প্রোষিতভর্তৃকা-৩[শেষ পর্ব]
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১০:১৬:২৯ রাত
আমার এই লেখার গত দুইটি পর্বে সম্মানিত ব্লগারগণ এই সমস্যার সমাধানে তাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেছেন। আমি এখানে তাদের মতামতগুলোর সারাংশ দিলাম।
আহমদ মুসাঃ
১) এসব সমস্যা একদিনে সৃষ্টি হয়নি অথবা এগুলো ধারাবাহিক কোন সমস্যাও নয়।
২) নীতিনির্ধারকদের উদাসীনতা বা খামখেয়ালীপনা।
৩) জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে জাতি উন্নত জাতিতে রূপান্তরিত হবেনা।
৪)আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে আমাদের শ্রমমূল্য আরও বাড়াতে হবে।
৫) ইসলামী শরীয়া ভিত্তিক অর্থনীতি চালু করতে হবে।
৬) আমাদের এই শ্রমশক্তিকে আমরাই ব্যবহার করে দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে পারি।
৭) যদি তারা দেশে থেকেই কর্মসংস্থান করতে পারেন। তবে তাদের পরিবারগুলোর এই ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব।
৮) নীতিনির্ধারকগণ সঠিক নীতি গ্রহণ করলে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
---
আবু সাইফঃ
১) এটি একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমস্যা।
২) যদি প্রবাসীদের চাকুরিবিধি ও ছুটির শর্তগুলো উভয় দেশের সরকার সেভাবে নির্ধারণ করতো তবে এ সমস্যার সমাধান সহজ হতো! ছয়মাসে একমাস বাধ্যতামূলক ছুটি- তাহলে এ সমস্যার সমাধান ৯০% হয়ে যেতো মনে করি!
৩) শ্রমিক ভিসার প্রবাসীরা ইচ্ছে করলেও স্ত্রীকে নিয়ে যেতে পারেননা, আইনের বাধা! আবার দেশে এসে সংসার করবেন- সেটা দুঃসাধ্য এজন্য যে, সংসার নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে! কষ্ট তো উভয়েরই- কিন্তু রুজি-রোজগারের প্রয়োজনে এটা করতে বাধ্য হন!
---
মোহাম্মদ লোকমানঃ
১) যেসব প্রবাসী নানাবিধ অপারগতার কারণে দেশে স্ত্রী রেখে দীর্ঘ প্রবাস জীবন যাপনে বাধ্য হন তাদের প্রতি সহানুভূতির সাথে আমার পরামর্শ থাকে- কিছু ন্যুনতম পুঁজি জোগাড় করে দেশে গিয়ে অন্তত একটা সিএনজি ক্রয় করে তা চালিয়ে হলেও স্ত্রী সন্তানদের কাছে থাকার চেষ্টা করুন
২) যারা স্ত্রীকে সাথে রাখার সমর্থ থাকা সত্বেও টাকা বাঁচিয়ে বাড়ী-গাড়ী আর দামী প্লট কেনার নেশায় মত্ত হয়ে প্রবাস নামের ঢং করেন তারাই বড় অপরাধী।
৩) আবার অনেক তথাকথিত মাতা-পিতা ভক্ত পুরুষ আছে যারা মা-বাবার সেবার জন্য(!)সামর্থ থাকা সত্বেও নিজের সাথে প্রবাসে স্ত্রীকে রাখার প্রয়োজন বোধ করেন না।
৪) সবচেয়ে বড় কথা হলো, বিবাহিত জীবনে সুখ-শান্তি এবং স্বামী-স্ত্রী একসাথে থাকতে পারার জন্য আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা করে সে আলোকে অগ্রসর হতে হবে। তাহলে আল্লাহ অবশ্যই সাহায্য করবেন।
---
প্রবাসী আশরাফঃ
১. দিনবদলের উদ্দেশ্যে যারা প্রবাস করবে তারা যেন বিয়ের আগেই প্রবাস জীবনের ইতি ঘটাতে পারে সেই টার্গেট নিয়েই উপার্জন ও তহবিল করতে হবে।
২. সদ্য বিয়ে করার ২/৩ বছরের মধ্যে আর্থিক যত অসচ্ছলতাই থাকুক প্রবাসী হওয়া যাবে না।
৩. সদ্য বিয়ের পর নিত্যান্তই প্রবাসী হতে বাধ্য হলে স্ত্রীকে তার বাবা-মায়ের কাছে রেখে যেতে হবে।
৪. স্ত্রীকে নিজের কাছে নিয়ে রাখা যায় এমন ব্যবস্থ্যা থাকলে অবশ্যই স্ত্রীকে নিজের সাথে নিয়ে প্রবাস করতে হবে। (কষ্ট: সৌদিতে ফ্যামিলি ভিসা বন্ধ)
৫. স্ত্রীকে দেশে রেখে প্রবাসী হলে ৬ মাস কিংবা ১ বছর পর বাধ্যতামূলক ছুটিতে আসতে হবে।
৬. যতদিনই প্রবাস জীবন হোক না কেন প্রতিদিনই দীর্ঘসময় ধরে স্ত্রীর সাথে কথোপকথন করতে হবে।তার সুবিধা-অসুবিধা মনযোগ দিয়ে শুনতে ও তা পূরনে সচেষ্ট হতে হবে।
৭. যতদ্রুত সম্ভ্যব প্রবাস জীবনের ইতি টেনে দেশে কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করে নিজের যৌবন বয়সটা স্ত্রীকে নিয়ে কাটাতে হবে।
---
মোঃ ওহিদুল ইসলামঃ
প্রবাসীরা এ দেশের অর্থনীতির অক্সিজেন। একজন প্রবাসী নিজে অনেক বঞ্চনার শিকার হয়েও তার পরিবারে যে অবদান রেখে চলেন সেটা অনস্বীকার্য। প্রবাসীর অবদানকে মাথায় রেখে প্রবাসীর পরিবারের সদস্যরা যদি তার স্ত্রীকে একটু মমতা দিয়ে আগলে রাখেন, পরিবারে ইসলামচর্চার সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখেন তাহলে এসব অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।
---
রিদওয়ান কবির সবু্জঃ
যতটুক জানি আইনত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিও প্রতি বছর একমাস বেতন সহকারে ছুটি দিতে বাধ্য। কিন্তু আমাদের অনেক ভাই বেশি অর্থ কামানর জন্য এই ছুটি নেননা। অনেকেই আবার আইন না জানায় তার নিয়োগকর্তা সেই সুযোগ গ্রহন করেন।
---
সবার মন্তব্যে যে বিষয় গুলি উঠে এসেছে তার সাথে পরিপূর্ণ একমত পোষণ করে আমি আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে যতটুকু বুঝতে পারছি তা হল-
১) এ ব্যাপারে সরকারী উদ্যেগ একান্তভাবে কাম্য।
২) মানবাধিকার/ সামাজিক সংগঠনগুলো সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে।
৩)এছাড়াও আমার মনে হয় প্রবাসীগণও যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবী পেশ করতে পারে।
৪) যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর রেমিটেন্সের একটা বিরাট প্রভাব রয়েছে তাই উর্ধ্বতন মহলে এই বিষয়কে আমলে নেয়ার জন্য প্রবাসীগণ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে।
৫) সামাজিক কোন সংগঠন যদি এ ব্যাপারে এগিয়ে না আসে তবে প্রবাসীরা স্ব-উদ্যেগে এরকম সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলতে পারে। তারপর সেই সংঠনের মাধ্যমে তাদের দাবী-দাওয়া সংশ্লিষ্ট মহলে পেশ করতে পারে।
৬) যদি এ ধরণের সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলা যায় তবে এ ক্ষেত্রে প্রবাসীদের পরিবারগুলোকে এই সংগঠনগুলো নিয়মিত ফলোআপ করতে পারে।
সর্বোপরি ইসলাম হল পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। এই জীবন বিধান কে পরিপূর্ণরূপে মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। জীবিকার তাগীদে একটা মানুষ প্রবাসী হতেই পারে। কিন্তু এর ফলে সৃষ্ট পারিবারিক- সামাজিক সমস্যাগুলো বর্তমানে এতটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে এর জন্য পদক্ষেপ নেয়া জরূরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে পরিবার পরিজনের কষ্ট। অন্যদিকে প্রবাসীদের কষ্ট। এই সমস্যার কোন সমাধান কি আদৌ আছে? একবার কোন একটা প্রয়োজনে হযরত উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর কন্যা উম্মুল মুমিনিন হজরত হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, 'একজন নারী কতদিন বিরহের জ্বালা সইতে পারে?' জবাবে হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছিলেন,'সর্বোচ্চ চার মাস।' তখন থেকে তিনি যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে প্রতি চার মাস পর পর সৈনিক দের গৃহে ফেরত পাঠাতেন। [পরিপূর্ণ রেফারেন্স দিতে পারলামনা]
আমার ইচ্ছে ছিল আমি এই লেখাটা ৬/৭ পর্বে শেষ করব। কিন্তু অনিবার্য কারণে আমি এই পর্বেই শেষ করে দিচ্ছি। আমি কিছু ইতিবাচক ঘটনাও তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা আর সম্ভব হল না বলে সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি প্রথম পর্বেই বলেছিলাম ‘আমার এই লেখা কাউকে আঘাত দেয়ার জন্য নয়। আমি শুধুমাত্র আমার দেখা, আমার জানা কিছু নারীর সমস্যা তুলে ধরতে চাইছি এই লেখার মাধ্যমে। এটা শুধুমাত্র ঐ নারীর সমস্যা নয়। বরং পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যায় আজ রূপান্তরিত হয়েছে। আমি মনে করছি এই বিষয়ে আলোচনা হওয়া সময়ের দাবী।‘ আমি এখনও বলছি আমার লেখার দ্বারা আমি কাউকে হেয় করতে চাইনি।
আমি আমার পোস্টের কোথাও এমন দাবী করিনি যে কেউ যেন তাদের মেয়েকে প্রবাসী পাত্রের কাছে বিয়ে না দেয়। অথবা এমন কিছুও বলিনি যে প্রবাসীরা যাতে বিয়ে না করে। তবুও কথাগুলো কেন জানি বারবার ঐ দিকেই চলে যাচ্ছে। আমি সবাইকে বিনীত অনুরোধ জানাব আপনারা এই লেখার সব কয়টা পর্ব এবং মন্তব্যগুলো ভালো করে পড়ুন। পোস্টের যে লাইনটা অসঙ্গতিপূর্ণ মনে হচ্ছে আমাকে জানান। আমি এডিট করে দেব। আমার বা অন্যের যে মন্তব্যটা আপনাকে আঘাত করেছে সেখানে আপনি আপনার কথাকে জোরালোভাবে তুলে ধরুন। আমি যখন দেখলাম আমার পোস্ট পড়ে প্রবাসী হিসেবে কেউ লজ্জিতবোধ করছেন, বিশ্বাস করুন এতে আমি নিজেও কম লজ্জা পাইনি। কিছুটা অপরাধবোধও আমার ভিতর এখন চলে এসেছে। তবে কি আমি সমাজে নিত্য ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা উল্লেখ করে ভুলই করলাম!!! আশা করছি এরপর সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
প্রোষিতভর্তৃকা-২
প্রোষিতভর্তৃকা-১
বিষয়: বিবিধ
১৪৯০ বার পঠিত, ৬৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি যে বিষয় গুলোর উপস্হাপনা করেছেন সেগুলো আমাদের সমাজে অহরহ ঘটে যাচ্ছে।এজন্য যেমনি আমরা প্রবাসীরা দায়ি তেমনি আমাদের পারিবারিক অবকাটামো।
তাছাড়া আপনার প্রতিটা লেখায় যে সবাই একমত হবে তা কিন্তু না। আপনার লিখার দ্বিমত থাকতে পারে। প্রত্যেকে যার যার মতামত তুলে ধরবে।তাই বলে আপনি লিখবেন না এটাতো ঠিক না। এ বিষয়ে আপনি আরো লিখুন, অন্যরা তাদের মনের কথাগুলো তুলে ধরবে। আর এভাবে বেরিয়ে আসবে সমস্য ও তার সমাধান। ভালো থাকেন।
অথচ সম্মিলিত চেষ্টায় প্রতিরোধ করলে এই সমস্যার হাত থেকে সবাই রেহাই পেতে পারত।
সামাজিক কোন বিষয় নিয়ে লিখলে সবাই একমত হবে এটা আমি কখনোই মনে করিনা। লিখায় দ্বিমতের বিষয় নয়। আসলে আমার লেখা থেকে কেউ কষ্ট পাক আমি তা চাইনা। ধন্যবাদ
ভালো লাগলো আপনাকে ধ
ন্যবাদ
ভিশু ভাইয়ের সাথে একমত, শেষপর্ব মানিনা!
