কল্পলোকের গল্প নয়-১৮

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ১২ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:৫২:৪৬ দুপুর

ভুল করা কন্যার লাগি মন আনচান করে……

একটি ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করছি। ঘটনার নায়িকা(!) আমার পরিচিত...প্রতিবেশিনী...... এক সিনিয়র আপু। মানুষের জীবনে সর্বনাশা প্রেম এবং তার পরিণতি যে কতটা মারাত্মক প্রভাব আনতে পারে এই ঘটনা না দেখলে হয়ত বিশ্বাসই করতাম না।

আপুটার নাম সামিনা(ছদ্মনাম)। বাবা দেশের বাইরে থাকতেন। দুই বা তিন বছর পরপর দেশে আসতেন। ফলে ওর আম্মাই সংসারের সবকিছু দেখাশুনা করতেন। সামিনার আরও তিনটি ভাইবোন আছে। সবাই পিঠাপিঠি। ওরা সব ভাইবোনই বেশ সুন্দর। তবে সামিনা সবার চাইতে বেশিই সুন্দর......... বেশ রূপবতী।

সামিনা এবং তার ছোট ভাইবোনদেরকে পড়ানোর জন্য উনার আম্মা একজন শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করলেন। একসময় উনি উনার পছন্দমত একজনকে পেয়েও গেলেন।

ছেলেটির নাম সবুজ। জগন্নাথ কলেজে অনার্স পড়ে। ওর পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ততটা ভাল না। ফলে ঢাকায় থাকা, খাওয়া এবং পড়াশুনার খরচ তাকেই চালাতে হয়। তাই সে কয়েকটি টিউশনি করে।

সামিনা তখন ক্লাস নাইনে পড়ত। সামিনা এবং তার ভাইবোনদেরকে সবুজ পড়ানো শুরু করল। সবুজ বেশ ভাল পড়ায়। সামিনাদের সব ভাইবোনকে সে বেশ যত্ন করেই পড়াত। ফলে সবাই বেশ খুশি।

দিন যেতে থাকে...... সবুজ ও সামিনা উভয়ে উভয়ের প্রতি এক ধরণের আকর্ষণ অনুভব করে। আকর্ষণ থেকে দুর্বলতা, আর দুর্বলতা থেকে প্রেম। মা ও ভাইবোনদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সামিনা সবুজের সাথে প্রায় দুই বছর প্রেম চালিয়ে যায়।

ইতিমধ্যে সামিনা এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়েছে।

এক পর্যায়ে সামিনা ও সবুজ সামিনার মায়ের কাছে ধরা পড়ে যায়। সামিনার মা সবুজকে উনার বাসায় আসতে নিষেধ করে দেন।

সামিনার জন্য এখন আর বাসায় শিক্ষকের প্রয়োজন নেই। তাই ছোটদের জন্য নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেন। সবুজ সামিনাদের বাসায় আর আসেনা। কিন্তু ওদের যোগাযোগ বন্ধ হয় না। বান্ধবীদের মাধ্যমে সামিনা সবুজের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যায়।

ইতিমধ্যে সবুজ অনার্স কমপ্লিট করেছে। এবার সে তার পরিবারের হাল ধরার জন্য প্রবাসে পাড়ি জমায়।সামিনার সাথে তার যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। সামিনার বান্ধবীদের মাধ্যমে এই যোগাযোগ চলতে থাকে। এটা যেই সময়ের কথা তখন বাংলাদেশে মোবাইল ফোন আসেনি। বাসার ল্যান্ডফোন সামিনার জন্য নিষিদ্ধ ছিল।

তাই সে চিঠির মাধ্যমেই সব সময় সবুজের সাথে যোগাযোগ রাখত। আর এই চিঠিগুলো আসত বান্ধবীদের ঠিকানায়। মায়ের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সে তার প্রেম চালিয়ে যায়।

এর মধ্যে সামিনার এইচএসসি পরীক্ষা কাছাকাছি এসে যায়। সামিনার মা কোনভাবেই সবুজের কাছে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হননি। কারণ এই ছেলের পরিবারের অবস্থা ভালো না। সবুজকেই সব দেখতে হবে। কবে সে ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে আর কবে তিনি মেয়েকে বিয়ে দেবেন! এইসব সাতপাঁচ ভেবে মেয়ের তীব্র অমত স্বত্বেও টেস্ট পরীক্ষার কিছুদিন আগে ওর মা ওকে এক ব্যবসায়ী পরিবারে বিয়ে দিয়ে দেন। পাত্রের পরিবার বেশ ধনি। উভয় পক্ষই মহা ধুমধাম করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সামিনার স্বামীর নাম কামাল।

যথা সময়ে সবুজের কানে বিয়ের খবরটা যায়। সে এক ভয়ানক পরিকল্পনা করে। তার এখনো দেশে আসতে দুই/তিন বছর বাকি। সে সামিনাকে জানায়- তুমি আমার জন্য অপেক্ষা কর। আমি এসেই তোমাকে বিয়ে করব। ততদিন তুমি কামাল ও তার পরিবারের সাথে বসবাস করে যাও। কাউকে কিছু বুঝতে দিও না।

সামিনা মনে মনে স্বপ্ন দেখে একদিন সে আর সবুজ মিলে একটি ছোট সংসারে বাস করবে। এই ভাবনায় তার দিন কাটে.....।

এমন সময় সে অনুভব করে যে সে মা হতে চলেছে। শারীরিক অসুস্থতার ফলে সে আর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে নি। সুতরাং তার শিক্ষাজীবন ওখানেই শেষ হয়ে যায়।

দুই পরিবারের সবাই তার এই নতুন খবরে বেশ খুশি। কিন্তু সামিনা কোনভাবেই সবুজের কথা ভুলতে পারছেনা। সে শুধু সবুজের আসার অপেক্ষায় দিন গোনে।

যথা সময়ে তার একটি পুত্রসন্তান হয়। এমন কি ছেলের মুখের দিকে তাকিয়েও সে সবুজকে ভুলতে পারেনা।

ছেলে বড় হতে থাকে। সে মনে মনে ফন্দি করতে থাকে সবুজ দেশে এলে সে এই সংসার ছেড়ে সবুজের কাছে চলে যাবে। তবে তার মনে একান্ত ইচ্ছা সে তার ছেলেকে এদের পরিবারে রেখে যাবে না। তাকে সে সাথে করেই নিয়ে যাবে।

এদিকে সবুজের দেশে আসার দিনও প্রায় এসে গেল। এখন আর সবুজের সাথে তার যোগাযোগ করতে কোন অসুবিধা হয়না। সামিনা যখন তার মায়ের বাসায় বেড়াতে আসে তখন সে সুযোগ বুঝে সবুজকে ফোন করে। আর ওর মা বা অন্য কেউ ওকে এখন আর ফোন ব্যবহার করতে বাধা দেয়না। কারণ সবাই ভাবে বাচ্চা হয়ে গেছে, এখন কি আর ও কোন অঘটন ঘটাবে? কিন্তু ও যে নিয়মিত গোপনে সবুজের সাথে এই কয় বছর যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে তা কেউ বুঝতে পারেনি।

সবুজ দেশে আসে। এসেই সে সামিনার সাথে যোগাযোগ করে। সবুজ সামিনাকে তার সাথে দেখা করতে বলে। সুযোগ বুঝে একদিন সামিনা সবুজের সাথে দেখা করে। তারা দুজনে প্ল্যান করে তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে। সবুজের প্ল্যান অনুযায়ী সামিনা বাবার বাসায় বেড়াতে আসে।

এর কয়েকদিন পরের ঘটনা...... সে তার বাচ্চাকে মায়ের বাসায় রেখে সবুজের কাছে চলে যায়। কিভাবে যেন সামিনার শ্বশুরবাড়ির সবাই এই দুঃসংবাদ জেনে যায়। তারা এসে তাদের বাচ্চাটিকে সামিনার মায়ের কাছ থেকে নিয়ে চলে গেল।

সব কথাই সামিনা জানতে পারে। কিন্তু বাচ্চার জন্য তার আর কিছুই করার থাকে না।

কয়েকদিন কেটে গেছে। কিন্তু সামিনার কাছে সবুজের আচরণ কেমন জানি মনে হয়! সামিনা সবুজকে বলে-চল আমরা বিয়ে করে ফেলি। কিন্তু সবুজ টালবাহানা করে সময় কাটাতে থাকে।

কয়েকদিন পরে সবুজ সামিনাকে বলে যে -'আমি তোমাকে মোটেও বিশ্বাস করিনা। একবার তুমি আমার সাথে প্রতারণা করে কামালকে বিয়ে করেছ। আবার এখন কামালের সাথে প্রতারণা করে আমার কাছে চলে এসেছ। তোমার একটি সন্তান থাকা সত্ত্বেও তুমি সংসার ত্যাগ করেছ। আবার হয়ত তুমি নতুন কাউকে পেলে আমাকে ছেড়েও চলে যাবে। এ ছাড়া আমার মনে তোমার প্রতি বেশ অনেকটা ক্ষোভ ছিল। তুমি আমার ভালবাসাকে অপমান করে কামালকে বিয়ে করেছ শুনেই আমি মনে মনে পরিকল্পনা করেছিলাম যে আমি তোমাকে একটা উচিৎ শিক্ষা দেব। সেই জন্যই আমি তোমার সাথে এই আচরণ করেছি। আমি এখন বাড়ি যাব। ওখানে আমার পরিবারের পছন্দ করা পাত্রীকে বিয়ে করব। তুমি তোমার বাবা মায়ের কাছে চলে যাও। আমার সাথে আর কোনোদিন যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে না। এখানেই তোমার সাথে আমার সব সম্পর্ক শেষ।'

সবুজের কাছে চরমভাবে অপমানিত হয়ে সামিনা বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসে। দিন যায়.....।

সামিনা এবং তার বাবা-মা মিটমাটের জন্য কামাল ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। কামাল ও তার পরিবার জানিয়ে দেয় এই বউকে তারা কোনদিন তাদের বাড়িতে স্থান দেবে না। বাচ্চাটিকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনার জন্য সামিনা অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু কামাল ও তার পরিবার তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। তারা বাচ্চাকেও ফেরত দেয় নি।

আরও কিছু দিন কেটে যায়।

এবার কিভাবে যেন সামিনার সাথে পুরনো ঢাকার এক ধনী ব্যবসায়ীর সাথে পরিচয় হয়। এই ভদ্রলোকের স্ত্রী আছে, ছেলেমেয়ে আছে। এক পর্যায়ে সামিনাকে সেই ভদ্রলোক বিয়ে করে। তবে তার নতুন স্বামী তাকে এই শর্তে বিয়ে করেছে যে,কোনদিনও সামিনা বা তার পরিবার এই বিয়ের কথা উনার পরিবারের নিকট প্রকাশ করতে পারবে না। যেদিন প্রকাশ করবে সেদিন থেকে তিনি আর সামিনার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবেন না।

সামিনা এই শর্ত মেনে নিয়ে জীবন যাপন করতে থাকে।

তার এই স্বামী তাকে তার মায়ের বাসার কাছে একটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছে। এই এলাকাতেই ওকে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে। টাকা-পয়সা, শাড়ি-গয়না কোন কিছুরই অভাব নেই।

একে একে সামিনার দুইটি বাচ্চা হয়েছে। বাচ্চা দুইটাও এখন বেশ বড় হয়ে গেছে। বাচ্চাগুলো সামাজিকভাবে একটু কোণঠাসা হয়েই দিন কাটায়।

নিজের জীবনের কিছু বোকামির মাশুল আজ সামিনা এভাবেই দিয়ে যাচ্ছে...........।

বিষয়: বিবিধ

২৫৭৪ বার পঠিত, ৭৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

273485
১২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৪
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:২২
217513
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ভালো লাগলো!?Surprised
273488
১২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:০২
কাহাফ লিখেছেন :
অপরিণত বয়সের কাচা কিছু সিদ্ধান্ত জীবনকে এলোমেলো করে দেয়ার জন্যে যথেষ্ঠ।
সামিনা যা স্বীয় বাস্তবতায় এখন উপলব্ধি করছে।
'সামিনা'র জীবন থেকে অনেক কিছু ই শেখার আছে.......।
১২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৩
217514
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আসলেই......বেশ শিক্ষণীয় ঘটনা।
273496
১২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:১৯
আমি মুসাফির লিখেছেন : মেয়েটির জীবনে যা ঘটেছিল তা অতীত ভেবে বিয়ে করা স্বামীর কাছেই থেকে যাওয়া ভাল ছিল । কারণ তার চেলে হয়েছিল । কিন্তু পরকীয়া বড় খারাপ যার প্রভাবে এভাবেই সংসার, পরিবারে ও সমাজে উশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
১২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৫
217516
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : অতি আবেগ এবং অপরিণামদর্শিতা মানুষকে এভাবেই শেষ করে দেয়।
273500
১২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৩
ফেরারী মন লিখেছেন : আহারে দুঃখজনক। Sad Sad
১২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৬
217517
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হুমমম Sad Sad Sad
273520
১২ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৫
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : এক পন্ডিত ব্যক্তি বলেছিল, পুরুষেরা হল মোমের মত, আর নারীরা হল আগুনের মত। দুটো পাশাপাশি থাকলে মোম গলতেই থাকে। মোম যখন গলতে থাকে তখন তার পূর্বের আকার আকৃতির পরিবর্তন হতে থাকে। সেটা আর কোন ভাবেই পূর্বের প্রতিচ্ছবি বহন করেনা। এসব ঘটনা সে সবের আলামত। মেয়েরা বড় হলে প্রয়োজনে মেয়ে শিক্ষক রাখা জরুরী কখনও পুরুষ নয়। অনেক ধন্যবাদ
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৬
217555
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এই উক্তিটি সম্ভবত কাজী নজরুল ইসলামের।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ টিপুভাই।
273525
১২ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৭
নোমান২৯ লিখেছেন : সামিনারা একটু বেশীই বোকা|সাথে সবুজেরা প্রতারক পুরুষ সমাজের প্রতিনিধি|ধন্যবাদ আপনাকে| Rose Rose Rose
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৭
217557
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এখানেই দুজনেই দোষী। ধন্যবাদHappy
273530
১২ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪০
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আমাদের সমাজের সামিনারা নিজেরা যত না দায়ী তার চাইতে বেশী দায়ী আমাদের পরিবেশ। আমাদের মিডিয়া কম দায়ী নয়।
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৯
217559
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : পরিবারের ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। উঠতি বয়সেই ভালোমন্দ শিক্ষা না দিলে এই ধরণের পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। আর মেয়েদের জন্য পুরূষ শিক্ষক ন রাখাই উত্তম।
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৬
217572
পারভেজ লিখেছেন : সব চেয়ে বেশি দায়ি ভারতীয় সিরিয়ালগুলো। কোন একটা সিরিয়ালে এমন দেখিনি যে, কেউ একটি বিয়ে করেই ক্ষান্ত হয়েছে। মহিলা পুরুষ উভয়েই। যেন ভারতে বিয়ে সক্রান্ত কোন নিয়ম নিতি নেই।
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৮
217573
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এই ঘটনাটা সিরিয়াল যুগের আগের ঘটনা।
273531
১২ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪২
নিরবে লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২০
217560
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদ।
273535
১২ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:০৬
এবেলা ওবেলা লিখেছেন : বিষয় টি আসলে দুঃখজনক -- কারো কাছে ভালবাসা মানে না পেলে প্রতিশোধ নেওয়া সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে -- আই হ্যট ইট.।

ভালবাসা হওয়া উচিত অন্তর থেকে -- যাকে ভালবাসব তার সুখ দুঃখে মানে প্রতিটা সময় তাকে আগলে রাখা।
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২১
217561
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বিবাহ বহির্ভূত ভালোবাসা পরিত্যাগ করাই উত্তম।
১০
273537
১২ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৬
রাইয়ান লিখেছেন : নি:সন্দেহে দু:খজনক ও লজ্জাস্কর একটি ঘটনা। অল্পবয়সী তরুণ শিক্ষকদের প্রেমে পড়া মেয়েদের জন্যও একটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে , এমন অনেক ঘটনাও শুনেছি যে , মেয়েটি প্রেমে না পড়লেও তার বান্ধবীদের উস্কানিতে পড়ে গৃহ শিক্ষকদের সাথে ফ্যান্টাসিতে জড়িয়ে গেছে , যার অনিবার্য পরিনাম অধ:পতিত ভবিষ্যত। কি ভয়াবহ নৈতিক অবক্ষয়ের জটিল জালে জড়িয়ে আছে আমাদের সমাজ , ভাবলেই আতংকিত বোধ করি !! It Wasn't Me!
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৬
217562
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বান্ধবীদের উস্কানি এবং সহযোগিতায় এক সময় মেয়েরা প্রেম করত। এখন পরিস্থিতি আরও জটিল। এখন আরো খারাপ কাজে বান্ধবীরা সাহায্য করে।Worried
১১
273544
১২ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৪
মামুন লিখেছেন : মেয়েটির মানে সামিনার জীবনে যা ঘতেছে তা শুধু ওর একার দায় নয়। প্রথমত সামিনার মায়ের লোভ-বড় ঘরে বিয়ে দেবার চিন্তায় তিনি সবুজের সাথে সম্পর্ক হতে দেন নাই। আর গৃহ শিক্ষক থাকার সময়ে খুব কঠোর ভাবে মেয়েকে গার্ড দেয়া উচিত ছিল। সেখানে অবাধে মেলামেশার সুযোগ দেয়াটা ভুল হয়েছে। আজকাল অনেক মেয়ে ভাঋসিটিতে পড়াকালীন টিউশনের সাথে জড়িত হয়। সামিনাকে তার মা এরকম কাউকে দিয়ে পরাতে পারত।
এরপর বিয়ের পরে সামিনার ভুল ছিল নিজের বাচ্চাকে ছেড়ে চলে যাওয়া।
একজন মানুষের সাথে প্রেম যতই গভীর থাকুক না কেন, একজন মা কিভাবে একজন প্রেমিকার কাছে হেরে যায়? এদিক থেকে সামিনাকে কখনো মাফ করা যায় না। কামাল এবং তার পরিবার ঠিক কাজটি করেছে।
আমার সামিনার জন্য কোনো দুঃখ হচ্ছে না। সে একজন মাকে অপমান করেছে, নিজের সন্তানের জন্য মা-হীন একটি জীবন উপহার দিয়ে গেছে।
আমি লিখাটি পড়ে কেন জানি খুব কষ্ট পাচ্ছি। অথচ এরকম হবার কথা নয়।
আপনার লিখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইর। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Rose Rose Rose Good Luck
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৮
217563
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : খুব অল্প কথায় পুরো ঘটনার মূলভাব তুলে ধরেছেন। চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মামুন ভাইHappy
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৩
217576
পারভেজ লিখেছেন : মামুন ভাই- এসব ঘটনাকে আজকাল মেয়েরা যেন কিছুই মনে করে না। তাদের ধারণা একজন গেলে দ্বিতীয় জন আরো ভাল জুটবে। দুঃখ হয়।
১৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:২৪
217775
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ পারভেজ ভাই, এজনয পরিবার থেকেই মেয়েদেরকে সেইভাবে গড়ে তোলা উচিত এবং মা-বাবা হিসেবে নিজেদেরকে মেয়েদের সামনে উপস্থাপন করা উচিত। আশা করা যায়, মেয়েদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটবে ইনশা আল্লাহ। @ পারভেজ Good Luck Good Luck
১২
273549
১২ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৪
ঘাড় তেড়া লিখেছেন : শিক্ষিত মেয়েদের আরো বেশি বেশি টিউশনীতে আসা উচিত...কথা ঠিক কিন্তু এখানে আবার মেয়েটির নিরাপত্তার প্রশ্ন...

আর যারা কোচিং সেন্টার বন্ধ করতে চান তারা কি পারবেন টিউশনী বন্ধ করতে...

এসব বাদ দিয়ে কোচিং সেন্টারগুলোকে একটি নিতিমালার মধ্যে আনা উচিত...যেন নতুন কোন(পরিমল ধর) কাহীনী শুনতে না হয়।

সবশেষে আদর্শবান, চরিত্রবান যোগ্য সিনিয়র ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষকতায় আনা উচিত...

১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৩
217565
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমার কাছে মনে হয় মেয়েদের জন্য মেয়ে শিক্ষকের বিকল্প নেই।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
১৩
273565
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : দুঃখজনক কিন্তু সত্যি ঘটনা। এই ধরনের অনেক ঘটনা ঘটছে যার প্রধান কারন নৈতিক শিক্ষার অভাব। মেয়েটির মধ্যে যদি নৈতিকতাবোধ খাকত তাহলে সে কিভাবে একজন কে অনুগত না হয়েই বিয়ে করল ও সন্তান ধারন করল!!


বিশেষ অনুরোধ:--- ভিলেন এর নামটা চেঞ্জ করা যায়না! Crying Crying Crying
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
217567
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor

সবুজ ভাই একদম চিন্তা করবেন না। আমাদের এখানকার সব ভাইবোনরা জানে আমাদের সবুজ ভাই কত্ত ভালো। অতএব নাম চেঞ্জ না করলেও চলবে। Tongue Tongue Tongue
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৫
217578
পারভেজ লিখেছেন : আমাদের সবুজ ভাই তো- রিদওয়ান কবির সবুজ

কিন্তু কথায় আছে, ... মন পুলিশ পুলিশ
১৪
273581
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৮
আফরা লিখেছেন : নৈতিক অবক্ষয় সমাজ ও দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে । অনেক ধন্যবাদ আপু ।
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০০
217574
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ঠিকই বলেছ আফরাHappy
১৫
273607
১২ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪০
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সামিনার জীবন আপনার কাছে মানবেতর মনে হলেও, সামিনারা এসব খুব আনন্দের সাথেই উপভোগ করে ..., আমিও জানি এমন বেশ কয়েকটা ঘটনা।

এসব কীট-পতঙ্গ সমাজ থেকে নিয়মিত নির্মূল করলেই মনে হয় সুন্দর একটা সমাজ পেতে পারি আমরা।
১৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:১০
217970
পবিত্র লিখেছেন : আপনি শুধু সামিনাকে দেখতে পেলেন, সবুজকে না?
১৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৪৩
217975
বুড়া মিয়া লিখেছেন : নাহ পবিত্র আপু সবুজকে দেখাই যাবে না, কারণ ও ঠিক বিচারই করেছে, কারণঃ

১) সামিনা ক্রিমিনাল, সে প্রেমের ওয়াদা রক্ষা না করে বিয়ে বসেছে এবং বিবাহিত জামাইকেও জানানোর প্রয়োজন বোধ করে-নি, করলে তাকে তার জামাই বিয়েই করতো না!

