ছয় ঋতুর কাব্য
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৭:৫২:৫২ সন্ধ্যা
কাল বৈশাখীর ঝড়ে আমি
এখন আর ভয় পাইনা ,
কারণ হায়েনা শকুনের
অবিরাম চিৎকার সারাদিন ভরে শুনি।
.
আকাশে যখন দেখি মেঘের ঘনঘটা,
আমার মন আনন্দে নেচে উঠে না।
কারণ আমার চারিদিকে অজস্র
নিপীড়িতের হাহাকার ধ্বনি।
.
নদীর পাড়ে থোকা থোকা কাশফুল
অবিরত বাতাসে দোল দিয়ে যায়,
আমার মন তো দোলে না
এক চাপা কান্না বুকে আটকিয়ে রাখি।
.
নবান্নের উৎসবে আমি সামিল হই না কখনো
কেন এ আনন্দ? কেন ফুর্তি?
অভূক্ত মানুষের ক্ষুধাতুর কান্না!
কিভাবে এ কষ্ট ঢাকি ???
.
শীতের আগমনী গান কিংবা
পিঠা পুলির মনকাড়া স্বাদ,
অথবা কুয়াশা ভেজা ভোর
আমাকে আপ্লুত করেনা ,
আমি তো এক কঠিন সময়ে বাস করি।
.
কোকিলের কুহুতান কিংবা
বাহারি ফুলের হাতছানি,
অথবা বর্ণীল প্রজাপতি,
আমার হৃদয়ে হিল্লোল তোলে না,
চারিদিকে সব স্বপ্নেরা যায় ঝরি।
বিষয়: বিবিধ
১৬৫২ বার পঠিত, ৭৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তো...ওবেলায় মুখ গোমড়া করে এখনও এবেলায় হাসছেন না কেন? সব সময় হাসিখুশি থাকবেন ভাইজান। ধন্যবাদ।
খুব ভালো লাগ্লো...
কিন্তু প্রত্যেক ঋতুর আলাদা আলাদা কাব্য লাগবে...
আলাদা আলাদা
সেদিন বসন্ত এসেছিলো, কোকিলের সুমিষ্ট কুহতান আর চাঁদনী রাতের চাঁদোয়া জোস্নার বিচ্ছুরনের মায়াবী আলোড়ন তুলে দিয়ে গেলো!আজ ভালোবাসার আকাশ জুড়েূ উজ্জল পূর্নিমার ছড়াছড়ি!
বহুদিন পর প্রিয় আপুনিকে দেখে সত্যি খুব খুব আনন্দ হচ্ছে ! হারিয়ে যাবেন না প্লিজ
কি ব্যাপার?!?
কি হয়েছে?!?
আপুদের আগমনে আনন্দ প্লাবনে বহিছে নিরবে হৃদয়ের গহীনে খুশির তুফান। ফাতেমা আপা এই বার অভিমান করলে বাসায় গিয়ে উঠব ।
ষড় ঋতুর শুভেচ্ছা আপনাকে
জাজাকাল্লাহু খাইর একটি চমৎকার পোষ্ট দেয়ার জন্য। আপনার জন্য অন্নেক অন্নেক দোয়া ও শুভেচ্ছা রইলো।
but
How realistic !!
কাব্য সুন্দর হয়েছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন