নরপশু[কল্পলোকের গল্প নয়]

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ২৪ মে, ২০১৫, ০৩:৩৬:০৯ দুপুর

নাজমা মধ্যবিত্ত ঘরের গৃহিণী। স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার। মেয়েটি বড়। ক্লাস সেভেন এ পড়ে,নাম মুহসিনা। আর ছেলে মারুফের বয়স দশ। সে ক্লাস ফোরের ছাত্র। নাজমার স্বামী আসাদ ব্যাংকে চাকুরী করে। ফলে বাচ্চাদের স্কুলে আনা নেয়া থেকে শুরু করে সংসারের যাবতীয় কাজ নাজমাকে একাই সামলাতে হয়। এমনকি মাঝে মাঝে কাঁচাবাজারও স্কুলে আসা যাওয়ার পথে তাকেই সেরে নিতে হয়।

বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে তার খুব একটা সমস্যা হয় না। কারণ দুজনের স্কুল কাছাকাছি। মুহসিনাকে আগে তার স্কুলে নামিয়ে দিয়ে পরে সে মারুফকে তার স্কুলে পৌঁছে দেয়। এরপর বাসায় ফিরে ঘরের কিছু কাজ সেরে নেয়। সাড়ে এগারটায় মারুফের স্কুল ছুটি হয়। ঘরে তালা দিয়ে সে মারুফকে আনতে চলে যায়।

ছেলেকে বাসায় এনে ওকে গোসল করিয়ে কিছু খাইয়ে দিয়ে তাকে আবার ছুটতে হয় মেয়েকে আনার জন্য। মেয়ের ছুটি হয় দেড়টায়। মেয়েকে আনতে যাওয়ার সময় মারুফকে সাথেই নিয়ে যায়। কারণ এতটুকু ছেলেকে বাসায় একা রেখে যেতে তার মন কিছুতেই সায় দেয় না। ছেলে যা দুষ্টু! যদি কোন অঘটন ঘটায়!! তাই সে মারুফকে নিয়ে গিয়েই মুহসিনাকে স্কুল থেকে নিয়ে আসে। এতে কোন সমস্যাও হচ্ছিল না। এভাবেই দিন বেশ কেটে যাচ্ছিল।

ঝকঝকে পরিষ্কার আকাশে ও তো মেঘের আনাগোনা দেখা যায়, শুরু হয় প্রচণ্ড কালবৈশাখী। নাজমা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি যে তার জীবনে এরকম প্রচণ্ড ঝড়ে আক্রান্ত হয়ে তার পুরো পরিবারকে এমন ভয়ংকর বিপদে ফেলে দেবে। না; সেই দুর্ঘটনাকে আর যাই হোক ঝড় বলা যাবেনা। এটা হয়ত সুনামির চাইতেও ভয়ঙ্কর কিছু!

বাসাটি এমনিতে মোটামুটি নিরাপদ। দারওয়ান মনসুর সবসময় নীচে গেটের কাছে টুলে বসে থাকে। যদি কখনও কিছুক্ষণের জন্য বাইরে যায়ও তবে তাড়াতাড়ি ফিরে আসে। তাই বাইরের লোক খুব একটা গেটের ভিতরে ঢুকতে পারে না।

যেদিন বাসার সামনেই রিকশা পেয়ে যায় সেদিন তো কোন সমস্যা হয়না। মা ও ছেলে আরামেই চলে যায়। কিন্তু যেদিন রিকশা পেতে অনেক পথ হাঁটতে হয় সেদিন মারুফের বেশ কষ্ট হয়ে যায়। একে তো বাচ্চা ছেলে তার উপর সে নিজেই কিছুক্ষণ আগে স্কুল থেকে ফিরেছে। আর যেদিন মাথার ওপর সূর্যটা গনগনে তাপ ছড়ায় সেদিন তো মারুফ কেঁদেকেটে অস্থির হয়ে যায়। নাজমা এর একটা বিকল্প সমাধান খুঁজতে থাকে।

সে তার স্বামী আসাদের সাথে পরামর্শ করে ঠিক করল যে দারওয়ান মনসুর তো নীচেই বসে থাকে। এই সময়টা মারুফকে যদি মনসুরের কাছে রেখে যাওয়া যায় তবে মারুফের এই কষ্টটা আর হবেনা। মনসুর কে এই কথা বলার পর সে বলল- কোন সমস্যা নাই আপা। আপনি ওকে আমার কাছে প্রতিদিনই রেখে যেতে পারেন।আপনি ফিরে না আসা পর্যন্ত আমি ওকে দেখে রাখব।

মনসুরের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে এখন নাজমা প্রতিদিনই মারুফকে তার কাছে রেখে যায়। এতে ছেলেটার কষ্ট কিছুটা কমল।

……..

