মুত্তাফাকুন আলাইহি-২৯
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ২২ মার্চ, ২০১৪, ১২:৫৭:২৮ দুপুর
মুসলমানদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, তাদের অধিকারসমূহের সুরক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-মায়া ও ভালোবাসা পোষণ-১
৯৫) হযরত আবু মূসা আশ’আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন; রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, ‘এক মুমিন অন্য মুমিনের জন্য দেয়াল স্বরূপ। এর এক অংশ অপর অংশকে শক্তিমান করে।’ এ কথা বলার সময় তিনি (রাসূলে আকরামﷺ) এক হাতের আঙ্গুলি অন্য হাতের অঙ্গুলির ফাঁকে ঢুকিয়ে দেখান।
৯৬) হযরত আবু মূসা আশ’আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺবলেন,’ কোন ব্যক্তি যদি আমাদের মসজিদ কিংবা বাজারগুলো অতিক্রম করার সময় তার সাথে যদি তীর থাকে তবে সে যেন তার অগ্রভাগ সাবধানে অথবা হাতের মুঠায় রাখে। তাহলে কোন মুসলমানের দেহে আঘাত লাগার ভয় থাকবে না।
৯৭) হযরত নূ’মান ইবনে বশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন,’পারস্পারিক ভালোবাসা, দয়া-মায়া ও স্নেহ-মমতার দিক থেকে গোটা মুসলিম সমাজ একটি দেহের সমতুল্য। যদি দেহের কোন বিশেষ অঙ্গ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাহলে অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও তা অনুভূত হয়; সেটা জাগ্রত অবস্থায়ই হোক কিংবা জ্বরাক্রান্ত অবস্থায় (অর্থ্যাৎ সর্বাবস্থায় একে অপরের সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়)।
৯৮) হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একদা রাসূলে আকরামﷺ হাসান ইবনে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে চুমু খেলেন। তখন আকরা’ ইবনে হাবেস রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর কাছেই ছিলেন। আকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু ’ বললেন,’ আমার দশটি ছেলে আছে। কিন্তু আমি কখনও তাদের কাউকে চুমু খাইনি। রাসূলে আকরাম ﷺ তার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘যে ব্যক্তি দয়া প্রদর্শন করে না, সে দয়ার যোগ্য হতে পারে না।’
৯৯) হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, (একদা) কতিপয় আরব বেদুঈন রাসূলে আকরাম ﷺএর কাছে এল। তারা জিজ্ঞেস করল,’আপনারা কি আপনাদের ছোট শিশুদের চুমু দেন?’ তিনি বললেন,’ হ্যাঁ।’ তারা বললো,’ আল্লাহর কসম! আমরা কিন্তু শিশুদের চুমো দেই না।’ রাসূলে আকরামﷺ বললেন,’ আল্লাহ যদি তোমাদের অন্তর থেকে রহমত ও দয়া-মায়া তুলে নিয়ে নেন, তাহলে আমি কি তার মালিক বা জিম্মাদার হতে পারি?’
[বুখারী ও মুসলিম]
.
[ রিয়াদুস সালেহীন থেকে সংগৃহিত। হাদিস নং যথাক্রমে-২২২,২২৩,২২৪,২২৫ ও ২২৬]
মুত্তাফাকুন আলাইহি-২৮
বিষয়: বিবিধ
১২৬০ বার পঠিত, ৬৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকিল্লাহ আপুমণি।
বারাকাল্লাহু ফীক
হযরত আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ আমি নামাযকে দীর্ঘায়িত করার আগ্রহ নিয়ে নামাযে দাঁড়াই। ইতোমধ্যে (হয়ত) আমি শিশুদের কান্নার আওয়ায শুনতে পাই। এ বিষয়টি মায়েদের অস্থির করে তুলতে পারে ভেবে আমি আমার নামায সংক্ষেপ করে দিই।
(বুখারী)
হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি সকালে (ফজরের) নামায আদায় করল, সে আল্লাহর জিম্মায় চলে গেল। (তোমাদের এরূপ অবস্থার মধ্যেই থাকা উচিত)। আল্লাহ যেন তোমাদের কাছ থেকে তাঁর যিম্মার ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব না চান। কেননা তাঁর যিম্মার ব্যাপারে তিনি যাকে পাকড়াও করতে চাইবেন, পাকড়াও করতে পারবেন। তারপর তাকে উপুড় করে জাহান্নামে ছুঁড়ে মারবেন।
(মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে না তার সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করতে পারে, না তাকে মিথ্যা বলতে পারে আর না তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে। মূলত প্রত্যেক মুসলমানের মান-সভ্রম, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের ওপর হারাম। (তিনি আপন বক্ষস্থলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেনঃ) তাকওয়া এখানে থাকে। কোন ব্যক্তির নষ্ট হওয়ার জন্যে এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃনা করে, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সচেষ্ট থাকে।
(তিরমিযী)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ তোমরা পরস্পরের প্রতি হিংসা পোষণ করো না, নকল ক্রেতা সেজে আসল ক্রেতার সামনে পণ্যের দাম বাড়িও না, ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, একজনের ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর অন্যজন ক্রয়-বিক্রয় করো না। আল্লাহর বান্দাগণ! ‘তোমরা ভাই ভাই হয়ে থাকো। জেনে রাখো, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তাকে না জুলুম করতে পারে, না হীন জ্ঞান করতে পারে অথবা না পারে অপমান অপদস্ত করতে। তাকওয়া এখানেই থাকে। (এ কথাটা তিনি তিনবার বলেন এবং তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করেন) কোন ব্যক্তির খারাপ প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃণা করে কিংবা হীন জ্ঞান করে। বস্তুত প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত (জীবন), ধন-মাল এবং মান-ইজ্জত অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।
(মুসলিম)
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেনঃ তোমার ভাইকে সাহায্য করো, চাই সে নিষ্ঠুর জালিম হোক অথবা মজলুম।
এক ব্যক্তি নিবেদন করলো, হে আল্লাহর রাসূল! লোকটা যদি মজলুম হয় আমি তাকে সাহায্য করবো এটা বুঝতে পারলাম; কিন্তু যদি সে জালিম হয় তাহলে আমি তাকে কিভাবে সাহায্য করবো?
তিনি বললেনঃ তাকে জুলুম করা থেকে বিরত রাখ, বাধা দাও। এটাই তাকে সাহায্য করার অর্থ।
(বুখারী)
হযরত আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ আমি নামাযকে দীর্ঘায়িত করার আগ্রহ নিয়ে নামাযে দাঁড়াই। ইতোমধ্যে (হয়ত) আমি শিশুদের কান্নার আওয়ায শুনতে পাই। এ বিষয়টি মায়েদের অস্থির করে তুলতে পারে ভেবে আমি আমার নামায সংক্ষেপ করে দিই।
(বুখারী)
হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি সকালে (ফজরের) নামায আদায় করল, সে আল্লাহর জিম্মায় চলে গেল। (তোমাদের এরূপ অবস্থার মধ্যেই থাকা উচিত)। আল্লাহ যেন তোমাদের কাছ থেকে তাঁর যিম্মার ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব না চান। কেননা তাঁর যিম্মার ব্যাপারে তিনি যাকে পাকড়াও করতে চাইবেন, পাকড়াও করতে পারবেন। তারপর তাকে উপুড় করে জাহান্নামে ছুঁড়ে মারবেন।
(মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে না তার সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করতে পারে, না তাকে মিথ্যা বলতে পারে আর না তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে। মূলত প্রত্যেক মুসলমানের মান-সভ্রম, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের ওপর হারাম। (তিনি আপন বক্ষস্থলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেনঃ) তাকওয়া এখানে থাকে। কোন ব্যক্তির নষ্ট হওয়ার জন্যে এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃনা করে, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সচেষ্ট থাকে।
(তিরমিযী)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ তোমরা পরস্পরের প্রতি হিংসা পোষণ করো না, নকল ক্রেতা সেজে আসল ক্রেতার সামনে পণ্যের দাম বাড়িও না, ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, একজনের ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর অন্যজন ক্রয়-বিক্রয় করো না। আল্লাহর বান্দাগণ! ‘তোমরা ভাই ভাই হয়ে থাকো। জেনে রাখো, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তাকে না জুলুম করতে পারে, না হীন জ্ঞান করতে পারে অথবা না পারে অপমান অপদস্ত করতে। তাকওয়া এখানেই থাকে। (এ কথাটা তিনি তিনবার বলেন এবং তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করেন) কোন ব্যক্তির খারাপ প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃণা করে কিংবা হীন জ্ঞান করে। বস্তুত প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত (জীবন), ধন-মাল এবং মান-ইজ্জত অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।
(মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ তোমরা পরস্পরের প্রতি হিংসা পোষণ করো না, নকল ক্রেতা সেজে আসল ক্রেতার সামনে পণ্যের দাম বাড়িও না, ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, একজনের ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর অন্যজন ক্রয়-বিক্রয় করো না। আল্লাহর বান্দাগণ! ‘তোমরা ভাই ভাই হয়ে থাকো। জেনে রাখো, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তাকে না জুলুম করতে পারে, না হীন জ্ঞান করতে পারে অথবা না পারে অপমান অপদস্ত করতে। তাকওয়া এখানেই থাকে। (এ কথাটা তিনি তিনবার বলেন এবং তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করেন) কোন ব্যক্তির খারাপ প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃণা করে কিংবা হীন জ্ঞান করে। বস্তুত প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত (জীবন), ধন-মাল এবং মান-ইজ্জত অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।
(মুসলিম)
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেনঃ তোমার ভাইকে সাহায্য করো, চাই সে নিষ্ঠুর জালিম হোক অথবা মজলুম।
এক ব্যক্তি নিবেদন করলো, হে আল্লাহর রাসূল! লোকটা যদি মজলুম হয় আমি তাকে সাহায্য করবো এটা বুঝতে পারলাম; কিন্তু যদি সে জালিম হয় তাহলে আমি তাকে কিভাবে সাহায্য করবো?
তিনি বললেনঃ তাকে জুলুম করা থেকে বিরত রাখ, বাধা দাও। এটাই তাকে সাহায্য করার অর্থ।
(বুখারী)
বারাকাল্লাহু ফীক
হযরত আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ আমি নামাযকে দীর্ঘায়িত করার আগ্রহ নিয়ে নামাযে দাঁড়াই। ইতোমধ্যে (হয়ত) আমি শিশুদের কান্নার আওয়ায শুনতে পাই। এ বিষয়টি মায়েদের অস্থির করে তুলতে পারে ভেবে আমি আমার নামায সংক্ষেপ করে দিই।
(বুখারী)
হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি সকালে (ফজরের) নামায আদায় করল, সে আল্লাহর জিম্মায় চলে গেল। (তোমাদের এরূপ অবস্থার মধ্যেই থাকা উচিত)। আল্লাহ যেন তোমাদের কাছ থেকে তাঁর যিম্মার ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব না চান। কেননা তাঁর যিম্মার ব্যাপারে তিনি যাকে পাকড়াও করতে চাইবেন, পাকড়াও করতে পারবেন। তারপর তাকে উপুড় করে জাহান্নামে ছুঁড়ে মারবেন।
(মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে না তার সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করতে পারে, না তাকে মিথ্যা বলতে পারে আর না তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে। মূলত প্রত্যেক মুসলমানের মান-সভ্রম, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের ওপর হারাম। (তিনি আপন বক্ষস্থলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেনঃ) তাকওয়া এখানে থাকে। কোন ব্যক্তির নষ্ট হওয়ার জন্যে এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃনা করে, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সচেষ্ট থাকে।
(তিরমিযী)
আপনি শুধু সওয়াব কুড়াতেই আছেন, কুড়াতেই আছেন। হা হা হা।
যাইহোক,আল্লাহ রাব্বুলআলামিনের কাছে প্রার্থনা রইল আপনাকে যেন এর উত্তম প্রতিদান দান করেন। দোয়াতে মনে রাখবেন, অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ তোমরা পরস্পরের প্রতি হিংসা পোষণ করো না, নকল ক্রেতা সেজে আসল ক্রেতার সামনে পণ্যের দাম বাড়িও না, ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, একজনের ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর অন্যজন ক্রয়-বিক্রয় করো না। আল্লাহর বান্দাগণ! ‘তোমরা ভাই ভাই হয়ে থাকো। জেনে রাখো, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তাকে না জুলুম করতে পারে, না হীন জ্ঞান করতে পারে অথবা না পারে অপমান অপদস্ত করতে। তাকওয়া এখানেই থাকে। (এ কথাটা তিনি তিনবার বলেন এবং তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করেন) কোন ব্যক্তির খারাপ প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃণা করে কিংবা হীন জ্ঞান করে। বস্তুত প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত (জীবন), ধন-মাল এবং মান-ইজ্জত অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।
(মুসলিম)
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেনঃ তোমার ভাইকে সাহায্য করো, চাই সে নিষ্ঠুর জালিম হোক অথবা মজলুম।
এক ব্যক্তি নিবেদন করলো, হে আল্লাহর রাসূল! লোকটা যদি মজলুম হয় আমি তাকে সাহায্য করবো এটা বুঝতে পারলাম; কিন্তু যদি সে জালিম হয় তাহলে আমি তাকে কিভাবে সাহায্য করবো?
তিনি বললেনঃ তাকে জুলুম করা থেকে বিরত রাখ, বাধা দাও। এটাই তাকে সাহায্য করার অর্থ।
(বুখারী)
হযরত আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ আমি নামাযকে দীর্ঘায়িত করার আগ্রহ নিয়ে নামাযে দাঁড়াই। ইতোমধ্যে (হয়ত) আমি শিশুদের কান্নার আওয়ায শুনতে পাই। এ বিষয়টি মায়েদের অস্থির করে তুলতে পারে ভেবে আমি আমার নামায সংক্ষেপ করে দিই।
(বুখারী)
হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি সকালে (ফজরের) নামায আদায় করল, সে আল্লাহর জিম্মায় চলে গেল। (তোমাদের এরূপ অবস্থার মধ্যেই থাকা উচিত)। আল্লাহ যেন তোমাদের কাছ থেকে তাঁর যিম্মার ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব না চান। কেননা তাঁর যিম্মার ব্যাপারে তিনি যাকে পাকড়াও করতে চাইবেন, পাকড়াও করতে পারবেন। তারপর তাকে উপুড় করে জাহান্নামে ছুঁড়ে মারবেন।
(মুসলিম)
দেয়ালের হাদীসটি আগে পড়া হয়নি!
জাযাকাল্লাহ খাইরান!
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে না তার সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করতে পারে, না তাকে মিথ্যা বলতে পারে আর না তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে। মূলত প্রত্যেক মুসলমানের মান-সভ্রম, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের ওপর হারাম। (তিনি আপন বক্ষস্থলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেনঃ) তাকওয়া এখানে থাকে। কোন ব্যক্তির নষ্ট হওয়ার জন্যে এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃনা করে, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সচেষ্ট থাকে।
(তিরমিযী)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ তোমরা পরস্পরের প্রতি হিংসা পোষণ করো না, নকল ক্রেতা সেজে আসল ক্রেতার সামনে পণ্যের দাম বাড়িও না, ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, একজনের ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর অন্যজন ক্রয়-বিক্রয় করো না। আল্লাহর বান্দাগণ! ‘তোমরা ভাই ভাই হয়ে থাকো। জেনে রাখো, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তাকে না জুলুম করতে পারে, না হীন জ্ঞান করতে পারে অথবা না পারে অপমান অপদস্ত করতে। তাকওয়া এখানেই থাকে। (এ কথাটা তিনি তিনবার বলেন এবং তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করেন) কোন ব্যক্তির খারাপ প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলমান ভাইকে ঘৃণা করে কিংবা হীন জ্ঞান করে। বস্তুত প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত (জীবন), ধন-মাল এবং মান-ইজ্জত অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।
(মুসলিম)
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেনঃ তোমার ভাইকে সাহায্য করো, চাই সে নিষ্ঠুর জালিম হোক অথবা মজলুম।
এক ব্যক্তি নিবেদন করলো, হে আল্লাহর রাসূল! লোকটা যদি মজলুম হয় আমি তাকে সাহায্য করবো এটা বুঝতে পারলাম; কিন্তু যদি সে জালিম হয় তাহলে আমি তাকে কিভাবে সাহায্য করবো?
তিনি বললেনঃ তাকে জুলুম করা থেকে বিরত রাখ, বাধা দাও। এটাই তাকে সাহায্য করার অর্থ।
(বুখারী)
হযরত আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেনঃ আমি নামাযকে দীর্ঘায়িত করার আগ্রহ নিয়ে নামাযে দাঁড়াই। ইতোমধ্যে (হয়ত) আমি শিশুদের কান্নার আওয়ায শুনতে পাই। এ বিষয়টি মায়েদের অস্থির করে তুলতে পারে ভেবে আমি আমার নামায সংক্ষেপ করে দিই।
(বুখারী)
মন্তব্য করতে লগইন করুন