মুত্তাফাকুন আলাইহি -৩৪
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ২৮ মে, ২০১৫, ০৩:৫৯:১৪ দুপুর
দুর্বল ও গরীব মুসলমানদের ফযীলত
১১৬) হযরত হারিসা ইবনে ওয়াহাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি, 'কোন্ ধরনের লোক জান্নাতী হবে, আমি কি তা তোমাদের বলব না? যে দুর্বল ব্যক্তিকে লোকেরা শক্তিহীন ও তুচ্ছ জ্ঞান করে, সে যদি আল্লাহর ওপর শপথ করে ভরসা করে, তবে আল্লাহ তা পূরণ করার সুযোগ দেবেন। কোন্ ধরনের লোক জাহান্নামে যাবে আমি কি তা তোমাদের বলব না? (জেনে রাখো)! প্রতিটি নাদান-মূর্খ, অবাধ্য ও অহংকারী ব্যক্তিই জাহান্নামে যাবে।'
১১৭) হযরত সাহল ইবনে সা’দ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসূলে আকরাম ﷺ র পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তিনি তাঁর কাছে বসা লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন,' (চলে যাওয়া) লোকটি সম্পর্কে তোমার কি অভিমত?'
জবাবে সে বললঃ ‘তিনি তো শরীফ লোকদের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহর কসম! তিনি খুবই যোগ্য লোক। তিনি বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা কবুল করা হয় এবং তাঁর সুপারিশও গ্রহণ করা হয়।'
(কোন মন্তব্য না করে) রাসূলে আকরাম ﷺ নীরব রইলেন।
এরপর অন্য এক ব্যক্তি তাঁর সামনে দিয়ে অতিক্রান্ত হলো। রাসূলে আকরাম ﷺবসা লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন,' এ লোকটি সম্পর্কে তোমার কি ধারণা?'
সে জবাবে বলল,' হে আল্লাহর রাসূল! এ লোকটি তো গরীব মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত। তার অবস্থা এই যে, তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়, তার সুপারিশ কবুল করা হয় না এবং কোন কথা বললে তাকে কেউ গুরুত্ব দেয় না।'
রাসূলে আকরাম ﷺ বললেনঃ এই লোকটি নিঃস্ব মুসলমান হলেও দুনিয়ায় ঐসব (তথাকথিত শরীফ) লোকদের চেয়ে অনেক উত্তম।
১১৮) হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ 'কিয়ামতের দিন এক মোটা-তাজা ও দীর্ঘদেহী ব্যক্তিকে উপস্থাপন করা হবে। কিন্তু আল্লাহর কাছে লোকটির মূল্য ও মর্যাদা একটি মাছির ডানার সমতুল্যও হবে না।'
১১৯) হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, জনৈক কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা (অথবা বর্ণনাকারীর সন্দেহ, এক যুবক) মসজিদে নববীতে ঝাড়ু দেওয়ার কাজ করত। একদিন রাসূলে আকরাম ﷺ তাকে দেখতে না পেয়ে সাহাবীদের কাছে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তাঁরা বললেন, সেই লোকটি মারা গেছে।'
রাসূলে আকরাম ﷺ বললেনঃ 'তোমরা আমাকে এ খবর দাওনি কেন? (সম্ভবত তারা এটাকে মামুলী ব্যাপার মনে করেছিলেন।) রাসূলে আকরাম ﷺ বললেনঃ আমাকে তার কবর দেখিয়ে দাও। লোকেরা তাঁকে কবরের কাছে নিয়ে গেলেন। তিনি লোকটির জানাযা পড়লেন এবং বললেনঃ এই কবরবাসীদের কবরগুলো অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকতো। তাদের জন্য আমার নামায পড়ার কারণে আল্লাহ তায়ালা কবরগুলোকে আলোকিত করে দিয়েছেন।
১২০) হযরত উসামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ আমি মিরাজ-এর রাতে জান্নাত এর দরজায় দাঁড়ালাম। দেখলাম জান্নাতে প্রবেশকারী অধিকাংশ লোকই নিঃস্ব, দরিদ্র। বিত্তবান লোকদের জান্নাতে প্রবেশ করতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। দোযখীদের দোযখে নিয়ে যাওয়ার হুকুম আগেই দেওয়া হয়েছিল। আমি দোযখের দরজায় দাঁড়িয়ে দেখলাম, দোযখে প্রবেশকারীদের অধিতাংশই হচ্ছে মহিলা।
[বুখারী ও মুসলিম]
.
[রিয়াদুস সালেহীন থেকে সংগৃহিত। হাদিস নং যথাক্রমে-২৫২, ২৫৩, ২৫৫, ২৫৬ ও ২৫৮]
.
মুত্তাফাকুন আলাইহি -৩৩
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৩ বার পঠিত, ৬৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেনঃ এমন অনেক লোক রয়েছে যাদের মাথার চুল উস্কো-খুস্কো এবং পা দু’টি ধূলি ধূসরিত; তাদেরকে মানুষের দরজা থেকে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়; কিন্তু তারা যদি আল্লাহর নামে শপথ করে তবে আল্লাহ তাদের সেই শপথ পূর্ণ করার তৌফিক দেন। (মুসলিম)
হযরত আবু সাঈদ খুদরীরাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ বেহেশত এবং দোযখ এই দুইয়ের মধ্যে বিতর্ক হলো। দোযখ বলল, আমার ভেতর বড় বড় জালিম, দাম্ভিক ও অহংকারী লোকেরা রয়েছে।
বেহেশত্ বলল, আমার ভেতর রয়েছে গরীব, দুর্বল ও অসহায় লোকেরা।
মহান আল্লাহ উভয়ের মধ্যে ফায়সালা করে দিলেনঃ বেহেশত্ তুমি আমার রহমতের আধার। তোমার মাধ্যমে যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ প্রদর্শন করবো। আর দোযখ! তুমি আমার শাস্তির আধার। তোমার মাধ্যমে যাকে ইচ্ছা আমি শাস্তি দেব। তোমাদের উভয়কে পূর্ণতা দানই আমার কাজ। (মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে না তার সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করতে পারে, না তাকে মিথ্যা বলতে পারে আর না তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে। মূলত প্রত্যেক মুসলমানের মান-সভ্রম, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের ওপর হারাম। (তিনি আপন বক্ষস্থলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেনঃ) তাকওয়া এখানে থাকে। কোন ব্যক্তির নষ্ট হওয়ার জন্যে এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃনা করে, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সচেষ্ট থাকে।
(তিরমিযী)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ তোমরা পরস্পরের প্রতি হিংসা পোষণ করো না, নকল ক্রেতা সেজে আসল ক্রেতার সামনে পণ্যের দাম বাড়িও না, ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, একজনের ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর অন্যজন ক্রয়-বিক্রয় করো না। আল্লাহর বান্দাগণ! ‘তোমরা ভাই ভাই হয়ে থাকো। জেনে রাখো, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তাকে না জুলুম করতে পারে, না হীন জ্ঞান করতে পারে অথবা না পারে অপমান অপদস্ত করতে। তাকওয়া এখানেই থাকে। (এ কথাটা তিনি তিনবার বলেন এবং তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করেন) কোন ব্যক্তির খারাপ প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃণা করে কিংবা হীন জ্ঞান করে। বস্তুত প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত (জীবন), ধন-মাল এবং মান-ইজ্জত অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।
(মুসলিম)
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেনঃ তোমার ভাইকে সাহায্য করো, চাই সে নিষ্ঠুর জালিম হোক অথবা মজলুম।
এক ব্যক্তি নিবেদন করলো, হে আল্লাহর রাসূল! লোকটা যদি মজলুম হয় আমি তাকে সাহায্য করবো এটা বুঝতে পারলাম; কিন্তু যদি সে জালিম হয় তাহলে আমি তাকে কিভাবে সাহায্য করবো?
