কল্পলোকের গল্প নয়-২০
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১১:৫৯:০৪ সকাল
একজন ফুঁ বাবা এবং অতঃপর……
এক
মিনু কুষ্টিয়ার মেয়ে। তার জন্ম, বেড়ে উঠা এবং পড়াশোনা সব ওখানে। স্থানীয় একটি কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছে। সে পরিবারের বড় মেয়ে। তার ছোট আরও দুই ভাই ও দুই বোন আছে।
মিনুর বাবা স্বল্প আয়ের চাকুরীজীবী। এই আয়ে সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয় বলে তিনি চাকুরীর পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসাও করেন। ফলে সাতজনের এই সংসার মোটামুটি চলে। মিনু ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছে সংসার চালানোর জন্য তার বাবাকে কী কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে!
ছোট ভাই বোন গুলি প্রত্যেকেই পড়াশোনা করছে। তার খুব আশা একটা চাকুরী করতে পারলে সে-ও বাবার পাশাপাশি কিছুটা হলেও সংসারের হাল ধরতে পারবে!! তার মনে অনেক স্বপ্ন সে বড় একটি চাকুরী করবে। চাকুরীর চেষ্টায় দিন যায়.........মাস যায়......।
বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করতে করতে একসময় দেশের একটি নামকরা এনজিওতে মিনু চাকুরী পায়। ভালো পোস্ট.....ভালো বেতন। বাসার সবাই বেশ খুশি। প্রথমেই তার পোস্টিং হয় ঢাকাতে।
দুই
মিনুর বাবা মার মন কিছুতেই সায় দেয়না যে মেয়ে উনাদের ছেড়ে ঢাকায় থাকবে! তাই প্রথম প্রথম আপত্তি করলেও তারা মিনুর ঢাকায় গিয়ে নতুন চাকুরীতে জয়েন করার ব্যাপারে সম্মতি দেন। এছাড়াও উনাদের রাজী হওয়ার আরও একটি কারণ আছে। আর তা হল ঢাকায় মিনুর বড় চাচার বাসা। বড় চাচা মিনুর বাবা মায়ের নিমরাজির কথা জেনে তাদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাদেরকে রাজী করিয়ে মিনুকে উনার বাসায় নিয়ে আসেন।
এই বাসায় থেকেই মিনু অফিস করা শুরু করে। কিন্তু সমস্যা একটা রয়েই গেল। সেটা হল-দূরত্ব। চাচার বাসা মিরপুরে আর অফিস মালিবাগে। প্রতিদিন তার বেশ অনেকটা সময় লেগে যায় অফিসে যেতে আর বাসায় আসতে।
সালমা নামে একটি মেয়ে তার অফিসে তার সাথে জয়েন করেছিল। সেই মেয়েরও একই সমস্যা। তার ঢাকায় থাকার মত কোন জায়গাই নেই বললেই চলে। সালমা এই কয়দিন তার এক বান্ধবীর বাসায় থেকে যাওয়া আসা করেছে। কিন্তু এখন তারও নিজস্ব একটি আবাস প্রয়োজন।
মিনু আর সালমা দুজনে মিলে ঠিক করল তারা একটি বাসা ভাড়া নেবে। তবেই তাদের এই সমস্যার একটা সমাধান হবে। কিন্তু এ ব্যাপারে মিনু বাসায় কথা তুলতেই চাচা-চাচি সাফ নিষেধ করে দিলেন যে মেয়েমানুষ একা থাকা ঠিক হবেনা। এদিকে বাসা নেয়ার ব্যাপারে বাবা মায়ের কাছ থেকেও মিনু সম্মতি পেল না।
কি আর করা! কষ্ট করেই তাকে অফিসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সালমারও একই অবস্থা! পরের বাসায় থাকতে আর কতই বা ভালো লাগে!?
ওদের অফিসের এক সিনিয়র কলিগ রূপা আপা ওদের এই সমস্যার কথা শুনলেন। তিনি কয় বছর যাবত এই ব্রাঞ্চেই আছেন। বাসাও কাছাকাছি। তিনিই ওদের পরামর্শ দিলেন-তোমরা ইচ্ছে করলে কোন একটা পরিবারের সাথে সাবলেট থাকতে পার। এতে খরচও কম হবে। আবার একটা ফ্যামিলির সাথে থাকাতে তোমাদের পরিবারের উদ্বেগও কিছুটা কমবে। তোমরা যদি বল তবে আমি আমার পরিচিত দুই একটা জায়গায় খোঁজ নিয়ে দেখতে পারি। সাবলেট থাকার ব্যাপারে সালমার কোন সমস্যা নেই। এখন মিনু অনুমতি পেলেই হল।
তিন
মিনুর চাচা চাচী যথারীতি আপত্তি জানালেন। এবার মিনু উনাদেরকে বোঝাতে লাগল। তারা কিছুটা নরম হলেন। তারা নিজেরাও দেখতে পাচ্ছে প্রতিদিন এতদূর যাওয়া আসায় মেয়েটা দিন দিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তারা ওকে সাবলেট থাকার অনুমতি দিলেন। যেহেতু সাথে সালমাও থাকবে তাই তাদের কাছে এই ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত ভালো মনে হল। অবশ্য এই অনুমতি নিতে মিনুকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। চাচা চাচীর রাজী হওয়া মানেই বাবা ও মায়েরও রাজী হওয়া।
রূপা আপা এবার উনার পরিচিত একটি পরিবারে ওদের দুজনের থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। পরিচিত মানে উনি এই পরিবারের গৃহিণী মিতুকে চেনেন। কাছাকাছি বাসা। প্রায় বছর খানেক ধরে মিতুর সাথে উনার পরিচয়। বেশ অমায়িক ও নরম স্বভাবের মেয়ে এই মিতু। দুই সন্তান স্বামীকে নিয়ে তার সংসার। তিন বেডের বাসা। এত বড় বাসা তাদের লাগেনা বলে মিতু সবসময়ই এক রুম সাবলেট দিয়ে থাকে। এক মাস হল আগের ভাড়াটিয়া চলে গেছে। এখন রুম খালি।
সেদিন রূপাকে কথায় কথায় বলেছিল -আপনার চেনাজানা কেউ যদি রুম ভাড়া নিতে চায় তবে আমাদের এই রুমের কথা বলবেন। তাই রুপা মিনু ও সালমাকে জানিয়েই মিতুর সাথে কথা ফাইনাল করে ফেলল। এই রুমটির সাথে এ্যাটাচড বাথরুম আছে। একটি বারান্দাও আছে। শুধুমাত্র রান্না ঘরটি মিতুর সাথে শেয়ার করতে হবে।
সালমা ও মিনু সানন্দে রাজি হয়ে গেল। মাসের শুরুতে ওরা দুজন নতুন বাসায় উঠে গেল। দুজনেরই উৎসাহের শেষ নেই। আজ এটা কিনে আনে, কাল ওটা কিনে আনে। নতুন সংসার সাজানোর তুমুল প্রতিযোগিতা দুজনের মধ্যে শুরু হয়ে গেল।
চার
তারা মানুষ মাত্র দুজন। তাই খাবারের খরচ খুব বেশি একটা হয়না। সকালে দুজনেই নাস্তা তৈরি করে খায় এবং দুপুরের খাবার তৈরি করে রাখে। বাসা যেহেতু অফিসের কাছাকাছি তাই দুপুরবেলা এক ফাঁকে এসে খেয়ে যায়। আবার যেদিন কাজের ঝামেলা বেশি থাকে সেদিন অফিসের পিয়নকে দিয়ে হোটেল থেকে খাবার আনিয়ে খায়। আবার কখনও একজন বাসায় গিয়ে খেয়ে আসে, অন্যজনেরটা বক্সে করে নিয়ে আসে।
আর বিকেলবেলা বাসায় ফিরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে দুজনেই রাতের রান্না শেষ করে ফেলে। তারপর মিতু বা তার বাচ্চাদের সাথে কিছুটা সময় কাটায়। মিতুর স্বামী ফিরোজ বাসায় না ফেরা পর্যন্ত ড্রয়িং রুমে বসে টিভি দেখে। ভদ্রলোক বাসায় ফিরে আসলে ওরা ওদের রুমে ঢুকে যায়। তারা কখনোই ফিরোজের সাথে আড্ডা দেয়া বা অহেতুক গল্প গুজব করেনা।
মিনু আর সালমার এই আচরণগুলো এবং ওদের মিশুক স্বভাবের কারণে ওদেরকে মিতুর বেশ ভালো লেগে যায়! সে ভালো কিছু রান্না করলে ওদেরকে খাওয়ায়, নিজের ফ্রিজ ওদেরকে ব্যবহার করতে দেয়। এছাড়া ওদের টুকিটাকি কাজে ওদেরকে সহায়তা করে। ওরা বাসায় ফিরতে দেরী করলে ওদেরকে নিয়ে তার উৎকণ্ঠার শেষ থাকেনা! মিতুর বাচ্চারাও অল্প কয়দিনেই মিনু আর সালমাকে আপন করে নিয়েছে।
এই বাসায় মিনু ও সালমা এসেছে প্রায় দুই মাস হয়ে গেল। মোটামুটি ভালোভাবেই ওদের দিন কাটছিল। এই সময়ের মধ্যে মধ্যে ওদের চোখে ফিরোজের কোন আচরণই অশোভন মনে হয়নি। ওদের সাথে যখনই ফিরোজের সাথে দেখা হয় হাসিমুখে কুশল বিনিময় হয়। অহেতুক গল্প ফিরোজও করেনা, ওরাও করেনা। কিন্তু এই ফিরোজই যে সময়-সুযোগ বুঝে অন্যরকম আচরণ করতে পারে তা পরিস্থিতিতে না পড়লে ওরা জীবনেও বিশ্বাস করত না।
পাঁচ
একদিন কি একটা প্রয়োজনে মিতু ওর ভাইয়ের বাসায় সাভারে গেল। দুই দিনের জন্য গিয়ে তাকে কয়েকদিন থাকতে হল। যাবার আগে মিনু আর সালমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গেল। সে ওদেরকে বলে গেল-আমি না থাকায় তোমাদের কোন সমস্যা হবেনা। ফিরোজ সকালে বের হয়ে যাবে আর রাতে ফিরবে। কোন অসুবিধা হলে তা অবশ্যই ফিরোজকে জানাবে। মিতু চলে গেল।
প্রথম দুইদিন নিরুপদ্রবেই কেটে গেল। ফিরোজ সকালবেলা বের হয়ে যায় আর রাতের বেলা বাসায় ফেরে। সে বাইরে থেকেই খেয়ে আসে। তাই রান্না ঘরে তার কোন কাজ থাকেনা। মিনু আর সালমা বেশ খুশী যে ফিরোজ এখন রান্নাঘর ব্যবহার করছেনা।
তৃতীয়দিন ফিরোজ একটু তাড়াতাড়ি সন্ধ্যার পরপরই বাসায় আসল। মিনু আর সালমা কিছুক্ষণ আগে বাসায় এসেছে। ওরা ফিরোজকে দেখে নিজেরা চা খাওয়ার সময় ওকেও চা দিল। ফিরোজ ড্রয়িংরুমে বসে পেপার পড়ার সময় চা খেল। কিছুক্ষণ টিভি দেখল। তারপর ওদের খোঁজখবর নিলো, কোন সমস্যা হচ্ছে কি না তা শুনল।
পরের দিনও ফিরোজ তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরল। আজ ফিরোজ ড্রয়িংরুমে না বসে ডাইনিং রুম এ বসল……ওদের দেয়া চা খেল…….অনেকক্ষণ ধরে পেপার পড়ল…….ফাঁকে ফাঁকে ওদের সাথে গল্প করছে। ওরা দুজনেই রান্নাঘরে যতক্ষণ থাকল সে ডাইনিং রুম থেকে নড়লই না। এই বিষয়টা মিনু বা সালমা কারোই পছন্দ হল না। কিন্তু ওদের এখানে কিছু করারও ছিল না।
ওরা ওদের খাবার নিয়ে নিজেদের রুমে গেল। ওরা সব সময়ই নিজেদের রুমেই খায়। অতএব রান্না করার সময়টুকু ছাড়া ফিরোজ ওদের সাথে আর কথা বলারও খুব একটা সুযোগ পায়না। ফিরোজ বাসায় ফেরার পথে তার রাতের খাবার নিয়ে আসে। ওরা রুমে ঢুকে গেলে ও সেই খাবার খায় এবং টেবিল পরিষ্কার করে রাখে।
ছয়
পরদিনও একই সময়ে ফিরোজ বাসায় ফিরল। এই কয়দিনে মনে হয় ফিরোজের সাহস বেশ অনেকটা বেড়ে গেছে। সে আজও ডাইনিং টেবিলে বসে ওদের সাথে গল্প জুড়ে দিল। যেই চেয়ারটা থেকে সরাসরি কিচেন দেখা যায় সে প্রতিদিন ঐ চেয়ারেই বসে।
কি একটা কাজে মিনু কয়েক মিনিটের জন্য রুমে গেল। মিনু রুমে ঢুকার সাথে সাথেই ফিরোজ সালমার দিকে তাকিয়ে গাল ফুলিয়ে ফুঁ দেয়া শুরু করল। দুজনের মাঝে দূরত্ব বেশ অনেকটা থাকা সত্ত্বেও সালমা বেশ অস্বস্তিতে পড়ে গেল! সে বুঝে উঠতে পারছেনা এই পরিস্থিতিতে সে কি করবে!!
ওর ভ্যাবাচেকা খাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে ফিরোজ এবার চেয়ার চেঞ্জ করে অন্য চেয়ারে বসল। যাতে ওকে কিচেন থেকে সালমা দেখতে না পায়।
মিনু রুম থেকে ফিরে আসার সময় সে হঠাৎ করে ফুঁ দেয়ার শব্দ শুনতে পেল। টেবিলের ঐ পাশে ফিরোজ বসে আছে। মিনু এই পাশ দিয়ে কিচেনে ঢুকছিল। এমন সময় এই শব্দ শুনে সে চমকে উঠে ফিরোজের দিকে তাকাল। সে অবাক হয়ে দেখে ফিরোজ গাল ফুলিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে ফুঁ দিয়ে মিটিমিটি হাসছে। মিনু তাড়াহুড়ো করে কিচেনে ঢুকে গেল।
হাতের কাজগুলো সেরে ওরা দুজন ওদের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। মিনু ও সালমা পরস্পরকে সব কথা খুলে বলে। এবার দুজনেই বেশ ভয় পেয়ে যায়। এই কয়দিন তো তবু একরকম কাটছিল। এখন কি হবে!? দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নেয় মিতু বাসায় না ফেরা পর্যন্ত ওরা দুজন একসাথেই বাসায় ফিরবে এবং বের হবে। এই কয়দিন যদিও এইভাবেই চলছিল। তবে সেটা কোন প্ল্যান ছাড়াই ছিল।
পরদিনও ফিরোজ ওদের সাথে এই একই রকম আচরণ করল। সন্ধ্যার পর ওরা রান্না ঘরে যাওয়ার জন্য আসছিল। সালমা আগেই রুম থেকে বের হল এবং মিনু এর এক কি দুই মিনিট পরে বের হয়। ফিরোজ আগে থেকেই টেবিলে বসে ছিল। সালমাকে দেখেই সে আগের দিনের মত দূর থেকে ফুঁ দেয়া শুরু করল। সালমা কিচেনে ঢুকে গেল।
এর পরপরই মিনুও আসল। ওর সাথেও একই ঘটনা সে ঘটাল। মজার ব্যাপার হল দুজনকে একসাথে দেখলে ফিরোজ কখনই ফুঁ দিত না। একা একা যাকেই দেখত তাকেই সে ফুঁ শুনিয়ে যেত।
এরপর আরও তিন চারদিন ওদেরকে এই ফুঁ এর অত্যাচার সহ্য করে যেতে হয়েছে। মিতু চলে আসার পর ফিরোজ আবার আগের মতই চলতে লাগল। এমন একটা ভাব করতে লাগলো যেন এই কয়দিন কিছুই হয়নি।
সাত
এদিকে মিনু আর সালমা এইসব কথা ওদের সেই কলিগ রুপা আপাকে জানাল। উনি বললেন-তোমাদের আর ঐ বাসায় থাকা ঠিক হবে না। তোমরা বাসা দেখতে থাক......আমিও দেখি। এখন ঐ লোকের সাহস আরও বেড়ে যাবে। এরপর সে হয়ত আরও অশ্লীল কোন আচরণ তোমাদের সাথে করতে পারে। তার আগেই তোমরা ঐ বাসা ছেড়ে দাও।
এর মধ্যে অফিসের নতুন নিয়োগ পাওয়া আরও দুইটি মেয়েও তাদের সাথে একসাথে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করল। এর মাস খানেক পরে রুপা আপার মধ্যস্থতায় ছোট দুই রুমের একটি বাসা পেয়ে গেল।
সালমা আর মিনু সুযোগ বুঝে মিতুকে বলল- আমরা ঠিক করেছি আমরা এখন থেকে আলাদা বাসায় থাকব। সাথে আমাদের আরও নতুন দুজন কলিগ থাকবে। ওদের থাকার কোন জায়গা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা চারজন একসাথে থাকব। আপনি টু-লেট দিয়ে দেন। আমরা পরের মাসেই বাসা ছেড়ে দেব।
মিতু এই কথা শুনে যদিও বেশ মন খারাপ করল তবুও বাস্তবতার জন্য ওদের চলে যাওয়াকে মেনে নিলো। মিতুকে মূল ঘটনার কিছুই না জানিয়ে ওরা এই বাসা থেকে নিরাপদেই বিদায় নিলো।
এবার ওরা চারজন মিলে নতুন বাসায় বসবাস করা শুরু করল...............।
[এই ঘটনাটি এখন থেকে প্রায় বিশ বছর আগের ঘটনা। আমি মিনুর(ছদ্মনাম) কাছে এই ঘটনাটি শুনেছি।]
বিষয়: বিবিধ
১৬৮৬ বার পঠিত, ৬০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটা নিশচিত শয়তানের পক্ষথেকে এবং শয়তান মানুষকে ঘায়েল করতে তার পদাঙ্গক অনুসরন করিয়ে থাকে। আউজুবিল্লাহ হিমিনাশ শাইতনির রাজীম
__________>
আমার মনেহচ্ছে আমাকেও শয়তান ভর কোরেছে কেমন যেন বেশি ফাজিল হয়ে গিয়েছি আপু আমাকে একটু বোকে দিবেন প্লিঝ
এবার আপনাকে বকা দিচ্ছি। ভাবছি: .... আপনার নামে ইভ টিজিং এর মামলা করব
এই ফু দিয়ে কি কাজ হয়!!!!
আর হা, আমার কথা ভাল নাও লাগতে পারে, মেয়েদের বাড়ি ছেড়ে এতো দূরে আসা সমীচীন নয়, আমাদের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা খুবি খারাপ, বোনদের দূরে পাঠিয়ে আমরা খুব উদ্বিগ্ন থাকে যদি ইজ্জত সম্ভ্রম কেও কেড়ে নেয়, হায় হায় করা ছাড়া কি করতে পারব! তবু বোনদের দূরে পাঠাই, পাঠাতে হয় কারণ তাদের আবদার যে উপেক্ষা ও করা যায়না।
তবে অভিভাবক কেও সাথে থাকলে আর আপত্তি থাকেনা।
ধন্যবাদ গল্পের উপস্থাপনা অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে। জাজাকাল্লাহু খাইর।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বিড়ম্বনার গল্প।
গতিশীল লেখনি।
ধন্যবাদ।
হাদীসে আছে, স্বামীর সামনে অন্য মেয়ের রূপের প্রশংসা পর্যন্ত না করতে।
আমিতো বলব, শুধু স্বামী নয়, ছেলে, ভাই বা অন্য কোন পুরুষকে এভাবে বেগানা নারীর সাথে একা রেখে যাওয়াটা মোটেও উচিৎ নয়।
ঐদিন পড়ার মুড ছিলোনা তাই না পড়েই চলে গেছিলাম।
চমৎকার লিখেছেন মাশাআল্লাহ। জাযাকিল্লাহু খাইরান।
এত দিন জানতাম সিগারেট খেলে মানুষ ফুঁ দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ে। এখানে দেখি মেয়ে মানুষ দেখে ফুঁ দিচ্ছে!!!!
বাপরে বাপ মেয়ে মানুষের বিবর্তনটা দেখেনঃ শফি হুজুরের তেতুল---তার পর হাসুদির ইঙ্গিনের বগী---- আর এখানে ফিরোজ মিয়ার সিগারেট!!!!
ধন্যবাদ আপু, আপনার গল্প ভাল লাগে কারণ ট্র্যাজেডি কম থাকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন