প্রোষিতভর্তৃকা-২

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:৫৪:১২ সকাল

ঘটনা-২

আমার আপন খালাতো বোনের কথা। প্রবাসী পাত্রের হাতে মেয়েকে তুলে দিয়ে পিতামাতা ভীষণ তৃপ্ত। বিয়ের কয়েকমাস পরে দুলাভাই তার কর্মস্থলে চলে গেলেন। এবার আপার কিছু সমস্যা শুরু হল। কিছুটা শারীরিক, কিছুটা মানসিক। চিকিৎসার জন্য ঢাকা আসলেন। ভাশুরের বাসায় উঠলেন। উনার বড় জা উনাকে ডাক্তার দেখালেন। ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে দিলেন। কোন রোগ ধরা পড়লোনা।

ডাক্তার বললেন, 'উনার স্বামী যদি দেশে চলে আসেন তা হলে হয়তো উনি সুস্থ হয়ে যাবেন।' কিন্তু এটা তো আর সম্ভব না। ফলে আপাও সুস্থ হলেননা। নিকটতম দূরতম সকল আত্মীয় স্বজন নিয়মিত তার খোঁজখবর নেয়া শুরু করলেন। সে দুঃশ্চিন্তা করে কি না এই বিষয়ে কেউ কোন প্রশ্ন করলে আপা সাফ জানিয়ে দিতেন - 'আমি কোন দুঃশ্চিন্তা করিনা।' এভাবে ২/৩ বছর কেটে গেল। দুলাভাই দেশে আসলেন। আপা পুরো সুস্থ। উনার কোন সমস্যা নেই।

এভাবে দুলাভাই দুই /তিন বছর পরপর দেশে আসতেন। বেশ কয়েক বছর কেটে গেছে। আপা তিন কন্যাসন্তানের জননী হয়েছেন। রোগটা রয়েই গেছে তবে তীব্রতা আগের চাইতে কম। আরও কয়েকবছর পর দুলাভাই স্থায়ীভাবে দেশে চলে আসলেন। আপা সম্পূর্ণ সুস্থ।

ঘটনা-৩

আমার গ্রামের এক বধুর কথা বলছি। উনি, উনার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি এই চারজন নিয়ে সংসার। উনার শ্বশুরের আরও ৩/৪টি ছেলে আছে। তারা প্রত্যেকে পৃথক সংসারে থাকে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। তারা সবাই তাদের শ্বশুরবাড়িতে আছে। জীবিকার প্রয়োজনে তার স্বামী একসময়ে প্রবাসী হতে বাধ্য হয়।

সন্তানাদি হয়নি, কমবয়সী মেয়ে। এই মেয়ের উপর যদি বাইরের শকুনের দৃষ্টি পড়ত সবাই আর দশটা ঘটনার মতই হয়ত মনে করত। কিন্তু এই বধূটি তার স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর (ঠিক কতদিন পরে তা আমি জানিনা) নিজ শ্বশুর দ্বারা ধর্ষিতা হয়েছে।

এই ঘটনাটি নিয়ে পুরো এলাকায় ঢিঢি পড়ে যায়। একপর্যায়ে ছেলের কানেও এই কথা যায় এবং ছেলে তার মাকে বলে বউকে যেন বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর সে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। সেই বউটি এখন কোথায় আছে, কেমন আছে, আদৌ বেঁচে আছে কিনা আমি জানিনা। গ্রামে খুব একটা যাওয়া হয়না। আমার বড়ফুফুর মুখে ঘটনাটা শুনেছিলাম।

ঘটনা-৪

প্রায় একমাস আগের কথা। আমার এক চাচাত দেবরের মেয়েকে মালয়েশিয়া প্রবাসী এক দোজবরে পাত্রের কাছে বিয়ে দেয়া হয়েছে। মেয়ের বয়স মাত্র ১৫ বছর। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ছেলের বাড়ীর যা অবস্থা শুনেছি, কোনভাবেই এই মেয়ের পরিবারে তাদের আত্মীয়তা করার কথা নয়। গতবছর তার প্রথম বউ একজনের সাথে পালিয়ে যায়। সে এবার দেশে এসে দরিদ্র পরিবারের মেয়ে বিয়ে করেছে। তাদের যুক্তি হল যেহেতু গরীব ঘরের মেয়ে তাই এই মেয়ে তাদের কথামত চলবে। শুনেছি এ মাসের শেষের দিকে সে চলে যাবে। আবার ২/৩ বছর পর আসবে।

ঘটনা-৫

গতকাল সকালবেলা আমার ফুফাত ভাই ফোন করে উনার মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দিলেন। মেয়েটি এবার এইচ.এস.সি. পরীক্ষা দিবে। আমি জানতে চাইলাম- 'পাত্র কি করে, পড়াশোনা কতটুকু করেছে?'

ভাই জবাব দিলেন,' বিদেশ থাকে, অবস্থা বেশ ভালো। আর পড়ালেখা তেমন একটা নাই।' ছেলে এস.এস.সি পাশ কি না এটাও উনি স্পষ্টভাবে বলতে পারলেননা।

এক পর্যায়ে আমি জানতে চাইলাম- 'বিয়ের পর কি মেয়েকে বিদেশে নিয়ে যাবে?'

উনি অবাক হয়ে বললেন,'ওকে নিবে কেন?'

এই হচ্ছে আমাদের অভিভাবকদের অবস্থা।

ঘটনা-৬

এবার আমার শোনা একটি ঘটনা। ভদ্রমহিলার বয়স খুব বেশী নয়। এক বা দুই সন্তানের জননী। ইনি চেষ্টা করেন ইসলামী জীবন বিধান মেনে চলতে। কিন্তু দীর্ঘদিন স্বামীর অনুপস্থিতির কারনেই হোক বা অন্য কোন কারনেই হোক তিনি একজনের সাথে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন।

অনেকেই মনে করেন ধার্মিক মেয়ে বিয়ে করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এই ধার্মিক মেয়েটিকে একটি ইতিবাচক পরিবেশ দেয়াও যে স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দায়িত্ব তা আমরা জানিনা। অথবা জানলেও মানিনা। শুধুমাত্র তাকওয়াসম্পন্ন স্ত্রী সন্ধান করলেই কি এসব সমস্যার সমাধান হবে? স্বামীকেও তাকওয়াসম্পন্ন হতে হবে এবং বউ যাতে তার প্রাপ্য সব অধিকার পায় তা-ও স্বামীকেই নিশ্চিত করতে হবে।

এই নারীও যে ‘রক্ত মাংসের তৈরি’ এই বোধটুকু যদি তার স্বামীর থাকত তবে সে নিশ্চয়ই তার বউকে ছোট বাচ্চা সহ ঢাকায় একা একা ফ্ল্যাট ভাড়া করে রাখতনা। এই চরম ঘৃণিত কাজটি করার পর সেই মহিলাই বা কতটুকু ভালো আছে তা জানিনা। তবে এই ধরণের ঘটনা আমাদের সমাজে এখন খুব বেশী মাত্রায়ই ঘটছে।

প্রোষিতভর্তৃকা-১

বিষয়: বিবিধ

২২৮২ বার পঠিত, ৮৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

177274
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
বাকপ্রবাস লিখেছেন : প্রবাসীদের বিয়ে করা উচিত নয় সেটা বিয়ের আগেও বুঝতাম এখনো বুঝি, তারপরেও কপালে বিয়ে থাকলে ঠেকানো যায়না, কি আর করা
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
130419
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমার এই লেখা কাউকে আঘাত দেয়ার জন্য নয়। আমি শুধুমাত্র আমার দেখা, আমার জানা কিছু নারীর সমস্যা তুলে ধরতে চাইছি এই লেখার মাধ্যমে। এটা শুধুমাত্র ঐ নারীর সমস্যা নয়। বরং পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যায় আজ রূপান্তরিত হয়েছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
130424
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : বাকপ্রবাস ভাই এর এ বক্তব্য অভিমানপ্রসূত। এ নিয়ে আমার কিছু বক্তব্য।
১। খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। তবে এটি যেন কোনভাবেই প্রবাসীদের আত্মসম্মানকে আহত না করে সে বিষয়টি মাথায় রেখে আলোচনা এগুনোর জন্য লেখিকার কাছে বিনীত অনুরোধ।
২। প্রবাসীরা এ দেশের অর্থনীতির অক্সিজেন। একজন প্রবাসী নিজে অনেক বঞ্চনার শিকার হয়েও তার পরিবারে যে অবদান রেখে চলেন সেটা অনস্বীকার্য। প্রবাসীর অবদানকে মাথায় রেখে প্রবাসীর পরিবারের সদস্যরা যদি তার স্ত্রীকে একটু মমতা দিয়ে আগলে রাখেন, পরিবারে ইসলামচর্চার সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখেন তাহলে এসব অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।

৩। শখ করে মানুষ ভ্রমণ করে। কিন্তু শখ করে প্রবাসী হয়না কেউ। অনেক অবস্থাসম্পন্ন ও সম্ভ্রান্ত ঘরের লোককেও প্রবাসী হতে দেখেছি। কপালের লিখন না যায় খন্ডন।

৪। প্রবাসী নন কিন্তু সীমিত আয়ের অনেক চাকরিজীবি আছেন যাদের পক্ষে স্ত্রীকে কাছে রাখার সঙ্গতি নেই। এরা অনেকেই হয়তো মাসশেষে এক/দুই দিন স্ত্রীর সান্নিধ্য পেয়ে থাকেন। গড়পড়তা তিরিশ বছরের বিবাহিত জীবনে একজন প্রবাসীর চেয়েও কম স্ত্রীর সান্নিধ্য পান তারা।
৫। একজন প্রবাসী বছর শেষে বা দু/একবছর শেষে ৩০/৪০/৬০ দিনের ছুটি নিয়ে দেশে আসেন। তখন যতটা স্বাধীনভাবে মুক্তভাবে স্ত্রী/সন্তান/স্বজনদের সান্নিধ্য পেয়ে উপভোগ করেন সেটা যারা আমরা দেশে আছি তাদের পক্ষে সম্ভব নয় এ ব্যস্ততাময় জীবনে।
শেষ কবে টানা এক সপ্তাহের ছুটি পেয়েছি ভুলেই গিয়েছি।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:২৫
130442
বাকপ্রবাস লিখেছেন : হায় হায় এতো দেখি লঙকা কান্ড, আমি আসলে কিছু মিন করে বলেনি, আমি বাস্তবতার কথা বলেছি, সরি ফর ভুল বুঝাবুঝি, আমি আমার অভিজ্ঞতার কথা বলি তাহলে দুজনই হয়তো বুঝতে পারবেন বিষয়টা

আমি নিজের জীবন নিয়ে অনেক ফান করি কিন্তু অন্যের জীবন নিয়ে ফান করার অধীকার আমার নেই, তাই আমি বিয়ের আগে চেষ্টাও করেছি বিষয়টা এভয়েড করার, আর যখন করতেই হচ্ছে তখন অগ্রীম বলে দিয়েছি সবাইকে, পাত্রী বিদেশ আসবে সেটা যেন কেউ কল্পনা না করে, আমি ১পার্সেন্ট গ্যারান্টি দেবনা, আমি আসলে না করার জন্য এটা ফ্যামিলিকে বুঝলাম, ফ্যামিলি সেটা বুঝে ওভাবে সব এরেন্জ করেছে তাই বললাম কপালে আছে,
এখন কথা হল, আমার ব্যাক্তিগত অভিমত এভাবে বিয়ে করার চাইতে না করাই ভাল, করতে হলে বিয়ের আগেই বলা উচিত ফ্যামিলি দেশে থাকবে আর ছুটি ছাটার ধরণ, আমি সেটা করেছি, অনেকে গোপন করে
সবশেষে বলা যায় আমার জন্য কেউ কষ্ট পাবে আমি সেটা মানতে পারিনা, আমাকে পিড়া দেয়, তাই আমি মন্তব্যটা করেছি, আমি এখনো মনে করি বিয়ে করা উচিত নয়, তবুও করতে হয় এটাই বাস্তবতা
উপসংহার হল আমি ইমোশনাল হয়ে বলছি কথা গুলো এমন ভাবার দরকার নেই, আমি নিজের বেলায় ফানী, অন্যের বেলায় ইমোশনাল হতে পারি, আর তাই মন্তব্যটা করা
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪৭
130448
বাকপ্রবাস লিখেছেন : আর একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি,

রিকশায় উঠলাম,
ভাই কেমন আছেন
জ্বি ভাল
বাড়ি কোথায়
রংপুর
ছেলে মেয়ে আছে?
হুম আছে তিনটা
কি করে?
স্কুলে দিছি
দেশে কবে গেছেন শেষ বার
বছর খানেক হইছে
আবার কবে যাবেন?
দেখি..
ঈদে যাবেন না?
আমাগো ঈদ আবার কি
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৩৩
130454
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : আসলে ভুল বোঝাবুঝির বিষয় নয়। আমি কিছু বাস্তব চিত্র তুলে ধরার চেষ্ট করেছি। লেখিকার ধন্যবাদ প্রাপ্য অবশ্যই। উনার লেখার সুবাদেই এ বিষয়টি নিয়ে এত প্রাণবন্ত আলোচনা। ফলে-সামাজিক এ অসংগতি নিয়ে কিছুটা হলেও সচেতনতা সৃষ্টি হবে। ধন্যবাদ বাকপ্রবাস ভাই।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:১৮
130497
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমিও ভেবেছিলাম আপনি বুঝি অনেক কষ্ট থেকে কথাটা বলেছেন।

বেশ খারাপ লাগলো এই ভেবে যে আমিতো শুধুমাত্র আমার দেখা বা জানা ঘটনাগুলোর সারমর্ম থেকেই এই পোস্ট লিখেছি।

এটা শুধুমাত্র একটা সচেতনতামূলক পোস্ট ছাড়া আর কিছুই না।

এখন আপনার মন্তব্য দেখে আমিও ওহিদ ভাইয়ের সাথে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৪০
130513
বাকপ্রবাস লিখেছেন : আমার একটা ব্যাড কারেক্টার হলো জন্ম মৃত্যু বিয়ে আমাকে খুব একটা টানেনা,আমি বিষয়গুলো হাজার বছরের ছাছে ফেলে, সভ্যতা দিয়ে ভাগ করে ন্যাচারাল মনে করি, তাই কে মরল বাঁচল কর জন্ম হলো বিষয়গুলো সাময়িক উহ আহ হলেও আমি মানুষকে সভ্যতার উপকরণ হিসেবে মাঝের মধ্যে ক্রিড়নক ও মনে করি
177277
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : সম্পূর্ণ একমত।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
130420
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:২১
130471
মাজহার১৩ লিখেছেন : গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য আল্লাহ আপনার মংগল করুক।
প্রবাসী ভাইদের প্রতি অনুরোধ সম্ভব হলে স্ত্রী সাথে নিয়ে যাবেন, নচেত আল্লাহর কাছে দোয়া ও চেষ্টাফিকির করবেন দেশেই যেন উত্তম রিজিকের ফয়সালা করে দেয়।
177284
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ একটি জরুরি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন এর জন্য। যতটুক জানি আইনত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিও প্রতি বছর একমাস বেতন সহকারে ছুটি দিতে বাধ্য। কিন্তু আমাদের অনেক ভাই বেশি অর্থ কামানর জন্য এই ছুটি নেননা। অনেকেই আবার আইন না জানায় তার নিয়োগকর্তা সেই সুযোগ গ্রহন করেন। এটা কেবল মধ্যপ্রাচ্যের বিষয় নয়। আমেরিকায় থাকেন আমার এমন এক ঘনিষ্ট আত্মিয়ার স্বামি বিয়ের একমাস পর বিদেশে চলে যান আজকে দুই বছর পরেও আসেননি। অথচ সেখানে প্রতি বছর এক-দেড় মাস ছুটি নেওয়া যায়। অর্থ দিয়েই সব সমস্যা সমাধান হয় না আমাদের অনেকেই সেই কথা বুঝেননা।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
130423
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদHappy
177295
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২২
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : আপনার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটা প্রবাসীদের যাতে আহত না করে সেদিকে লক্ষ্য রেখে এগুবেন। প্রবাসীরা এ গরীব দেশের অর্থনীতির অক্সিজেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩
130421
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমার এই লেখা কাউকে আঘাত দেয়ার জন্য নয়। আমি শুধুমাত্র আমার দেখা, আমার জানা কিছু নারীর সমস্যা তুলে ধরতে চাইছি এই লেখার মাধ্যমে। এটা শুধুমাত্র ঐ নারীর সমস্যা নয়। বরং পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যায় আজ রূপান্তরিত হয়েছে।
177300
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
আইমান হামিদ লিখেছেন : বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো দরকার।
আর বিয়ে সহ অন্যান্য সামাজিক আচারাধি সহজতর করা উচিৎ

এখন যেগুলো হচ্ছে সব এটেনশান হাঙ্গরী মানে লোক দেখানো ব্যাপার
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৭
130510
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদHappy
177304
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : এ নিয়ে আমার কিছু বক্তব্য।
১। খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। তবে এটি যেন কোনভাবেই প্রবাসীদের আত্মসম্মানকে আহত না করে সে বিষয়টি মাথায় রেখে আলোচনা এগুনোর জন্য লেখিকার কাছে বিনীত অনুরোধ।
২। প্রবাসীরা এ দেশের অর্থনীতির অক্সিজেন। একজন প্রবাসী নিজে অনেক বঞ্চনার শিকার হয়েও তার পরিবারে যে অবদান রেখে চলেন সেটা অনস্বীকার্য। প্রবাসীর অবদানকে মাথায় রেখে প্রবাসীর পরিবারের সদস্যরা যদি তার স্ত্রীকে একটু মমতা দিয়ে আগলে রাখেন, পরিবারে ইসলামচর্চার সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখেন তাহলে এসব অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।

৩। শখ করে মানুষ ভ্রমণ করে। কিন্তু শখ করে প্রবাসী হয়না কেউ। অনেক অবস্থাসম্পন্ন ও সম্ভ্রান্ত ঘরের লোককেও প্রবাসী হতে দেখেছি। কপালের লিখন না যায় খন্ডন।

৪। প্রবাসী নন কিন্তু সীমিত আয়ের অনেক চাকরিজীবি আছেন যাদের পক্ষে স্ত্রীকে কাছে রাখার সঙ্গতি নেই। এরা অনেকেই হয়তো মাসশেষে এক/দুই দিন স্ত্রীর সান্নিধ্য পেয়ে থাকেন। গড়পড়তা তিরিশ বছরের বিবাহিত জীবনে একজন প্রবাসীর চেয়েও কম স্ত্রীর সান্নিধ্য পান তারা।
৫। একজন প্রবাসী বছর শেষে বা দু/একবছর শেষে ৩০/৪০/৬০ দিনের ছুটি নিয়ে দেশে আসেন। তখন যতটা স্বাধীনভাবে মুক্তভাবে স্ত্রী/সন্তান/স্বজনদের সান্নিধ্য পেয়ে উপভোগ করেন সেটা যারা আমরা দেশে আছি তাদের পক্ষে সম্ভব নয় এ ব্যস্ততাময় জীবনে।
শেষ কবে টানা এক সপ্তাহের ছুটি পেয়েছি ভুলেই গিয়েছি।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৯
130511
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এ ব্যাপারে আবু সাইফ ভাই উনার পোস্টে যা বলেছেন আমি তার সাথে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করছি। ধন্যবাদ।
177308
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:০১
বেআক্কেল লিখেছেন : সেই জন্যই তো প্রবাসীদের বলি, রশি ছিড়তে চায় এমন কোন নারীকে যেন বিয়েই না করে। বিয়ে যদি করতেই হয়, তাহলে সন্তানাদি সহ অভিজ্ঞ কোন মহিলাকেই যেন বিয়ে করে-----
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:২৭
130443
বাকপ্রবাস লিখেছেন : ব.......।Crying Crying Crying Crying আক্কেল
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৪৬
130455
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : বিয়ে যদি করতেই হয়, তাহলে সন্তানাদি সহ অভিজ্ঞ কোন মহিলাকেই যেন বিয়ে করে--

কেহ আমাকে দরেন-------
আমি পড়ে গেলাম------
হেতে কিতা কয় ------
Crying Crying Crying Crying Crying Crying Crying
177319
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০২
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৯
130512
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
177325
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:১৪
আবু সাইফ লিখেছেন : প্রোষিতভর্তৃকা-১ পর্বে করা মন্তব্যটি-ই এখানে আবার দিলাম!


এটি একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমস্যা!

শ্রমিক ভিসার প্রবাসীরা ইচ্ছে করলেও স্ত্রীকে নিয়ে যেতে পারেননা, আইনের বাধা!

আবার দেশে এসে সংসার করবেন- সেটা দুঃসাধ্য এজন্য যে, সংসার নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে!

কষ্ট তো উভয়েরই- কিন্তু রুজি-রোজগারের প্রয়োজনে এটা করতে বাধ্য হন!

যদি প্রবাসীদের চাকুরিবিধি ও ছুটির শর্তগুলো উভয় দেশের সরকার সেভাবে নির্ধারণ করতো তবে এ সমস্যার সমাধান সহজ হতো!
ছয়মাসে একমাস বাধ্যতামূলক ছুটি- তাহলে এ সমস্যার সমাধান ৯০% হয়ে যেতো মনে করি!

অসংখ্য সুহৃদ ও আত্মীয়ের সাথে আলাপের বিশ্লেষণ ও আমার বাস্তব অভিজ্ঞতায় "প্রোষিতভর্তৃকা" ও "প্রোষিতপত্নীক" উভয় পক্ষেরই সমস্যা ও কষ্ট তাঁরা সহ্য করে যান নিরুপায় হয়ে, বিকল্প সহজতর উপায় না থাকায়!

সুতরাং এ সমস্যার সমাধান ব্যক্তি বা সামাজিক উদ্যোগে সম্ভব নয়- যতক্ষণ আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমঝোতা ও চুক্তিতে এটিকে বিবেচনায় না আনা হয়!


মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারে! (যদিও তাদের কারো কারো নীতি/আচরণের কারণে ঐ শব্দটা উচ্চারণেও ঘৃণা জাগে আমার)
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০৩
130496
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : যৌক্তিক কিছু পয়েন্ট তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ৬ মাসে বা বছরে একবার ছুটি পেলে সমস্যার সমাধান অনেকটাই সম্ভব।

১) এ ব্যাপারে সরকারী উদ্যেগ একান্তভাবে কাম্য।

২) পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে।

৩)এছাড়াও আমার মনে হয় প্রবাসীগণও
যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবী পেশ করতে পারে।

৪) যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর রেমিটেন্সের একটা বিরাট প্রভাব রয়েছে তাই উর্ধ্বতন মহলে এই বিষয়কে আমলে নেয়ার জন্য প্রবাসীগণ যোগাযোগ করতে পারেন।

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২১
130527
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : শ্রমিক রপ্তানী করার সময় বলতে হবে যে বিয়ের পরে ছয় মাস পর এক মাস ছুটি দিতে হবে ...
১০
177330
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৫০
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনার উল্লেখিত ঘটনার বর্ণনায় যেসব সমস্যার কথা উঠে আসছে তা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। অথবা এ কথাও দাবী করা যৌক্তিক নয় যে, এসব সমস্যাগুলো যুগ যুগ ধরে চলে আসা ধারাবাহিক সিলসিলাগত কোন সামাজিক সমস্যা। বরং এসব সমস্যাগুলোর উদ্ভব হয়েছে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে কালের পরিক্রমায়। সমাজ বির্নিমানে যে সব মাথাওয়ালা চিন্তাবিদ রয়েছেন তাদের ভাবনাতে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে অর্থ, টাকা আর টাকাই যেন জাতিকে উন্নতির শিখরে তুলে আনার প্রধানতম উপসর্গ হিসেবে কাজ করেছে। এসব সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যাগুলো সৃষ্টির পেছনে সব চেয়ে বড় দায়ী যে গোষ্টীটি আমার বিবেচনায় তারা হচ্ছেন আমাদের দেশের তথাকথিত রাজনীতিবিদরা যাদের হাতে আজ আমাদের দেশের সব কিছুই জিম্মি হয়ে আছে। হয়তো আমার এই কথাটিতে কেউ কেউ ”গাজাখুরী” তথ্য ভাবতে পারে। যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করি বিগত ৪৩ টি বছর আমাদের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক সিস্টেমের গ্যাড়াকলে পড়ে জাতি সত্বার সুষ্ঠু বিকাশের ক্ষেত্রে, সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধনকে পূর্নাঙ্গ মানবীয় গুনাবলীর বিকাশের ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদ ও সমাজপতিরা কি কি ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পেরেছেন? ভারত পাকিস্তান ও শৃলংখার মত বাংলাদেশও একটি উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের নীতি নির্ধারকদের কে বুঝাবে যে, উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত জাতিতে রুপান্তরের জন্য বিদেশে শ্রমিক তথা ভিন্ন জাতির গোলামী করার জন্য জনবল পাঠিয়ে শুধু গোলামীই করা যাবে। পূর্নাঙ্গ মানবিক গুনাবলী সম্পন্ন তথা ইনসানে কামেল তৈরী করা সম্ভব নয়, কোন ব্যবস্থাও নেই। আমাদের দেশের শ্রমিকের শ্রমকে পানির চেয়েও কম মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে কাদের ভূমিকা রয়েছে? আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় নীতিনৈতিকার কোন শিক্ষার প্রচলন নেই। যার ফলে সামগ্রিক বিবেচনায় ছেলে মেয়েরা আক্কেল জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই বুনিয়াদী শিক্ষায় ”ইকরা বি-ইসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাকের পরিবর্তে কিছুটা বস্তুবাদী, কিছুটা নাস্তিক্যবাদী আর কিছুটা দায়সারা গোছের নীতি শিক্ষার একটি জগাখিচুড়ী মার্কা সমম্বয়ে তৈরী এক ধরনের শিক্ষার প্রভাব আমাদের পরিবারে, আমাদের সমাজে, আমাদের রাষ্ট্রে পড়েছে। যার ফলে একটি নির্দিষ্ট বয়স পেরিয়ে যখন সেই সন্তানটি বড় হয় তখন তার চিন্তা ও রুচিতে সেই প্রভাবটি পড়ে। অথচ বিশ্বনবী (সা) এর সেই হাদিসের কথা যদি আমরা চিন্তা করি যার সারাংশ হচ্ছে-
প্রত্যেক নবজাতক শিশুই জন্মের সময় ফিতরতুল ইসলাম তথা ইসলামের বুনিয়াদী শিক্ষা নিয়েই জন্মগ্রহণ করে। শিশুটির বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি তার ব্যক্তি জীবনে প্রভাব বিস্তার করে। কিন্তু তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি ইসলামাইজড না হয়ে যদি তা'গুতী শক্তির প্রভাবে প্রভাবাহ্নিত হয় তখন সেও ক্রমান্নয়ে তা'গুতী শক্তির পুজারী হয়ে তার প্রতিনিধিত্ব করে সত্য, ন্যায় ও ইনসাফের প্রতিপক্ষ হয়ে দাড়ায়। আবার এদের মধ্যে অনেক প্রতিভাধর ব্যক্তিত্বও ক্ষেত্র বিশেষে উল্টোরথ যাত্রা করে।
এখন আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে- সমাজপতি ও রাজনীতিবিদরা কি হাদিসে উল্লেখিত ফরমূলা অনুযায়ী কি ব্যবস্থা তৈরী করতে পেরেছেন আমাদের জেনারেশন তৈরীর কারখানাগুলোতে? এই কারখানাগুলোর (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা ব্যবস্থা) প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবতই পড়ছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ও পারিবারিক ব্যবস্থায়! যে শিক্ষা ব্যবস্থায় ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলামেশার সহশিক্ষার বুনিয়াদী অবস্থাতেই পেয়ে যাচ্ছে সেই ছেলে-মেয়েরা বড় হয়ে (এখানে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের বেশীর ভাগই সম্ভবত শিক্ষার মাধ্যমিক স্তর অতিক্রম করেছে তাদের সংখ্যা খুবই নগন্য) সংসার রচনা করছে তখন জীবিকার তাগিদে প্রবাসী হওয়া স্বজনের প্রতি কার অধিকার কতটুকু বা কার উপর কতটুকু হক রয়েছে তা বুঝার সেই পরিবেশ কতটুকু বিকাশ ঘটাতে পেরেছিল? একটি যর্থাথ কার্যকর ব্যবস্থার নিশ্চিত করা কি সমাজপ্রতি ও রাজনীতিবিদদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না? এতো গেলো শিক্ষার ব্যবস্থার কুফলের কথা।
এখন আসি অন্যন্যা প্রসংঙ্গ-
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আজ ৪৩ বছর পার হতে চললো। এই দেশটা কি স্বাধীনতা অর্জন করেছে শুধূ উন্নত জাতি তথা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে শ্রমিক প্রেরণ করে তথা উন্নত জাতির গোলাম ও দাসী তৈরীর একটি বিশাল কারখানা বানানোর জন্য? আজ বলা হয় আমাদের দেশের ষোল কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত রয়েছে। এসব হাতকে কেন আমরা অন্যের গোলামীর পেছনের নিয়োজিত রেখে প্রবাস জীবন বেচে নেবো? এই বত্রিশ কোটি হাতগুলোর উপযুক্ত ইউটিলাইজ করার ব্যবস্থা করতে না পারার পেছনে কাদের ভূমিকা সব চেয়ে বেশী? হতভাগা প্রবাসীরা? নাকি আমাদের দেশের নীতি নির্ধারক তথাকথিত সমাজপ্রতি ও রাজনীতিবিদরা? অথচ রাজনৈতিক ও নীতির্নিধারক নামের এসব টাউট-টন্নীগুলোই আবার নির্ধারণ করে দেয় আমাদের দেশের শ্রমিকের ঘামঝড়া শ্রমের বিনিময়মূল্য সমুদ্রের লবনাক্ত পানির চেয়েও কম দামে বিক্রি করতে! আমাদের প্রবাসীরা পানির মূল্য শ্রম বিক্রি করে দেশের রেমিটেন্স বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন ঠিকই কিন্তু তাদেরকে দেশের সামাজিক ও পারিবারিক ট্রানজেকশনে ন্যুনতম সুযোগ সুবিধাটুকু নিশ্চিত করতে ব্যর্থ এসব নীতিনির্ধারকরা। প্রবাসীদের এই মিস-ট্রানজেকশনের কারণে সৃষ্ট হয় কারো ক্ষেত্রে পারিবারিক অশান্তি আবার কারো ক্ষেত্রে সামাজিক বিশৃঙ্খল অবস্থা! এর কি কি প্রবাসীরাই দায়ী? নাকি সমাজপতি ও নীতির্নিধারকরা?

আসলে আমি চেয়েছিলাম এই প্রসংঙ্গে আরো কিছু লিখতে। কিন্তু আমার মন্তব্যটি বেশী লম্বা হয়ে যাচ্ছে বিধায় আর বাড়ানো উচিত মনে করছি না। পাঠকদের আবার ধর্য্যচুতির ব্যাপারও আছে। হয়তো পরে কোন সময় আমার নিজের ব্লগ পাতায় এ বিষয়ে কিছু লিখার চেষ্টা করবো।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৪
130558
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশ থেকে যে পয়েন্টগুলো বুঝতে পারলাম তা হল-

১) এসব সমস্যা একদিনে সৃষ্টি হয়নি অথবা এগুলো ধারাবাহিক কোন সমস্যাও নয়।

২) নীতিনির্ধারকদের উদাসীনতা বা খামখেয়ালীপনা।

৩) জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে জাতি উন্নত জাতিতে রুপান্তরিত হবেনা।

৪)আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে আমাদের শ্রমমূল্য আরও বাড়াতে হবে।

৫) ইসলামী শরীয়া ভিত্তিক অর্থনীতি চালু করতে হবে।


দ্বিতীয় অংশে পেলাম-

১) আমাদের এই শ্রমশক্তিকে আমরাই ব্যবহার করে দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে পারি।

২) যদি তারা দেশে থেকেই কর্মসংস্থান করতে পারেন। তবে তাদের পরিবারগুলোর এই ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব।

৩) নীতিনির্ধারকগণ সঠিক নীতি গ্রহণ করলে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব।


আপনি আপনার মন্তব্য দু'টি নিয়ে একটি চমৎকার পোস্ট দিয়ে ফেলেন। কেউ কেউ আমাকে ভুল বুঝতে শুরু করেছে। আমিই হয়ত বোঝাতে পারিনি। ধন্যবাদ।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:১৪
130814
শেখের পোলা লিখেছেন : মুসা ভাইয়ের সাথে আমি একমত৷ আমাদের কর্ণধারদের ভুল ও নিজের কোলে ঝোলমাখা নীতিই আমাদের কাল৷
১১
177333
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৫৬
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৭
130532
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
১২
177345
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৫
বাকপ্রবাস লিখেছেন : ষ্টিকি আবশ্যক হয়ে গিয়েছে এই পোষ্ট, মডু ভাইয়ার দৃষ্টি আকর্শণ করছি........
১৩
177359
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৪১
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : প্রোষিতভর্তৃকা-১ ও ২ একসাথে পড়লাম...একজন প্রবাসী হিসাবে খুবই পীড়া দেয় বর্ননাকৃত প্রতিটি ঘটনা...কিন্তু চিরন্তন বস্তুনিষ্ঠ বাস্তবতাই ফুটে উঠেছে ঘটনাগুলোতে...সবাই সমস্যা নিয়ে আলোকপাত করেছেন কিন্তু সম্ভ্যাব্য সমাধান নিয়ে কোন আলোকপাত দেখছিনা। নিচে আমার দৃষ্টিকোন থেকে উপরে বর্নিত ঘটনাগুলো থেকে বেঁচে থাকার কিছু সমাধান বের করার চেষ্টা করছি -

১. দিনবদলের উদ্দেশ্যে যারা প্রবাস করবে তারা যেন বিয়ের আগেই প্রবাস জীবনের ইতি ঘটাতে পারে সেই টার্গেট নিয়েই উপার্জন ও তহবিল করতে হবে।
২. সদ্য বিয়ে করার ২/৩ বছরের মধ্যে আর্থিক যত অসচ্ছলতাই থাকুক প্রবাসী হওয়া যাবে না।
৩. সদ্য বিয়ের পর নিত্যান্তই প্রবাসী হতে বাধ্য হলে স্ত্রীকে তার বাবা-মায়ের কাছে রেখে যেতে হবে।
৪. স্ত্রীকে নিজের কাছে নিয়ে রাখা যায় এমন ব্যবস্থ্যা থাকলে অবশ্যই স্ত্রীকে নিজের সাথে নিয়ে প্রবাস করতে হবে। (কষ্ট: সৌদিতে ফ্যামিলি ভিসা বন্ধ)
৫. স্ত্রীকে দেশে রেখে প্রবাসী হলে ৬ মাস কিংবা ১ বছর পর বাধ্যতামূলক ছুটিতে আসতে হবে।
৬. যতদিনই প্রবাস জীবন হোক না কেন প্রতিদিনই দীর্ঘসময় ধরে স্ত্রীর সাথে কথোপকথন করতে হবে।তার সুবিধা-অসুবিধা মনযোগ দিয়ে শুনতে ও তা পূরনে সচেষ্ট হতে হবে।
৭. যতদ্রুত সম্ভ্যব প্রবাস জীবনের ইতি টেনে দেশে কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করে নিজের যৌবন বয়সটা স্ত্রীকে নিয়ে কাটাতে হবে।
(পরে আরো কোন পয়েন্ট মাথায় আসলে যোগ করে দিব)
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:২২
130825
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আশরাফ ভাই। আপনার মন্তব্যের পয়েন্টভিত্তিক জবাব দেয়ার চেষ্টা করছি।

১) আপনার এই পয়েন্টটা এক অর্থে ইতিবাচক। তবে এ ক্ষেত্রে ছেলেদের বিয়ের বয়স বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ৩০ এর উপরে চলে যাবে।

২) সম্পূ্র্ণ একমত।

৩)এটা ছেলের পরিবার মানবেনা বলেই জানি। তবে বউটি যে পিত্রালয়ে থেকেও কোন অনৈতিক সম্পর্কে জড়াবেনা তার গ্যারান্টি কি?

৪) একমত।

৫) একমত।

৬) একমত । সাথে পরিবারের অন্যদের কথাও গুরুত্ব সহকারে শুনতে হবে।

৭) জোরালোভাবে একমত।
১৪
177362
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৫০
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : => স্বাধীনতার এতো বছর পরেও আমরা পরের অধীন শ্রম বিক্রি করতে তথা প্রবাসী হতে বাধ্য হচ্ছি
=> ১৬ কোটি লোকের ৩২ কোটি হাতকে কর্মীর হাতে রূপান্তর করতে বরাবরই ব্যার্থ আমাদের সরকারগুলো তাই অতিরিক্ত শ্রমের হাত বিদেশে রপ্তানি করে দিয়েছে সবসময়।
=> সীমাহীন দূর্নীতি আর লোটপাটের নীচে চাপা পরে গেছে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি তাই প্রবাসীর সংখ্যা বাড়ছে।
=> পুথিগত শিক্ষায় শিক্ষিতের হার বাড়লে বাস্তব শ্রমের হাত বেড়েছে কদাচিৎ তাই প্রবাসই হচ্ছে শেষ লক্ষ্যবস্তু।
=> শিক্ষার একমাত্র লক্ষ্য চাকরী ভাবতে গিয়ে স্বনির্ভর কোন পেশা নিতে অনিহাই আমাদের প্রবাসী হতে উৎসাহ যোগাচ্ছে
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:২৩
130826
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আরও কিছু চমৎকার যৌক্তিক পয়েন্ট। ধন্যবাদ।
১৫
177367
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০৮
শর্থহীন লিখেছেন : জঠিল অভিজ্ঞতা আপু -- ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য --
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৭
130533
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
১৬
177394
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০১
চেয়ারম্যানের বউ লিখেছেন : ধন্যবাদ।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৮
130534
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেওHappy
১৭
177402
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৩
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : শ্রদ্ধেয়া আপু আপনি কি জানান দিতে চাচ্ছেন প্রবাসীদের কাছে মেয়ে বিয়ে যাতে কেউ না দেয় ?যদি তা হয় তাহলে এর যৌক্তিকতা কি ?আপনার যৌক্তিকতা যদি হয় উপরের ঘটনা তাহলে ভালো ঘটনা কি তার উল্টো যুক্তি দেখায় না ?
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৫
130536
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : শাহীন ভাই, আমার পোস্ট দুইটা পড়ে কি আপনার তাই মনে হলো? আমি সত্যিই দুঃখিত যে যা বোঝাতে চেয়েছি তা বোঝাতে পারিনি বলে।

আপনি প্রথম পোস্ট এবং এই পোস্টের এ পর্যন্ত যতগুলো মন্তব্যের জবাব আমি দিয়েছি তা পড়ুন। এবং তারপর আমি কি প্রবাস জীবনের বিরোধী কি না তা বলুন.... প্লীজ। ধন্যবাদHappy
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৮
130541
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আমি পড়েছি সব । বিরোধী নয় তবে আপনি সমর্তক ও নয় বলে মনে হয়েছে ,যেটাই হউক আপনি কিন্তু আমাদের গার্জেন্ট সুতরাং আমাদের সমস্যা হলে আগে আপনার উপর বর্তাবে। কষ্ট পাবেন না আপু
১৮
177403
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৩
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : বাকপ্রবাস লিখেছেন : ষ্টিকি আবশ্যক হয়ে গিয়েছে এই পোষ্ট, মডু ভাইয়ার দৃষ্টি আকর্শণ করছি" ।
একমত
১৯
177407
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২০
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আমি আর কি বলব..বললে তো বলবেন বেশী কথা বলি....এই সমস্যাগুলো কোন সমাধান নাই.. সমস্যা ছিল..আছে..থাকবে..থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত যতদিন পর্যন্ত প্রবাসীরা বউকে রেখে প্রবাসে থাকবে। সমাধান একটাই হতে পারে..অন্তত পক্ষে বছরে এক/দেশ মাস দেশে এসে স্ত্রীকে সময় দিতে হবে........আবারও বলছি আমাদের দেশের প্রবাসীদের বেশীর ভাগ বউকে সাথে রাখতে পারে না। সেই সামর্থ্ তাদের নাই । তাই তারা সব কিছু আল্লাহর উপর ছেড়ে দেয়।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:২৭
131318
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :

১) এ ব্যাপারে সরকারী উদ্যেগ একান্তভাবে কাম্য।

২) মানবাধিকার/ সামাজিক সংগঠনগুলো সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে।

৩)এছাড়াও আমার মনে হয় প্রবাসীগণও যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবী পেশ করতে পারে।

৪) যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর রেমিটেন্সের একটা বিরাট প্রভাব রয়েছে তাই উর্ধ্বতন মহলে এই বিষয়কে আমলে নেয়ার জন্য প্রবাসীগণ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে।

৫) সামাজিক কোন সংগঠন যদি এ ব্যাপারে এগিয়ে না আসে তবে প্রবাসীরা স্ব-উদ্যেগে এরকম সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলতে পারে। তারপর সেই সংঠনের মাধ্যমে তাদের দাবী-দাওয়া সংশ্লিষ্ট মহলে পেশ করতে পারে।

৬) যদি এ ধরণের সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলা যায় তবে এ ক্ষেত্রে প্রবাসীদের পরিবারগুলোকে এই সংগঠনগুলো নিয়মিত ফলোআপ করতে পারে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
131411
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : সুন্দর প্রস্তাব.........তবে একটি কথা কি জানেন। আমরা যারা প্রবাসে থাকি। প্রথমে আমাদেরকে সিন্ধান্ত নিতে হবে,এই চাকরী করলে কত টাকা বেতন পাব..কত দিন পরপর দেশে যেতে পারব...শুধুমাত্র গাধার মত কাজ করে কি লাভ? প্রতি বছর দেশে যেতে না পারলে সেই কাজ করা ও উচিত নয়......
২০
177408
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২১
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : ঘটনা-৩ পড়ে গ্রামের সেই বধুটির জন্য খুব মায়া হচ্ছে ।
বিনা দোষে শাস্তি পেল মেয়েটি । সচেতন মুলক পোষ্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।

যাজ্জাকাল্লাহ খায়ের
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:২৮
131319
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইHappy
২১
177412
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩০
আলোর আভা লিখেছেন : আসলে এটা একটা জটিল সমস্যা ।এটা যেমন স্ত্রীদের ও দোষ ধরা যায় না তেমনী স্বামীদের ও না ।স্বামী -স্ত্রী দুরে থাকলে স্ত্রীর যেমন কষ্ট হয় স্বামীর কষ্ট তার চেয়ে কম নয় ।আর স্বামী দুরে থাকছেন সেতু বউ বাচ্চার সুখের জন্যই ।

আমাদের দেশে কর্ম সংস্থানের অভাবে মানুষ বাধ্য হয়ে বিদেশ যায় ।সেখানে তারা যেমন কষ্ট করে তেমনি আপনজনদের বিরহে তাদের বুকের হাহাকার কেউ দেখার নেই ।


জীবনের জন্য টাকার প্রয়োজন আছে ।টাকা না থাকলে নাকি ভালবাসা জানালা দিয়ে পালিয়ে যায় ।

আর প্রবাসীদের সব বউরাই খারাপ তা কিন্ত নয় ।এমন অনেক বউ আছে স্বামী পাশে থাকার পরোও পরকিয়া করে ।

ধন্যবাদ আপু ।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩০
131320
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনি শেষে যে সমস্যার কথা বলেছেন। তা নিয়ে পরবর্তীতে লিখার ইচ্ছা আছে। ইনশাআল্লাহPraying
২২
177435
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৯
সালাহ লিখেছেন : যদিও আমি সেই ডুবাই প্রবাসী তবুও আপনার কথার সাথে একমত না হয়ে পারলাম না । তবে আমার থিউরি হল বিয়ের পর বউ নিয়ে আসার সামর্থ্য না থাকলে অন্তত ৫ মাসে একবার দেশে যাওয়া উচিত । আর তা না হলে বিদেশ আসাই উচিত না । আর তা না হলে বিয়ে বাদ দিয়ে রোজা পালন করা উচিত । কারন একটা জীবনের সাথে কয়েকটা জীবন ধ্বংস করা......। যাহোক চরম বাস্তব ভিত্তিক ১ খান লিখা দিবার জন্য ভাপা পিঠা খাবার নিমন্ত্রন রইল
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩১
131322
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদHappy
২৩
177449
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আসলেই আমাদের সমাজের অবস্হাটা এরকমই।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩১
131323
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : Happy Happy Happy
২৪
177465
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৬
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : বিবাহিত এবং স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস করার পরও এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে অহরহ। গত কয়েক দিনের পত্র পত্রিকায় ‘মিস্টি’ আর ‘বাচ্চু’র ঘটনা এর বড় প্রমাণ।

যেসব প্রবাসী নানাবিধ অপারগতার কারণে দেশে স্ত্রী রেখে দীর্ঘ প্রবাস জীবন যাপনে বাধ্য হন তাদের প্রতি সহানুভূতির সাথে আমার পরামর্শ থাকে- কিছু ন্যুনতম পুঁজি জোগাড় করে দেশে গিয়ে অন্তত একটা সিএনজি ক্রয় করে তা চালিয়ে হলেও স্ত্রী সন্তানদের কাছে থাকার চেষ্টা করুন।
যারা স্ত্রীকে সাথে রাখার সমর্থ থাকা সত্বেও টাকা বাঁচিয়ে বাড়ী-গাড়ী আর দামী প্লট কেনার নেশায় মত্ত হয়ে প্রবাস নামের ঢং করেন তারাই বড় অপরাধী।
আবার অনেক তথাকথিত মাতা-পিতা ভক্ত পুরুষ আছে যারা মা-বাবার সেবার জন্য(!)সামর্থ থাকা সত্বেও নিজের সাথে প্রবাসে স্ত্রীকে রাখার প্রয়োজন বোধ করেন না।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, বিবাহিত জীবনে সুখ-শান্তি এবং স্বামী-স্ত্রী একসাথে থাকতে পারার জন্য আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা করে সে আলোকে অগ্রসর হতে হবে। তাহলে আল্লাহ অবশ্যই সাহায্য করবেন। ধন্যবাদ।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩১
131324
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদHappy Praying
২৫
177481
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৪
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : সমস্যা নিয়ে আমরা আলোচনা করি তার থেকে উত্তোরণের পথও খুঁজে পাই কিন্তু সে পথে আমরা খুব কমই পা বাড়ায়...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩২
131325
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : Happy Happy Happy
২৬
177638
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:৩১
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আশাকরি উৎরনের উপায়গুলো নিয়েও লিখবেন! সাথেই আছি! Good Luck
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩২
131326
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
২৭
177649
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:৪৩
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে লেখার জন্য আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন। অনেক ধন্যবাদ আপুকে Good Luck Love Struck
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩২
131327
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বৃত্তমণিকেও ধন্যবাদHappy Love Struck
২৮
177660
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:১৭
শেখের পোলা লিখেছেন : একদিকে দারিদ্র অন্যদিকে আরও ভাল থাকার আকাঙ্খাই এর জন্য দায়ী, আরনেতা নেতৃদের ভুল পদক্ষেপই আমাদের ঐ অবস্থার জন্য দায়ী৷ আমাদের তা ভোগ করতেই হবে৷ ভাবিতে উচিৎ ছিল প্রতিজ্ঞা যখন৷
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩৩
131328
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ১) এ ব্যাপারে সরকারী উদ্যেগ একান্তভাবে কাম্য।

২) মানবাধিকার/ সামাজিক সংগঠনগুলো সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে।

৩)এছাড়াও আমার মনে হয় প্রবাসীগণও যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবী পেশ করতে পারে।

৪) যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর রেমিটেন্সের একটা বিরাট প্রভাব রয়েছে তাই উর্ধ্বতন মহলে এই বিষয়কে আমলে নেয়ার জন্য প্রবাসীগণ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে।

৫) সামাজিক কোন সংগঠন যদি এ ব্যাপারে এগিয়ে না আসে তবে প্রবাসীরা স্ব-উদ্যেগে এরকম সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলতে পারে। তারপর সেই সংঠনের মাধ্যমে তাদের দাবী-দাওয়া সংশ্লিষ্ট মহলে পেশ করতে পারে।

৬) যদি এ ধরণের সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলা যায় তবে এ ক্ষেত্রে প্রবাসীদের পরিবারগুলোকে এই সংগঠনগুলো নিয়মিত ফলোআপ করতে পারে।
২৯
177712
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০৩
সায়েম খান লিখেছেন : অভাবে স্বভাব নষ্ট ...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩৩
131329
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : :Thinking :Thinking :Thinking
৩০
178081
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৭
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : মন্তব্য সহ আগের পর্বও পড়লাম, কি যে মন্তব্য করবো বুঝতে পারতিছিনা।

তবে বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩৩
131330
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
৩১
178165
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:১৫
অজানা পথিক লিখেছেন : ফেবুতেও একবার পড়েছিলাম। গুরুত্বপূর্ন ব্যপার
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩৪
131331
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
৩২
178317
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৩৭
সায়েম খান লিখেছেন : আপু, আপনার লেখাগুলো পড়ে নতুন করে কেউ বিদেশে যেতে নিরুৎসাহিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হবে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৯
131528
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমার এই পোস্ট সচেতনতা তৈরীর উদ্দেশ্যে লিখেছি। প্রবাস গমনে নিরুৎসাহিত করার জন্য নয়। ধন্যবাদ।
৩৩
178323
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:০৪
ইমরান ভাই লিখেছেন : দেশে,জেলায়,উপজেলায়,ইউনিয়নে,গ্রামে,গঞ্জে সব জায়গায় ইসলামি অনুশাসন,আইন,বিচার,ন্যায়পরায়নতা,সৎ,চরিত্রবান করার ব্যাবস্থা করলে এই সকল সমস্যা দুর করা সম্ভব।

আর এই সমস্যা গুলো দুর করার জন্য আর একটি বড় স্টেপ হচ্ছে "সকল ভারতীয় টিভি চ্যানেল বাংলাদেশে প্রদর্শন বন্ধ করা"

আপনাকে ধন্যযুক্ত আপাজি।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০০
131529
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার মন্তব্য ইমরান ভাই। ধন্যযুক্তHappy
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২৩
131568
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমি সবার শেষে আসছি পুরাই ৩৩ নাম্বার সিরিয়াল, তাই আপনার ৩য় পোস্টে আমার কমেন্টসের কোন স্থান নাই Worried Worried Worried

ধন্যযুক্ত হলোনা Yawn Yawn
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১২
132071
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : মন্তব্যযুক্ত না হলেও ধন্যযুক্ত হলো।Happy
৩৪
178989
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৭
আবু ফারিহা লিখেছেন : আবু সাইফ ভাই ও মোঃ ওহিদুল ইসলাম ভাইয়ের সাথে সম্পূর্ণ একমত। সমগ্র বিশ্বে যে সব প্রবাসীরা ফ্যামিলি নিয়ে বসবাস করেন তাদের মধ্যে সৌদি ফ্যামিলিয়ান প্রবাসীরা অনেক বেশী সুখে ও আত্মতৃপ্তিতে আছেন। যার কারণ হিসাবে আসংখ্য যুক্তি দেয়া যেতে পারে। আমার জানা মতে এমন অনেকেই আছেন ফ্যামিলি নিয়ে আসতে চান কিন্তু পারছেননা এইসব আইন-কানুনের মারপ্যাচের কারণে। সুন্দর একটি বিষয় উপস্হাপনের জন্য আপুকে ধন্যবাদ।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১১
132069
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার মতামতের জন্য ধন্যবাদHappy
৩৫
179006
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৪
আবু ফারিহা লিখেছেন : সৌদি প্রবাসীদের কথা এজন্য বলেছি কারণ অন্য ফ্যামিলিয়ান প্রবাসীদের জীবন যাত্রা আমার চোখে দেখিনি তাই।

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১১
132070
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
৩৬
179736
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৫
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ৩ নং ঘটনায় বাবার কোন শাস্তি হোলনা আর বৌ তালাক হয়ে গেল?! কি আশ্চর্য!

৬ নং ঘটনার জন্য স্ত্রীটিকে দোষ দিতে মন চাইছেনা, মানুষ মানবিক দুর্বলতার উর্ধ্বে নয়, মানুষের টাকা ছাড়াও আরো অনেক কিছু প্রয়োজন হয়, এই প্রয়োজনগুলোর দিকে যে স্বামী খেয়াল করেন না তার জন্য শুধু আল্লাহর ভয়ে কতদিন পথ চেয়ে থাকা যায়? শয়তান তো বসেই থাকে এসব সুযোগের জন্য!

বিষয়গুলোর মানবিক সমাধান প্রয়োজন। গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন।

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:২৩
132914
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ৩ নং ঘটনার 'সেই বাবা' ঐ ঘটনার কিছুদিন পরেই স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে গেছে। বর্তমানে কি অবস্হায় আছে জানিনা। সে আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ায় কিঞ্চিত শাস্তি পেয়েই গেছে।


৬ নং ঘটনাটা আমাদের সমাজে এখন প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু পরিবারের কথা ভেবে যতটুকু সম্ভব সবাই চুপ করে থাকে।

আমি কিছু ঘটনা জানি তাদের এই অপরাধের পরও স্বামী এবং পরিবারের অন্যরা ক্ষমা করে দিয়েছে।


মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File