তিনি বললেনঃ তাকে জুলুম করা থেকে বিরত রাখ, বাধা দাও। এটাই তাকে সাহায্য করার অর্থ।
(বুখারী)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺবলেনঃ যে বান্দাই অন্য বান্দার দোষ-ত্রুটি এ দুনিয়ায় গোপন রাখবে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।
(মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুবর্ণনা করেন, এক ব্যক্তিকে রাসূলে আকরাম ﷺএর কাছে ধরে নিয়ে আসা হলো। লোকটি মদ পান করেছিল। তিনি আদেশ দিলেনঃ তাকে প্রহার করো। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ তাকে হাত দিয়ে, কেউ জুতা দিয়ে এবং কেউবা কাপড় দিয়ে প্রহার করলো। যখন সে ফিরে যাচ্ছিল কতিপয় ব্যক্তি বলেন, আল্লাহ তোমায় অপদস্থ করেছেন। রাসূলে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এরূপ কথা বলোনা; শয়তানকে তার ওপর বিজয়ী করে দিওনা। (বুখারী)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুএর বর্ণনা মতে রাসূলে আকরাম ﷺবলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের জাগতিক কষ্টগুলোর মধ্য কোন একটি কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার বড় একটি কষ্ট দূর করে দেবেন।
যে ব্যক্তি কোন অভাবীর অভাবজনিত কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার অভাবজনিত কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন।
বান্দাহ যখন তার কোন মুসলিম ভাইয়ের সাহায্য-সহায়তা করতে থাকে, আল্লাহ ও ততক্ষণ তার সাহায্য-সহায়তা করতে থাকেন।
যে ব্যক্তি জ্ঞান (ইলম) অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন পথ অবলম্বন করে আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে একটি পথ সহজ করে দেবেন।
যখন কোন জনগোষ্ঠী আল্লাহ তায়া’লার কোন ঘরে একত্র হয়ে তাঁর (আল্লাহর) কিতাব অধ্যয়ন করতে থাকে এবং পরস্পর এর আলোচনায় নিরত থাকে, তখন তাদের উপর শান্তি ও স্বস্তি বর্ষিত হতে থাকে।
আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ তাদেরকে ঘিরে নেয়, ফেরেশতারা তাদেরকে ঘেরাও করে নেন এবং আল্লাহ তার দরবারে উপস্থিতদের (ফেরেশতাদের) কাছে তাদের উল্লেখ করেন। বস্তুত যার কার্যকলাপ তাকে পিছিয়ে দেয়, তার বংশ মর্যাদা তাকে এগিয়ে দিতে পারে না।
(মুসলিম)
(মুসলিম)
হযরত আবু সাঈদ খুদরীরাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ বেহেশত এবং দোযখ এই দুইয়ের মধ্যে বিতর্ক হলো। দোযখ বলল, আমার ভেতর বড় বড় জালিম, দাম্ভিক ও অহংকারী লোকেরা রয়েছে।
বেহেশত্ বলল, আমার ভেতর রয়েছে গরীব, দুর্বল ও অসহায় লোকেরা।
মহান আল্লাহ উভয়ের মধ্যে ফায়সালা করে দিলেনঃ বেহেশত্ তুমি আমার রহমতের আধার। তোমার মাধ্যমে যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ প্রদর্শন করবো। আর দোযখ! তুমি আমার শাস্তির আধার। তোমার মাধ্যমে যাকে ইচ্ছা আমি শাস্তি দেব। তোমাদের উভয়কে পূর্ণতা দানই আমার কাজ। (মুসলিম)
চমৎকার হাদীসের সিরিজটি নিয়ে আবারো সরব হওয়ার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
দরিদ্রদের কথা শুনলে সবাই এড়িয়ে চলে অথচ জান্নাতে দরিদ্রের সংখ্যা হবে বেশি!
আল্লাহ আমাদের দ্বীনদার, নেককার , হালাল দরিদ্রের জান্নাতী অধিবাসী হওয়ার সুযোগ দিন! আমিন!
আমীন
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে না তার সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করতে পারে, না তাকে মিথ্যা বলতে পারে আর না তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে। মূলত প্রত্যেক মুসলমানের মান-সভ্রম, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের ওপর হারাম। (তিনি আপন বক্ষস্থলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেনঃ) তাকওয়া এখানে থাকে। কোন ব্যক্তির নষ্ট হওয়ার জন্যে এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃনা করে, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সচেষ্ট থাকে।
(তিরমিযী)
ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম কর্তৃক স্বীয় হাদিস গ্রন্থে সংযোজিত হাদিস কে 'মুত্তাফাকুন আলাইহে' হাদিস বলা হয়!
কয়েকটা হাদিস শেয়ার করায় অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকিল্লাহু খাইরান!!
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ তোমরা পরস্পরের প্রতি হিংসা পোষণ করো না, নকল ক্রেতা সেজে আসল ক্রেতার সামনে পণ্যের দাম বাড়িও না, ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, একজনের ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর অন্যজন ক্রয়-বিক্রয় করো না। আল্লাহর বান্দাগণ! ‘তোমরা ভাই ভাই হয়ে থাকো। জেনে রাখো, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তাকে না জুলুম করতে পারে, না হীন জ্ঞান করতে পারে অথবা না পারে অপমান অপদস্ত করতে। তাকওয়া এখানেই থাকে। (এ কথাটা তিনি তিনবার বলেন এবং তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করেন) কোন ব্যক্তির খারাপ প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃণা করে কিংবা হীন জ্ঞান করে। বস্তুত প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত (জীবন), ধন-মাল এবং মান-ইজ্জত অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।
(মুসলিম)
(হুজুরী মানে কি? )
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেনঃ এমন অনেক লোক রয়েছে যাদের মাথার চুল উস্কো-খুস্কো এবং পা দু’টি ধূলি ধূসরিত; তাদেরকে মানুষের দরজা থেকে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়; কিন্তু তারা যদি আল্লাহর নামে শপথ করে তবে আল্লাহ তাদের সেই শপথ পূর্ণ করার তৌফিক দেন। (মুসলিম)
হযরত আবু সাঈদ খুদরীরাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ বেহেশত এবং দোযখ এই দুইয়ের মধ্যে বিতর্ক হলো। দোযখ বলল, আমার ভেতর বড় বড় জালিম, দাম্ভিক ও অহংকারী লোকেরা রয়েছে।
বেহেশত্ বলল, আমার ভেতর রয়েছে গরীব, দুর্বল ও অসহায় লোকেরা।
মহান আল্লাহ উভয়ের মধ্যে ফায়সালা করে দিলেনঃ বেহেশত্ তুমি আমার রহমতের আধার। তোমার মাধ্যমে যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ প্রদর্শন করবো। আর দোযখ! তুমি আমার শাস্তির আধার। তোমার মাধ্যমে যাকে ইচ্ছা আমি শাস্তি দেব। তোমাদের উভয়কে পূর্ণতা দানই আমার কাজ। (মুসলিম)
কিন্তু পরে আর সেটা হয়ে ওঠেনি। এখন রিয়াদুস সালেহিন থেকে বেছে বেছে শেয়ার করি।
তুমি ওখানে খোঁজ নিয়ে দেখতে পার। ধন্যবাদ।
হযরত আবু সাঈদ খুদরীরাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ বেহেশত এবং দোযখ এই দুইয়ের মধ্যে বিতর্ক হলো। দোযখ বলল, আমার ভেতর বড় বড় জালিম, দাম্ভিক ও অহংকারী লোকেরা রয়েছে।
বেহেশত্ বলল, আমার ভেতর রয়েছে গরীব, দুর্বল ও অসহায় লোকেরা।
মহান আল্লাহ উভয়ের মধ্যে ফায়সালা করে দিলেনঃ বেহেশত্ তুমি আমার রহমতের আধার। তোমার মাধ্যমে যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ প্রদর্শন করবো। আর দোযখ! তুমি আমার শাস্তির আধার। তোমার মাধ্যমে যাকে ইচ্ছা আমি শাস্তি দেব। তোমাদের উভয়কে পূর্ণতা দানই আমার কাজ। (মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে না তার সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করতে পারে, না তাকে মিথ্যা বলতে পারে আর না তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে। মূলত প্রত্যেক মুসলমানের মান-সভ্রম, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের ওপর হারাম। (তিনি আপন বক্ষস্থলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেনঃ) তাকওয়া এখানে থাকে। কোন ব্যক্তির নষ্ট হওয়ার জন্যে এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃনা করে, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সচেষ্ট থাকে।
(তিরমিযী)
(মুসলিম)
মন্তব্য করতে লগইন করুন