মা..... আমি তোমার রিংকি বলছি
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৮:৩৭:০৫ রাত
মা আমার অনেক ক্ষুধা লেগেছে
আমাকে খাবার দাও ।
আমি সেই কখন থেকে
চিৎকার করে কান্না করছি,
আমায় কোলে তুলে নাও।
.
এ কি!!! মা তুমি কথা বলছোনা কেন ?
অন্যদিন আমি একটু কান্না করলেই
তুমি তোমার সব কাজ ফেলে
ছুটে আমার কাছে আসতে,
আমায় কোলে নিয়ে
কত আদর করতে ।
এটা ওটা খেতে দিতে ,
গান শোনাতে , পাখি দেখাতে।
কিন্তু আজ তুমি এত ঘুমাচ্ছ কেন ?
.
মা চেয়ে দেখ আমি তোমার রিংকি বলছি ।
ও মা.... উঠনা আচ্ছা ঠিক আছে ,
আমি আর কান্না করবনা ,
আর কখনো চাঁদ মামা দেখার জন্য
তোমার কাছে বায়না ধরবনা।
তুমি উঠে আসো।
.
আমি যে এখনো অনেক ছোট ।
মাত্র তোমার হাত ধরে
হাঁটি হাঁটি পা পা করে হাঁটতে শিখেছি।
তুমি যদি এভাবে ঘুমিয়ে থাক
তবে জীবনের কঠিন পথ আমি
কার হাত ধরে হাঁটবো?
.
বাবাকে আমি কোন দিন
ক্ষমা করতে পারবোনা ।
কারন আমিতো দেখেছি
বাবার কত কত অত্যাচার
তুমি মুখ বুঁজে সয়ে গেছ।
ও মা শুধু কি আমার কথা ভেবেই
তুমি সব কিছু নিরবে সইতে ?
.
আমার মাকে তোমরা ফিরিয়ে দাও!
আমি মায়ের কাছে যাব।
আমার মায়ের ঘুম ভাঙ্গিয়ে দাও!!
আমি মায়ের কোলে উঠবো।
তোমরা কেউ কি আমার হাহাকার শুনতে পাচ্ছো ???
[এই লেখাটি অনেক আগের। ২০১২ সালের নভেম্বর মাসের কোন একদিন লিখেছিলাম। তখন এসবি ব্লগ ও আমার বর্ণমালা ব্লগে দিয়েছিলাম। পত্রিকায় এই খবরটি পড়ে তাৎক্ষণিকভাবে এই লিখাটা লিখেছিলাম। এখন কোন পরিবর্তন না করেই আবার দিলাম।
খবরটি ছিল এই রকম যে, যৌতুকের দাবীতে এক পাষণ্ড তার স্ত্রীকে আগুণ দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে। এই দম্পতির একটি মাত্র মেয়ে ছিল। দেড় কি দুই বছর বয়স। এ ছাড়া এখন আর কিছু মনে পড়ছেনা।
এই ঘটনাগুলো সব সময়ই আমদের চারপাশে ঘটে। এই নরপিশাচদের কোন বিচার হয়না....ফলে রিংকীরা মা হারা হয়। যদি আইনের যথাযথ প্রয়োগ হত তবে হয়ত সমাজের কিছুটা পরিবর্তন হত।]
বিষয়: বিবিধ
১৫১২ বার পঠিত, ৪৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দুঃখিত, একমত হতে পারলাম না!
বরং ভালোমানুষেরা দায়িত্বে গাফলতি করে করে সমাজটাকে আজকের অবস্থায় এনেছে!
এখন এর কুফল ভালো-মন্দ সব মানুষেই ভোগ করছে!
তবে মন্দরা মন্দপথে মোকাবেলা করে ভালো থাকার চেষ্টা করছে যেটা ভালোমানুষেরা পারছেনা!
তাই ভালোমানুষদের দুর্গতি বহুগুণ বেশী হবে-
আর এমনটাই আল্লাহতায়ালার ওয়াদাও বটে!
উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ
কবিতা ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
অন্নেক ভালো লাগলো কবিতাটি।
আসতেছি
তার মানে যৌতক গ্রহীতা মুসলিম কিনা সন্ধেহ
তবে আপু, প্রায় ক্ষেত্রেই ছেলেরা মেয়েদের এরকম অনেক কিছুই বলে না, এটা মনে হয় বেশিরভাগ ছেলেদেরই দোষ। আরেকটা ঘটনা শেয়ার করিঃ
একটা ৩/৪ বছরের বাচ্চাকে একটা মা তার বাবার মুখ দেখতে দেয় না আজ ১ বছরের উপরে, শুধু এ কারণে যে, স্বামী যা ইনকাম করে তা কেন তার মায়ের কাছে দেয়; কেনো সে টাকা নিয়ে সে মার্কেটে মার্কেটে সপ্তাহে ৩ দিন স্বামী ছাড়া একা একা ঘুরতে পারবে না বিনা কারণে (বাসায় সব সুযোগ-সুবধা থাকা সত্ত্বেও) সেজেগুজে। এই বাচ্চা ছেলেকে ছেলের বাসা থেকে কেউ দেখতে গেলে আজও সে বলে আমি দাদার বাসায় যাবো, বাবার বাসায় যাবো – আর বাচ্চার মা প্রকাশ্যে বলে দেয় যতোদিন আমাকে টাকা না দিবে আমি যাবো না, ছেলেও যাবে না!
ছেলের বাসা থেকে প্রস্তাব দিয়েছে তবে আলোচনায় আসো, বিচ্ছেদ এর ব্যবস্থা করা হবে, মেয়ে এবং মেয়ের বাপ এখনও অন্যান্যের মাধ্যমে হুমকী দেয় ছেলের নামে মামলা দিবেঃ মেয়ের দাবী না মেনে নিলে! এই ক্ষেত্রে ছেলেটা যা করবে তাও জানি – কোনদিনও মেয়ের দাবী মেনে নিবে না!
এমন বাচ্চারা বাপের কোলে চড়ার বায়না ধরলে যে পাষন্ড মায়ের তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, তারাই মামলা দিতে চায় ছেলের বাপের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে! নিজে শিশু নির্যাতন করতেছে এ নিয়ে সামান্য চিন্তাও নেই তাদের!
আপনি যে কয়টি উদাহরণ উল্লেখ করেছেন এরকম যে আমিও দুই চারটি দেখিনি তা কিন্তু নয়। তবে এটা সার্বজনীন নয়। আমাদের দেশে মেয়েরাই নির্যাতিত হয় বেশি। এটা স্বীকার করুন বা না-ই করুন।
ধন্যবাদ।
খুবই শকড হলাম ঘটনাটি জেনে।
সমাজের এই অবক্ষয় এবং আমাদের নৈতিকতার পদস্খলন কবে বন্ধ হবে??
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ধন্যবাদ।।
মন্তব্য করতে লগইন করুন