ধন্যবাদ
এমন হতো বোধ হয়-
"প্রোষিতভর্তৃকা[শেষ পর্ব]-১"
এবং পর্যায়ক্রমে -২, -৩, -৪.... ২০, ২১...
ভিশু লিখেছেন : ধন্যবাদ হারিকেন! চলুন, চাপযুক্ত সহযোগিতামূলক আওয়াজ তুলি:
শেষপর্ব মানিনা! শেষপর্ব মানিনা!!
ডাঃ ভিশু আছেন না!!
মুখটা হাঁ করেন দেখি-
এখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এমনই যে জনশক্তি রপ্তানি ছাড়া আমাদের পক্ষে অর্থনিতিকে পরিচালনা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের সমাজ ও সরকার এই প্রবাসি শ্রমিকদের কল্যানের প্রতি খুব কমই মনযোগ দেয়। আমার পরিচিত একজন এই শ্রমিক দের ক্রিতদাসের সাথে তুলনা করেছেন। তারা যে পরিমান টাকা খরচ করে বিদেশ যান তা তুলতেই অনেক সময় প্রথম বছর চলে যায়। এর কারন আমাদের রপ্তানি কারক এজেন্সিগুলির অতি লোভ। এই কারনে অনেক প্রবাসি ভাই অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন। কিন্তু সেই পরিশ্রমের টাকা দেশে আসার পর প্রায়ই ব্যায় হয় অনুৎপদনশিল খাতে। প্রায়ই দেখা যায় ঋন পরিশোধের পর প্রথম যে খাতে প্রবাসিদের টাকা ব্যায় হয় তা হলো একটি পাকা ঘর তৈরি। আমাদের গ্রামে অনেকেই সেীদি আরবে আছেন। তাদের টাকায় সবসময়ই তৈরি হচ্ছে বড়বড় বিল্ডিং। আর অন্যএকটি অংশ ব্যায় হয় খাওয়াদাওয়া সহ মোবাইল এর মত অপ্রয়োজনিয় খরচে। দেশে আসার জন্য প্রতি বছরই মাস খানেক ছুটি আইনত প্রাপ্য থাকলেও বিমান ভাড়া বাচানর জন্য অনেকেই আসেননা। আর প্রবাসি গন যখন একটু স্থায়ি হয়ে দেশে আসের প্রায়ই তাদের পরিবার তাদেরকে বিয়ে দিয়েদেন এবং এইসব বিয়েতে অপ্রয়োজনিয় খরচ করেন। যার কারনে আবার আয় করতে প্রবাসিরা ফিরে যান বিেদেশে। অথচ এভাবে অর্থ অপব্যায় না করে । যদি প্রবাসিরা দেশে ফিরে এসে প্রথমে কিছু ব্যবসা বা কৃষি কাজ দার করান এবং কিছুদিন পর বিয়ে করেন সেক্ষেত্রে তাদের এবং দেশের উভয়ই উপকার হতো।
আমি সোনার বাংলাদেশে অল্প কয়েকমাস ব্লগিং করার পর ওটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। আপনি যে ঘটনার উল্লেখ করেছেন সেই পোস্ট আমি পড়িনি। তাই ওটার ব্যপারে কিছুই জানিনা।
আপনি কিন্তু আপনার এই চমৎকার প্রাসঙ্গিক মন্তব্য এবং সাথে আরো কিছু যোগ করে পোস্ট আকারে দিতে পারেন।
ধন্যবাদ
মোটেও ভুল করেন নি, এগুলো সব সমাজেরই চিত্র। সত্য তো সত্যেই, তাকে লুকিয়ে মেকি সুখ লাভেরই বা কি দরকার।অনেকেরই ভালো পরামর্শও আছে মন্তব্যের সারিতে, সেগুলোও বিশেষ ভাবে ভাবার অবকাশ আছে।
তবে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের বিরাট একটি অংশ অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে যে বেতন নিয়ে আসে তাতে সংসার নিয়ে প্রবাস জীবন যাপন করাটা যেমন কষ্টকর তেমনি, অনেকেই আবার ইচ্ছে ও সামর্থ থাকা স্বত্বেও বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে ফ্যামিলি আনতে না পারাটা ও একটা ফ্যাক্টর।
আমি বরাবরেই অধিকাংশের কথায় ভেবেছি।কেননা, এখানে তাদের দায় যৎ সামান্যই। যাইহোক,আমার মনে হয়ে শখের বশে কেউ পরিবার পরিজন ছেড়ে বিদেশে পড়ে থাকেনা। রাষ্ট্রর কোন ভাবেই এখানে দায় এড়াতে পারেনা। যদিও দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটাই দেখছি।
রাষ্ট্র যেমন প্রবাসীদের সাথে চুড়ান্ত তামাশা করছে, নিয়তিই যেখানে প্রবাসীদের আজন্ম লজ্জার নীলাভ কষ্ট তিলক, সেখানে আপনার লেখায় লজ্জার কিছু আছে বলে অন্তত আমার মনে হয় না।
ধন্যবাদ।
আপনার পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তাবগুলোর সাথে শতভাগ সহমত প্রকাশ করছি। আপনার এ লেখায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমি ইতিমধ্যে ‘প্রোষিতভর্তৃকা’ শিরোনামে একটি গল্প লিখেছি। এখনই ব্লগে দিচ্ছিনা। পরে দিবো ইনশাল্লাহ।
প্রথম থেকে আপনাদের কয়েকজনের কাছ থেকে সাপোর্ট এবং সাহস না পেলে এই লেখাটা শেষ করতে পারতাম কি না জানিনা।
সেজন্য অশেষ ধন্যবাদ রইলো
ব্লগার ফাতিমা মারিয়াম আপা আপনি এই ক্ষুদ্র পরিসরে যা করেছেন তার জন্য আল্লাহ তালা আপনাকে দুই জাহানের কামিয়াবী দান করুক ।
এরপর ব্লগার ভাই-বোনদের বলছি ব্লগার ব্লগার ফাতিমা মরিয়ম আপা যা করেছেন তা হল তিনি আমাদের প্রত্যেকে দেখিয়েছেন সমস্যাটা এরপর কিছু সমাধানের কথাও বলেছেন । এখন আমাদেরও উচিৎ এই ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা । আমাদের আশেপাশে এই জাতীয় সমস্যাগুলো ব্লগে তুলে ধরা এবং নিজেদের ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু সম্ভব এর সমাধানের বক্তব্য ব্লগে তুলে ধরা।
প্রথম থেকে আপনাদের কয়েকজনের কাছ থেকে সাপোর্ট এবং সাহস না পেলে এই লেখাটা শেষ করতে পারতাম কি না জানিনা।
সেজন্য অশেষ ধন্যবাদ রইলো
আমি ঐ কয়েকদিন বেশ মানসিক চাপের মধ্যে ছিলাম। তাই ঐ মুহূর্তে লেখাটা বন্ধ করে দিয়েছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন