মুত্তাফাকুন আলাইহি-২৮

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ০২ মার্চ, ২০১৪, ০৭:০৫:১৯ সন্ধ্যা

জুলুম করা হারাম এবং জুলুম প্রতিরোধ করার নির্দেশ-৩

৯৩) হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম বলেন, ‘আল্লাহ যেদিন আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেন, সেদিন থেকেই যুগ বা কাল নির্দিষ্ট ধারায় আবর্তন করছে। অর্থ্যাৎ এক বছরে বারো মাস, যার মধ্যে চারটি হলো নিষিদ্ধ মাস এর তিনটি পর পর আসে। যেমন যিলক্কাদ, যিলহাজ্জ ও মুহাররম এবং মুদার গোত্রের রজব মাস যা জামাদিউস সানী ও শাবান মাসের মাঝখানে অবস্থিত। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটি কোন্ মাস?’

আমরা বললাম, ‘আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই এটা ভালো জানেন।’

এ জবাব শুনে তিনি নিশ্চুপ হয়ে গেলেন। আমরা মনে করলাম, তিনি হয়ত এর নতুন কোন নামকরণ করবেন। কিন্তু তিনি জিজ্ঞেস করলেন,’ এটা কি যিলহাজ্জ মাস নয়? আমরা বললা্‌ ‘হ্যাঁ’।

তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন,’ এটা কোন শহর?’

আমরা বললাম,’ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই এটা ভালো জানেন।’

এ জবাব শুনে তিনি নিশ্চুপ হয়ে গেলেন। আমরা মনে করলাম, তিনি হয়ত এর নতুন কোন নামকরণ করবেন।

তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা কি (মক্কা) শহর নয়?’

আমরা জবাব দিলাম ‘হ্যাঁ’।

তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা কোন্‌ দিন?’

আমরা বললাম,’ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই এটা ভালো জানেন।’

এ জবাব শুনে তিনি নিশ্চুপ হয়ে গেলেন। আমরা মনে করলাম, তিনি হয়ত এর নতুন কোন নামকরণ করবেন।

তিনি আবার প্রশ্ন করলেন,’ এটা কি কুরবানীর দিন নয়?’

জবাবে আমরা বললাম, ‘হ্যাঁ।’

এরপর তিনি বললেন,’ তোমাদের আজকের এই দিনটি যেমন পবিত্র, তোমাদের শহরটি যেমন পবিত্র এবং তোমাদের মাসটি যেমন পবিত্র, তেমনি তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-মাল এবং তোমাদের মান-ইজ্জতও পবিত্র এবং শ্রদ্ধার বস্তু। তোমরা অচিরেই তোমাদের প্রভুর সাথে মিলিত হবে। তিনি তোমাদের কাজকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। সাবধান! আমার অবর্তমানে তোমরা পরস্পর রক্তারক্তি করে কুফরীতে জড়িয়ে পড়ো না। এ বিষয়ে তোমরা সতর্ক থেকো আর উপস্থিত লোকেরা যেন অনুপস্থিত লোকদের কাছে এ বার্তা পৌঁছে দেয়। কেননা এটা অসম্ভব নয় যে, যে ব্যক্তি এটা পৌঁছে দেবে তার চেয়ে যার কাছে পৌঁছানো হবে সে অধিক হেফাজতকারী হবে। এরপর তিনি প্রশ্ন করলেন,’ আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? আমি কি পৌঁছে দিয়েছি?’

আমরা বললাম,’ হ্যাঁ।’

তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থেকো। ‘

৯৪) হযরত উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম বলেন, ‘আমি একজন মানুষ। তোমরা তোমাদের ঝগড়া-ফাসাদ নিস্পত্তির জন্য আমার কাছে এসে থাকো। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ দলিল প্রমাণ উত্থাপনে প্রতিপক্ষের তুলনায় বেশি সুদক্ষ হতে পারে। আমি তাদের বক্তব্য শুনে সেই অনুসারে হয়ত ফয়সালা দিতে পারি। এভাবে আমি যদি (অজ্ঞাতসারে) কারো ভাইয়ের হক তাকে দেয়ার ফয়সালা করি, তবে (জেনে রাখবে) আমি তাকে জাহান্নামের একটি টুকরাই দিলাম।'

(বুখারী ও মুসলিম)

.

[ রিয়াদুস সালেহীন থেকে সংগৃহিত। হাদিস নং ২১৩ ও ২১৯]



মুত্তাফাকুন আলাইহি-২৭

বিষয়: বিবিধ

১৫১৬ বার পঠিত, ৬৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

185631
০২ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৯
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আল্লাহ আপনার শ্রম কে কবুল করুন ,,এবং আমাদের ইসলামের অঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন ,,আমীন
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৪৯
138126
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৪
138145
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



'যে ব্যক্তি জুলুম ও অন্যায় বাড়াবাড়ি করে এমনটি করবে তাকে আমি অবশ্যি আগুনে নিক্ষেপ করবো। আর আল্লাহর জন্য এটা কোন কঠিন কাজ নয়।'
[ আন্ নিসা; আয়াত নং- ৩০]
185633
০২ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১১
মিডিয়া ওয়াচ লিখেছেন : আপনার লেখা বরাবরৈ ভালো লাগে
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৪৯
138127
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy Praying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৫
138146
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



“যারা মু’মিন পুরুষ ও নারীদের ওপর জুলুম-নিপীড়ন চালিয়েছে, তারপর তা থেকে তওবা করেনি, নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব এবং জ্বালা-পোড়ার শাস্তি।”
[আল বুরূজ; আয়াত নং-১০]
185636
০২ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৩
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : ভালো লাগলো
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫০
138129
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy Praying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৫
138148
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



'এভাবে যারা কুফরী ও বিদ্রোহের পথ অবলম্বন করে এবং জুলুম-নিপীড়ন চালায়, আল্লাহ‌ তাদেরকে কখনো মাফ করবেন না'
[আন্ নিসা; আয়াত নং- ১৬৮ ]
185649
০২ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪০
মদীনার আলো লিখেছেন : ভালো লাগলো
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫০
138130
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy Praying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৫
138149
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



'তবে যে ব্যক্তি জুলুম করার পর তাওবা করবে এবং নিজের সংশোধন করে নেবে, আল্লাহর অনুগ্রহের দৃষ্টি আবার তার দিকে ফিরে আসবে।আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু।'
[ আল মা-য়েদাহ; আয়াত নং- ৩৯]
185653
০২ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৮
শেখের পোলা লিখেছেন : তিনি ঠিক ঠিক পৌঁছে দিয়েছেন এবং আমরা তা পেয়েছি৷ এখন আমাদের দায়িত্ব তা অন্যকে (যারা পায়নি তাদেরকে) পৌঁছে দেয়া, কেননা আমর সেই শিকলের গ্রন্থি৷ (সুরা আল হাজ্জ ৭৮)৷ ধন্যবাদ৷
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫১
138135
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের কবুল করে নিনPraying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৬
138150
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



“যদি কোন ব্যক্তি খারাপ কাজ করে বসে অথবা নিজের ওপর জুলুম করে এবং এরপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে সে আল্লাহকে ক্ষমাকারী ও পরম দয়ালু হিসেবেই পাবে।”
[আন্ নিসা; আয়াত নং- ১১০]
185674
০২ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:২০
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, জাজাকাল্লাহুল খাইরান, অনেক সুন্দর পোস্ট
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫২
138136
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম। বারাকাল্লাহু ফীকPraying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৬
138151
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺবলেন,'তোমরা জুলুম করা থেকে দূরে থাকো। কেননা, কিয়ামতের দিন জুলুম অন্ধকারময় ধোঁয়ায় পরিণত হবে। (তোমরা) কার্পণ্যের কলুষতা থেকেও দূরে থাকো। কেননা, কার্পণ্যই তোমাদের পূর্বেকার অনেক জনগোষ্টীকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কার্পণ্য তাদেরকে রক্তপাত ও মারপিট করতে উদ্বুদ্ধ করেছে এবং হারামকে হালাল করতে উস্কানি যুগিয়েছে।

(মুসলিম
185704
০২ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১৩
জোবাইর চৌধুরী লিখেছেন : যাজাকুমুল্লাহ খাইর, অনেক ভালো লাগল।
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫২
138137
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৬
138152
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন; 'একদা রাসূলে আকরাম ﷺ জিজ্ঞেস করলেন,' তোমরা কি জানো কোন্‌ ব্যক্তি দরিদ্র-নিঃস্ব?'

সাহাবীগণ বললেন,' আমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি দরিদ্র যার কোন ধন-মাল নেই।'

তিনি বললেন,' আমার উম্মতের মধ্যে সেই ব্যক্তিই সবচাইতে দরিদ্র হবে, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি যাবতীয় ইবাদত নিয়ে উপস্থিত হবে; কিন্তু দেখা যাবে যে সে কাউকে গালমন্দ করেছে, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, কারো ধন-মাল আত্মসাৎ করেছে, কারো রক্ত প্রবাহিত করেছে এবং কাউকে মারধোর করেছে অর্থ্যাৎ এসব অপরাধ ও সে সঙ্গে করে নিয়ে আসবে। এদেরকে তার সৎকাজগুলি দিয়ে দেয়া হবে। উল্লেখিত দাবিগুলো পূরণ করার পর্বেই যদি তার সৎকাজ শেষ হয়ে যায়, তাহলে দাবিদারদের গুনাহসমূহ তার ঘাড়ে চাপানো হবে। এরপর তাকে দোযখে ছুঁড়ে মারা হবে।'

(মুসলিম)
185786
০৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:১১
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : শুকরিয়া।
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫০
138131
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy Praying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৭
138153
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেন,'মুসলমান সব সময় সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করে, যতক্ষণ সে অন্যায়ভাবে রক্তপাত না করে অর্থ্যাৎ কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা না করে।

(বুখারী)
185804
০৩ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:০৩
পবিত্র লিখেছেন :
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৩
138138
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৭
138154
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আদী ইবনে উমায়ের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি, 'আমরা তোমাদের কাউকে কোন সরকারী পদে নিয়োগ করলাম। এরপর সে একটা সূঁচ পরিমাণ অথবা তারচেয়ে বেশি কিছু যদি আমাদের থেকে গোপন করে, তবে সে খেয়ানতকারীরূপে গণ্য হবে। সে কিয়ামতের দিন তা নিয়ে হাযির হবে।'

আনসার গোত্রের জনৈক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বললো,' হে আল্লাহর রাসূল! আমার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিন।'

বর্ণনাকারী বলেন,' আমি যেন এ দৃশ্যটা এখনও দেখতে পাচ্ছি।'

তিনি বললেন,' তোমার হি হয়েছে?'

সে বললো, 'আমি আপনাকে এভাবে এভাবে বলতে শুনেছি।'

তিনি বললেন,' আমি এখনও তাই বলবো। আমরা তোমাদের কাউকে কোন পদে নিয়োগ করলে সে কম-বেশি সবকিছু নিয়ে আসবে। তার থেকে তাকে যা দেয়া হবে তা-ই সে নেবে আর যা থেকে তাকে বারণ করা হবে, তা থেকে বিরত থাকবে।'

(মুসলিম)
১০
185837
০৩ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৪১
ভিশু লিখেছেন : খুব ভালো লাগ্লো...Happy Good Luck
জাযাকাল্লাহ খাইরান... Praying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৩
138139
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৭
138155
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



'যে ব্যক্তি জুলুম ও অন্যায় বাড়াবাড়ি করে এমনটি করবে তাকে আমি অবশ্যি আগুনে নিক্ষেপ করবো। আর আল্লাহর জন্য এটা কোন কঠিন কাজ নয়।'
[ আন্ নিসা; আয়াত নং- ৩০]
১১
185851
০৩ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:১৫
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : জাঝাকিল্লাহু খাইর আপুনি। Good Luck Good Luck Good Luck
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৩
138140
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৮
138157
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



“যারা মু’মিন পুরুষ ও নারীদের ওপর জুলুম-নিপীড়ন চালিয়েছে, তারপর তা থেকে তওবা করেনি, নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব এবং জ্বালা-পোড়ার শাস্তি।”
[আল বুরূজ; আয়াত নং-১০]
১২
185921
০৩ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:১৩
বিদ্যালো১ লিখেছেন : JazakAllah Khair
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৩
138141
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৮
138158
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



'এভাবে যারা কুফরী ও বিদ্রোহের পথ অবলম্বন করে এবং জুলুম-নিপীড়ন চালায়, আল্লাহ‌ তাদেরকে কখনো মাফ করবেন না'
[আন্ নিসা; আয়াত নং- ১৬৮ ]
১৩
186023
০৩ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
সজল আহমেদ লিখেছেন : আপু প্রিয়তে রেখে দিলাম।যাযাকাল্লাহু খাইরান।
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৩
138142
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৮
138159
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :




'তবে যে ব্যক্তি জুলুম করার পর তাওবা করবে এবং নিজের সংশোধন করে নেবে, আল্লাহর অনুগ্রহের দৃষ্টি আবার তার দিকে ফিরে আসবে।আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু।'
[ আল মা-য়েদাহ; আয়াত নং- ৩৯]
১৪
186030
০৩ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:১১
মোঃজুলফিকার আলী লিখেছেন : অনেক সুন্দর। শুকরিয়া। ধন্যবাদ।
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫০
138132
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy Praying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৯
138160
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



“যদি কোন ব্যক্তি খারাপ কাজ করে বসে অথবা নিজের ওপর জুলুম করে এবং এরপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে সে আল্লাহকে ক্ষমাকারী ও পরম দয়ালু হিসেবেই পাবে।”
[আন্ নিসা; আয়াত নং- ১১০]
১৫
186233
০৩ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৩১
আবু আশফাক লিখেছেন : বরাবরের মতোই সুন্দর। অনেক ধন্যবাদ।
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫১
138134
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বরাবরের মতোই ধন্যবাদHappy Praying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৯
138161
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺবলেন,'তোমরা জুলুম করা থেকে দূরে থাকো। কেননা, কিয়ামতের দিন জুলুম অন্ধকারময় ধোঁয়ায় পরিণত হবে। (তোমরা) কার্পণ্যের কলুষতা থেকেও দূরে থাকো। কেননা, কার্পণ্যই তোমাদের পূর্বেকার অনেক জনগোষ্টীকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কার্পণ্য তাদেরকে রক্তপাত ও মারপিট করতে উদ্বুদ্ধ করেছে এবং হারামকে হালাল করতে উস্কানি যুগিয়েছে।

(মুসলিম)
১৬
186290
০৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৫৬
আবু বকর সিদ্দিক লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫১
138133
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy Praying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৯
138162
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন; 'একদা রাসূলে আকরাম ﷺ জিজ্ঞেস করলেন,' তোমরা কি জানো কোন্‌ ব্যক্তি দরিদ্র-নিঃস্ব?'

সাহাবীগণ বললেন,' আমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি দরিদ্র যার কোন ধন-মাল নেই।'

তিনি বললেন,' আমার উম্মতের মধ্যে সেই ব্যক্তিই সবচাইতে দরিদ্র হবে, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি যাবতীয় ইবাদত নিয়ে উপস্থিত হবে; কিন্তু দেখা যাবে যে সে কাউকে গালমন্দ করেছে, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, কারো ধন-মাল আত্মসাৎ করেছে, কারো রক্ত প্রবাহিত করেছে এবং কাউকে মারধোর করেছে অর্থ্যাৎ এসব অপরাধ ও সে সঙ্গে করে নিয়ে আসবে। এদেরকে তার সৎকাজগুলি দিয়ে দেয়া হবে। উল্লেখিত দাবিগুলো পূরণ করার পর্বেই যদি তার সৎকাজ শেষ হয়ে যায়, তাহলে দাবিদারদের গুনাহসমূহ তার ঘাড়ে চাপানো হবে। এরপর তাকে দোযখে ছুঁড়ে মারা হবে।'

(মুসলিম)
১৭
186316
০৪ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:২৪
মুমতাহিনা তাজরি লিখেছেন : যাজাকাল্লাহ।
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৩
138144
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
০৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:০০
138163
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেন,'মুসলমান সব সময় সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করে, যতক্ষণ সে অন্যায়ভাবে রক্তপাত না করে অর্থ্যাৎ কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা না করে।

(বুখারী)
১৮
186569
০৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:২৩
সায়েম খান লিখেছেন : বরাবরের মতোই সুন্দর ..
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:০৬
138656
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy Praying
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:০৯
138665
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আদী ইবনে উমায়ের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি, 'আমরা তোমাদের কাউকে কোন সরকারী পদে নিয়োগ করলাম। এরপর সে একটা সূঁচ পরিমাণ অথবা তারচেয়ে বেশি কিছু যদি আমাদের থেকে গোপন করে, তবে সে খেয়ানতকারীরূপে গণ্য হবে। সে কিয়ামতের দিন তা নিয়ে হাযির হবে।'

আনসার গোত্রের জনৈক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বললো,' হে আল্লাহর রাসূল! আমার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিন।'

বর্ণনাকারী বলেন,' আমি যেন এ দৃশ্যটা এখনও দেখতে পাচ্ছি।'

তিনি বললেন,' তোমার হি হয়েছে?'

সে বললো, 'আমি আপনাকে এভাবে এভাবে বলতে শুনেছি।'

তিনি বললেন,' আমি এখনও তাই বলবো। আমরা তোমাদের কাউকে কোন পদে নিয়োগ করলে সে কম-বেশি সবকিছু নিয়ে আসবে। তার থেকে তাকে যা দেয়া হবে তা-ই সে নেবে আর যা থেকে তাকে বারণ করা হবে, তা থেকে বিরত থাকবে।'

(মুসলিম)
১৯
186648
০৪ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:০১
নোমান২৯ লিখেছেন : যাজাকাল্লা।
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:০৬
138658
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:০৯
138666
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



'যে ব্যক্তি জুলুম ও অন্যায় বাড়াবাড়ি করে এমনটি করবে তাকে আমি অবশ্যি আগুনে নিক্ষেপ করবো। আর আল্লাহর জন্য এটা কোন কঠিন কাজ নয়।'
[ আন্ নিসা; আয়াত নং- ৩০]
২০
186999
০৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০৪:৪৭
জবলুল হক লিখেছেন : ধন্যবাদ।আল্লাহ যেনো আমাদের সবাইকে আল্লাহর বিধান সঠিকভাবে মেনে চলার তৌফিক দান করেন।আমীন।
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:০৬
138659
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:১০
138667
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



“যারা মু’মিন পুরুষ ও নারীদের ওপর জুলুম-নিপীড়ন চালিয়েছে, তারপর তা থেকে তওবা করেনি, নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব এবং জ্বালা-পোড়ার শাস্তি।”
[আল বুরূজ; আয়াত নং-১০]
২১
189518
০৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:২২
অজানা পথিক লিখেছেন : শুকরান
০৯ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:০৭
140662
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy Praying
০৯ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:০৮
140663
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



'এভাবে যারা কুফরী ও বিদ্রোহের পথ অবলম্বন করে এবং জুলুম-নিপীড়ন চালায়, আল্লাহ‌ তাদেরকে কখনো মাফ করবেন না'
[আন্ নিসা; আয়াত নং- ১৬৮ ]

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File