মুত্তাফাকুন আলাইহি-৩১

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ১৯ মে, ২০১৪, ০৪:৩২:০১ বিকাল

মুসলমানদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, তাদের অধিকারসমূহের সুরক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-মায়া ও ভালোবাসা পোষণ-৩

১০৫) হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা অনুসারে রাসূলে আকরাম বলেন,’ তোমাদের কেউই ঈমানদার হতে পারে না যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্যে তা-ই পছন্দ করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।'

১০৬) হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম বলেন,’ এক মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি অধিকার (হক) রয়েছে। সালামের জবাব দেয়া, রুগ্ন ব্যক্তির শুশ্রূষা করা, জানাযার সাথে চলা, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচির জবাব দেয়া (ইয়ারহামুকুল্লাহ বলা)।

(বুখারী ও মুসলিম)

মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় আছেঃ মুসলমানদের পরস্পরের ওপর ছয়টি অধিকার রয়েছে। তুমি যখন তার সাথে সাক্ষাত করবে তাকে সালাম করবে; তোমাকে যখন আমন্ত্রণ জানাবে তা গ্রহণ করবে, যখন তোমার কাছে উপদেশ (পরামর্শ) চাইবে, তাকে উপদেশ দেবে, হাঁচির সময় সে আলহামদুলিল্লাহ বললে, তুমি তার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলবে। যখন সে রুগ্ন হয়ে পড়বে, তাকে দেখতে যাবে এবং যখন সে মারা যাবে, তার জানাযায় শরীক হবে।

১০৭) বারা’আ ইবনে আযেব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম আমাদেরকে সাতটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাতটি বিষয়ে নিষেধ করেছেন। সাতটি নির্দেশ হলো রোগীর খোঁজ-খবর নেয়া, জানাযার অনুসরণ করা, হাঁচির জবাব দেওয়া, শপথ বা প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করা, মজলুমের সাহায্য করা, কেউ দাওয়াত দিলে তা কবুল করা এবং সালামের বহুল প্রচলন করা।

তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়গুলো হলো (পুরুষের জন্যে) স্বর্ণের আংটি পরিধান করা ও তৈরি করা, রূপার পাত্রে পান করা, লাল রংয়ের রেশমের গদীতে বসা, রেশম ও তুলার মিশ্রনে তৈরি কাপড় পরা, রেশমী বস্ত্র ব্যবহার করা, ‘কাচ্ছি’ ও ‘দিবাজ’ নামক রেশমী বস্ত্র পরিধান করা। (‘কাচ্ছি’ হলো রেশম ও তুলার মিশ্রণে তৈরি কাপড় আর ‘দিবাজ’ হলো এক প্রকার রেশমী বস্ত্র।)

অপর এক বর্ণনায়, প্রথম সাতটির মধ্যে শপথ পূর্ণ করার স্থলে হারানো প্রাপ্তির ঘোষণা দেয়ার কথা রয়েছে।

[বুখারী ও মুসলিম]

.

[ রিয়াদুস সালেহীন থেকে সংগৃহিত। হাদিস নং যথাক্রমে-২৩৬,২৩৮ ও ২৩৯]



.

মুত্তাফাকুন আলাইহি-৩০

বিষয়: বিবিধ

১৫২৮ বার পঠিত, ৪৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

223438
১৯ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৮
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : ধন্যবাদ আপু পালনীয় এবং বর্জনীয় বস্তু সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য।
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪২
170923
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন....আমীনPraying
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৭
170932
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ আমি নামাযকে দীর্ঘায়িত করার আগ্রহ নিয়ে নামাযে দাঁড়াই। ইতোমধ্যে (হয়ত) আমি শিশুদের কান্নার আওয়ায শুনতে পাই। এ বিষয়টি মায়েদের অস্থির করে তুলতে পারে ভেবে আমি আমার নামায সংক্ষেপ করে দিই।

(বুখারী
223449
১৯ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৩
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪২
170924
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছিGood Luck
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৭
170933
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি সকালে (ফজরের) নামায আদায় করল, সে আল্লাহর জিম্মায় চলে গেল। (তোমাদের এরূপ অবস্থার মধ্যেই থাকা উচিত)। আল্লাহ যেন তোমাদের কাছ থেকে তাঁর যিম্মার ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব না চান। কেননা তাঁর যিম্মার ব্যাপারে তিনি যাকে পাকড়াও করতে চাইবেন, পাকড়াও করতে পারবেন। তারপর তাকে উপুড় করে জাহান্নামে ছুঁড়ে মারবেন।

(মুসলিম)
223450
১৯ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৩
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : ভালো লাগলো
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪২
170925
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদ Good Luck
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৭
170934
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে না তার সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করতে পারে, না তাকে মিথ্যা বলতে পারে আর না তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে। মূলত প্রত্যেক মুসলমানের মান-সভ্রম, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের ওপর হারাম। (তিনি আপন বক্ষস্থলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেনঃ) তাকওয়া এখানে থাকে। কোন ব্যক্তির নষ্ট হওয়ার জন্যে এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃনা করে, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সচেষ্ট থাকে।

(তিরমিযী)
223468
১৯ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৬
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : ধন্যবাদ।
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৩
170926
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনার জন্যও ধন্যবাদ রইলGood Luck
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৮
170935
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ তোমরা পরস্পরের প্রতি হিংসা পোষণ করো না, নকল ক্রেতা সেজে আসল ক্রেতার সামনে পণ্যের দাম বাড়িও না, ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, একজনের ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর অন্যজন ক্রয়-বিক্রয় করো না। আল্লাহর বান্দাগণ! ‘তোমরা ভাই ভাই হয়ে থাকো। জেনে রাখো, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তাকে না জুলুম করতে পারে, না হীন জ্ঞান করতে পারে অথবা না পারে অপমান অপদস্ত করতে। তাকওয়া এখানেই থাকে। (এ কথাটা তিনি তিনবার বলেন এবং তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করেন) কোন ব্যক্তির খারাপ প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃণা করে কিংবা হীন জ্ঞান করে। বস্তুত প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত (জীবন), ধন-মাল এবং মান-ইজ্জত অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।

(মুসলিম)
223473
১৯ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৬
বিন হারুন লিখেছেন : Rose Rose Rose
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৩
170927
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : Praying Praying Praying
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৮
170936
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেনঃ তোমার ভাইকে সাহায্য করো, চাই সে নিষ্ঠুর জালিম হোক অথবা মজলুম।

এক ব্যক্তি নিবেদন করলো, হে আল্লাহর রাসূল! লোকটা যদি মজলুম হয় আমি তাকে সাহায্য করবো এটা বুঝতে পারলাম; কিন্তু যদি সে জালিম হয় তাহলে আমি তাকে কিভাবে সাহায্য করবো?

তিনি বললেনঃ তাকে জুলুম করা থেকে বিরত রাখ, বাধা দাও। এটাই তাকে সাহায্য করার অর্থ।

(বুখারী)
223509
১৯ মে ২০১৪ রাত ০৯:১৬
টোকাই বাবু লিখেছেন : Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৫
170928
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : Praying Praying Praying Praying Praying PrayingPraying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৮
170937
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :


হযরত আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ আমি নামাযকে দীর্ঘায়িত করার আগ্রহ নিয়ে নামাযে দাঁড়াই। ইতোমধ্যে (হয়ত) আমি শিশুদের কান্নার আওয়ায শুনতে পাই। এ বিষয়টি মায়েদের অস্থির করে তুলতে পারে ভেবে আমি আমার নামায সংক্ষেপ করে দিই।

(বুখারী)

223537
১৯ মে ২০১৪ রাত ১১:২৭
আফরা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খাইরান ।
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৫
170929
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৯
170938
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি সকালে (ফজরের) নামায আদায় করল, সে আল্লাহর জিম্মায় চলে গেল। (তোমাদের এরূপ অবস্থার মধ্যেই থাকা উচিত)। আল্লাহ যেন তোমাদের কাছ থেকে তাঁর যিম্মার ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব না চান। কেননা তাঁর যিম্মার ব্যাপারে তিনি যাকে পাকড়াও করতে চাইবেন, পাকড়াও করতে পারবেন। তারপর তাকে উপুড় করে জাহান্নামে ছুঁড়ে মারবেন।

(মুসলিম
223575
২০ মে ২০১৪ রাত ০৪:০৮
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : শোকরিয়া।
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৫
170930
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদGood Luck
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৯
170939
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে না তার সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করতে পারে, না তাকে মিথ্যা বলতে পারে আর না তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে। মূলত প্রত্যেক মুসলমানের মান-সভ্রম, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের ওপর হারাম। (তিনি আপন বক্ষস্থলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেনঃ) তাকওয়া এখানে থাকে। কোন ব্যক্তির নষ্ট হওয়ার জন্যে এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃনা করে, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সচেষ্ট থাকে।

(তিরমিযী
223590
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৫:৫৭
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Rose Rose Good Luck Good Luck Rose Rose অন্নেক ভালো লাগলো Good Luck Good Luck যাজাকাল্লাহু খাইর।
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৪৬
170931
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying Praying Praying
২০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৫০
170940
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ তোমরা পরস্পরের প্রতি হিংসা পোষণ করো না, নকল ক্রেতা সেজে আসল ক্রেতার সামনে পণ্যের দাম বাড়িও না, ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, একজনের ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর অন্যজন ক্রয়-বিক্রয় করো না। আল্লাহর বান্দাগণ! ‘তোমরা ভাই ভাই হয়ে থাকো। জেনে রাখো, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তাকে না জুলুম করতে পারে, না হীন জ্ঞান করতে পারে অথবা না পারে অপমান অপদস্ত করতে। তাকওয়া এখানেই থাকে। (এ কথাটা তিনি তিনবার বলেন এবং তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করেন) কোন ব্যক্তির খারাপ প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃণা করে কিংবা হীন জ্ঞান করে। বস্তুত প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত (জীবন), ধন-মাল এবং মান-ইজ্জত অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।

(মুসলিম)
১০
223913
২০ মে ২০১৪ রাত ০৯:৩২
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩১
172213
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনার জন্যও ধন্যবাদ রইলো....Good Luck Good Luck Good Luck
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৪
172219
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেনঃ তোমার ভাইকে সাহায্য করো, চাই সে নিষ্ঠুর জালিম হোক অথবা মজলুম।

এক ব্যক্তি নিবেদন করলো, হে আল্লাহর রাসূল! লোকটা যদি মজলুম হয় আমি তাকে সাহায্য করবো এটা বুঝতে পারলাম; কিন্তু যদি সে জালিম হয় তাহলে আমি তাকে কিভাবে সাহায্য করবো?

তিনি বললেনঃ তাকে জুলুম করা থেকে বিরত রাখ, বাধা দাও। এটাই তাকে সাহায্য করার অর্থ।

(বুখারী)
১১
224393
২১ মে ২০১৪ রাত ১০:৪৩
নিঝুমদ্বীপের রাজকন্যা লিখেছেন : আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে মুসলিম হিসেবে পালনীয় হক সমূহ আদায় করার তাওফীক দিন। আমীন। জাযাকিল্লাহ আপুজ্বী।
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩১
172214
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৪
172220
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ আমি নামাযকে দীর্ঘায়িত করার আগ্রহ নিয়ে নামাযে দাঁড়াই। ইতোমধ্যে (হয়ত) আমি শিশুদের কান্নার আওয়ায শুনতে পাই। এ বিষয়টি মায়েদের অস্থির করে তুলতে পারে ভেবে আমি আমার নামায সংক্ষেপ করে দিই।

(বুখারী)
১২
224400
২১ মে ২০১৪ রাত ১০:৫০
ভিশু লিখেছেন : খুব ভালো লাগ্লো...Happy Good Luck
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩২
172216
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদ......দীর্ঘ বিরতি নিলেন মনে হয়Happy
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৪
172221
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি সকালে (ফজরের) নামায আদায় করল, সে আল্লাহর জিম্মায় চলে গেল। (তোমাদের এরূপ অবস্থার মধ্যেই থাকা উচিত)। আল্লাহ যেন তোমাদের কাছ থেকে তাঁর যিম্মার ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব না চান। কেননা তাঁর যিম্মার ব্যাপারে তিনি যাকে পাকড়াও করতে চাইবেন, পাকড়াও করতে পারবেন। তারপর তাকে উপুড় করে জাহান্নামে ছুঁড়ে মারবেন।

(মুসলিম)
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৪
172226
ভিশু লিখেছেন : অন্নেক শুকরিয়া মনে রাখার জন্য...Happy Good Luck
১৩
224626
২২ মে ২০১৪ দুপুর ০২:১৬
আবু বকর সিদ্দিক লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ Rose Rose Rose
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৩
172217
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ দিলাম....Good Luck Good Luck Good Luck
২৩ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৫
172223
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে না তার সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করতে পারে, না তাকে মিথ্যা বলতে পারে আর না তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে। মূলত প্রত্যেক মুসলমানের মান-সভ্রম, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের ওপর হারাম। (তিনি আপন বক্ষস্থলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেনঃ) তাকওয়া এখানে থাকে। কোন ব্যক্তির নষ্ট হওয়ার জন্যে এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃনা করে, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সচেষ্ট থাকে।

(তিরমিযী)
১৪
226005
২৫ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩২
আলোকিত প্রদীপ লিখেছেন : শুকরিয়া... আল্লাহ আপনাকে উত্তম পুরষ্কার দিন। Rose Rose Rose
২৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৫
173041
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনার জন্যও একই দুয়া রইলোPraying
২৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৯
173044
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ তোমরা পরস্পরের প্রতি হিংসা পোষণ করো না, নকল ক্রেতা সেজে আসল ক্রেতার সামনে পণ্যের দাম বাড়িও না, ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, একজনের ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর অন্যজন ক্রয়-বিক্রয় করো না। আল্লাহর বান্দাগণ! ‘তোমরা ভাই ভাই হয়ে থাকো। জেনে রাখো, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তাকে না জুলুম করতে পারে, না হীন জ্ঞান করতে পারে অথবা না পারে অপমান অপদস্ত করতে। তাকওয়া এখানেই থাকে। (এ কথাটা তিনি তিনবার বলেন এবং তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করেন) কোন ব্যক্তির খারাপ প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃণা করে কিংবা হীন জ্ঞান করে। বস্তুত প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত (জীবন), ধন-মাল এবং মান-ইজ্জত অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।

(মুসলিম)
১৫
227106
২৭ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৩
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। অনেক সাহিত্যর মাঝে আজকে কয়েকটি হাদিসও পড়া হয়ে গেল। জাজাকাল্লাহু খায়ের।
০১ জুন ২০১৪ রাত ০৯:১০
175917
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
০১ জুন ২০১৪ রাত ০৯:১২
175920
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেনঃ তোমার ভাইকে সাহায্য করো, চাই সে নিষ্ঠুর জালিম হোক অথবা মজলুম।

এক ব্যক্তি নিবেদন করলো, হে আল্লাহর রাসূল! লোকটা যদি মজলুম হয় আমি তাকে সাহায্য করবো এটা বুঝতে পারলাম; কিন্তু যদি সে জালিম হয় তাহলে আমি তাকে কিভাবে সাহায্য করবো?

তিনি বললেনঃ তাকে জুলুম করা থেকে বিরত রাখ, বাধা দাও। এটাই তাকে সাহায্য করার অর্থ।

(বুখারী)
১৬
228204
৩০ মে ২০১৪ রাত ০২:০৭
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু আপু। আল্লাহ্‌ আমাদের আমল করার তৌফিক দিন Praying Praying Rose Rose Good Luck
০১ জুন ২০১৪ রাত ০৯:১০
175918
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
০১ জুন ২০১৪ রাত ০৯:১২
175921
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ আমি নামাযকে দীর্ঘায়িত করার আগ্রহ নিয়ে নামাযে দাঁড়াই। ইতোমধ্যে (হয়ত) আমি শিশুদের কান্নার আওয়ায শুনতে পাই। এ বিষয়টি মায়েদের অস্থির করে তুলতে পারে ভেবে আমি আমার নামায সংক্ষেপ করে দিই।

(বুখারী)

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File