মুত্তাফাকুন আলাইহি -৩২
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৪:৩৭:৪২ বিকাল
মুসলমানের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা এবং নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া তা প্রকাশ না করা
১০৮) হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরামﷺকে বলতে শুনেছিঃ ‘আমার উম্মতের সবার গুনাহ্ ক্ষমা করা হবে; কিন্তু (অন্যের) দোষ-ত্রুটি প্রকাশকারীদের গুনাহ ক্ষমা করা হবে না।’ দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করার ধরণ হলোঃ কোন ব্যক্তি রাতের বেলা কোন কাজ করল তারপর সকাল হল। আল্লাহ্ তার এ কাজ গোপন রাখবেন। কিন্তু লোকটি (সকাল বেলা) বলবেঃ হে অমুক, আমি গতরাতে এই কাজ করেছি অথচ সে রাত যাপন করেছিল এমন অবস্থায় যে আল্লাহ তার কাজগুলো গোপন রেখেছিলেন। কিন্তু সকাল বেলা সে আল্লাহর এই আড়ালকে সরিয়ে ফেলল।
১০৯) হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ কোন বাঁদী অনৈতিক কাজ করলে (ব্যভিচার করলে) এবং তা প্রমাণিত হলে তার ওপর বেত্রদণ্ড কার্যকর করতে হবে। কিন্তু তাকে গালমন্দ বা ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না।সে যদি দ্বিতীয়বার ব্যভিচার করে এবং তা প্রমাণিত হলে তার ওপর বেত্রদণ্ড কার্যকর করতে হবে। কিন্তু তাকে গালমন্দ বা ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। সে যদি তৃতীয়বার অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়, তবে তাকে বিক্রি করে দিতে হবে, তা একটি পশমী রশির বিনিময়ে হলেও।'
মুসলমানদের প্রয়োজন পূরণে সহায়তা দান
১১০) হযরত ইবনে ‘উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুএর বর্ণনা মতে রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। সে না তার ওপর জুলুম করতে পারে আর না তাকে শত্রুর হাতে সোপর্দ করতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে উদ্যোগী হয়, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের কোন কষ্ট বা বিপদ দূর করে দেয়, আল্লাহ (এর বিনিময়ে) কিয়ামতের দিন তার কষ্ট ও বিপদের অংশ-বিশেষ দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষ গোপন রাখবেন।
শাফা’য়াত বা সুপারিশ প্রসঙ্গে
১১১) হযরত আবু মূসা আশ’আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরামﷺএর কাছে কোন অভাবী লোক এলে তিনি উপস্থিত লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতেনঃ তোমরা সুপারিশ করো, প্রতিদান পাবে। আল্লাহ যা পছন্দ করেন তাঁর নবীর মুখ দিয়ে তা প্রকাশ করান।
[বুখারী ও মুসলিম]
.
[ রিয়াদুস সালেহীন থেকে সংগৃহিত। হাদিস নং যথাক্রমে-২৪১, ২৪২, ২৪৪ ও ২৪৬]
মুত্তাফাকুন আলাইহি-৩১
বিষয়: বিবিধ
১৭০৯ বার পঠিত, ৭৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺবলেনঃ যে বান্দাই অন্য বান্দার দোষ-ত্রুটি এ দুনিয়ায় গোপন রাখবে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।
(মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুবর্ণনা করেন, এক ব্যক্তিকে রাসূলে আকরাম ﷺএর কাছে ধরে নিয়ে আসা হলো। লোকটি মদ পান করেছিল। তিনি আদেশ দিলেনঃ তাকে প্রহার করো। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ তাকে হাত দিয়ে, কেউ জুতা দিয়ে এবং কেউবা কাপড় দিয়ে প্রহার করলো। যখন সে ফিরে যাচ্ছিল কতিপয় ব্যক্তি বলেন, আল্লাহ তোমায় অপদস্থ করেছেন। রাসূলে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এরূপ কথা বলোনা; শয়তানকে তার ওপর বিজয়ী করে দিওনা। (বুখারী)
@পবিত্র - ফাঁকিবাজ ভাইয়া নামটা পছন্দ হয়েছে খুব সুন্দর নাম আফরামণি দিয়েছিল "দখলবাজ ভাইয়া", পোস্ট না পড়ে কমেন্টের জায়গা দখল করার অপরাধে...... আহ্ হা, কী মিষ্টি মিষ্টি সব নাম আমার......
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুএর বর্ণনা মতে রাসূলে আকরাম ﷺবলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের জাগতিক কষ্টগুলোর মধ্য কোন একটি কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার বড় একটি কষ্ট দূর করে দেবেন।
যে ব্যক্তি কোন অভাবীর অভাবজনিত কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার অভাবজনিত কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন।
বান্দাহ যখন তার কোন মুসলিম ভাইয়ের সাহায্য-সহায়তা করতে থাকে, আল্লাহ ও ততক্ষণ তার সাহায্য-সহায়তা করতে থাকেন।
যে ব্যক্তি জ্ঞান (ইলম) অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন পথ অবলম্বন করে আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে একটি পথ সহজ করে দেবেন।
যখন কোন জনগোষ্ঠী আল্লাহ তায়া’লার কোন ঘরে একত্র হয়ে তাঁর (আল্লাহর) কিতাব অধ্যয়ন করতে থাকে এবং পরস্পর এর আলোচনায় নিরত থাকে, তখন তাদের উপর শান্তি ও স্বস্তি বর্ষিত হতে থাকে।
আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ তাদেরকে ঘিরে নেয়, ফেরেশতারা তাদেরকে ঘেরাও করে নেন এবং আল্লাহ তার দরবারে উপস্থিতদের (ফেরেশতাদের) কাছে তাদের উল্লেখ করেন। বস্তুত যার কার্যকলাপ তাকে পিছিয়ে দেয়, তার বংশ মর্যাদা তাকে এগিয়ে দিতে পারে না।
(মুসলিম)
পড়লাম, ভালো লাগলো এবং আমলে নেবার ইচ্ছে পোষণ করছি।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেনঃ তিনি বারীরাহ ও তার স্বামীর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেনঃ রাসূলে আকরাম ﷺ তাকে (বারীরাকে) বললেনঃ তুমি যদি তাকে (স্বামীকে) পুনরায় গ্রহণ করতে (তাহলে ভালো হতো)।
বারীরাহ বললেন ‘হে আল্লাহর রাসূল! এটা কি আমার প্রতি আপনার নির্দেশ?
তিনি বললেনঃ না, আমি সুপারিশ করছি। তোমাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বারীরাহ বললেনঃ ‘তাহলে তাকে (স্বামীকে) আমার প্রয়োজন নেই।’
(বুখারী)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺবলেনঃ যে বান্দাই অন্য বান্দার দোষ-ত্রুটি এ দুনিয়ায় গোপন রাখবে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।
(মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুবর্ণনা করেন, এক ব্যক্তিকে রাসূলে আকরাম ﷺএর কাছে ধরে নিয়ে আসা হলো। লোকটি মদ পান করেছিল। তিনি আদেশ দিলেনঃ তাকে প্রহার করো। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ তাকে হাত দিয়ে, কেউ জুতা দিয়ে এবং কেউবা কাপড় দিয়ে প্রহার করলো। যখন সে ফিরে যাচ্ছিল কতিপয় ব্যক্তি বলেন, আল্লাহ তোমায় অপদস্থ করেছেন। রাসূলে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এরূপ কথা বলোনা; শয়তানকে তার ওপর বিজয়ী করে দিওনা। (বুখারী)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুএর বর্ণনা মতে রাসূলে আকরাম ﷺবলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের জাগতিক কষ্টগুলোর মধ্য কোন একটি কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার বড় একটি কষ্ট দূর করে দেবেন।
যে ব্যক্তি কোন অভাবীর অভাবজনিত কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার অভাবজনিত কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন।
বান্দাহ যখন তার কোন মুসলিম ভাইয়ের সাহায্য-সহায়তা করতে থাকে, আল্লাহ ও ততক্ষণ তার সাহায্য-সহায়তা করতে থাকেন।
যে ব্যক্তি জ্ঞান (ইলম) অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন পথ অবলম্বন করে আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে একটি পথ সহজ করে দেবেন।
যখন কোন জনগোষ্ঠী আল্লাহ তায়া’লার কোন ঘরে একত্র হয়ে তাঁর (আল্লাহর) কিতাব অধ্যয়ন করতে থাকে এবং পরস্পর এর আলোচনায় নিরত থাকে, তখন তাদের উপর শান্তি ও স্বস্তি বর্ষিত হতে থাকে।
আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ তাদেরকে ঘিরে নেয়, ফেরেশতারা তাদেরকে ঘেরাও করে নেন এবং আল্লাহ তার দরবারে উপস্থিতদের (ফেরেশতাদের) কাছে তাদের উল্লেখ করেন। বস্তুত যার কার্যকলাপ তাকে পিছিয়ে দেয়, তার বংশ মর্যাদা তাকে এগিয়ে দিতে পারে না।
(মুসলিম)
হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেনঃ তিনি বারীরাহ ও তার স্বামীর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেনঃ রাসূলে আকরাম ﷺ তাকে (বারীরাকে) বললেনঃ তুমি যদি তাকে (স্বামীকে) পুনরায় গ্রহণ করতে (তাহলে ভালো হতো)।
বারীরাহ বললেন ‘হে আল্লাহর রাসূল! এটা কি আমার প্রতি আপনার নির্দেশ?
তিনি বললেনঃ না, আমি সুপারিশ করছি। তোমাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বারীরাহ বললেনঃ ‘তাহলে তাকে (স্বামীকে) আমার প্রয়োজন নেই।’
(বুখারী)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺবলেনঃ যে বান্দাই অন্য বান্দার দোষ-ত্রুটি এ দুনিয়ায় গোপন রাখবে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।
(মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুবর্ণনা করেন, এক ব্যক্তিকে রাসূলে আকরাম ﷺএর কাছে ধরে নিয়ে আসা হলো। লোকটি মদ পান করেছিল। তিনি আদেশ দিলেনঃ তাকে প্রহার করো। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ তাকে হাত দিয়ে, কেউ জুতা দিয়ে এবং কেউবা কাপড় দিয়ে প্রহার করলো। যখন সে ফিরে যাচ্ছিল কতিপয় ব্যক্তি বলেন, আল্লাহ তোমায় অপদস্থ করেছেন। রাসূলে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এরূপ কথা বলোনা; শয়তানকে তার ওপর বিজয়ী করে দিওনা। (বুখারী)
জাযাকুমুল্লাহ
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুএর বর্ণনা মতে রাসূলে আকরাম ﷺবলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের জাগতিক কষ্টগুলোর মধ্য কোন একটি কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার বড় একটি কষ্ট দূর করে দেবেন।
যে ব্যক্তি কোন অভাবীর অভাবজনিত কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার অভাবজনিত কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন।
বান্দাহ যখন তার কোন মুসলিম ভাইয়ের সাহায্য-সহায়তা করতে থাকে, আল্লাহ ও ততক্ষণ তার সাহায্য-সহায়তা করতে থাকেন।
যে ব্যক্তি জ্ঞান (ইলম) অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন পথ অবলম্বন করে আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে একটি পথ সহজ করে দেবেন।
যখন কোন জনগোষ্ঠী আল্লাহ তায়া’লার কোন ঘরে একত্র হয়ে তাঁর (আল্লাহর) কিতাব অধ্যয়ন করতে থাকে এবং পরস্পর এর আলোচনায় নিরত থাকে, তখন তাদের উপর শান্তি ও স্বস্তি বর্ষিত হতে থাকে।
আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ তাদেরকে ঘিরে নেয়, ফেরেশতারা তাদেরকে ঘেরাও করে নেন এবং আল্লাহ তার দরবারে উপস্থিতদের (ফেরেশতাদের) কাছে তাদের উল্লেখ করেন। বস্তুত যার কার্যকলাপ তাকে পিছিয়ে দেয়, তার বংশ মর্যাদা তাকে এগিয়ে দিতে পারে না।
(মুসলিম)
জাজাকাল্লাহু খায়রান
হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেনঃ তিনি বারীরাহ ও তার স্বামীর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেনঃ রাসূলে আকরাম ﷺ তাকে (বারীরাকে) বললেনঃ তুমি যদি তাকে (স্বামীকে) পুনরায় গ্রহণ করতে (তাহলে ভালো হতো)।
বারীরাহ বললেন ‘হে আল্লাহর রাসূল! এটা কি আমার প্রতি আপনার নির্দেশ?
তিনি বললেনঃ না, আমি সুপারিশ করছি। তোমাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বারীরাহ বললেনঃ ‘তাহলে তাকে (স্বামীকে) আমার প্রয়োজন নেই।’
(বুখারী)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺবলেনঃ যে বান্দাই অন্য বান্দার দোষ-ত্রুটি এ দুনিয়ায় গোপন রাখবে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।
(মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুবর্ণনা করেন, এক ব্যক্তিকে রাসূলে আকরাম ﷺএর কাছে ধরে নিয়ে আসা হলো। লোকটি মদ পান করেছিল। তিনি আদেশ দিলেনঃ তাকে প্রহার করো। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ তাকে হাত দিয়ে, কেউ জুতা দিয়ে এবং কেউবা কাপড় দিয়ে প্রহার করলো। যখন সে ফিরে যাচ্ছিল কতিপয় ব্যক্তি বলেন, আল্লাহ তোমায় অপদস্থ করেছেন। রাসূলে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এরূপ কথা বলোনা; শয়তানকে তার ওপর বিজয়ী করে দিওনা। (বুখারী)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুএর বর্ণনা মতে রাসূলে আকরাম ﷺবলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের জাগতিক কষ্টগুলোর মধ্য কোন একটি কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার বড় একটি কষ্ট দূর করে দেবেন।
যে ব্যক্তি কোন অভাবীর অভাবজনিত কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার অভাবজনিত কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন।
বান্দাহ যখন তার কোন মুসলিম ভাইয়ের সাহায্য-সহায়তা করতে থাকে, আল্লাহ ও ততক্ষণ তার সাহায্য-সহায়তা করতে থাকেন।
যে ব্যক্তি জ্ঞান (ইলম) অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন পথ অবলম্বন করে আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে একটি পথ সহজ করে দেবেন।
যখন কোন জনগোষ্ঠী আল্লাহ তায়া’লার কোন ঘরে একত্র হয়ে তাঁর (আল্লাহর) কিতাব অধ্যয়ন করতে থাকে এবং পরস্পর এর আলোচনায় নিরত থাকে, তখন তাদের উপর শান্তি ও স্বস্তি বর্ষিত হতে থাকে।
আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ তাদেরকে ঘিরে নেয়, ফেরেশতারা তাদেরকে ঘেরাও করে নেন এবং আল্লাহ তার দরবারে উপস্থিতদের (ফেরেশতাদের) কাছে তাদের উল্লেখ করেন। বস্তুত যার কার্যকলাপ তাকে পিছিয়ে দেয়, তার বংশ মর্যাদা তাকে এগিয়ে দিতে পারে না।
(মুসলিম)
হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেনঃ তিনি বারীরাহ ও তার স্বামীর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেনঃ রাসূলে আকরাম ﷺ তাকে (বারীরাকে) বললেনঃ তুমি যদি তাকে (স্বামীকে) পুনরায় গ্রহণ করতে (তাহলে ভালো হতো)।
বারীরাহ বললেন ‘হে আল্লাহর রাসূল! এটা কি আমার প্রতি আপনার নির্দেশ?
তিনি বললেনঃ না, আমি সুপারিশ করছি। তোমাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বারীরাহ বললেনঃ ‘তাহলে তাকে (স্বামীকে) আমার প্রয়োজন নেই।’
(বুখারী)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺবলেনঃ যে বান্দাই অন্য বান্দার দোষ-ত্রুটি এ দুনিয়ায় গোপন রাখবে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।
(মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুবর্ণনা করেন, এক ব্যক্তিকে রাসূলে আকরাম ﷺএর কাছে ধরে নিয়ে আসা হলো। লোকটি মদ পান করেছিল। তিনি আদেশ দিলেনঃ তাকে প্রহার করো। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ তাকে হাত দিয়ে, কেউ জুতা দিয়ে এবং কেউবা কাপড় দিয়ে প্রহার করলো। যখন সে ফিরে যাচ্ছিল কতিপয় ব্যক্তি বলেন, আল্লাহ তোমায় অপদস্থ করেছেন। রাসূলে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এরূপ কথা বলোনা; শয়তানকে তার ওপর বিজয়ী করে দিওনা। (বুখারী)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুএর বর্ণনা মতে রাসূলে আকরাম ﷺবলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের জাগতিক কষ্টগুলোর মধ্য কোন একটি কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার বড় একটি কষ্ট দূর করে দেবেন।
যে ব্যক্তি কোন অভাবীর অভাবজনিত কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার অভাবজনিত কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন।
বান্দাহ যখন তার কোন মুসলিম ভাইয়ের সাহায্য-সহায়তা করতে থাকে, আল্লাহ ও ততক্ষণ তার সাহায্য-সহায়তা করতে থাকেন।
যে ব্যক্তি জ্ঞান (ইলম) অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন পথ অবলম্বন করে আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে একটি পথ সহজ করে দেবেন।
যখন কোন জনগোষ্ঠী আল্লাহ তায়া’লার কোন ঘরে একত্র হয়ে তাঁর (আল্লাহর) কিতাব অধ্যয়ন করতে থাকে এবং পরস্পর এর আলোচনায় নিরত থাকে, তখন তাদের উপর শান্তি ও স্বস্তি বর্ষিত হতে থাকে।
আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ তাদেরকে ঘিরে নেয়, ফেরেশতারা তাদেরকে ঘেরাও করে নেন এবং আল্লাহ তার দরবারে উপস্থিতদের (ফেরেশতাদের) কাছে তাদের উল্লেখ করেন। বস্তুত যার কার্যকলাপ তাকে পিছিয়ে দেয়, তার বংশ মর্যাদা তাকে এগিয়ে দিতে পারে না।
(মুসলিম)
হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেনঃ তিনি বারীরাহ ও তার স্বামীর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেনঃ রাসূলে আকরাম ﷺ তাকে (বারীরাকে) বললেনঃ তুমি যদি তাকে (স্বামীকে) পুনরায় গ্রহণ করতে (তাহলে ভালো হতো)।
বারীরাহ বললেন ‘হে আল্লাহর রাসূল! এটা কি আমার প্রতি আপনার নির্দেশ?
তিনি বললেনঃ না, আমি সুপারিশ করছি। তোমাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বারীরাহ বললেনঃ ‘তাহলে তাকে (স্বামীকে) আমার প্রয়োজন নেই।’
(বুখারী)
মন্তব্য করতে লগইন করুন