কল্পলোকের গল্প নয়-১৯
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ১৪ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:০৯:৩৬ বিকাল
নামটি ছিল তার সুন্দরী
তাকে আমি কখনো দেখিনি। তার জীবনের সেই ভয়ঙ্কর পরিণতির পর তার গল্প শুনেছি। এই গল্পটা এমন একটা গল্প যা শোনার পর মনটা স্বাভাবিকভাবেই দুঃখে ভারাক্রান্ত হয়ে যায়। অনেকক্ষণ মনে এক বিষাদের সুর বাজতে থাকে। অথচ ওর জীবনটা তো এরকম হওয়ার কথা ছিলনা। আর দশটা বাঙালী মেয়ের মতই ওর মনে হয়ত কত স্বপ্ন ছিল, সাধ ছিল..... ছিল বুক ভরা আশা। সব কিছু কেন এমনভাবে ধুলায় মিশে গেল? কেন ঝরে গেল মেয়েটির জীবন?
মেয়েটির নাম সুন্দরী। জন্মের সময় মনে হয় দেখতে বেশ সুন্দর ছিল, তাই হয়তবা বাবা-মা শখ করে নাম রেখেছিল সুন্দরী। গ্রামের মেয়ে। অল্প কিছুদিন সে স্কুলে গিয়েছিল। দরিদ্র পিতামাতার ঘরে বেশি পড়াশোনা করার কথাও নয়। যেখানে ছয়টি ছেলেমেয়েসহ সংসারের অন্যদের ভাত কাপড়ের যোগান দিতেই হত দরিদ্র পিতাকে হিমশিম খেতে হয় সেখানে ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠানো তো তাদের পরিবারের জন্য অলিক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই না।
দিন যেতে থাকে......। দিনে দিনে সুন্দরী বড় হয়। পরিবারের বড় মেয়ে। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সুন্দরী সবার বড়। তাই বাবা মায়ের ইচ্ছে ভালো ঘর বর পেলে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেবে। বয়স সবেমাত্র চৌদ্দতে পড়েছে। এই সময় বেশ দুরের একটা গ্রাম থেকে সুন্দরীর বিয়ের প্রস্তাব আসে। পাত্রের অবস্থা মোটামুটি। সুন্দরীর বাবার পরিবারের চাইতে এদের অবস্থা অনেক ভালো। মেয়েটি খেয়ে পরে দিন কাটাতে পারবে। বাবা-মা অনেক ভেবেচিন্তে এখানেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিল।
সুন্দরীর স্বামীর নাম রফিকুল মিয়া। শ্বশুর বাড়ি এসে সুন্দরী দেখল তার ভাশুর শফিকুল মিয়া আলাদা সংসারে থাকে। স্বামী ও শাশুড়ি রহিমা খাতুনকে নিয়ে সুন্দরীর সংসার। অর্থাৎ তার বিয়ে হওয়ার আগে থেকেই এরা দুই ভাই পৃথক। শফিকুল মিয়ার সংসারে তারা স্বামী-স্ত্রী ও তাদের তিন সন্তান। আর এই সংসারে রফিকুল ও মা। এখন সুন্দরিও এই সংসারের একজন।
শফিকুলের অবস্থা বেশ ভালো। বাজারে শফিকুলের নিজস্ব দোকান আছে। নিজস্ব জমি আছে। পৈত্রিক সম্পত্তি তার ভাগে যতটুকু পেয়েছিল তার পুরোটাই এখনো তার আছে। এছাড়াও আরও কিছু সে কিনে নিয়েছে। এ থেকে যা ফসল আসে তাতে তার বছরের খোরাক প্রায় হয়ে যায়। সামান্যই কিনে নিতে হয়। দোকানের আয়ও মোটামুটি। সুতরাং তার অর্থনৈতিক কোন সমস্যা নেই বললেই চলে।
রফিকুল টুকিটাকি ব্যবসা করে। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে তাদের ছোট সংসার বেশ চলে যায়। এছাড়া জমির ফসলতো রয়েছেই। তবে ওর ভাগে যতটুকু জমি পেয়েছিল তার সবটা এখন আর নেই। কিছু অংশ বিক্রি করে একবার ব্যবসা করার চেষ্টা করেছিল।কিন্তু ব্যবসা লাভজনক না হওয়ায় টাকাটা পুরোই হাতছাড়া হয়ে যায়। এটা সুন্দরীর বিয়ের আগের কথা।
এরপর থেকে রফিকুল আর বড় ধরণের কোন ব্যবসাতে বিনিয়োগ করেনা। সংসারে মানুষ কম। তাই এতেই তার দিন ভালোভাবেই চলে। বিয়ের দুবছর না গড়াতেই সংসারে নতুন মুখের আগমন হল। সংসারে খরচ বাড়ল। আরও দুইবছর না যেতেই আরেকজন।
দুই বাচ্চা, বউ ও মাকে নিয়ে সুখে দুখে রফিকুলের দিন কাটে। মনে বড় আশা জাগে যদি বড়ভাইয়ের মত একটা দোকান তারও থাকত তবে বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাকে আর ভাবতে হতনা। দোকানের আশায় আরও কিছু জমি হাতছাড়া হয়ে গেল।
এরপর আবার ঋণ করল দোকান দেয়ার জন্য। কিন্তু তার দোকান লাভের মুখ দেখে না। এবার ঋণ শোধ করার জন্য সুদে টাকা নিলো। সুদ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে আবারও কিছুটা জমি বিক্রি করে সুদের হাত থেকে রেহাই পেল। কেন জানি রফিকুল কোন কিছুতেই উন্নতি করতে পারছেনা। জমি আর সামান্যই আছে।
এবার কেউ কেউ পরামর্শ দিল-বিদেশ চলে যা। কয়েক বছর থাকলেই দেখবি সব কিছুর সমাধান হয়ে যাবে।
সে সবার সাথে পরামর্শ করে বিদেশে যাওয়ার জন্য মনস্থির করল। তার ইচ্ছে সে মালয়েশিয়া যাবে। ওখানে এলাকার অনেকেই আছে। খরচও কম। কয়েক বছর থাকার পর সে আবার জমি কিনবে, পাকা ঘর করবে এবং ব্যবসা করার মত বেশ কিছু টাকা জমলে সে আবার চলে আসবে। তাই বাকি জমিটুকু বিক্রি করে দিল। কিন্তু এই টাকায় তার স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়ায় যাওয়া হবে না। সুতরাং আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে বাকী টাকা ঋণ করে সে মালয়েশিয়া চলে গেল। যাওয়ার সময় মাকে বলে গেল-মা তুমি সুন্দরী আর আমার বাচ্চাদের দেখে রাখবে। বড়ভাই শফিকুল ও ভাবি নাজমাকেও অনুরূপ কথা বলে গেল।
রফিকুল ভালো কাজ পেয়েছে। বেতন মোটামুটি। দিন যায়.....মাস যায়। সে নিয়মিত সুন্দরীর কাছে টাকা পাঠায়। সুন্দরী বেশ হিসেব করে টাকা খরচ করে। কারণ তাদের দুজনের ইচ্ছেটা যে একই। একটা ঘর, বাচ্চা দুটোর ভবিষ্যৎ আর কিছু জমানো টাকা যা দিয়ে ব্যবসা করে তারা ভবিষ্যতে সুখে থাকবে.........অভাব থাকবে না। মানুষটা কতদিন বিদেশের মাটিতে পড়ে থাকবে? এইসব ভেবে সুন্দরীও অপচয় করে না।
কিন্তু এই সুখ তার ভাগ্যে বেশিদিন রইল না। হঠাৎ করেই যেন এক কালবৈশাখীর ঝড় সুন্দরীর জীবনটাকে ওলটপালট করে দিল।
রফিকুল মালয়েশিয়া যাওয়ার কয়েক মাস পরের ঘটনা। রহিমা খাতুন তার বোনের অসুখের খবর পেয়ে বোনকে দেখতে গেলেন। যাওয়ার সময় বড় ছেলে ও বড় বউকে বারবার বলে গেলেন এদের দিকে খেয়াল রাখতে। তাকে কিছুদিন ওখানে থাকতে হবে।
সুন্দরীকেও বলে গেলেন-বউ তুই সাবধানে থাকিস। দিনকাল খারাপ! আমি আসা পর্যন্ত এই কয়টা দিন একটু সতর্কভাবে চলবি।
শাশুড়ি যাওয়ার পর কয়েকদিন ভালোই কাটল। রাতের বেলা একটু ভয় লাগত। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ভয় কেটে যায়। ভাশুর এবং জা নিয়মিত খোজ খবর নেয়।
একরাতের কথা। বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়েছে।রাত খুব একটা গভীর হয়নি।সুন্দরী তার ভাশুর শফিকুলের ঘরের দিকে তাকিয়ে দেখল যে ওদের ঘরের সব বাতিও নেভানো। অর্থাৎ ওরাও ঘুমিয়ে গেছে। সুন্দরীও তার সব কাজ সেরে শুয়ে পড়ল।
কিছুক্ষণের মধ্যে তার ঘুম এসে যায়। রাতের বেলা চারিদিকে শুনশান নীরবতা। সুন্দরী ঘুমিয়েছে বেশিক্ষণ হয়নি। সে ঘুমের ঘোরে শুনতে পেল তার জানালায় কে যেন আস্তে আস্তে টোকা দিচ্ছে। চট করে তার ঘুম কেটে গেল। কোন শব্দ না করে সে কান পেতে শোনার চেষ্টা করল সে কি ঠিক শুনেছে না ভুল শুনেছে?
এবার আবারও টোকা দেয়ার শব্দ। এখন একটু জোরে। সুন্দরী লাফ দিয়ে উঠে বসল। কে হতে পারে? সে এখন কি করবে? সে কি চিৎকার দিয়ে ভাইজান বা ভাবীকে ডাকবে? নাকি চুপচাপ বসে থাকবে? আবারও শব্দ হচ্ছে জানালায়।
সে এবার সাহস করে জানতে চাইল-কে? কে ওখানে?
সে শফিকুলের গলা শুনতে পেল! -আমি; দরজাটা খোল সুন্দরী খুব দরকার।
সুন্দরীর বড় জা নাজমার প্রায়ই প্রচণ্ড মাথাব্যথা হয়। রাতবিরেতে ব্যথা হলে যদি ঘরে ঔষধ না থাকে তখন শফিকুল এই ঘরে এসে মায়ের কাছ থেকে মাথাব্যথার ঔষধ নিয়ে যায়। এত রাতে ভাশুরের গলা শুনে সুন্দরীর মনে প্রথমে এই আশঙ্কাই আসল। সে তাড়াতাড়ি দরজা খুলে দিল।
-কি ব্যাপার ভাইজান?
শফিকুল তার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিল।
সুন্দরীর কোন কাকুতি মিনতিই শফিকুলকে তার পাশবিকতা থেকে ফেরাতে পারেনি। লজ্জা,ভয়, অপমান, ক্ষোভ সব কিছু মিলিয়ে সে যেন বোবা পাথর হয়ে গিয়েছিল।
কয়েকদিন হয়ে গেছে কাউকে সে তার এই চরম সর্বনাশের কথা জানাতে পারছেনা। কার কাছে সে মুখ ফুটে এসব বলবে? বড় জাকে? না তা সম্ভব নয়! এই মানুষটিকে সে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করে....ভালোবাসে। এই ভালোমানুষটি তার স্বামীর আসল রূপ জেনে গেলে কতটুকু কষ্ট পাবে একজন নারী হয়ে সে তা বোঝে। আর বোঝে বলেই সে ভাবীকে জীবনেও এই কথা বলতে পারবেনা! তার চাইতে নিজের অপমান নিজের মধ্যেই চাপা দিয়ে সে দিন কাটায়।
ইতিমধ্যে রহিমা খাতুন চলে এসেছে। তার বোনের অবস্থার উন্নতি হওয়াতে তিনি তাড়াতাড়িই চলে এলেন। তবে শাশুড়ি আসার আগে এই কয়দিন সুন্দরী বেশ সতর্ক ছিল।ফলে ঐ বদমাশটি আর কোন সুযোগ নিতে পারেনি। তার ইচ্ছে ছিল শাশুড়ি এলে তার কাছে সব কিছু খুলে বলবে। কিন্তু কি এক অজানা বাধা বা লজ্জায় সে মুখ খুলতে পারেনি।
কিছুদিন পরে সুন্দরী আবিষ্কার করল শফিকুলের পৈশাচিকতা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। সে শারীরিক কিছু পরিবর্তন টের পাচ্ছে!! এতদিন সে এই ঘটনা কারোও কাছে প্রকাশ করেনি। কিন্তু এখন?
এখনও সে শাশুড়িকে কিছু বলেনা। নতুন এক আতঙ্কে তার দিন রাত কাটে। তার চিন্তাক্লিষ্ট মুখের দিকে তাকিয়ে রহিমা খাতুন দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। তাকে সান্ত্বনা দেন। তার ধারণা চিন্তায় চিন্তায় সুন্দরীর চোখ এত বসে গেছে!!! মুখ শুকিয়ে গেছে!!!
সুন্দরী নীরবে কাঁদে। দিন মাস কেটে যায়। একসময় রহিমা খাতুন ও নাজমার অভিজ্ঞ চোখে সুন্দরীর এই পরিবর্তন ধরা পড়ে। তারা স্তম্ভিত হয়ে যায়! এ কি করে সম্ভব? কিভাবে সুন্দরীর মত ঠাণ্ডা স্বভাবের মেয়ে এই ঘটনা ঘটাল?
দুজনে মিলে পরামর্শ করে ঠিক করল তারা সরাসরি সুন্দরীর কাছে জানতে চাইবে কিভাবে সে এই কাজ করল? একদিন সুযোগ বুঝে তারা দুজন সুন্দরীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইল। সুন্দরী তখন উপায়ন্তর না দেখে পুরো ঘটনা তাদের কাছে খুলে বলে। ঘটনা শুনে দুজনেই বজ্রাহতের মত বসে রইল।
নাজমা জিজ্ঞাসা করল-তুই সাথে সাথে আমাকে জানালি না কেন?
-আপনি কষ্ট পাবেন দেখে আমি আমি আপনাকে জানাই নি। স্বামীর চরিত্র এমন জানলে কারো কাছে কি ভালো লাগে? এই ঘটনার পর থেকে আমি নিজে সাবধানে থেকেছি তবুও আপনাকে কিছু বলিনি। কিন্তু এখন আমি কি করব?
এরপরের ঘটনা অতি সংক্ষিপ্ত। পরিবারের মানসম্মান বাঁচানোর জন্য নাজমা ও রহিমা খাতুন গ্রাম্য কবিরাজের শরণাপন্ন হয়। কবিরাজ কি একটা ঔষধ দেয় গর্ভস্থ শিশুটিকে হত্যা করার জন্য। ভুল চিকিৎসায় শিশুটির সাথে সাথে সুন্দরীর জীবনেরও ইতি ঘটে।
তারপর? পুলিশ এসেছিল। কিন্তু উপযুক্ত সম্মানী নিয়ে সম্মানের সাথেই তারা বিদায় নিয়েছে!! শফিকুল ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যায়।
সুন্দরীর অতি দরিদ্র পিতা কোন কিছুই করতে পারেনি। তার সেই সাধ্য নেই। নীরবে অশ্রু বিসর্জন করা ছাড়া তার আর কীইবা করার আছে!!?
পিশাচ শফিকুলের বিকৃত লালসার কারণে আজ বাচ্চা দুটি মাতৃহীন।
এই সমাজে শফিকুলদের বিচার হয়না বলেই সুন্দরীদের জীবন তছনছ হয়ে যায়। যদি সঠিক বিচার হত তবে এসব অনাচার কমে যেত।
[এই ঘটনাটি আমি বছর চারেক আগে শুনেছিলাম। বর্তমানে এই পরিবারের অবস্থা কি তা আমি জানিনা। তাই ঘটনাটি কিছুটা অসম্পূর্ণই রয়ে গেল।]
বিষয়: বিবিধ
৪১৬৬ বার পঠিত, ১৫৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এইসব পিশাচদের হাত থেকে সুন্দরীদের বাঁচাতে নৈতিকতার আমূল পরিবর্তন দরকার। কিন্তু সেটা একদিনে আসবে না। এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। তবে সে জন্য সামাজিক কাঠামোকে দৃঢ় ভিত্তির উপর রাখতে হবে। মোটকথা একটি অনুসঙ্গ অন্যটির সাথে লিংকড, তাই বেশ সময় লাগবে এই পরিবর্তন আসতে।
অনেক ভালো লাগা রেখে গেলাম আপনার সুন্দর লিখাটিতে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
দারিদ্র্যের নিধারুন কষাঘাত, ও সরলাতার জন্য, আজ ও আমার দেশের হাজার হাজার সুন্দরীরা শফিকুলদের পাশবিকতার নির্মম শিকারে পরিণত হচ্ছে।ঘুষ , সুদ এবং নারী নির্যাতন , এই সামাজিক ক্যান্সার গুলো দূর করতে হলে , ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মাঝে মানবিক মূল্যবোধ, মানবতা জাগিয়ে তুলতে হবে। এবং সুন্দরীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সমাজ কে বুঝাতে হবে “ ধর্ষণের বা ব্যাভিচারের ফলে শুধু নারীর ইজ্জত যায় না বরং পুরুষের ইজ্জত ও যায়”। ধন্যবাদ ফাতিমা মারিয়াম আপু ।
চমৎকার একটি কথা বলেছেন লজিক্যাল ভাইছা ভাইয়া। >-
একথাটি নিয়ে অনেকের সাথে আমার বাড়াবাড়িও হয়েছে। উনারা মানতে চায়না, শুধু বলে, সমাজ পুরুষকে নয় নারীকেই দোষারোপ করবে।
লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম , ৫৪৮ বার পঠিত | ৯৭ টি মন্তব্য
২) শততম পোষ্টে সকলকে শত গোলাপের শুভেচ্ছা
লিখেছেন সন্ধাতারা , ৫৬৯ বার পঠিত | ১০৫ টি মন্তব্য
আমার কাছে মনে হচ্ছে ব্রাজিল- আর্জেন্টিনা ম্যাচ চলছে । আমার এত ফীলিংস ক্যা রে !!
সেই পোস্ট দিয়ে কিছুটা ক্লান্ততো হয়েছি। অনেক সময় লাগে ছবি আপলোড করতে। কিন্তু পোস্ট আগেই পড়েছি। আমি আপনার মতো অলস নাহ্। @হারিকেন ভাইয়া
জি নাহ্। পড়েই বুকিং দিয়ে চিংড়ী ফ্রাই করতে গেছি। @ লজিকাল ভাইছা
@লজিক্যাল ভাইয়া - বুঝেছি, মজার কারন, দাড়ান, কয়টা দিন ওয়েট করেন
পড়া শেষ হতে আর কত দেরি?
পাঞ্জেরী???????
প্রবাসিরা এই দেশের জন্য কত কষ্ট করে আয় করেন আর এই ভাবে বঞ্চিত হন।
কাকে বিশ্বাস করবে!!! স্বামীর বড় ভাই! দেবরতো নয়!
সবি পর্নোগ্রাফী আর বাজারের সস্তা চটি সাহিত্যের কল্যাণে হচ্ছে। মায়ে ছেলে, দেবর ভাবী, বাবা মেয়ে, শ্বশুর পুত্রবধু, ভাসুর ছোট ভাইয়ের বউইয়ের যৌন লীলা সব আজ হালাল হয়ে যাচ্ছে চটির কল্যাণে!
বিকৃত রুচির এমন বিস্তার কোথায় গিয়ে যে শেষ হবে আল্লাহ পাক ভাল জানেন।
আপু লিখাটি অত্যোন্ত চমতকার হয়েছে, বাস্তব ঘটনাকে ফুটিইয়ে তুলেছেন সুন্দর সাবলীল ভাষার মাধুর্য দিয়ে।
বিশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সহমত নাছির আলী ভাইয়ের সাথে!!!
পড়া শেষ হতে আর কত দেরি?
পাঞ্জেরী???????
এরকম কাহিনী শত শত পেপার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। আজানা রয়ে যায় হয়তো হাজার হাজার। আল্লাহ ভাল জানেন।
রফিকুল কি বিষটি জানে??
শফিকুলদের বিচার আল্লাহ অবশ্যই করবেন ইনশাআল্লাহ।
স্টিকি পোষ্টে অভিনন্দন আপু
Congratulations sister, For such a great six
সর্বশেষ নিউজঃ
১) নামটি ছিল তার সুন্দরী
লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম , ৫৪৮ বার পঠিত | ৯৭ টি মন্তব্য
২) শততম পোষ্টে সকলকে শত গোলাপের শুভেচ্ছা
লিখেছেন সন্ধাতারা , ৫৬৯ বার পঠিত | ১০৫ টি মন্তব্য
আমার কাছে মনে হচ্ছে ব্রাজিল- আর্জেন্টিনা ম্যাচ চলছে । আমার এত ফীলিংস ক্যা রে !!
আমার হাতব্যথা শুরু হওয়ার আগেই ইহা প্রয়োগ করিলাম
@ফাতিমাপু - আপনিও কি স্লেইভ ভাইয়ার মতো খাদক? এত্তগুলো ফল সব নিয়ে যেতে চাচ্ছেন কেনু?
আপু নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিবে, সব একসাথে খাবে নাকি? @হারিকেন ভাইয়া
একজনকে দিয়ে আবার অন্য জনকে নেয়ার জন্য সাহায্য করাটা কিন্তু ঠিক নয় ফাতিমাপুও কি তাহলে ....... যাকক বল্লাম না! ফ্রীজে রাখবে, তবুও আমাকে দেবে না?
কর্তৃক ভাবি এখন ভাসুর । সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল চেতনায় । অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
সর্বশেষ নিউজঃ
১) নামটি ছিল তার সুন্দরী
লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম , ৫৪৮ বার পঠিত | ৯৭ টি মন্তব্য
২) শততম পোষ্টে সকলকে শত গোলাপের শুভেচ্ছা
লিখেছেন সন্ধাতারা , ৫৬৯ বার পঠিত | ১০৫ টি মন্তব্য
আমার কাছে মনে হচ্ছে ব্রাজিল- আর্জেন্টিনা ম্যাচ চলছে । আমার এত ফীলিংস ক্যা রে !!
আশা করছি সমাজ সংশোধনে আপনার লিখা যথেষ্ঠ ভুমিকা রাখবে।
আপনার প্রতিটা গল্পে আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্রগুলো সাহসের সাথে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে। স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন
আর হ্যাঁ, কুকুরতো থাকবেই....তাই মুগুরও কাছে রাখতে হবে। ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন