মুত্তাফাকুন আলাইহি -৩৩

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ১৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৯:০৯:২৩ সকাল

লোকদের পরস্পরের মধ্যে সমঝোতা স্থাপন



১১২) হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেন, প্রতিদিনই মানব দেহের প্রতিটি গ্রন্থির (গিরা) সাদাকা আদায় করা দরকার। (তা আদায় করার নিয়ম হলো) দুই ব্যক্তির মধ্যে ইনসাফের সাথে সমঝোতা স্থাপন করে দেয়া সাদকা হিসেবে গণ্য। কোন ব্যক্তির সওয়ারীতে অপর ব্যক্তিকে আরোহন করতে দেয়া কিংবা তার মালপত্র ঐ ব্যক্তির সওয়ারীর পিঠে রাখতে দেয়া সাদাকার অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও উত্তম কথাবার্তা বলা সাদাকা হিসেবে গণ্য। রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলাও সাদাকার অন্তর্ভুক্ত।

১১৩) হযরত উম্মে কুলসুম রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি,' কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে পরস্পর বিরোধী দু’ব্যক্তির মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপন করে দেয়, সে মিথ্যাবাদী নয়।'

(বুখারী ও মুসলিম)

মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় রয়েছেঃ উম্মে কুলসুম আরো বলেনঃ আমি মহানবীকে মাত্র তিনটি ক্ষেত্রে ‘মিথ্যা’ বলার অনুমতি দিতে শুনেছি। (১) দুই বিবদমান দলের মধ্যে ‘মিথ্যা’ বলার মাধ্যমে মৈত্রী স্থাপন করে দেয়া,

(২) যুদ্ধের ব্যাপারে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া (তথ্য গোপন করা)

(৩) স্বামী-স্ত্রীর একান্ত কথা-বার্তায় মিথ্যার আশ্রয় নেয়া।

১১৪) হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ একদা তাঁর ঘরের (দরজায়) বাইরে তর্কা-তর্কির শব্দ শুনতে পেলেন। সংশ্লিষ্ট লোকদের কণ্ঠস্বর একদম চরমে উঠেছিল। তাদের একজন ছিল ঋণগ্রহণকারী; সে ঋণের কিছু অংশ মওকুফ করার এবং তার প্রতি সদয় হওয়ার জন্য অনুনয় বিনয় করছিল। অন্যদিকে ঋণদাতা আল্লাহর নামে শপথ করে বলছিল, 'আমি তা করতে পারবো না।'

রাসূলে আকরাম ﷺ তাদের কাছে এসে বললেন, আল্লাহর নামে হলফকারী কে, যে কল্যাণের কথা বলতে রাজী নয়?'

লোকটি বললো, ‘আমি, হে আল্লাহর রাসূল’! ঋণ গ্রহীতা যেমন পছন্দ করবে, তেমনি করা হবে। (অর্থ্যাৎ সে যা বলবে, তা-ই আমি মেনে নেবো)।'

১১৫) হযরত আবু সাহল ইবনে সা’দ আস্-সাঈদী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ এর কাছে খবর পৌঁছল, ‘আওফ ইবনে আমর গোত্রের লোকদের মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া-বিবাদ চলছে। খবর শুনে রাসূলে আকরাম ﷺ কতিপয় সাহাবীকে নিয়ে তাদের বিরোধ নিস্পত্তির জন্য সেখানে গেলেন। সেখানে তাঁর অনেক বিলম্ব হয়ে গেল। এদিকে নামাযের সময়ও ঘনিয়ে এল। হযরত বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর কাছে এসে বললেন, 'হে আবু বকর! রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তো ফিরতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। এদিকে নামাযের সময়ও হয়ে গেল। আপনি কি লোকদের নামাযে ইমামতিটা করবেন?'

তিনি বললেন, 'হ্যাঁ, তা করতে পারি, যদি তুমি চাও!' বিলাল নামাযের জন্য ইকামত দিলেন এবং আবু বকর (ইমামতির জন্যে) সামনে এগিয়ে গেলেন। তিনি তাকবীরে তাহরিমা বলে হাত বাঁধলেন এবং পিছনের মুক্তাদীরাও তাঁর অনুসরণ করলেন। ঠিক এ সময় রাসূলে আকরাম ﷺ এসে পড়লেন। তিনি কাতার ভেদ করে একেবারে সামনের সারিতে গিয়ে দাঁড়ালেন।

মুক্তাদীরা তালি বাজিয়ে তাঁর আগমনের সংকেত দিতে লাগলেন। কিন্তু আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু -এর সেদিকে কোন খেয়াল ছিল না। কিন্তু তারা যখন অধিকতর জোরে তালি বাজাতে লাগলেন, তখন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু চোখ ফিরিয়ে রাসূলে আকরাম ﷺ কে দেখতে পেলেন। তিনি ইঙ্গিত করে তাঁকে (আবু বকরকে) নিজ স্থানে থাকতে বললেন। কিন্তু আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু নিজেই দু’হাত উঁচু করে আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং পায়ের গোড়ালী ঘুরিয়ে প্রথম কাতারে এসে দাঁড়ালেন।

এরপর রাসূলে আকরাম ﷺ সামনে গিয়ে লোকদের নামায পড়ালেন। নামায শেষে তিনি সাহাবীদের দিকে মুখ ঘুরিয়ে বললেন,‘হে লোকসকল! তোমাদের কি হলো! যখন নামাযের মধ্যে কোন কিছু ঘটে, তখন তোমরা (উরুতে হাত মেরে) তালি বাজাতে শুরু করো। কিন্তু উরুতে হাত মেরে তালি বাজানো তো মেয়েদের কাজ (এটা পুরুষদের জন্য উচিত নয়)। কাজেই যে ব্যক্তি নামাযের মধ্যে কিছু ঘটতে দেখবে সে যেন ‘সুবহানাল্লাহ’ (আল্লাহ অতি পবিত্র) শব্দটি উচ্চারন করে। কেননা কোন ব্যক্তি যখনই ‘সুবহানাল্লাহ’ বলে তা শোনামাত্র লোকেরা তার প্রতি মনযোগী হয়। হে আবু বকর! আমি ইঙ্গিত করা সত্ত্বেও কোন্ জিনিসটি তোমাকে লোকদের নামাযে ইমামতি করতে বাধা দিল?'

আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন,'খোদ রাসূলে আকরাম ﷺএর উপস্থিতিতে আবু কুহাফার পুত্র (আবু বকর) লোকদের নামাযে ইমামতি করার মোটেই যোগ্য নয়।'

(বুখারী ও মুসলিম)

.

[ রিয়াদুস সালেহীন থেকে সংগৃহিত। হাদিস নং যথাক্রমে-২৪৮,২৪৯,২৫০ ও ২৫১]



.

মুত্তাফাকুন আলাইহি -৩২

বিষয়: বিবিধ

১৫৩৯ বার পঠিত, ৬৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

285798
১৯ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫০
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : অজানাকে জেনে ভালো লাগলো। আল্লাহ আপনাকে বেশী বেশী লেখার তৌফিক দান করুক আমিন।
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩১
229359
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying Praying Praying
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩১
229360
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


‘লোকদের অধিকাংশ গোপন সলা-পরামর্শে কোন কল্যাণ থাকে না। তবে যদি কেউ গোপনে সাদ্কা ও দান –খয়রাতের উপদেশ দেয় অথবা কোন সৎকাজের জন্য বা জনগণের পারস্পরিক বিষয়ের সংশোধন ও সংস্কার সাধনের উদ্দেশ্যে কাউকে কিছু বলে, তাহলে অবশ্য এটি ভালো কথা। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যে কেউ এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তাকে আমি বিরাট পুরস্কার দান করবো।'
(সূরা আন নিসাঃ ১১৪)
285801
১৯ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫২
ইয়াফি লিখেছেন : আজকালকার সমাজে একি অবস্হা বিরাজ করছে! লোকজন বিবাদমান পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্হাপনের পরিবর্তে বিবাদকে উস্কে দিতে বেশী উত্সাহবোধ করছে! আত্মীয়স্বজনরাই ঘরে ঘরে বিবাদকে উস্কে দিচ্ছে! কারো শান্তি কারো কাছে কাম্য নয়! আল্লাহ আমাদের সবাইকে উপরোক্ত হাদীসসমূহের শিক্ষা আমল করার তওফিক দিন!
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩২
229362
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩২
229363
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'সেই আল্লাহকে ভয় করো যার দোহাই দিয়ে তোমরা পরস্পরের কাছ থেকে নিজেদের হক আদায় করে থাকো এবং আত্মীয়তা ও নিকট সম্পর্ক বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ তোমাদের ওপর কড়া নজর রেখেছেন।'
(সূরা আন নিসাঃ ১)
285805
১৯ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩২
229364
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৩
229365
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক শুধরে নাও এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করো, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো।'
(সূরা আন ফালঃ ১)

285814
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১২
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ আপু
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৩
229367
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৩
229368
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : 'মু’মিনরা তো পরস্পর ভাই ভাই। অতএব তোমাদের ভাইদের মধ্যকার সম্পর্ক ঠিক করে দাও। আল্লাহকে ভয় করো, আশা করা যায় তোমাদের প্রতি মেহেরবানী করা হবে।'
(সূরা আল-হুজরাতঃ ১০)
285818
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
ছালসাবিল লিখেছেন : আপু, জাজাকিল্লাহ।

(৩)স্বামী-স্ত্রীর একান্ত কথা-বার্তায় মিথ্যার আশ্রয় নেয়া।
Day Dreaming Day Dreaming Day Dreaming Day Dreaming
নতুন একটা বিষয় জানলাম Rose Rose
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৪
229369
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৪
229371
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


‘লোকদের অধিকাংশ গোপন সলা-পরামর্শে কোন কল্যাণ থাকে না। তবে যদি কেউ গোপনে সাদ্কা ও দান –খয়রাতের উপদেশ দেয় অথবা কোন সৎকাজের জন্য বা জনগণের পারস্পরিক বিষয়ের সংশোধন ও সংস্কার সাধনের উদ্দেশ্যে কাউকে কিছু বলে, তাহলে অবশ্য এটি ভালো কথা। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যে কেউ এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তাকে আমি বিরাট পুরস্কার দান করবো।'
(সূরা আন নিসাঃ ১১৪)
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৭
229374
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


(৩)স্বামী-স্ত্রীর একান্ত কথা-বার্তায় মিথ্যার আশ্রয় নেয়া। এই ব্যাপারে আমি যতটুকু বুঝেছি - এখানে স্বামী-স্ত্রীকে ঢালাও ভাবে মিথ্যা কথা বলার অনুমতি দেয়া হয়নি। বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে এ অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে আমি কিছুদিন পরে আরও বিস্তারিত জানানোর ইচ্ছা রাখি-ইনশাআল্লাহ।
২০ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:২৯
229499
ছালসাবিল লিখেছেন : আপু,লিখাটির অপেক্ষায় বসে রইলাম পথের পানে।
285830
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : দ...খ....লে । ভাইছা। হ্যারি ভাই কোথায় ......। (now i am at office )
১৯ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২০
229300
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও উত্তম কথাবার্তা বলা সাদাকা হিসেবে গণ্য। রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলাও সাদাকার অন্তর্ভুক্ত। আর কিছু পারি আর না পারি অন্তত এই ছোট্ট দুটি কাজ আমরা সব সময় করতে পারি। আল্লাহ্‌ আমাদের কে আমল করার তাওফিক দিন। আমীন । আপু ছোট্ট একটা প্রশ্নঃ ১১৩ নং এর ৩ নং পয়েন্ট “ স্বামী-স্ত্রীর একান্ত কথা-বার্তায় মিথ্যার আশ্রয় নেয়া।“ বাক্যটি একটু ব্যাখ্যা করবেন কি? জাযাকাল্লাহু খাইরান। Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৮
229377
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


(৩)স্বামী-স্ত্রীর একান্ত কথা-বার্তায় মিথ্যার আশ্রয় নেয়া। এই ব্যাপারে আমি যতটুকু বুঝেছি - এখানে স্বামী-স্ত্রীকে ঢালাও ভাবে মিথ্যা কথা বলার অনুমতি দেয়া হয়নি। বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে এ অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে আমি কিছুদিন পরে আরও বিস্তারিত জানানোর ইচ্ছা রাখি-ইনশাআল্লাহ।
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৮
229378
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৯
229380
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'সেই আল্লাহকে ভয় করো যার দোহাই দিয়ে তোমরা পরস্পরের কাছ থেকে নিজেদের হক আদায় করে থাকো এবং আত্মীয়তা ও নিকট সম্পর্ক বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ তোমাদের ওপর কড়া নজর রেখেছেন।'
(সূরা আন নিসাঃ ১)
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৫২
229402
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : আমি মনে করি এই ৩য় ক্ষেত্রে সত্য কথা বলাই ভাল। দুই জনের ক্ষেত্রেই । এতে সম্পর্কের মধ্যে একজনের প্রতি অন্যজনের সম্মান বৃদ্ধি পাবে, ফলে সম্পর্কটা আরও মধুর এবং বন্ধনটি অনেক পাওয়ারফুল হবে। আপনি কি বলেন? Good Luck Good Luck
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:১০
238626
আফরোজা হাসান লিখেছেন : স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে সরাসরি মিথ্যা বলার অনুমতি মনেহয় দেয়া হয়নি! হাদীসে এসেছে-" যে স্বামী দাম্পত্য জীবনের সুখের জন্য অতিরঞ্জিত ভাবে কথা তাকে আমি মিথ্যাবাদী বলে বিবেচনা করি না!"(আবু দাউদ) এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, স্ত্রীদের সাথে গল্পগুজব, হাসি-মজা বা তাদেরকে সন্তুষ্ট করার লক্ষ্যে স্বামী যদি বাড়িয়ে কথা বলে সেটা আল্লাহর কাছে দূষণীয় নয়! যেমন, স্বামী স্ত্রীকে খুশি করার লক্ষ্যে বলতেই পারেন, তোমার চেয়ে অপরূপা সুন্দরী পুরো দুনিয়াতে আর কেউ নেই! কিংবা কোন উপহার কিবে এসে তার মূল্যটা একটু বাড়িয়ে বলা! ইত্যাদি! (আমি এমনটা শুনেছি বিভিন্ন আলোচনাতে। এবং নিজেও বলি পারিবারিক ও দাম্পত্য কাউন্সিলিং করার সময়)
285858
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:১৩
ক্ষনিকের যাত্রী লিখেছেন : জাযাকিল্লাহু খাইরান। Good Luck Good Luck Good Luck
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৯
229382
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪০
229384
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক শুধরে নাও এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করো, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো।'
(সূরা আন ফালঃ ১)
285869
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪১
খালেদ সাইফুদ্দিন লিখেছেন : জাজাক আল্লাহ। পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪০
229385
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪১
229387
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'মু’মিনরা তো পরস্পর ভাই ভাই। অতএব তোমাদের ভাইদের মধ্যকার সম্পর্ক ঠিক করে দাও। আল্লাহকে ভয় করো, আশা করা যায় তোমাদের প্রতি মেহেরবানী করা হবে।'
(সূরা আল-হুজরাতঃ ১০)
285887
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪২
আফরা লিখেছেন : আপু মনে একটা প্রশ্ন জাগছে , তাই আপনাকে করেই ফেলী ,তিন জায়গায় মিথ্যা বলা জায়েজ তার মাঝে একটা
স্বামী-স্ত্রীর একান্ত কথা-বার্তায় মিথ্যার আশ্রয় নেয়া।


এর মানে তো এটাই স্ত্রী ও স্বামীকে খুশী রাখার জন্য মিথ্যা বলতে পারবে তাই না -----কিন্তু আমি অনেক মানুষের মুখে শুনেছি স্ত্রীকে খুশী রাখার জন্য স্বামীরা মিথ্যা বলতে পারে । এটা একটু পরিস্কার করে বলবেন কি আপু ?
১৯ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২১
229301
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : এই প্রশ্নটি আমার ও । একটু ব্যাখ্যা করুন আপু ,প্লীজ ।
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪২
229388
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : (৩)স্বামী-স্ত্রীর একান্ত কথা-বার্তায় মিথ্যার আশ্রয় নেয়া। এই ব্যাপারে আমি যতটুকু বুঝেছি - এখানে স্বামী-স্ত্রীকে ঢালাও ভাবে মিথ্যা কথা বলার অনুমতি দেয়া হয়নি। বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে এ অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে আমি কিছুদিন পরে আরও বিস্তারিত জানানোর ইচ্ছা রাখি-ইনশাআল্লাহ।
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪৩
229390
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


‘লোকদের অধিকাংশ গোপন সলা-পরামর্শে কোন কল্যাণ থাকে না। তবে যদি কেউ গোপনে সাদ্কা ও দান –খয়রাতের উপদেশ দেয় অথবা কোন সৎকাজের জন্য বা জনগণের পারস্পরিক বিষয়ের সংশোধন ও সংস্কার সাধনের উদ্দেশ্যে কাউকে কিছু বলে, তাহলে অবশ্য এটি ভালো কথা। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যে কেউ এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তাকে আমি বিরাট পুরস্কার দান করবো।'
(সূরা আন নিসাঃ ১১৪)
১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
238631
আফরোজা হাসান লিখেছেন : স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে সরাসরি মিথ্যা বলার অনুমতি মনেহয় দেয়া হয়নি! হাদীসে এসেছে-" যে স্বামী দাম্পত্য জীবনের সুখের জন্য অতিরঞ্জিত ভাবে কথা তাকে আমি মিথ্যাবাদী বলে বিবেচনা করি না!"(আবু দাউদ) এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, স্ত্রীদের সাথে গল্পগুজব, হাসি-মজা বা তাদেরকে সন্তুষ্ট করার লক্ষ্যে স্বামী যদি বাড়িয়ে কথা বলে সেটা আল্লাহর কাছে দূষণীয় নয়! যেমন, স্বামী স্ত্রীকে খুশি করার লক্ষ্যে বলতেই পারেন, তোমার চেয়ে অপরূপা সুন্দরী পুরো দুনিয়াতে আর কেউ নেই! কিংবা কোন উপহার কিনে এনে তার মূল্যটা একটু বাড়িয়ে বলা! ইত্যাদি! (আমি এমনটা শুনেছি বিভিন্ন আলোচনাতে। এবং নিজেও পরামর্শ দেই পারিবারিক ও দাম্পত্য কাউন্সিলিং করার সময়)
১০
285889
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪৩
229391
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : Praying Praying Praying
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪৪
229392
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'সেই আল্লাহকে ভয় করো যার দোহাই দিয়ে তোমরা পরস্পরের কাছ থেকে নিজেদের হক আদায় করে থাকো এবং আত্মীয়তা ও নিকট সম্পর্ক বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ তোমাদের ওপর কড়া নজর রেখেছেন।'
(সূরা আন নিসাঃ ১)
১১
285906
১৯ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৫
নিরবে লিখেছেন : খুব গুরুত্বপুর্ন কথা। ধন্যবাদ
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪৪
229393
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : Praying Praying Praying
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪৪
229394
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক শুধরে নাও এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করো, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো।'
(সূরা আন ফালঃ ১)
১২
285955
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:২৭
শেখের পোলা লিখেছেন : নিয়মিত হওয়ার অনুরোধ রইল৷ ধন্যবাদ৷
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪৫
229395
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ইনশাআল্লাহPraying
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪৫
229396
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'মু’মিনরা তো পরস্পর ভাই ভাই। অতএব তোমাদের ভাইদের মধ্যকার সম্পর্ক ঠিক করে দাও। আল্লাহকে ভয় করো, আশা করা যায় তোমাদের প্রতি মেহেরবানী করা হবে।'
(সূরা আল-হুজরাতঃ ১০)
১৩
285957
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
ফেরারী মন লিখেছেন : Rose Rose Rose Praying Praying Praying
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪৫
229397
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : Praying Praying Praying
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪৬
229398
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


‘লোকদের অধিকাংশ গোপন সলা-পরামর্শে কোন কল্যাণ থাকে না। তবে যদি কেউ গোপনে সাদ্কা ও দান –খয়রাতের উপদেশ দেয় অথবা কোন সৎকাজের জন্য বা জনগণের পারস্পরিক বিষয়ের সংশোধন ও সংস্কার সাধনের উদ্দেশ্যে কাউকে কিছু বলে, তাহলে অবশ্য এটি ভালো কথা। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যে কেউ এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তাকে আমি বিরাট পুরস্কার দান করবো।'
(সূরা আন নিসাঃ ১১৪)
১৪
286007
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫১
তার কাটা লিখেছেন : Rose جزاك الله خيرا
২৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৫
230590
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
২৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৭
230591
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : 'সেই আল্লাহকে ভয় করো যার দোহাই দিয়ে তোমরা পরস্পরের কাছ থেকে নিজেদের হক আদায় করে থাকো এবং আত্মীয়তা ও নিকট সম্পর্ক বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ তোমাদের ওপর কড়া নজর রেখেছেন।'
(সূরা আন নিসাঃ ১)
১৫
286066
২০ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:৩২
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.. অ-ন্নে-ক সুন্দর হাদীসগুলো। Good Luck Good Luck যাজাকিল্লাহু খাইর। Rose Rose
২৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩১
230596
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
২৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩২
230597
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক শুধরে নাও এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করো, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো।'
(সূরা আন ফালঃ ১)
১৬
286425
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৪
মুসা বিন মোস্তফা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপু Rose Rose Rose Rose
২৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩২
230598
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদHappy
২৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
230599
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


'মু’মিনরা তো পরস্পর ভাই ভাই। অতএব তোমাদের ভাইদের মধ্যকার সম্পর্ক ঠিক করে দাও। আল্লাহকে ভয় করো, আশা করা যায় তোমাদের প্রতি মেহেরবানী করা হবে।'
(সূরা আল-হুজরাতঃ ১০)
১৭
288003
২৫ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪১
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : جزاك الله خيرا
৩০ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৮
233654
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
৩০ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৮
233655
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


‘লোকদের অধিকাংশ গোপন সলা-পরামর্শে কোন কল্যাণ থাকে না। তবে যদি কেউ গোপনে সাদ্কা ও দান –খয়রাতের উপদেশ দেয় অথবা কোন সৎকাজের জন্য বা জনগণের পারস্পরিক বিষয়ের সংশোধন ও সংস্কার সাধনের উদ্দেশ্যে কাউকে কিছু বলে, তাহলে অবশ্য এটি ভালো কথা। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যে কেউ এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তাকে আমি বিরাট পুরস্কার দান করবো।'
(সূরা আন নিসাঃ ১১৪)
১৮
291679
০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:২৫
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপু বেশ ভাল লাগল পড়ে।
একটা কথা বলব, উত্তর জানা খুব প্রয়োজন। একটা হাদীসে উল্লেখ করেছেন, তিন জায়গায় মিথ্যা বলার অনুমতি আছে, তার মধ্যে একটা হল 'বিশেষ প্রয়োজনে বউয়ের কাছে মিথ্যা বলা'। আমার প্রশ্ন, কেও যদি বিবাহের পূর্বে কোন নারীর সাথে দু একবার অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, অবশ্য বিয়ের আগেই নিজেকে শোধরে নেয়, তাহলে এই কথাটি বউয়ের কাছে গোপন রাখা যাবে? প্রকাশ করে দিলে বউ সহজভাবে নিতে পারে আবার বিয়ে ভেঙ্গেও যেতে পারে। তাহলে কি স্বামী তখন কি করবে?
০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:২৭
235575
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমি বিষয়টা যতটুকু বুঝেছি, বিয়ের আগে কেউ যদি অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে পুরুষ কিংবা নারী যে ই হোক না কেন, এবং যদি নিজেকে শুধরে নেয় অর্থাৎ আল্লাহর কাছে তাওবা করবে এবং ঐ কাজে আর জড়িত হবেনা এইরূপ মনোভাব পোষন করবে এবং দৃঢ় হবে। তখনতো আল্লাহ নিজেই তাকে ক্ষমা করে দেবেন। সে এই ব্যাপারে পরে নিজের পানি নিজেই ঘোলা করবে কেন? তা ঠিক বুঝাম না!

তার মানে কিন্তু এই নয় যে একজন মানুষ যা ইচ্ছা তা-ই করবে। বয়সের দোষে, শয়তানের ফাঁদে পড়ে কেউ হঠাৎ এরকম কিছু করলে তার ক্ষমা আল্লাহ অবশ্যই করবেন। কিন্তু অনবরত করে গেলে এবং তাওবা না করলে তাকে এই অপরাধের জন্য পাকড়াও করা হবে।
০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:২৭
235576
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : 'সেই আল্লাহকে ভয় করো যার দোহাই দিয়ে তোমরা পরস্পরের কাছ থেকে নিজেদের হক আদায় করে থাকো এবং আত্মীয়তা ও নিকট সম্পর্ক বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ তোমাদের ওপর কড়া নজর রেখেছেন।'
(সূরা আন নিসাঃ ১)
০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৭
235703
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার জবাবে আমি সন্তুষ্ট। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File