছা আমি শাস্তি দেব। তোমাদের উভয়কে পূর্ণতা দানই আমার কাজ। (মুসলিম)
১৬
323489
৩০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
ধ্রুব নীল লিখেছেন : শুধু মুত্তাফিকুন আলাইহির কই কোন কিতাব পাওয়া যায়? আমি খুঁজেছিলাম। পাইনি।
৩১ মে ২০১৫ রাত ০৯:১৩
265068
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমি একবার প্রফেরস বুক থেকে একটা 'মুত্তাফাকুন আলাইহি-১' নামে একটা বই কিনেছিলাম। বেশ কয় বছর আগে। এই সিরিজটা যখন শুরু করি তখন ভেবেছিলাম যে ওখান থেকেই লিখব।

কিন্তু পরে আর সেটা হয়ে ওঠেনি। এখন রিয়াদুস সালেহিন থেকে বেছে বেছে শেয়ার করি।


তুমি ওখানে খোঁজ নিয়ে দেখতে পার। ধন্যবাদ।
৩১ মে ২০১৫ রাত ০৯:১৪
265070
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


হযরত আবু সাঈদ খুদরীরাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ বেহেশত এবং দোযখ এই দুইয়ের মধ্যে বিতর্ক হলো। দোযখ বলল, আমার ভেতর বড় বড় জালিম, দাম্ভিক ও অহংকারী লোকেরা রয়েছে।

বেহেশত্ বলল, আমার ভেতর রয়েছে গরীব, দুর্বল ও অসহায় লোকেরা।

মহান আল্লাহ উভয়ের মধ্যে ফায়সালা করে দিলেনঃ বেহেশত্ তুমি আমার রহমতের আধার। তোমার মাধ্যমে যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ প্রদর্শন করবো। আর দোযখ! তুমি আমার শাস্তির আধার। তোমার মাধ্যমে যাকে ইচ্ছা আমি শাস্তি দেব। তোমাদের উভয়কে পূর্ণতা দানই আমার কাজ। (মুসলিম)
১৭
323678
৩১ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৭
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ফাতিমা আপি। বাছাইকৃত হাদিসগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ যেন তোমার ভাল কাজের দ্বারা কাউকে হিদায়াত দান করেন যেন সেই সোয়াব তুমি পৃথিবী ও কবরে এবং কিয়ামতের দিনে পাও। জাঝাক আল্লাহ আপি।
৩১ মে ২০১৫ রাত ০৯:১৫
265072
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম। তোমার দুয়ায় আমীন। তোমার জন্য্ও একই দুয়া রইল ছোটভাই।
৩১ মে ২০১৫ রাত ০৯:১৬
265073
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে না তার সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করতে পারে, না তাকে মিথ্যা বলতে পারে আর না তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে। মূলত প্রত্যেক মুসলমানের মান-সভ্রম, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের ওপর হারাম। (তিনি আপন বক্ষস্থলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেনঃ) তাকওয়া এখানে থাকে। কোন ব্যক্তির নষ্ট হওয়ার জন্যে এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃনা করে, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সচেষ্ট থাকে।

(তিরমিযী)
১৮
325573
১৩ জুন ২০১৫ বিকাল ০৪:০৫
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৮
268004
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আওনকেও ধন্যবাদ
১৪ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৮
268005
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ তোমরা পরস্পরের প্রতি হিংসা পোষণ করো না, নকল ক্রেতা সেজে আসল ক্রেতার সামনে পণ্যের দাম বাড়িও না, ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, একজনের ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর অন্যজন ক্রয়-বিক্রয় করো না। আল্লাহর বান্দাগণ! ‘তোমরা ভাই ভাই হয়ে থাকো। জেনে রাখো, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তাকে না জুলুম করতে পারে, না হীন জ্ঞান করতে পারে অথবা না পারে অপমান অপদস্ত করতে। তাকওয়া এখানেই থাকে। (এ কথাটা তিনি তিনবার বলেন এবং তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করেন) কোন ব্যক্তির খারাপ প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃণা করে কিংবা হীন জ্ঞান করে। বস্তুত প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত (জীবন), ধন-মাল এবং মান-ইজ্জত অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।

(মুসলিম)

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File