প্রায় মাস খানেক পরের কথা। একদিন মারুফকে গোসল করাতে গিয়ে নাজমা দেখল যে তার পিঠে, ঘাড়ে,পেটে কিসের যেন দাগ! এটা দেখে সে ছেলের কাছে জানতে চাইল এগুলো কি? ছেলে কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারল না। আমতা আমতা করে এটা সেটা বলল। নাজমা ধরেই নিলো খেলতে গিয়ে হয়ত পড়ে ব্যথা পেয়েছে। তাই এখন ভয়ে মায়ের কাছে স্বীকার করছে না। ছেলেকে আরও সাবধানে খেলাধুলা করার পরামর্শ দিল নাজমা।

কয়েকদিন পর আবারও নাজমা একই অবস্থা দেখল........তারপর....... আবার। এবার নাজমা বেশ জোরালো ভাবে ছেলের কাছে জানতে চাইল- ঘটনা কি? মারুফ কাঁদতে কাঁদতে মায়ের কাছে বলল-তুমি যখন প্রতিদিন আমাকে মনসুর আঙ্কেলের কাছে রেখে আপুকে আনতে যাও তখন সে আমাকে তার রুমে নিয়ে যায়। তারপর............।'

স্তম্ভিত নাজমা জানতে চাইল- এই ঘটনা কি প্রথম থেকেই ঘটছে?

মারুফ বলল-না, প্রথম প্রথম সে আমাকে চিপস, চকলেট এসব কিনে দিত। খেলা করত। গল্প শোনাত। বলত যে তার একটি ছেলে আছে। ঠিক আমার মতই বয়স। এই জন্য সে আমাকে এত ভালবাসে। বেশ কয়েকদিন পর আমাকে তার রুমে নিয়ে বলে বাইরে গরম, তুমি এখানে বসে খেলা কর। এরও কয়েকদিন পর থেকে সে আমার সাথে এসব করে আসছে।

-তুমি আমাকে প্রথম থেকে এইসব কথা জানাও নি কেন?

- আঙ্কেল আমাকে বলেছিল যে এসব কথা যদি তোমাকে বা আব্বুকে জানাই তবে আমাকে সে মেরে ফেলবে। আমি তাই ভয়ে তোমাদেরকে কিছু বলিনি। এমনকি আমাকে যে এটা সেটা কিনে খাওয়ায় তা-ও যেন তোমার কাছে না বলি সে কথাও বলেছিল।

নাজমা তার স্বামী আসাদ অফিস থেকে ফেরার পর সব ঘটনা জানাল। আসাদ ঘটনাটি শুনে বজ্রাহতের ন্যায় বসে রইল।

কিছুক্ষণ পর তার সিদ্ধান্ত নিলো তারা আগে বিষয়টি বাড়িওয়ালাকে জানাবে এবং আইনের সহায়তা নেবে। তাই তারা বিষয়টি বাড়িওয়ালাকে জানিয়েই থানায় গেল। পুলিশ এসে বদমাশ টাকে ধরে নিয়ে গেল।

এরপর নাজমারা আর বেশিদিন ঐ এলাকায় থাকে নি। অল্প কয়দিন পরেই বাসা শিফট করে অন্যত্র চলে যায় তারা।

………..

আমার আজকের এই লেখার উদ্দেশ্য হল- আমরা সাধারণত দেখি যে মেয়ে শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা বিশেষ করে মা যতটা উদ্বিগ্ন বা সচেতন থাকেন ছেলে শিশুদের ব্যাপারে ততটা থাকেন না। তাই অনায়াসেই ছেলেকে যে কোন কারও কাছে কিছু সময়ের জন্য থাকতে দেন। কিন্তু আসলে সব শিশুর প্রতিই সমান সচেতনতা প্রয়োজন। মা, বাবা, বড়ভাই, বড়বোন কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যরা শিশুদের প্রতি যত্নশীল হলে, সচেতন হলে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা হয়ত এড়ানো সম্ভব।

[এটি কিন্তু গল্প নয়; সত্যি ঘটনা। অন্য ঘটনাগুলোর মতই নামগুলো চেঞ্জ করে দিয়েছি। ঘটনাটা গতবছরের অর্থাৎ ২০১৪ সালের।]

বিষয়: বিবিধ

২২৭৯ বার পঠিত, ৪৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

322204
২৪ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৫
হতভাগা লিখেছেন : এ ধরনের নরপশুদের জায়গা চিড়িয়াখানায় । বাঘ , সিংহ , বানরের খাঁচার পাশেই এদের খাঁচা রাখা উচিত ।

''দর্শনার্থীরা চাইলে এদেরকে পাথর মারতে পারবে'' - এরকম একটা অপশন চালু রাখা উচিত।
২৪ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৩
263309
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : গতকাল একটা নিউজপোর্টালে দেখলাম চিটাগাং এর এক কিশোরীকে একজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি রেপ করেছে। এখন প্রশাসন ঐ লোককে রক্ষায় মেয়েটির ভাইকে দায়ী করে মামলার গতি ঘুরিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় ঐ বদমাশের সাথে প্রশাসনও দায়ী। এদের চিড়িয়াখানায় কে ঢুকাবে?


322209
২৪ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:০৯
নন্টে ফন্টের মামু লিখেছেন : এদেরকে নরপশু বলাটাও বোধ হয় কম বলা হয়, বরং আরো নতুন কোনো অভিধা দেয়া প্রয়োজন।

আসলে শিশুদের সকলের ব্যাপারেই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। হোক সে মেয়ে বা ছেলে শিশু।
২৪ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৪
263310
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনার আমার আমাদের সবার শিশু একটি নিরাপদ পরিবেশ পাক- এটাই আমাদের কাম্য।
322214
২৪ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৭
কৃষিবিদ১২ লিখেছেন : এই সব ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে, কিন্তু কেন বাড়ছে তা নিয়ে কেউ কিছু ভাবছে না।
২৪ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৫
263311
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : সামাজিক সচেতনতা কম। অভিভাবকগণ লজ্জা ও ভয়ে মুখ খোলেন না।
322218
২৪ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৭
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ঢাকায় একটা আদিবাসী মেয়েকে মাইক্রোবাসে সম্ভবত ঘন্টাব্যাপী রেপ করেছে, এমনিতে মন বিষিয়ে আছে, শরীর বারবার শিউরে ঊঠছে, ভাবতেই পারছি না হচ্ছেটা কি! এখন আপনি শুনালেন এর চেয়ে ভয়াবহ! বিষিয়ে ওঠা মনকে আরো বিষাক্ত করে দিলেন!
২৪ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:০০
263316
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : সমাজ বিষিয়ে গেছে, পরিবেশ বিষিয়ে গেছে, মানুষগুলো আরও বেশিমাত্রায় বিষাক্ত হয়ে গেছে। এখনও যদি আমরা সচেতন না হই তবে আমাদের পরিণতি কি? তা একমাত্র আল্লাহই জানেন।
322233
২৪ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৬
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : সমাজ ধেয়ে যাচ্ছে অন্ধকার মহামারির দিকে,
যাদের হাতে নিয়ন্ত্রণের চাবি, তারাও অন্ধকারের সহযাত্রী। মুক্তির জন্যে যারা লড়ছে তাদেরকে তুলে ধরা হচ্ছে প্রশ্নবোধক হিসেবে।
২৫ মে ২০১৫ দুপুর ১২:১২
263478
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার বিশ্লেষণ বাহার ভাই। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই লড়াইয়ে শামীল হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।
322234
২৪ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৫১
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : সচেতনমূলক পোষ্ট করেছেন আপু। তবে আরও খারাপ লাগলো এটা জেনে যে, এটা সত্য ঘটনা।
২৪ মে ২০১৫ রাত ১০:২৬
263385
ধ্রুব নীল লিখেছেন : আমারো খারাপ লাগছে
২৫ মে ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
263479
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এসব ঘটনা আমাদের সমাজে আজ অহরহ ঘটে চলছে.............।
322238
২৪ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৬
ফুটন্ত গোলাপ লিখেছেন : গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয়ে সচেতন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
নরপশুরা ভদ্রতার ছদ্মবেশে আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় । এ ব্যাপারে যেমন সবার সচেতনতা প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন নরপশুদের উপযুক্ত শাস্তি ।
২৫ মে ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
263480
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : উপযুক্ত শাস্তির অভাবেই আজ এসব সমস্যা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।
322239
২৪ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৬
শেখের পোলা লিখেছেন : মানুসভ্যতার নামে পশুত্বের দিকে এগিয়ে চলেছে৷এর জন্য কাকে দায়ী করবেন? দোষ নিজেদের ভুল সিদ্ধান্ত৷ ধন্যবাদ৷
২৪ মে ২০১৫ রাত ১০:২৭
263386
ধ্রুব নীল লিখেছেন : এই সভ্যতা কিন্তু অনেক আগে থেকেই চলে আসছে
২৫ মে ২০১৫ দুপুর ১২:১৯
263481
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ভুল সিদ্ধান্ত সব ক্ষেত্রেই। পরিবার গঠনে ভুল সিদ্ধান্ত। সামাজিক ভূমিকায় ভুল সিদ্ধান্ত। নেতা নির্বাচনে ভুল সিদ্ধান্ত। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাদের পাঠানো হয় সেই ব্যাপারে ভুল সিদ্ধান্ত। ফলাফল হল অসহিষ্ণু একটি সমাজ। যার বিষ নিঃশ্বাষ থেকে তৈরী হয় এই প্রজাতির কিছু নরপশু।
322247
২৪ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৪
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : বিকৃত মানসিকতার বহিপ্রকাশ। সচেতন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য মোবারকবাদ।
২৫ মে ২০১৫ দুপুর ১২:২১
263482
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বিকৃতি আজ সমাজকে কোথায় নিয়ে গেছে? একটা বাচ্চা মেয়ে বা ছেলে যে আজ তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ নয়, শিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে নিরাপদ নয়; নিরাপদ নয় সে তার নিজের বাসায়।
১০
322269
২৪ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যেভাবে চারপাশে অশালিনতার প্রাদুর্ভাব তাতে এমন ঘটনা বাড়ছেই। অনেক বাবা-মা ই কিন্তু এজন্য দায়ি। ছেলে আছাড় থেলে বা কারো হাতে মার থেয়ে আসলে ঘটনার বিচার না করেই তাকে দোষারোপ করেন। সেই সন্তান ভয়ে এমন ঘটনার কথা আর বলেন না। শুধু এমন দুরের মানষ নয় নিকট আত্মিয় দ্বারাও ঘটছে এই সব। চট্টগ্রামের যে ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন সেখানে পুলিশ ১৫ বছর বয়সি ভাই কে ধর্ষনকারি সাজিয়েছে। শুধু তাই নয় এই অপ্রাপ্ত বয়স্ককে রিমান্ডে ও নিয়েছে।
২৬ মে ২০১৫ সকাল ০৮:০৭
263712
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : খুব বেশী অবাক হব না যদি ওরা দুই ভাই বোনই এই কথা স্বীকার করে যে- ১৫ বছরের ভাইয়ের দ্বারাই এই কাজটি হয়েছে। প্রভাবশালীদের রক্ষার জন্য প্রশাসন যে আর কত নীচে নামবে! প্রভাব, টাকা আর প্রশাসন হাতের কাছে থাকলে সব ধরণের কূকর্মই সহজ হয়ে যায়।

ধন্যবাদ সবুজ ভাই।
১১
322286
২৪ মে ২০১৫ রাত ১০:৩১
ধ্রুব নীল লিখেছেন : কয়েকদিন আগে চাইল্ড এবিউজ নিয়ে আর্টিকেল পড়লাম যেখানে বলা হয়েছে,
বাংলাদেশের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত পাঁচ বছরের কম বয়েসী ২৮৬ জন শিশু সেক্সুয়াল অ্যাবিউজের শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৯৯ ভাগ শিশু ধর্ষণের শিকার।

২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যে ৩৯৬ জন শিশু (অনূর্ধ্ব ১৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স ও ঢাকা শিশু হাসপাতালের কাউনসেলিংয়ের আওতায় আসে তাদের ৮৬ ছেলেশিশু। ছেলেশিশুরাও শংকার বাইরে নয়।

আমরা এসবের সমাধান নিয়ে কাউন্সিল করতে পারি।
২৬ মে ২০১৫ সকাল ০৮:১৭
263713
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমি আতঙ্কিত নীল! এই পরিসংখ্যান গুলি আমাদের স্তম্ভিত করে দেয়। তবে আমার ধারণা ভিকটিমের সংখ্যা বাস্তবে আরও বেশি। কারণ সবাই আইনের আশ্রয় নেয়না কিংবা মেডিকেল চেক আপেও যায়না(অবস্থা গুরুতর হলে চিকিৎসা নেয়)। তাই আমদের এই ডাটাও শক্তিশালী নয়। এটা অবশ্যই আমার একান্ত নিজস্ব ধারণা।


হ্যাঁ তোমার সাথে একমত যে এই ব্যাপারে যথাযথ কাউন্সিলিং শুরু করা প্রয়োজন। এলাকা ভিত্তিক উদ্যেগ নেয়া যেতে পারে। কিছুদিন আগে রাহনুমা চাইল্ড এ্যাবিউজমেন্ট এর উপর একটা চমৎকার আর্টিকেল লিখেছিল। তুমি কি ওটা পড়েছ? ওখানে শিশু ও অভিভাবকদের সচেতনতার বিষয়ে লিখেছে।
১২
322293
২৪ মে ২০১৫ রাত ১০:৫৬
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, দিন দিন মানুষ পশুত্বের দিকে ধাবিত হচ্ছে। নৈতিক অবক্ষয় এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, তার আর ফিরিয়ে পাবার পর্যায়ে নেই। সবকার প্রধান থেকে দারোয়ান পর্যন্ত সবারই পদস্খলন হচ্ছে। আল্লাহ মা'লুম এর শেষ কোথায়।
২৭ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৬
264046
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আরও নোংরামী ও বেহায়াপনার দিকে সমাজ ছুটে চলেছে। যারাই এসবের প্রতিবাদ করতে যায় বা সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে চায় তাদের গায়ে নিত্য নতুন কালীমা লেপন করে চলছে তথাকথিত সুশিল সমাজ।
১৩
322294
২৪ মে ২০১৫ রাত ১০:৫৭
আফরা লিখেছেন : কি বলব জানি না !!
২৭ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৪
264052
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমাদের সবাইকেই কিছু বলতে হবে কিছু করতে হবে। নইলে যে সমাজটা দিন দিন বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে।
১৪
322308
২৫ মে ২০১৫ রাত ১২:৫৩
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপু, মন খারাপ তবুও দুই লাইন নাআ বলে পারছিনা। এই রকম ঘটনা আমাদের দেশে হাজার হাজার ঘটছে প্রতিদিন !! ছেলে বলে মানুষ বিষয় গুলোকে এডিয়ে চলে, হাল্কা ভাবে নেয়!! সবচেয়ে লজ্জার এবং বিস্ময়য়ের কথা হল, এই সব নরপশুদের তালিকায় সমাজের উঁচু শ্রেনির লোকজন জড়িত, যেমন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মাদ্রাসার শিক্ষক,এমন কি শহরের লোকাল বাসগুলোতেও এদের রাম রাজত্ব অথচ এরা জানে এই পাপের জন্য আল্লাহ্‌ পাক একটি জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। আল্লাহ্‌পাক আমাদেরকে এই মহাপাপ থেকে হেফাজত করুণ আমীন।
২৭ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:৪০
264058
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : সত্যি কথা বলতে কি এদের সঠিক বিচার হয়না বলেই দিন দিন এসব অনাচার বাড়ছে। আল্লাহর আযাব গজব সম্পর্কে এরা উদাসীন। তাই এসব অপকর্ম করেই যাচ্ছে।


ধন্যবাদ ভাইছা।


২৭ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০১
264080
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। দোয়া করবে, ব্লগে একটি নতুন শয়তান এসেছে নীলাঞ্জনা নামে তাঁরে একটু ধোলাই দিয়েছিলাম।
২৭ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০২
264081
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। দোয়া করবে, ব্লগে একটি নতুন শয়তান এসেছে নীলাঞ্জনা নামে তাঁরে একটু ধোলাই দিতেছিলাম। চিন্তা করতেছি এই ধোলাইয়ে না হলে পরে রাম ধোলাই দিব ইনশাল্লাহ।
২৭ মে ২০১৫ রাত ০৯:৪২
264154
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এদের পিছনে সময় নষ্ট না করাই ভালোHappy
১৫
322358
২৫ মে ২০১৫ সকাল ১১:২০
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : পশু ও এদের চেয়ে ভালো । আপু আপনার এই সিরিজটা আবার চালু করার জন্য অনেক ধন্যবাদ Good Luck Rose
২৭ মে ২০১৫ রাত ০৯:৩৮
264148
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ষব সময় উৎসাহ দিয়ে সাথে থাকার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
১৬
322363
২৫ মে ২০১৫ সকাল ১১:৩০
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : সার্বিক নৈতিক অধপতনের কারনেই এই ধরনের কলিজা জ্বালানো খবর আমাদের পেতে হয় এবং আরো অগণীত খবর অন্তরালেই থেকে যায়...আর একটা বিষয় আমাদের দেশে পরিচালকরা ঠিকই অনুধাবন করে ফেলেছেন যে একটা দিয়ে আরেকটা ঢাকা যায় আর এই দেশের ইয়া নাফসি জনগনের মেরোরি সর্ট বেশিক্ষন মনে রাখতে পারেনা বা মনে রাখতে চায় না এই ধরনের ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ...,কোরআনের শিক্ষা থেকে জাতীকে যতকাল দূরে রাখা যাবে এ জাতী এ ধরনের অঘটন সইতেই থাকবে...ধন্যবাদ বোন ফাতিমা।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ০৮:৩১
264493
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমার মনে হয় মেমরী শর্ট বলেই এখনও দেশের সাধারণ জনগণ সুস্থ আছে। নতুবা এতদিনে জাতির অবস্থা যে কী হত.......। হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন-যতদিন কুরআনের শিক্ষা থেকে জাতীকে যতকাল দূরে রাখা যাবে এ জাতী এ ধরনের অঘটন সইতেই থাকবে।

সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ মুন্সিভাই।
১৭
322413
২৫ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৩
ছালসাবিল লিখেছেন : Surprised Surprised I Don't Want To See I Don't Want To See I Don't Want To See
ইশশশ মনে চায়_____ At Wits' End At Wits' End______কিন্তু করতে পারি নাহ কিচছু ই At Wits' End At Wits' End

২৯ মে ২০১৫ সকাল ১০:০৫
264534
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চুপ করে থাকলে চলবে? কিছু বলতে হবে! কিছু করতে হবে-তবেই না সমাজ সামনের দিকে যাবে, এসব জঘন্য পাপাচার থেকে ভবিষ্যত প্রজন্ম রক্ষা পাবে।
১৮
322716
২৬ মে ২০১৫ রাত ০৯:১১
আলোর কথা লিখেছেন : খুবই দুখজনক।আসলে এখন মেয়ের মায়েরা অনেক সচেতন।কিন্তু বেশির ভাগ ছেলের মায়েদের মধ্যে এই ব্যপারে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব আছে বলে আমি মনে করি। অনেক ধন্যবাদ।
২৯ মে ২০১৫ সকাল ১০:১০
264537
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : সবাইকে সচেতন হতে হবে। সচেতন করে তুলতে হবে। ধন্যবাদ।
১৯
322972
২৮ মে ২০১৫ রাত ০১:৫০
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম আপু!

খুবি কষ্টের ঘটনা! তারচাইতে বেশি কষ্ট ঐ শিশুটির যে কিনা এতোবড় শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হলো! কে জানে কতো দিন এই ভয় তাকে বয়ে বেড়াতে হবে?

সচেতনতামূলক পোস্টের জন্য শুকরিয়া!
২৯ মে ২০১৫ সকাল ১০:১৩
264538
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসাসালাম।

সময় পেলে 'ঘেটুপুত্র কমলা' ছবিটি দেখে নিও।
২০
323452
৩০ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:১৭
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আপনার লিখাটা পড়ে খুব খারাফ লাগলো, এগুলো কিছু ভাল ভেশি বিকৃত মানসিকতার লোকদের বহিপ্রকাশ। এদের কে কঠিন সাজা দেওয়া খুব খুব দরকার। ধন্যবাদ আপানাকে
৩১ মে ২০১৫ রাত ০৯:০৯
265067
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার গঠণমূলক মন্তব্যের জন্য আপানাকেই ধন্যবাদ জানালাম দিল মোহাম্মদ মামুনভাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File