আলোকিত সিরাতুল মুস্তাকীম
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ১৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:৫৮:৪১ রাত
যখন আমি অন্ধকারে
কোন মেঠো পথ দিয়ে হেঁটে যাই,
অথবা কোন বুনোঝোপের
পাশ দিয়ে ধীরপায়ে চলি,
অসংখ্য জোনাকির
ঝিকিমিকি করে জ্বলা নেভা দেখে
মনের গহীনে কেমন জানি
রিমঝিম করে সেতার বেজে ওঠে।
আহা! আমি যদি ঐ জোনাকিগুলোর মতই
মিটি মিটি আলো ছড়াতে পারতাম!
তবে হয়ত কোন পথহারা পথিক
আমার মিটি মিটি আলোয়
পথ চিনে নিতে পারত!
.
ঐ যে দেখো!
বাতিঘর তার উজ্জ্বল আলো দিয়ে
কত দূর দূরান্তের নৌযানকে
সঠিক পথের সন্ধান দেয়,
আমার অ-নে-ক দিনের সাধ
আমি একটি বাতিঘর হব,
এদিক সেদিক ছুটে চলা
মানুষদের সঠিক সরল পথ চিনিয়ে দেব।
কিন্তু হায়! আমি নিজেই যে
সেই পথের সন্ধানে আছি।
.
রাতের আকাশে চাঁদ তারার অপূর্ব সমাবেশ দেখে
মনের কোনে উঁকি দেয় একটি ছোট্ট আশা,
আমিও যদি দূর আকাশের
ঐ চাঁদের মত, তারার মত
স্নিগ্ধ আলোয় ভুবন ভরিয়ে দিতে পারতাম!
যারা আলোহীন তাদের জীবনেও যদি
একটু মায়াবী আলোর পরশ
বুলিয়ে দিতে পারতাম!!
.
খুব ভোরে মিষ্টি আলোর কিরণ ছড়িয়ে
ঝলমল করে সূর্যটা হেসে ওঠে।
তারপর ধীরেধীরে তার আলোর প্রখরতা বাড়ে।
সেই প্রখরতার কত অবদান
তা যে বলে শেষ করা যায়না!
আচ্ছা! আমি কি পারিনা
এরূপ প্রখর আলোকছটা দিয়ে
সেই মানুষগুলোকে আলোকিত করতে?
যারা আলোর পথের সন্ধান জানেনা!
.
কী এক হাহাকার আমার মাঝে!
আমি পারছিনা কেন???
.
আচ্ছা! আমি এত বোকা কেন???
আমি কোথায় আলো খুঁজে মরছি?
আমার খুব কাছে অফুরন্ত আলোর
এক ঝর্ণাধারা আছে!!!
.
আমার মহান প্রভু আমাকে সেই আলোর ঝর্ণায়
অবগাহন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সেই আলোকে চিনে নেয়ার জন্য
যুগে যুগে কতইনা পথপ্রদর্শক পাঠিয়েছেন।
.
তবু কেন আমি বিভ্রান্ত, পথহারা?
সেই আলো মিটমিট করে জ্বলেনা।
দশদিক উদ্ভাসিত করা
সেই চিরন্তন আলো চির প্রজ্জলিত।
সেই আলো থেকে আলো নিয়ে
আমরা নিজেরাও আলোকিত হতে পারি
তেমনি অসংখ্য মানুষকে আলোকিত করতে পারি,
আলোর পথ চিনাতে পারি।
একদিন তারাও অন্যদেরকে এই আলোর পথে
হাতছানি দিয়ে ডাকবে-
যা আমাদের জন্য হবে সাদকায়ে জারিয়া।
.
মহান প্রভুর কাছে আমি সকাতরে প্রার্থনা জানাই
হে প্রভু! তুমি আমাকে সেই আলোর পথে রেখ!
সেই সহজ সরল পথের ওপর
আমাকে তুমি আজীবন চলার তাওফিক দিও।
যদি কখনও পা পিছলে ভুল পথে চলে যাই
তবে আবার আলোর পথে তুলে এনে
আমাকে কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছে দিও।
বিষয়: বিবিধ
১৬৫২ বার পঠিত, ৮১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হে প্রভু! তুমি আমাকে সেই আলোর পথে রেখ!
সেই সহজ সরল পথের ওপর আমাকে তুমি আজীবন চলার তাওফিক দিও আমিন
বাতিঘর তার উজ্জ্বল আলো দিয়ে
কত দূর দূরান্তের নৌযানকে
সঠিক পথের সন্ধান দেয়,
আমার অ-নে-ক দিনের সাধ
আমি একটি বাতিঘর হব,
এদিক সেদিক ছুটে চলা
মানুষদের সঠিক সরল পথ চিনিয়ে দেব।
”
অসাধারণ লিখেছো খাপু (খালামণি+আপু, এটা বইয়ের পাতায় রোদের আলো আপির দেয়া নাম)
তোমাকে কি বলে ডাকবো বলে দাও, নইলেই খাপুই ভরসা
অনেক ধন্যবাদ।
খাপু!!!!
খাপুর ব্যাখ্যা হারিকেন ও পেন্সিলের কাছে
এটা একটা আদুরে নাম। আমাদের আদরের খাপুর লক্বব
জাজাকাল্লাহ আপু।অনেক সুন্দর লিখেছেন।দোয়া করবেন আমার জন্য
আমার কোন দোষ নাই লসিনপে (পেনসিল) কে নকল করলাম মাত্র। :P
মনের কোনে উঁকি দেয় একটি ছোট্ট আশা,
আমিও যদি দূর আকাশের
ঐ চাঁদের মত, তারার মত
স্নিগ্ধ আলোয় ভুবন ভরিয়ে দিতে পারতাম!
যারা আলোহীন তাদের জীবনেও যদি
একটু মায়াবী আলোর পরশ
বুলিয়ে দিতে পারতাম!!
অসাধারণ . . . .ওই আপু কেমনে করে, কিভাবে লিহেন???
ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। সিরাতাল লাযীনা আন্ আমতা আলাইহিম। গাইরিল মাগদুবি আলাইহি ওয়ালদোয়াল্লীন। (আমীন)
যেমন এগিয়ে যাচ্ছে ভার্চুয়াল জীবনে। বাস্তব জীবন হোক তার চেয়েও আলোকিত ।
জাজাকাল্লাহ খাইরান খাপুজী ।
এই দুর্মূল্যের বাজারে তোমার অবৈতনিক চাকুরিটা হারাতে চাও...জুনিয়র!!???
মন্তব্য করতে লগইন করুন