২) সামিনা বিয়ে করে গোপনে প্রেম করেছে, যেটা প্রকাশ্য খারাপী; এটা কারও পক্ষেই মেনে নেয়া উচিৎ না, শুধু তাই না – সে সবুজকে আশ্বাস দিয়ে গেছে সে তাকে চায়; সবুজ যখন দেখেছে ও মূলত ক্রিমিনাল, তাই ওকে শিক্ষা দেয়ার জন্য এগিয়ে আসা দরকার ছিলো তাই করেছে!

৩) সামিনার বাচ্চা হয়ে যাওয়ার পরেও স্বামীর ঘরে থেকে আরেকজনের সাথে প্রেম অমানবিক এবং পশুসুলভ, এর জন্য ওর আরও ভয়াবহ শাস্তির দরকার ছিলো। সবশেষে সন্তানকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার মতো মানসিকতা, মীরজাফরের কথাই মনে করিয়ে দেয় আমাদের তাই ইংলিশ-ষ্টাইলে সবুজ ওকে শায়েস্তা করে ঠিকই করেছে!

৪) সামিনা প্রথম স্বামীর সাথে প্রতারনা করে সেই ঘরের সন্তানকে বঞ্চিত করলো একটা সুন্দর পরিবেশে বড় হতে, একইসাথে আরেক ব্যবসায়ীর কাছে বিয়ে বসে সেখানেও সন্তান জম্ন দিলো, এতে করে তার দ্বিতীয় ঘরের সন্তানগুলোও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্নভাবে বড় হবে, মনোকষ্টে দিনাতিপাত করবে!

এই সামিনার জন্য, সবুজ, প্রথম স্বামী, দ্বীতিয় স্বামী, প্রথম স্বামীর সন্তান, দ্বীতিয় স্বামীর সন্তানের সামাজিক জীবন অতিষ্ট হয়ে গেলো; এমন সামিনারা না থাকলে – সবুজদের জন্ম হতো না, দ্বীতিয় স্বামীও সামিনাকে ব্যবহারের সুযোগ পেতো না; তাই সবুজদের নির্মূল না করে সামিনাদের নির্মূল করা উচিৎ, এছাড়াও সবুজ সমাজে কাজ-কর্ম করে সমাজের উন্নতি করে যাচ্ছে, একইভাবে সামিনার প্রথম ও দ্বিতীয় স্বামীও আর সামিনারা সমাজে বাজে পরিবেশ ছড়াচ্ছে!

এবার বলুন আপু, আপনি কি যুক্তিতে আমাকে সবুজকে দেখতে বললেন? আপনি কি চান-না সামিনার মতো এরকম ক্রিমিনালদের কেউ শায়েস্তা করুক?
১৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:৪০
218384
পবিত্র লিখেছেন : এখানে সত্যিকার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা কারো মাঝে ছিলো না, বিশেষ করে সবুজের মাঝে।

কাউকে বিয়ে করার ওয়াদা দিয়ে শুধু ভোগ করে ছুঁড়ে ফেলাটা কেমন মানুষের কাজ হতে পারে?
একজন ভালো মানুষ কোন দিন অন্যের স্ত্রীর প্রতি নজর দিবে না যদিও সে মেয়েটি কোন কালে তার প্রেমিকা ছিলো।
কোন ভালো পরিবারের ছেলে কোন দিন একটি মাকে সন্তান ছেড়ে পালাতে বলার সাহস করবে না।
হয়তো এমন সবুজরা না থাকলে এমন সামিনাদের জন্ম হতো না।
যার মন যেমন, তার সাথে জুটেও তেমন টাইপের। সবুজকে নিয়ে বলতে চাইলে অনেক কিছুই বলা যাবে। এর মানে এই নয় আমি সামিনাকে নির্দোষ বলছি। কিন্তু আপনি শুধু একচোখাই মন্তব্য করে যাবেন নিশ্চিত।
১৫ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:৩৫
218462
বুড়া মিয়া লিখেছেন : নাহ আপু আমার মন্তব্য একচোখা বলা যাবে না।

শুরুতেই সামিনা-সবুজ এ্যাগ্রিমেন্টে এসেছে বিয়ে করবে বলে এবং এর জন্য প্রেম-পত্র চালাচালি হয়েছে বান্ধবীদের দিয়ে, মানে স্বাক্ষীসহ তাদের সম্পর্ক অনেকটা লিগালী আনথোরাইজড কন্ট্রাক্টের মতো হয়ে গিয়েছিলো।

এ কন্ট্রাক্ট ভঙ্গ করেছে কে প্রথমে? এখানে সামিনাই করেছে ...

কন্ট্রাক্ট ভঙ্গ করে, কেনো সে আবার আনডিউ-ইনফ্লুয়েন্স করলো সবুজকে? এটাও সামিনার দোষ। সামিনা কেনো নতুন লিগাল সম্পর্কে জড়িয়েও, ইল্যিগাল সম্পর্ক রাখলো? এটাও তার দোষ।

মোরাল এবং লিগাল দুই দিক থেকেই সামিনা দোষী হবে না আগে? সব দিক দিয়েই প্রথম সব দোষ সামিনার। একটা দোষ আরেকটা দোষ দিয়ে সমান সমান না করলে ব্যাপারগুলো ব্যালেন্সড হবে কিভাবে? সবকিছু কি আনব্যালেন্সড থেকে যাবে? এটা থাকে না বলেই এমন হয়।
১৫ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
218629
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : -আমি এককভাবে সামিনা বা সবুজকে দোষী বলতে চাই না। দুজনেই দায়ী। সব চাইতে বেশি দায়ী সামিনার মা। তিনি কেন একজন ছেলেকে উঠতি বয়সী মেয়ের টিচার হিসেবে নিয়োগ দিলেন? যদি পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে দিয়েই থাকেন তবে কেন খেয়াল রাখলেন না? দীর্ঘদিন দুজনে প্রেম করল - উনি কেন কড়া নজর রাখলেন না? তারপর জোর করে মেয়েকে বিয়ে দিলেন কিন্তু ফলোআপ করলেন না?

-সামিনা যখন দেখল তার বিয়েটা হয়েই গেছে তখন সে সবুজের সাথে আর যোগাযোগ না করলেই পারত। এখানে তার সাহায্যকারীরাও কম দায়ী নয়। এরপর ছেলে হওয়ার পর তারতো ছেলের মুখের দিকে তাকিয়েই সব কিছু মেনে নেয়ার কথা!!! কিন্তু সে জঘন্য কাজটি করল।

- সবুজের উচিৎ ছিল সামিনাকে বুঝিয়ে তার স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার করার পরামর্শ দেয়া। তা না করে সে প্রতিশোধের আগুনে সামিনাকে পুড়িয়ে দিল। এই আগুনে মেয়েটা সারা জীবন জ্বলবে। তার প্রথম সন্তান মায়ের আদর ছাড়া আর পরের দুইজন পরিবারের পরিচয় ছাড়া বড় হচ্ছে। এর চাইতে জঘন্য প্রতিশোধ আর কি হতে পারে?

উপরোক্ত তিনজনই এই ঘটনায় অপরাধী। তাদের কাউকেই ক্ষমা করা যায় না।
১৫ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৬
218655
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ফাতিমা আপু, এখানে সামিনার মায়ের তেমন দোষ হবে না! দোষ সামিনার কু-ইচ্ছার! নূহ(আ.) এর বউ ছেলের জন্য উনি দায়ী হন নাই, লূত(আ.) এর বউ এর জন্য উনি দায়ী হন নাই। রাসূল(সা.) এর কাছেও অনেক মহিলারা এসেছে কিছু হয় নাই, কেউ মনে হয় রাসূল(সা.) কে বিয়েও করতে চাইছিলো, উনি করেন নাই উপরন্তু আরেকজনের সাথে বিয়ে দিয়ে দিছেন এবং সেই মেয়ে ভূলেও আর রাসূল(সা.) এর কাছে ফুসলাইতে আসে নাই।

যেহেতু সামিনা তার মাকে অমান্য করেই এগ্রিমেন্টে এসেছে সবুজের সাথে বিয়ের, তাই শুরুর দোষ সামিনার নিজের প্রতারনার জন্য। বিয়ের সময়ও যদি সবাইকে বলতো সামিনা ‘আমি সবুজকে ভালোবাসি’ – কেউ ওকে বিয়ে করতো না! এটা তো করেই নাই তার উপর আবার পরকীয়া চালিয়েছেঃ এর প্রতিফল কি ফুলের বাগান হবে সামিনার জন্য? তা হওয়ার কথা না, হয়ও নাই!
১৬
273614
১২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:০০
শেখের পোলা লিখেছেন : এর মাঝেই আমরা বাস করি৷ আমাদের সমাজপতিরা এটাতেই সাফল্য দেখেন, নারী স্বাধীনতার আরাম উপভোগ করেন৷ আর আমার ইসলাম এমন প্রেমকেই নিষেধ করে৷ধন্যবাদ৷
১৫ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫০
218630
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধর্মীয় বিধান মেনে চললে এমন প্রেমও কেউ করতে পারে না, আবার এই রকম প্রতিশোধের খেলায়ও কেউ মেতে উঠেনা। ধন্যবাদ।
১৭
273646
১২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৩৬
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : কি আর বলব দিনে দিনে মানুষের বিবেক মরেই যাচ্ছে ।
১৫ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫১
218631
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হুমম... Sad
১৮
273658
১২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৪৭
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : প্রেম এখন সব চেয়ে মরনঘাতক রোগের পরিনত হয়ে গেছে। আক্রান্ত হয় প্রায় মানুষ। মরতেছেও প্রতিনিয়ত।
১৫ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫২
218632
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : সমাজ নতুন প্রজন্মকে আরও সেদিকে ঠেলে দিচ্ছে Sad
১৯
273752
১৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:৫৫
গন্ধসুধা লিখেছেন : শিক্ষনীয় কিন্তু দুঃখজনক Sad
আপু আমি কিন্তু আপনার স্যানউইচ মিষ্টির রেসিপির অপেক্ষায় আছি Love Struck
১৫ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:০১
218634
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : খুব সহজ রেসিপি Big Grin

দুইটা সন্দেশ আর এক টুকরা আমসত্ত্ব নাও। Smug

একটা সন্দেশের উপর আমসত্ত্বের টুকরাটি রেখে এবার বাকি সন্দেশটা দিয়ে তৈরী কর স্যান্ডউইচ সন্দেশ। Give Up

চাইলে আমস্বত্ত্বের উপর মরিচগুড়া বা কাঁচামরিচ কুঁচি দিয়ে দিতে পার। Loser

ব্যাস....তৈরী হয়ে গেল টক মিষ্টি ঝাল সন্দেশ। Eat

মজা না হলে আমি দায়ী না। It Wasn't Me! Shame On You

খাওয়ার আগে ডাঃ ভিশুর পরামর্শ গ্রহণ করা যেতে পারেRolling on the Floor
২০
273789
১৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:৩৪
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সামিনা এবং তার ছোট ভাইবোনদেরকে পড়ানোর জন্য উনার আম্মা একজন শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করলেন। একসময় উনি উনার পছন্দমত একজনকে পেয়েও গেলেন। ছেলেটির নাম সবুজ। - এখানে প্রথম ভুল, মেয়েকে তিনি একজন পুরুষ শিক্ষকের কাছে পড়তে দেয়ার চেয়ে নিজে পড়ে সে যতটুকু রেজাল্ট করতে পারে তাতে সন্তুষ্ট থাকা ভাল ছিলো। এখন তো একুল ওকুল উভয়কুল গেল!

এক পর্যায়ে সামিনা ও সবুজ সামিনার মায়ের কাছে ধরা পড়ে যায়। সামিনার মা সবুজকে উনার বাসায় আসতে নিষেধ করে দেন। - শুধু ছেলেটিকে মানা করে দেয়াই যথেষ্ট ছিলোনা। তাঁর উচিত ছিলো মেয়েটিকে বসে পুরো ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলা। তাহলে হয়ত সে ভবিষ্যতে এতবড় ভুল করতনা।

সামিনার মা কোনভাবেই সবুজের কাছে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হননি। কারণ এই ছেলের পরিবারের অবস্থা ভালো না। - এখানে দ্বিতীয় ভুল, ছেলেটি যদি যোগ্য হয় তাহলে মেয়ের অবস্থা বিবেচনা করে তাঁর এই বিয়েতে রাজী হওয়া ছিলো বেটার অপশন। এখন তিনি অর্থবিত্ত দেখতে গিয়ে কতগুলো জীবন নষ্ট করলেন!

সবুজের কাছে চরমভাবে অপমানিত হয়ে সামিনা বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসে। - আবেগসর্বস্ব মানুষগুলোর পরিণতি এমনই হয়। ক'দিন আগে এক ভদ্রমহিলা সব ছেলেমেয়ে বিয়ে দিয়ে দাদী নানী হয়ে যাবার পর আরেকজনের হাত ধরে সংসার ফেলে চলে গেলেন। মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারলে অন্যত্র বিয়ে করার চেয়ে একা থাকাই ভাল।

তার নতুন স্বামী তাকে এই শর্তে বিয়ে করেছে যে,কোনদিনও সামিনা বা তার পরিবার এই বিয়ের কথা উনার পরিবারের নিকট প্রকাশ করতে পারবে না। যেদিন প্রকাশ করবে সেদিন থেকে তিনি আর সামিনার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবেন না। - এখানে এসেও সে নিজের বোকামীর কারণে আরেকজনের ঘরে আগুন লাগাল, ফলে এখানেও সে সুখী হতে পারবেনা। কারণ যারা অন্যের জন্য দুঃখের কারণ হয় তারা নিজেরা সুখের সন্ধান পায়না।

উপসংহারঃ আবেগের চেয়ে বিবেক বড়, তার
চেয়েও আল্লাহর প্রতি আনুগত্য গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে সৎ পথে রাখতে।

পোস্টটির পোস্ট মর্টেমই করে ফেললাম মনে হয়। Worried Worried Worried ধন্যবাদ আপা Love Struck Love Struck Love Struck
১৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:০৯
217969
পবিত্র লিখেছেন : পোস্ট মর্টেমে দারুন বলেছেন আপু। Love Struck
১৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৩৭
217988
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : @ পবিত্র - ধন্যবাদ আপু, কিঞ্চিত সাহস পাইলাম Whew! Whew!
১৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৩৮
217990
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : @ ফাতিমা আপা - আমার কম্পুর মাথা খারাপ, ডাক্তার দেখাতে হবে, ভুল মন্তব্যটি ডিলিট করে দিন আপু, ধন্যবাদ
১৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:১১
218851
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপা আপনার পোস্ট মর্টেম কমেন্টটি বেশ চমৎকার হয়েছে। মূল বিষয়গুলো উঠে এসেছে। ধন্যবাদHappy
২১
273816
১৩ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৩২
ইসলামিক বই লিখেছেন : সত্যি খুব দুঃখজনক ঘটনা ।
১৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:১২
218853
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হুমম... Sad
২২
273899
১৩ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:২৮
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এক ঢিলে অনেক পাখি মারার জন্য ধন্যবাদ। সত্যি কথা বলতে কি, ছাত্র জীবন হতে কর্মজীবন পর্যন্ত এসব চড়াই উতরাইয়ের অধ্যয়গুলো কিভাবে দক্ষতার সাথে কেটে উঠতে হবে, এ সমাজে তা শেখার উপায় নেই। জীবনে ৩০-৪০ টা টিউশনি, ১৩ টা লজিং করার পাশাপাশি অনেক না বলা কাহিনী মুখোমুখী হয়েছি। কোন এক দায়ীত্ববোধ, মনুষত্ববোধ, ধর্মীয় গন্ডির বিবিনিষেধ এর কারণে সংবরণ করা সেই হারানো দিনগুলোর কথা স্মরণ হলে আনন্দিত হই। হিসেব কষে দেখি আমি ব্যর্থ হইনি। বরং আগামী দিনের সাহিত্য রচনায় এটি আমার সম্পদ।

যাক, ধন্যবাদ। খুব ভাল লাগল। হৃদয়ে যারা লাগাম দিতে পারেনা, তারা আজীবনই লাগামহীন থাকে। অবৈধ প্রেমের আগুনে দগ্ধ প্রতিটি প্রিয়-প্রিয়সীর হৃদয় যেন আগুনে জ্বলে পুড়ে নি:শেষ হয়ে যাওয়া এক জীবন্ত লাশ।
১৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:০৮
217967
পবিত্র লিখেছেন : এসবিতে আপনার লজিং মাষ্টার সিরিজটি পুরোই পড়েছিলাম। এখনো অনেক কিছু মনে আছে। Happy
১৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৩৯
217992
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমিও Happy
১৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:১৯
218854
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : লজিং মাষ্টার ও রঙের মানুষ পড়ে কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছি আপনি নফস এর সাথে কিভাবে যুদ্ধ করেছেন। আচ্ছা রঙের মানুষ কি শেষ?

হৃদয়ের লাগাম দেয়াটা আসলেই কঠিন- বিশেষ করে উঠতি বয়সে। এজন্যই পরিবেশটা পজিটিভ দরকার।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৩
273927
১৩ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৯
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : জীবনটা বড়ই কঠিন।
১৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:২০
218855
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : জ্বি....আপনারা হারিয়ে গেলেন কোথায়?
২৪
273994
১৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:০৬
পবিত্র লিখেছেন : এখানে সবচাইতে বড় ভুল করেছেন সামিনার মা, তিনি প্রথমত মেয়ের জন্য পুরুষ শিক্ষক নিযুক্ত করলেন এবং দ্বীতিয়ত মেয়েকে বিয়ে দিলেন না সবুজের সাথে আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপু। Love Struck Love Struck
১৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৪০
217993
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : হায়রে! এই কথাগুলোই বলতে আমি কত্তবড় একটা মন্তব্য লিখলাম! সাইজ দেখলেই ভয় লাগে Worried
১৪ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৩
218268
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : সহমত Loser Loser
১৬ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩২
218973
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদHappy
২৫
274093
১৪ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:২১
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

যেখানেই টীনেজ পাওয়া যাবে সেখানেই গায়ে পড়ে কাউনসেলিংএর অভিযান চালাতে হবে-
ওদেরকে এ সর্বনাশা মিছিল থেকে ফেরাতেই হবে,
আলসেমী করলে সর্বনাশ হয়ে যাবে-
ইতিমধ্যে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকিল্লাহ
১৬ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৪
218975
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্‌।

চমৎকার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। বাইরের কাউন্সিলিং এর সাথে পরিবারেরটাও লাগবে নতুবা এই উদ্যেগ কার্যকর হবেনা।
২৬
274346
১৪ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৭
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন :
পবিত্র লিখেছেন : এখানে সবচাইতে বড় ভুল করেছেন সামিনার মা, তিনি

প্রথমত - মেয়ের জন্য পুরুষ শিক্ষক নিযুক্ত করলেন এবং
দ্বীতিয়ত - মেয়েকে বিয়ে দিলেন না সবুজের সাথে আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপু।
Good Luck Good Luck Rose Rose
১৬ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৮
218979
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : পবিত্রকে লিখেছি-চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

কপিপেষ্ট মন্তব্যের জন্য হ্যারীকে ধন্য-বাদTongue Tongue Tongue
১৬ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪০
219001
পবিত্র লিখেছেন : কপিপেষ্ট মন্তব্যের জন্য হ্যারীকে ধন্য-বাদTongue Rolling on the Floor
১৬ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৪
219010
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : কপিপেস্ট ছাড়াতো আমি চলতে পারি না Crying Crying তাই একটু চেষ্টা করি মাঝে মধ্যে Surprised Tongue
২৭
274513
১৫ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৩:৫৯
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আশাকরি সমজ ভুল করা কন্যাদের দেখে শিক্ষা গ্রহন করবে!

শুকরিয়া আপু! Good Luck Rose Bee
১৬ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৯
218981
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : সব ভুল করা কন্যারা সঠিক পথে ফিরে আসুক, নতুন করে আর কেউ ভুল না করুকPraying
২৮
275059
১৬ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৪৪
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আপনার ঘটনায় দোষ সবার ছিল তবে সামিনার বেশি। গৃহশিক্ষক নিয়োগে মায়ের ভুল ছিল। কিন্তু বাকী সব ঘটনার দায় সামিনার একার। কিশোরী বয়সের আবেগকে কেন্দ্র করে সে কারো সহধর্মিণী হওয়ার মর্যাদা যেমন রাখতে পারেনি তেমনি নিজের ছেলেমেয়েকে দূরে ঠেলে মাতৃত্বকেও অপমান করেছে। সামিনার জন্য করুণা করা ছাড়া কিছু করার নেই।
১৬ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৪৮
219053
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমার কাছে তিনজনকেই দায়ী মনে হয়।
২৯
275764
১৮ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:০২
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : মেয়েরা নিজদের খুব চালাক দাবী করলেও ছেলেদের মিষ্টি মধুর রসালাপে মোমের মত গলে একেবারে কুপোকাত অতঃপর সমাপ্তি আপনি গল্পে টেনে দিলেন! আমিও এমন হাজারটা ঘটনার সাক্ষী, নিজের ও দুষ্টামির ছলে দুএকজন কে কুপোকাতের অভিজ্ঞতা রয়েছে, ও ডোণ্ট মাইন্ড আপু! মুখ ফসকে বেড়িয়ে গেল।
১৯ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৫
219805
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এসবতো ঠিক নয়, তাই না?Don't Tell Anyone
১৯ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
219855
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আহ আপু!!!! আমি এখন এখন এইসব করি নাকি! বুঝেনা! এইসব নোংরা অতীত অনেক আগেই পিছনে ফেলে এসেছি!
২১ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:১৩
220607
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : Happy Happy Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File