সাপলুডু

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:১৬:০২ বিকাল

এক

অ-নে-ক অনেক আগের কোন এক প্রাচীন সুসজ্জিত শহর। ছিমছাম...টিপটপ.... একেবারে আধুনিক একটি নগরী। অগণিত মানুষ। শহরবাসী নারী-পুরুষ সবাই যার যার দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত। এই কর্মব্যস্ত নগরীর কেউ কল্পনাও করতে পারছেনা তাদের জন্য কী এক মহা বিপদ অপেক্ষা করে আছে।

হঠাৎ সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিল এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। পুরো শহর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বিলীন হয়ে গেল। দেখে মনেই হচ্ছেনা কিছুক্ষণ পূর্বেও এখানে কর্মব্যস্ততা ছিল....ছিল অসংখ্য প্রাণের স্পন্দন। কোন জন-মানুষ কোথাও কেউ নেই। বাড়িঘর সব মাটির সাথে মিশে গেছে। এটি এখন একটি বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত হয়েছে।

কেমন যেন রূপকথার গল্পের মত মনে হচ্ছে.....তাই না? কিন্তু এভাবেই অনেক সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেছে। আসলে এগুলোকে ধংস করে দেয়া হয়েছে। কারণ? আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান থেকে দূরে সরে গিয়ে ঐসব জনপদের বাসিন্দারা বিপথগামী হয়ে গিয়েছিল। ফলে আল্লাহর আযাব এসে তাদেরকে সহ তাদের বাসভূমিকে শেষ করে দিয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা আল কুরআনে অসংখ্য স্থানে এসব ধ্বংসপ্রাপ্ত জনপদ বা জাতি সম্পর্কে আমাদেরকে জানিয়েছেন।

১)-'আর এমন কত জনপদ আমি ধ্বংস করে দিয়েছি যেখানকার লোকেরা তাদের সম্পদ-সম্পত্তির দম্ভ করতো।'[আল কাসাস;আয়াত নং-৫৮]

২)- 'কত জনপদ আমি ধ্বংস করে দিয়েছি। তাদের ওপর আমার আযাব অকস্মাৎ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রাতের বেলা অথবা দিনের বেলা যখন তারা বিশ্রামরত ছিল।

- আর যখন আমার আযাব তাদের ওপর আপতিত হয়েছিল তখন তাদের মুখে এছাড়া আর কোন কথাই ছিল না যে, “সত্যিই আমরা জালেম ছিলাম।”[আল আরাফ;আয়াত নং-৪ ও ৫]


দুই

ছোটবেলায় লুডু খেলেন নি এমন বাঙালীর সংখ্যা মনে হয় খুবই কম। ছোটরা তো খেলেই বড়রাও সুযোগ পেলে কম যান না! এই লুডু খেলার মধ্যে সাপ লুডু একটি চমকপ্রদ ও জনপ্রিয় খেলা। সাপ লুডু সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেয়ার আসলে কিছুই নেই। কারণ সবাই-ই এই খেলার নিয়মাবলী জানেন। এই খেলার প্রতিটি ধাপেই রয়েছে এক ধরণের উত্তেজনা! এই বুঝি সাপের মুখে পড়লাম! অথবা এখন যদি একটা মই পেতাম!! এই ধরণের টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়েই নানা উত্থান-পতনের মাধ্যমে এক সময় খেলা শেষ হয়।

আমাদের জীবনটাও অনেকটা এই সাপ লুডু খেলার মত। জীবনে চলার পথে কোথাও হয়ত ওঁত পেতে আছে এক ভয়ংকর অজগর যে কিনা নিমিষেই গ্রাস করে নেয় আমাদের অনেক সুখ-শান্তি-আনন্দ! আবার কোথাও সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে তরতর করে চলে যাই উন্নতির উচ্চ শিখরে! মোটকথা নানা উত্থান ও পতনের মধ্য দিয়েই আমাদের জীবন যাপিত হয়।

আজ যেই মানুষটি সবার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পাত্র দুইদিন বাদে তিনিই হয়ে যান চরম ঘৃণিত ও অবহেলিত। মানুষ হিসেবে আমাদের উচিত এইসব প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তিগুলোকে হাসিমুখে মেনে নেয়া। জানি, এটা বেশ কঠিন একটা কাজ। যে মানুষটা গতকাল সাফল্যের চুড়ায় অবস্থান করছিল, তার পক্ষে আজ এই পতন মেনে নেয়াটা যে কতটা পীড়াদায়ক তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন।

একজন মানুষ তার জীবনের প্রতিটি স্তরেই এই হারজিতের মধ্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যান। ছাত্রজীবন, পারিবারিক জীবন, সমাজ জীবন, অর্থনৈতিক জীবন ও রাজনৈতিক জীবনে এই ধারা লক্ষ্য করা যায়।

আমরা জানি ভালো কাজ করলে আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারব;আর খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখলে মহান প্রভু খুশি হবেন! সেই লক্ষ্যে একজন মুমিন মহান প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য উত্তম আমল সমূহ করে যেতে চেষ্টা করে। সমাজে সালাত কায়েমের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়া,ব্যক্তিগতভাবে সালাত আদায়, দুখী জনের দুঃখ মোচনের জন্য কাজ করে যাওয়া, নিজে সৎভাবে জীবনযাপন করা ও অন্যকে এই পথে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করা এসব হাজারো ভালো কাজের মাধ্যমে সে তরতর করে উপরের দিকে যেতে থাকে।

কিন্তু এক পর্যায়ে হঠাৎ সে কোন একটি খারাপ কাজ করে ফেলে। হয়ত কারো নামে গীবত করে ফেলে অথবা মিথ্যাকথা বলে অথবা অন্য কোন পাপকাজ তার দ্বারা হয়ে যায়। ফলে সে পা পিছলে নিচে পড়ে যায়। আবারও কিছু ভালো কাজের মাধ্যমে আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার চেষ্টা...... এইভাবেই একজন মুমিনের জীবন যাপিত হয়।

- আর যারা কখনো কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে অথবা কোন গোনাহের কাজ করে নিজেদের ওপর জুলুম করে বসলে আবার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়ে তাঁর কাছে নিজেদের গোনাহ খাতার জন্য মাফ চায় – কারণ আল্লাহ ছাড়া আর কে গোনাহ মাফ করতে পারেন – এবং জেনে বুঝে নিজেদের কৃতকর্মের ওপর জোর দেয় না,

-এ ধরনের লোকদের যে প্রতিদান তাদের রবের কাছে আছে তা হচ্ছে এই যে, তিনি তাদের মাফ করে দেবেন এবং এমন বাগিচায় তাদের প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। সৎকাজ যারা করে তাদের জন্য কেমন চমৎকার প্রতিদান![আলে ইমরান;আয়াত নং-১৩৫ ও ১৩৬]


মহান আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলে দিয়েছেন জীবনে চলার পথে কেউ যদি খারাপ কোন কাজ করে ফেলে তবে সে যেন মহান প্রভুর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়। ফলে তার যতটুকু পতন হয়েছিল তা থেকে সে আবার সাফল্যের পথে যেতে থাকবে। আমাদের জীবন চলতে চলতে যখন শেষ হয়ে যাবে তখন যেন শেষের স্থানেই আমাদের অবস্থান হয়-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

তিন

মানবসভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই যে অনেক সুসভ্য জাতি সেই যুগের উন্নতির চরম শিখরে থেকেও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। তাদের সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ থেকে আমরা তাদের উন্নতি-অবনতি-পরিণতি সম্পর্কে জানতে পারি।

আল কুরআনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে ঐসব জাতির ধ্বংসের জন্য শুধুমাত্র মহান প্রভুর অবাধ্যতাই দায়ী। তারা যখনই আল্লাহর বিধান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, প্রচণ্ড ভাবে নাফরমানি করা শুরু করেছে তখনই আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে শাস্তি হিসেবে ধ্বংস করে দিয়েছেন। অবশ্য এর পূর্বে তিনি তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে অসংখ্যবার সাবধান করেছিলেন। কিন্তু তারা আল্লাহর কথায় কর্ণপাত করেনি। ফলে তারা তাদের সভ্যতা সহ শেষ হয়ে যায়।

-'তাদের কাছে কি তাদের পূর্ববর্তীদের ইতিহাস পৌঁছেনি? নূহের জাতির, আদ, সামূদ ও ইবরাহীমের জাতির, মাদইয়ানের অধিবাসীদের এবং যে জনবসতি গুলো উল্টে দেয়া হয়েছিল সেগুলোর? তাদের রসূলগণ সুস্পষ্ট নিশানিসহ তাদের কাছে এসেছিলেন। এরপর তাদের ওপর জুলুম করা আল্লাহর কাজ ছিল না বরং তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর জুলুম করেছিল।'[আত তওবা; আয়াত নং- ৭০]

আবার ক্ষেত্র বিশেষে দেখা যায় যে আল্লাহ তায়ালা কোন স্বেচ্ছাচারী ব্যক্তিকে তাদের ধন-সম্পদ সহকারে ধংস করে দিয়েছেন। তারা যখন ক্ষমতার শীর্ষবিন্দুতে ছিল তখন তারা নিজেদেরকে অক্ষয়-অমর ভাবতে শুরু করেছিল এবং চরম অহংকার প্রকাশ করেছিল। ফলে তারাও ধংসপ্রাপ্ত হয়।

-'আর কারূন, ফেরাঊন ও হামানকে আমি ধ্বংস করি। মুসা তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে আসে কিন্তু তারা পৃথিবীতে অহংকার করে অথচ তারা অগ্র গমনকারী ছিল না।' [আল আনকাবূত; আয়াত নং- ৩৯]

এইসব জাতি বা ব্যক্তির উত্থান বা পতন থেকে আমাদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় এই যে, পৃথিবীতে কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়। আল্লাহ যেমন মানুষকে উজাড় করে ধন-সম্পদ-ক্ষমতা দিতে পারেন;আবার তেমনি তার নাফরমানি করলে তা কেড়েও নিতে পারেন। সুতরাং আল্লাহর বিধান মেনে জীবন যাপন করে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত জীবন যাপন করাই হোক আমাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। জীবনের সামগ্রিক উত্থান ও পতনের ধারায় আমাদের শেষ অবস্থান ইতিবাচক ও প্রত্যাশিত হোক। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমীন।

বিষয়: বিবিধ

২১০০ বার পঠিত, ৭৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

297301
২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৫
ইমরান বিন আনোয়ার লিখেছেন : দারুণ লেগেছে! সত্যিই খুব ভালো লেগেছে কথাগুলো। এ ধরণের ইন্সপাইরেশন-মূলক লেখা সবার জন্যই ইতিবাচক। আল্লাহ লেখিকাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩৬
240922
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য আল্লাহ আপনাকেও উত্তম বিনীময় দান করুনPraying
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৪
240927
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



'হে মানব জাতি। ইবাদাত করো তোমাদের রবের, যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্বে যারা অতিক্রান্ত হয়েছে তাদের সবার সৃষ্টিকর্তা, এভাবেই তোমরা নিষ্কৃতি লাভের আশা করতে পারো।'[আল বাকারাহ;আয়াত নং-২১]
297316
২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
সবসময় আল্লহর শুকরিয়া আদায় করে যেন চলতে পারি।
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৮
240928
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৯
240929
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


-'যে ব্যক্তিই পাপ করবে এবং পাপের জালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়বে সে-ই জাহান্নামী হবে এবং জাহান্নামের আগুনে পুড়তে থাকবে চিরকাল।

-আর যারা ঈমান আনবে এবং সৎকাজ করবে তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে থাকবে তারা চিরকাল।'
[আল বাকারাহ;আয়াত নং-৮১ ও ৮২]
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫০
240930
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


-'যে ব্যক্তিই পাপ করবে এবং পাপের জালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়বে সে-ই জাহান্নামী হবে এবং জাহান্নামের আগুনে পুড়তে থাকবে চিরকাল।

-আর যারা ঈমান আনবে এবং সৎকাজ করবে তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে থাকবে তারা চিরকাল।'
[আল বাকারাহ;আয়াত নং-৮১ ও ৮২]
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫০
240931
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


-'যে ব্যক্তিই পাপ করবে এবং পাপের জালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়বে সে-ই জাহান্নামী হবে এবং জাহান্নামের আগুনে পুড়তে থাকবে চিরকাল।

-আর যারা ঈমান আনবে এবং সৎকাজ করবে তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে থাকবে তারা চিরকাল।'
[আল বাকারাহ;আয়াত নং-৮১ ও ৮২]
297340
২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:২৩
শেখের পোলা লিখেছেন : সত্যই মানুষের জীবনের সাথে সাপলুডুর দারুন মিল৷ মুসলীমের লক্ষ্য জা্ন্নাত, সে পথে যেন আমরা সাপের মুখে নাপড়ি৷ অযথা দম্ভ যেন না করি৷ আল্লাহর গজব আসার মত আন্যায় যেন আমার দ্বারা না হয়৷ আল্লাহর কাছে এই দোওয়া চাই৷ আমিন৷
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
241033
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
241034
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'মানুষের জন্য নারী, সন্তান, সোনা-রূপার স্তূপ, সেরা ঘোড়া, গবাদী পশু ও কৃষি ক্ষেতের প্রতি আসক্তিকে বড়ই সুসজ্জিত ও সুশোভিত করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের সামগ্রী মাত্র। প্রকৃতপক্ষে উত্তম আবাস তো রয়েছে আল্লাহ‌র কাছে।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-১৪]
297344
২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৪২
ধ্রুব নীল লিখেছেন : আমিন। চমতকার হয়েছে। সাধারন একজনের অনুপ্রেরণা পাবার জন্য যথেষ্ঠ এই লেখাটি।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
241035
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য তোমাকেও ধন্যবাদ ধ্রুবনীলHappy
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২০
241037
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'হে ঈমানদারগণ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহ‌কে ভয় করো। মুসলিম থাকা অবস্থায় ছাড়া যেন তোমাদের মৃত্যু না হয়।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-১০২]
297360
২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪১
আফরা লিখেছেন : খুব সুন্দর হয়েছে গুরুজী অনেক শুকরিয়া ।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২১
241038
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদ আফরাHappy
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২২
241039
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক অবশ্যই থাকতে হবে, যারা নেকী ও সৎকর্মশীলতার দিকে আহবান জানাবে, ভালো কাজের নির্দেশ দেবে ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখবে। যারা এ দায়িত্ব পালন করবে তারাই সফলকাম হবে।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-১০৪]
297365
২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০৪
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপু, চমৎকার একটা উদাহরণ এর মাধ্যমে মানব জীবন আসলেই কি , তা প্রকাশ করেছেন । সত্যি মাঝে মাঝে আমারও মনে হয় দুনিয়াটা একটা মঞ্চ, অনেক বড় নাট্য মঞ্চ, যেখানে আমরা এক একটা মানব চরিত্র রূপদান করে যাচ্ছি। আর আল্লাহ হচ্ছেন এই মঞ্চের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী , তিনি এখানে আমাদেরকে পথ বলেছেন। যারা সেই পথে চলবে তারা সফলকাম হবে।
জীবনটা এক কথায় সাপলুডু খেলার মত উত্থান পতনে ভরপুর।
এটা আমার পড়া, আপনার একটা সেরা পোষ্ট । মডুরা এই রকম পোষ্ট স্টিকি করবেনা জানি তবুও, তাদেরকে অনুরোধ করব , পোষ্টটি স্টিকি করার জন্য।
আল্লাহ আমাদের কে এই পোষ্ট থেকে শিক্ষা গ্রহন করে, আমল করার তাওফিক দিন । আমীন । জাজাকাল্লাহহু খাইরান।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
241040
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইছাPraying
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
241041
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


-'যেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফরী নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আযাবের স্বাদ গ্রহণ করো।

-আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহ‌র রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং তারা চিরকাল এই অবস্থায় থাকবে।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-১০৬ ও ১০৭]

297411
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:২৪
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছেন আপা। এই রিমাইন্ডারগুলো আমাদের খুব প্রয়োজন।এমন লেখা আরো চাই। Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
241043
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপা।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
241044
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'পৃথিবী ও আকাশে যা কিছু আছে সমস্তই আল্লাহর মালিকানাধীন। যাকে চান মাফ করে দেন এবং যাকে চান শাস্তি দেন। তিনি ক্ষমাশীল ও করুণাময়।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-১২৯]
১০ জানুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৪
296011
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : রেহনুমা আপু আসসালামু আলাইকুম। সুদীর্ঘকাল পর আপনাকে দেখছি। মাঝে মাঝে একটা দুটো লেখা দেন।Good Luck Good Luck
২৪ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০১:৫৮
296668
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

ইচ্ছে হয় আপনাকে অনেক বকা দেই,
কিন্তু জ্ঞাত-অজ্ঞাত অসুবিধাগুলোর কথা ভেবে নিবৃত হই!

আর দোয়া করি, আল্লাহতায়ালা যেন আপনাকে এখানে নিয়মিত হাজির থাকার সব অনুষঙ্গ ঠিক রাখেন!! Praying Praying
297551
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪০
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : মরিবার চাহিনা আমি এই সুন্দর ভুবনে Sad Sad

সুতরাং আল্লাহর বিধান মেনে জীবন যাপন করে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত জীবন যাপন করাই হোক আমাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।

আমিন আমিন ছুম্মা আমিন
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
241045
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদHappy
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
241047
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :




'হে ঈমানদারগণ! সবরের পথ অবলম্বন করো, বাতিলপন্থীদের মোকাবিলায় দৃঢ়তা দেখাও, হকের খেদমত করার জন্য উঠে পড়ে লাগো এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাকো। আশা করা যায়, তোমরা সফলকাম হবে।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-২০০]
297669
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:০৭
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : লেখা পড়ে মনে হলো দুনিয়াবী নিয়েই ব্যস্ত আছি পরকালের কথা ভুলে। হে পরওয়ারদিগার এই ধরাধম থেকে তাড়াতাড়ি উঠিয়ে নাও। আর কত পাপ করবো। পাপের বোঝা যে আর সইতে পারছি না। Sad Sad Crying Crying Crying
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:১৬
241895
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ইয়া আল্লাহ! আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দাওPraying
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:১৭
241896
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'হে মানব জাতি। ইবাদাত করো তোমাদের রবের, যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্বে যারা অতিক্রান্ত হয়েছে তাদের সবার সৃষ্টিকর্তা, এভাবেই তোমরা নিষ্কৃতি লাভের আশা করতে পারো।'[আল বাকারাহ;আয়াত নং-২১]
১০
297676
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:১৬
লিচু চোর ০০৭ লিখেছেন : বুঝপার পারছি , চুরি- চামারি ছেড়ে দিতে হবে । সৎ পথে চলতে হবে, মানুষকে সৎ পথে ডাকতে হবে । জীবনে চলার পথে সবসময় পরকালের কথা মনেরাখতে হবে, মনে পরকালের ভয় রাখতে হবে । অনেক অনেক ধন্যবাদ । আপনার নামটা যেমন , কাজ ও তেমন ।
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:১৮
241897
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ভাই নামটা লিচুচোর রাখলেন কেন?Crying
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:১৮
241898
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



-'যে ব্যক্তিই পাপ করবে এবং পাপের জালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়বে সে-ই জাহান্নামী হবে এবং জাহান্নামের আগুনে পুড়তে থাকবে চিরকাল।

-আর যারা ঈমান আনবে এবং সৎকাজ করবে তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে থাকবে তারা চিরকাল।'
[আল বাকারাহ;আয়াত নং-৮১ ও ৮২]
১১
297773
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৪৬
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : চমৎকার উদাহরন দিয়ে বুঝিয়েছেন আপু। জীবনটা সাপলুডু খেলার মত নানা উত্থান পতনে ভরপুর।
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:১৯
241900
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ.....সদা সর্বদা উৎসাহ প্রদানের জন্য অসংখ্য শুকরিয়াPraying
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:২০
241901
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



'মানুষের জন্য নারী, সন্তান, সোনা-রূপার স্তূপ, সেরা ঘোড়া, গবাদী পশু ও কৃষি ক্ষেতের প্রতি আসক্তিকে বড়ই সুসজ্জিত ও সুশোভিত করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের সামগ্রী মাত্র। প্রকৃতপক্ষে উত্তম আবাস তো রয়েছে আল্লাহ‌র কাছে।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-১৪]
১২
297872
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
বিদ্যালো১ লিখেছেন : Ma-Sha-Allah !!!

onek valo laglo likhati. Allah apnake uttom protidan diik.

amon likha arro beshi beshi likhar taufiq diuik.

০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:২০
241902
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : মহান আল্লাহ আপনাকেও উ্ত্তম প্রতিদান দিনPraying
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:২১
241903
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



'হে ঈমানদারগণ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহ‌কে ভয় করো। মুসলিম থাকা অবস্থায় ছাড়া যেন তোমাদের মৃত্যু না হয়।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-১০২]
১৩
297979
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৯
বইয়ের পাতায় রোদের আলো লিখেছেন : মাশা আল্লাহ। সুন্দর রিমাইন্ডার। এমন লেখা আরো চাই Rose Rose Rose
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:২২
241904
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ইনশাআল্লাহPraying
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:২২
241905
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক অবশ্যই থাকতে হবে, যারা নেকী ও সৎকর্মশীলতার দিকে আহবান জানাবে, ভালো কাজের নির্দেশ দেবে ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখবে। যারা এ দায়িত্ব পালন করবে তারাই সফলকাম হবে।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-১০৪]
১৪
298261
৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
বিপ্লবী লিখেছেন : অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু আরও লিখেন আমাদের সমাজের গুমন্ত জবি গুলীকে জাগ্রত করুন
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:২৩
241906
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই বিপ্লবীPraying
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:২৩
241907
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



-'যেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফরী নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আযাবের স্বাদ গ্রহণ করো।

-আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহ‌র রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং তারা চিরকাল এই অবস্থায় থাকবে।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-১০৬ ও ১০৭]
১৫
299133
০৪ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:১২
সায়েম খান লিখেছেন : কোনকিছুই চিরস্থায়ী নয়,আমাদের উচিৎ এটা ভেবে কাজ করা।
০৬ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:১৭
242393
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এটাই আমাদের মনে রাখা উচিৎ। ধন্যবাদ।
০৬ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:১৮
242394
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'পৃথিবী ও আকাশে যা কিছু আছে সমস্তই আল্লাহর মালিকানাধীন। যাকে চান মাফ করে দেন এবং যাকে চান শাস্তি দেন। তিনি ক্ষমাশীল ও করুণাময়।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-১২৯]
১৬
299258
০৪ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:২৩
ছালসাবিল লিখেছেন :


০৬ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:১৫
242391
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ???Frustrated
০৬ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:১৮
242395
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'হে ঈমানদারগণ! সবরের পথ অবলম্বন করো, বাতিলপন্থীদের মোকাবিলায় দৃঢ়তা দেখাও, হকের খেদমত করার জন্য উঠে পড়ে লাগো এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাকো। আশা করা যায়, তোমরা সফলকাম হবে।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-২০০]
০৬ জানুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৫
242509
ছালসাবিল লিখেছেন : Tongue
০৯ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০১:০২
242767
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : Waiting
১৭
300103
১১ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৪:০১
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম...........শ্রদ্ধেয়া আপুজ্বি। অসাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষণীয় লিখাটির জাজাকাল্লাহু খাইর।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:২৫
245281
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম। ধন্যবাদ আপা।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:২৭
245282
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'হে মানব জাতি। ইবাদাত করো তোমাদের রবের, যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্বে যারা অতিক্রান্ত হয়েছে তাদের সবার সৃষ্টিকর্তা, এভাবেই তোমরা নিষ্কৃতি লাভের আশা করতে পারো।'[আল বাকারাহ;আয়াত নং-২১]
১৮
356167
০৫ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ১১:৪৭
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
জাযাকিল্লাহ খাইর, সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১১:৫৫
313389
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ্।

অনেক দেরীতে জবাব দেয়ার জন্য আমি আন্তরীকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১১:৫৫
313390
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


-'যে ব্যক্তিই পাপ করবে এবং পাপের জালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়বে সে-ই জাহান্নামী হবে এবং জাহান্নামের আগুনে পুড়তে থাকবে চিরকাল।

-আর যারা ঈমান আনবে এবং সৎকাজ করবে তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে থাকবে তারা চিরকাল।'
[আল বাকারাহ;আয়াত নং-৮১ ও ৮২]
১৯
356627
১০ জানুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম আপি। তোমার ব্লগিংয়েও তো ভূমিকম্প শুরু হয়ে ব্লগিং লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। কত্তদিন পর তোমার লেখা পড়ছি!! আমি অক্ষাত ব্লগার এই আছি এই নেই কিন্তু তাই বলে তোমরা!!! ইদানিং রাতে আমি চোখ বন্ধ করতেই ভয় পাই। কারণ হাদিসে বলা হয়েছে: মহান আল্লাহ যখন কোন সম্প্রদায়কে আযাব দিয়ে ধ্বংশ করেন, তখন সেখানে বসবাসকারী মুমিন-পাপাচারী সকলের উপরেই সমানভবে আযাব আসে কেউই রেহাই পায়না। তবে মহান আল্লাহ কেয়ামতের দিন এই মুমিনদের অন্তরের নিয়ত দেখে তাদের ফয়সালা করবেন। আইশা (রাঃ) ও অন্য হাদিসে যয়নাব বিনতে জাহাশ(রাঃ)প্রশ্ন করেছিলেন,মুমিনরা থাকার পরেও কেন আযাব আসবে? রাসূল (সাঃ) উত্তর দিয়েছিলেন: পাপাচার, অশ্লীলতা এতই বেড়ে যাবে যে, তা রোধ করার মত শক্তি থাকবেনা, ফলাফলে আযাব এসে তা গ্রাস করবে। এজন্য মুমিনদের বলা হয়: যখন কোন সম্প্রদায়কে পাপাচার থেকে বিরত রাখার মত শক্তি মুমিনদের আর থাকেনা, তারা যেন অন্যত্র চলে যায় তাদের মাঝে অবস্হান না করে। সর্বপ্রথম উমার (রাঃ)এর সময় মদিনায় একটি তেজী ভূমিকম্প আঁঘাত হানে। ভূমিকম্প থেকে যাওয়ার পর উমার (রাঃ)মদিনার নারী-পুরুষকে একত্র করে বলেছিলেন: এই ভূমিকম্প তোমাদের পাপের ফলাফল। তোমরা তওবা কর পাপ থেকে ফীরে আসো। এর পরেও যদি ভূমিকম্প আঁঘাত হানে তবে আমি আর তোমাদের মাঝে থাকবোনা তোমাদের ত্যাগ করে অন্য কোথায় চলে যাব।
আমি ঢাকার বেশ জাকজমকপূর্ণ একটা জায়গয় থাকি পরিবারের সাথে। পড়ি প্রাইভেট ভার্সিটিতে। অতীতে যেসব পাপের জন্য মহান আল্লাহ আদ, সামুদ, সাদুম, মাদাইন,তুব্বা, ফিরাউন, বনী ইজরাইল সহ অসংখ্য সম্প্রদায়কে ধ্বংশ করেছেন, তার প্রতিটি আমি দেখি শুধু ঢাকাবাসীর মাঝে। সব রকম পাপাচার। আমি আমার পরিচিত ইয়ারমেটদের মাঝেই দেখেছি লেসবিয়ান কালচার। আমাদের এলাকায় প্রচুর ছেলে-মেয়ে আছে যারা প্রাইভেট ভার্সিটি বা মেডিকেলের স্টুডেন্ট তারা লিভ টুগেদার করে বাসা ভাড়া নেয় অথচ পরিচয় দেয় স্বামী-স্ত্রী। আমার ক্লাসমেট এক মেয়ে বয় ফ্রেন্ড রিলেটেড খুব বাজে একটা ঘটনা ঘটিয়ে পরে আমাকে জানানোর পর সেটা সমাধান করতে গিয়ে আমাকে অনেক সমস্যায় পরতে হয়েছে। অথচ ও কিন্তু রীতিমত হিজাবী। ওর দ্বারা এত খারাপ কাজ হবে আমি কল্পনাও করিনা। কিছুদিন ডাক্তারদের সাথে বেশ কিছু কাজ করেছিলাম এবং হাজবেন্ড-ওয়াফের সম্পর্কের কিছু জিনিস জানার পর অবাক হয়েছিলাম, এরা হারাম-হালাল কি তাও কি জানেনা? মনে মনে বলেছিলাম বিয়ে না করাই তো ভাল। এসব জিনিস কওমে লুতের বা সাদুমের বৈশিষ্ট ছিল।
গত একমাস আগে আমি তাড়াহুড়ো করে বাসার থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ভাইয়া জোড় করে ব্যাগে কমলা দিয়ে দিল খাবার জন্য। কিন্তু সেটা ব্যাগে ছিল খাওয়া হয়নি একমাস পর দেখি সেটা এমদম ফ্রেশ। বুঝতেই পারছো কি পরিমাণ ফরমালিন দেয়া হয়েছে। প্রতিটি খাবারে ভেজাল। মাপে-ওজনে গরমিল। ব্যবসায়িক লেনদেনগুলি টোটালি ঠকবাজির উপর নির্ভরশীল। এটা ছিল কওমে মাদাইন এর বৈশিষ্ট।
আদ জাতি শারিরিকভাবে যেমন ছিল শক্তিশালী তেমনি ছিল সূচ্চ গৃহনির্মাণে পারদর্শী যা তাদেরকে অহংকারী করে তুলেছিল।
ফিরাউন সভ্যতা ছিল সেই যুগের বিস্ময়। তারা জ্যামিতি, গণিতশাস্ত্র,পৃথিবী ও গ্রহ-নক্ষত্র ইত্যাদির ব্যাপারে সূক্ষাতিসূক্ষ্ণ জ্ঞান রাখত। পিরামিড নিয়ে এখনো আগ্রহের শেষ নেই।
বনী ইজরাইলরা: অসহায় মুমিনদের উপর অত্যাচার, নবী হত্যা, গরীবদের সম্পদ লুন্ঠন, আত্বীয়তা অস্বীকার, ইবাদতে অবহেলা, অহমিকা প্রদর্শন করত এবং বলত, আমরা যাই করি আল্লাহ আমাদের কিছুই করবেনা, আমরাই জান্নাতের মালিক কারণ আমরা ছাড়া আল্লাহর ইবাদত কে করবে?? আছে কে?
আজ এসব প্রতিটি বৈশিষ্ট নগরীর মানুষগুলির মাঝে দেখি। আর ভয় হয় যে কোন সময় এটা ধ্বংশ হবে। আর আমিও আযাবে শেষ হব। পালানোরও জায়গা নেই। তাই প্রতিটা রাতেই খুব ভয় হয়। আর কাছের মানুষগুলোর যখন ইসলামের প্রতি, নামাজ, পর্দা ইত্যাদির ব্যাপারে অবহেলা দেখি, মোজ-মাস্তি, মুভি-মিউজিক ইত্যাদিতে ডুবে থাকতে দেখি-তখন আরো মন খারাপ হয়। নিজেকে পরাজিত মনে হয়।
২৪ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:০১
296669
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

আপনার দীর্ঘ মন্তব্যটি কলিজায় কাঁপন ধরিয়ে দেয়ার মত!!
আর ভয় হয় যে কোন সময় এটা ধ্বংশ হবে। আর আমিও আযাবে শেষ হব। পালানোরও জায়গা নেই।



Praying Praying Praying Praying
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:০১
313391
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ্।

অনেক দেরীতে জবাব দেয়ার জন্য আমি আন্তরীকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

তোমার মন্তব্যটি আমাদের বর্তমান সামাজিক অবস্থার প্রতিফলন।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:০২
313392
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : 'মানুষের জন্য নারী, সন্তান, সোনা-রূপার স্তূপ, সেরা ঘোড়া, গবাদী পশু ও কৃষি ক্ষেতের প্রতি আসক্তিকে বড়ই সুসজ্জিত ও সুশোভিত করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের সামগ্রী মাত্র। প্রকৃতপক্ষে উত্তম আবাস তো রয়েছে আল্লাহ‌র কাছে।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-১৪]
২০
356973
১৫ জানুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৪:৫১
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : চমৎকার দৃষ্টান্ত! আসলেই জীবনটা্ই তো এক্কেবারে সাপলুড়ুর মত। আমরা কেউ এমন করে ভাবি না। ভাবলে আজ সর্বপর্যায়ে এমন বিপর্যয় হত না। নিজের ভাবনাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে তুলেছেন অসাধারণ দক্ষতার সাথে।
আশাকরি আরো লিখবেন, ধন্যবাদ।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:০৩
313393
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : অনেক দেরীতে জবাব দেয়ার জন্য আমি আন্তরীকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:০৪
313394
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'হে ঈমানদারগণ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহ‌কে ভয় করো। মুসলিম থাকা অবস্থায় ছাড়া যেন তোমাদের মৃত্যু না হয়।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-১০২]
২১
357570
২৪ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০১:৫৯
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

কিছু পোস্ট ইচ্ছে করেই ফেলে রাখি পরে পড়ার জন্য- যেন মূল্যবান মন্তব্যগুলোও পড়তে পারি!

জাযাকুমুল্লাহ...
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:০৪
313395
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : অনেক দেরীতে জবাব দেয়ার জন্য আমি আন্তরীকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
313396
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক অবশ্যই থাকতে হবে, যারা নেকী ও সৎকর্মশীলতার দিকে আহবান জানাবে, ভালো কাজের নির্দেশ দেবে ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখবে। যারা এ দায়িত্ব পালন করবে তারাই সফলকাম হবে।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-১০৪]
২২
358592
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন : মেয়েদের লেখা অল্পতেই হিট হয়।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:১১
313397
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ভাইজান, অনেকদিন পরে ব্লগে এসে এইরকম একখানা মন্তব্য দেখে সত্যিই মন খারাপ হয়ে গেল!
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:১৬
313398
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


-'যেদিন কিছু লোকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যাবে। তাদেরকে বলা হবে, ঈমানের নিয়ামত লাভ করার পরও তোমরা কুফরী নীতি অবলম্বন করলে? ঠিক আছে, তাহলে এখন এই নিয়ামত অস্বীকৃতির বিনিময়ে আযাবের স্বাদ গ্রহণ করো।

-আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহ‌র রহমতের আশ্রয় লাভ করবে এবং তারা চিরকাল এই অবস্থায় থাকবে।'[আলে ইমরান;আয়াত নং-১০৬ ও ১০৭]

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File